সম্পাদকীয়
এটাকে বলা যায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের প্রথম মঞ্চে ওঠা বা না-ওঠার গল্প। সেটা ১৯৪৫ সালের কথা। স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাঁরা পারফর্ম করেন, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন না। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিছু পারুক আর না পারুক, মঞ্চে উঠতে হবে সবাইকে। সেই তালিকায় পড়লেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। যারা পুরস্কার পেয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। যারা গান করে, তারা গান করবে। আবৃত্তি শিখেছে যারা, তারা করবে আবৃত্তি। যারা কিছু পারে না, তাদের জন্যও রয়েছে দারুণ রোমাঞ্চকর পারফরম্যান্স। কী সেটা?
ব্যান্ডের তালে তালে নজরুলের ‘চল চল চল’ গানটি গাইবে সাত-আটজন ছেলে। বাকি ছাত্ররা তিনজন করে সারি বেঁধে স্টেজের ওপর দিয়ে শোভাযাত্রা করে হেঁটে যাবে; অর্থাৎ লেফট রাইট লেফট রাইট করে মঞ্চের এধার থেকে ওধারে যাবে সেই ছেলেগুলো। এরা গাইতেও পারে না, নাচতেও পারে না, আবৃত্তিও করতে পারে না। এদেরই একজন হলেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
এই পারফরম্যান্স নিয়ে সে কী উত্তেজনা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের! এমনিতে দিনের বেলায় ভাত খাওয়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস ছিল তাঁর। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন উত্তেজনায় ঘুম হলো না দুপুরে। দর্শকের চেয়ারে বসে ঢুলতে লাগলেন। একবার ঢলেও পড়লেন পাশের লোকটির ওপর। তিনি এক ধাক্কায় তাঁকে সোজা করে দিলেন। একটা গালও দিলেন বোধ হয়। সায়ীদ বুঝলেন, বাড়িতে গিয়ে একটু ঘুমিয়ে চাঙা হয়ে আসা দরকার।
বাড়ি গিয়ে মাকে বললেন, ‘রাত সাড়ে ৮টায় উঠিয়ে দিয়ো। আমার অনুষ্ঠান আছে।’
এরপর তলিয়ে গেলেন গভীর ঘুমে। যখন ঘুম ভাঙল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন রাত ১০টা বেজে গেছে। গভীর ঘুমে দেখে মা আর ঘুম ভাঙাতে চাননি ছেলের। তাই ‘ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ শব্দাবলির সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছেন, সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি।
সূত্র: সেতুবন্ধন, সম্পাদনা: বিধান চন্দ্র পাল, পৃষ্ঠা: ২৬৯-২৭০
এটাকে বলা যায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের প্রথম মঞ্চে ওঠা বা না-ওঠার গল্প। সেটা ১৯৪৫ সালের কথা। স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাঁরা পারফর্ম করেন, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন না। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিছু পারুক আর না পারুক, মঞ্চে উঠতে হবে সবাইকে। সেই তালিকায় পড়লেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। যারা পুরস্কার পেয়েছে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। যারা গান করে, তারা গান করবে। আবৃত্তি শিখেছে যারা, তারা করবে আবৃত্তি। যারা কিছু পারে না, তাদের জন্যও রয়েছে দারুণ রোমাঞ্চকর পারফরম্যান্স। কী সেটা?
ব্যান্ডের তালে তালে নজরুলের ‘চল চল চল’ গানটি গাইবে সাত-আটজন ছেলে। বাকি ছাত্ররা তিনজন করে সারি বেঁধে স্টেজের ওপর দিয়ে শোভাযাত্রা করে হেঁটে যাবে; অর্থাৎ লেফট রাইট লেফট রাইট করে মঞ্চের এধার থেকে ওধারে যাবে সেই ছেলেগুলো। এরা গাইতেও পারে না, নাচতেও পারে না, আবৃত্তিও করতে পারে না। এদেরই একজন হলেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
এই পারফরম্যান্স নিয়ে সে কী উত্তেজনা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের! এমনিতে দিনের বেলায় ভাত খাওয়ার পর ঘুমানোর অভ্যাস ছিল তাঁর। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন উত্তেজনায় ঘুম হলো না দুপুরে। দর্শকের চেয়ারে বসে ঢুলতে লাগলেন। একবার ঢলেও পড়লেন পাশের লোকটির ওপর। তিনি এক ধাক্কায় তাঁকে সোজা করে দিলেন। একটা গালও দিলেন বোধ হয়। সায়ীদ বুঝলেন, বাড়িতে গিয়ে একটু ঘুমিয়ে চাঙা হয়ে আসা দরকার।
বাড়ি গিয়ে মাকে বললেন, ‘রাত সাড়ে ৮টায় উঠিয়ে দিয়ো। আমার অনুষ্ঠান আছে।’
এরপর তলিয়ে গেলেন গভীর ঘুমে। যখন ঘুম ভাঙল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন রাত ১০টা বেজে গেছে। গভীর ঘুমে দেখে মা আর ঘুম ভাঙাতে চাননি ছেলের। তাই ‘ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ শব্দাবলির সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছেন, সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি।
সূত্র: সেতুবন্ধন, সম্পাদনা: বিধান চন্দ্র পাল, পৃষ্ঠা: ২৬৯-২৭০
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১ দিন আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৩ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৪ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৫ দিন আগে