ইসলাম ডেস্ক
জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের ঐতিহাসিক এক অসম লড়াইয়ের নাম বদর যুদ্ধ। আল্লাহ তাআলার অশেষ দয়া ও মেহেরবানিতে সেখানে মজলুম বিজয়ী হয়েছে। দীর্ঘ ১৩টি বছর মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম মক্কার কাফিরদের নির্যাতন সয়ে গেছেন। ধৈর্যধারণ ও ক্ষমা করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা আদিষ্ট ছিলেন। মক্কার কুরাইশদের জুলুমের সীমা ছাড়িয়ে গেলে মদিনায় হিজরতের পর আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের অস্ত্র ধারণের অনুমতি দেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(কাফিরদের পক্ষ থেকে) যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা হচ্ছে, তাদের (নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধ করার) অনুমতি দেওয়া হলো। কারণ তাদের প্রতি জুলুম করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের জয়যুক্ত করতে পরিপূর্ণ সক্ষম।’ (সুরা হজ: ৩৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তোমরা আল্লাহর পথে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করো। তবে সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ তাআলা সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা বাকারা: ১৯০)
এই অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান কাফিরদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মদিনা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বদর প্রান্তরে সংঘটিত এ যুদ্ধের নাম বদর যুদ্ধ। বস্তুগত দিক থেকে এটি ছিল মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যে এক অসম যুদ্ধ। মুসলিমরা সংখ্যায় ৩১৩ জন; বিপরীতে কাফিররা ছিল তিন গুণেরও বেশি—১ হাজার জন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা নিজের ওয়াদা অনুসারে মুসলমানদের সাহায্য করেছেন। দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও বদর যুদ্ধে বিজয়ের মালা মুসলমানদের গলায় পরিয়েছেন। (সুরা আল ইমরান: ১১৩)
বদর যুদ্ধের শুরু ও শেষের ঘটনাপ্রবাহে বহুবিধ শিক্ষা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা হলো, জালিমকে আল্লাহ তাআলা একটা সময় পর্যন্ত সুযোগ দিলেও শেষ বিচারে মজলুমের হাতেই জালিমের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। মজলুম ইতিহাসের পাতায় স্বমহিমায় টিকে থাকে, জালিম ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের ঐতিহাসিক এক অসম লড়াইয়ের নাম বদর যুদ্ধ। আল্লাহ তাআলার অশেষ দয়া ও মেহেরবানিতে সেখানে মজলুম বিজয়ী হয়েছে। দীর্ঘ ১৩টি বছর মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম মক্কার কাফিরদের নির্যাতন সয়ে গেছেন। ধৈর্যধারণ ও ক্ষমা করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁরা আদিষ্ট ছিলেন। মক্কার কুরাইশদের জুলুমের সীমা ছাড়িয়ে গেলে মদিনায় হিজরতের পর আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের অস্ত্র ধারণের অনুমতি দেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(কাফিরদের পক্ষ থেকে) যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা হচ্ছে, তাদের (নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধ করার) অনুমতি দেওয়া হলো। কারণ তাদের প্রতি জুলুম করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের জয়যুক্ত করতে পরিপূর্ণ সক্ষম।’ (সুরা হজ: ৩৯)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তোমরা আল্লাহর পথে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করো। তবে সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ তাআলা সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা বাকারা: ১৯০)
এই অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান কাফিরদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মদিনা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বদর প্রান্তরে সংঘটিত এ যুদ্ধের নাম বদর যুদ্ধ। বস্তুগত দিক থেকে এটি ছিল মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যে এক অসম যুদ্ধ। মুসলিমরা সংখ্যায় ৩১৩ জন; বিপরীতে কাফিররা ছিল তিন গুণেরও বেশি—১ হাজার জন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা নিজের ওয়াদা অনুসারে মুসলমানদের সাহায্য করেছেন। দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও বদর যুদ্ধে বিজয়ের মালা মুসলমানদের গলায় পরিয়েছেন। (সুরা আল ইমরান: ১১৩)
বদর যুদ্ধের শুরু ও শেষের ঘটনাপ্রবাহে বহুবিধ শিক্ষা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা হলো, জালিমকে আল্লাহ তাআলা একটা সময় পর্যন্ত সুযোগ দিলেও শেষ বিচারে মজলুমের হাতেই জালিমের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। মজলুম ইতিহাসের পাতায় স্বমহিমায় টিকে থাকে, জালিম ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
১১ ঘণ্টা আগেইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৫ ঘণ্টা আগে