জীবন অগাধ

আপনারা অনেকেই জানেন যে সাধারণত আমি কোনো সম্মান বা পুরস্কার গ্রহণ করি না। অন্তত একজন ফরাসি হিসেবে যেগুলো আমি ফ্রান্স থেকে পাব বলে জানি, সেগুলো তো নয়ই। কিন্তু আজ এ কথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই

এই অপূর্ব মর্যাদার সামনে দাঁড়িয়ে কী করতে পারি আজ আমি? আমার পা যেন আর মাটিতে গাঁথা নেই। আকাশে উড়ছে আর মাথা ঘুরছে বনবন করে। নিজেকে নিজের মধ্যে ধরে রাখা সহজ নয় এখন।

... যখন বয়স পঁচিশ, গঙ্গার ধারে বাংলার এক প্রত্যন্ত জেলায় বোট হাউসে পরম নির্জনতায় দিন কাটিয়েছি। প্রতি হেমন্তে হিমালয়ের ঝিলগুলি থেকে যে-বুনো হাঁসেরা উড়ে আসত, একমাত্র তারাই ছিল আমার জীবন্ত সঙ্গী।

১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন দুর্বার হয়ে উঠলে ৮ মে গভীর রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি পুলিশ। ৭ জুন সরকারবিরোধী হরতালের সময় মনু মিয়াসহ ১১ জন নিহত হন। সে সময় আইয়ুবী নির্যাতনের খড়্গ নেমে এসেছিল এ দেশে। আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল।

একবার এক স্কুল পরিদর্শনে গেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সে এক অজপাড়াগাঁ। স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ একটা আনন্দমুখর সময় কাটছে তাঁর। এ সময় একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থ এসে বললেন, ‘আজ আপনি আমাদের বাড়িতে দুপুরের আহার করবেন।’

কবি জসীমউদ্‌দীনের কমলাপুরের বাড়িতে সকাল থেকেই নানা বয়সের মানুষ এসে ভিড় করত। এদের বেশির ভাগই আসত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, কেউ চাকরিপ্রত্যাশী, কেউ কলেজে ভর্তি হতে এসেছে। এদের মধ্যে যারা আসত উপহার সঙ্গে নিয়ে, তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হতেন কবি। কাউকে কাউকে ঘর থেকে বের কর

এটাকে বলা যায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের প্রথম মঞ্চে ওঠা বা না-ওঠার গল্প। সেটা ১৯৪৫ সালের কথা। স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাঁরা পারফর্ম করেন, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন না। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিছু পারুক আর না পারুক, মঞ্চে উঠতে হবে সবাইকে। সেই তালিকায় পড়লেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

বহু আগে একবার ওয়াহিদুল হক বলেছিলেন সৈয়দ শামসুল হককে, ‘যে আদর্শ নিয়ে বাঙালি একদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল, সেই আদর্শ এবং চেতনা এখন আর এই বাংলাদেশের কোথাও নেই, কেবলমাত্র মঞ্চ ছাড়া।’ ওয়াহিদুল হক কামনা করেছিলেন, সমগ্র বাংলাদেশ এই নাট্যমঞ্চের সমান উঁচু হয়ে উঠুক।

উত্তমকুমারের শৈশবে পরিবারে দারিদ্র্য ছিল, কিন্তু পরিবারের সবাই মিলে হাসি-ঠাট্টাও হতো অনেক। বসত গল্পের আসর। হতো থিয়েটার। বাড়িতেই ছিল এক শখের থিয়েটার। নাম ছিল সুহৃদ সমাজ। মূলত যাত্রাগানই করত সেই দল।

একাত্তর সালে সীমানা পেরিয়ে যখন ত্রিপুরায় পৌঁছালেন, তখন বুঝলেন, আপাতত পাকিস্তানিদের নাগালের বাইরে চলে এসেছেন। তারপর বিশাল এক ট্রেন জার্নির পর কলকাতার শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ঘটল কত কাহিনি।

এরশাদের আমলে একবার ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বহু বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্র ও হল সংসদের নির্বাচন হলো সেবার। নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপাচার্য যাঁদের হাতে দায়িত্ব দিলেন

সত্যজিৎ রায়কে একজন অসাধারণ অভিনেতা বলে মনে করতেন রবি ঘোষ। সত্যজিৎ রায়ের ‘বাঘা বাইন’ কিন্তু শুধু বাঘা হয়েই সত্যজিতের সঙ্গে থাকেননি। আরও কয়েকটি ছবিতে করেছেন অভিনয়।

দারুণ এক দ্যুতিময় জীবন ছিল কমল দাশগুপ্তের। ১৯২৮ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিকম করেছেন। ‘মীরার ভজন’-এর সুরারোপের জন্য ১৯৪৩ সালে বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টরস অব মিউজিক’ ডিগ্রি পান।

নবনীতা দেব সেন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গিয়েছিলেন বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে। সেখান থেকে আটলান্টায় যাবেন। আটলান্টায় যাওয়ার অনেকগুলো মানে আছে, তবে সবচেয়ে বড় মানে হলো, রাজ্যটি মার্টিন লুথার কিংয়ের জন্মস্থান।

অসাধারণ অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশব, কৈশোর, যৌবন কেটেছে আমাদের এই ঢাকা শহরে। প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন পোগজ স্কুলে। সেখান থেকে সেন্ট গ্রেগরিজে। হাইস্কুল পাস করে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

জন লেনন সম্পর্কে ভালো-মন্দ নানা কথাই শোনা যায়। তবে লেনন যে বিংশ শতাব্দীর একজন তারকাশিল্পী, সে ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই। লেননের জীবনে এমন অনেক ঘটনাই আছে, যেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে কম। এই যেমন তাঁর চোখ। ছেলেবেলা থেকেই চোখে কম দেখতেন লেনন, কিন্তু চশমা ব্যবহার করতে চাইতেন না একেবারেই।

ডেনমার্কের রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ইংল্যান্ডের ডাকসাইটে সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের। সেটা ১৮৪৭ সাল। দুজনই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হলেন।