সম্পাদকীয়
কবি জসীমউদ্দীনের কমলাপুরের বাড়িতে সকাল থেকেই নানা বয়সের মানুষ এসে ভিড় করত। এদের বেশির ভাগই আসত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, কেউ চাকরিপ্রত্যাশী, কেউ কলেজে ভর্তি হতে এসেছে। এদের মধ্যে যারা আসত উপহার সঙ্গে নিয়ে, তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হতেন কবি। কাউকে কাউকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। ঘুষ নিয়ে উপকার করার কথা ভাবতেই পারতেন না তিনি।
কখনো কখনো সন্ধ্যাবেলায় চেনা-অচেনা গ্রাম্য বয়াতিরা আসতেন তাঁর কাছে। সারা রাত ধরে গান করতেন। ভাবগান হলে তা জসীমউদ্দীনের মন ছুঁয়ে যেত। সেই গান শুনে কাঁদতেন জসীমউদ্দীন।
তাঁর সঙ্গে সখ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। জসীমউদ্দীনের কবিতা ভালো বাসতেন তিনি। বাংলার জল হাওয়া নদী আকাশ বাতাসের রূপকার জসীমউদ্দীন, সেটা বঙ্গবন্ধু বুঝতেন। জসীমউদ্দীন বিশ্বাস করতেন, কোনো একদিন বঙ্গবন্ধু তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেবেন। অন্তত জাতীয় অধ্যাপক করবেন। কিন্তু সেটা বঙ্গবন্ধু করেননি। তাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ক্ষোভ থাকতে পারত জসীমউদ্দীনের। কিন্তু অবাক কাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করতেই দেখা যায়নি তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, সেদিন একেবারে ভেঙে পড়লেন জসীমউদ্দীন। হু হু করে কেঁদে উঠলেন।
এর কিছুদিন পর দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের গভর্নমেন্ট হাউসে আমন্ত্রণ জানালেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোশতাক তখন দেশের রাষ্ট্রপতি। এই গণ্যমান্যদের তালিকায় ছিলেন জসীমউদ্দীনও। কিন্তু তিনি সেখানে গেলেন না। তিনি বললেন, ‘আমি খুনিদের সঙ্গে বসে চা খাব? না।’
অথচ বঙ্গবন্ধু যাদের জাতীয় অধ্যাপক করেছিলেন, তাদের অনেকেই খন্দকার মোশতাকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে গভর্নমেন্ট হাউসে গিয়েছিলেন। তাতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন জসীমউদ্দীন।
সূত্র: জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা: ৭৫-৭৬
কবি জসীমউদ্দীনের কমলাপুরের বাড়িতে সকাল থেকেই নানা বয়সের মানুষ এসে ভিড় করত। এদের বেশির ভাগই আসত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, কেউ চাকরিপ্রত্যাশী, কেউ কলেজে ভর্তি হতে এসেছে। এদের মধ্যে যারা আসত উপহার সঙ্গে নিয়ে, তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হতেন কবি। কাউকে কাউকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। ঘুষ নিয়ে উপকার করার কথা ভাবতেই পারতেন না তিনি।
কখনো কখনো সন্ধ্যাবেলায় চেনা-অচেনা গ্রাম্য বয়াতিরা আসতেন তাঁর কাছে। সারা রাত ধরে গান করতেন। ভাবগান হলে তা জসীমউদ্দীনের মন ছুঁয়ে যেত। সেই গান শুনে কাঁদতেন জসীমউদ্দীন।
তাঁর সঙ্গে সখ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। জসীমউদ্দীনের কবিতা ভালো বাসতেন তিনি। বাংলার জল হাওয়া নদী আকাশ বাতাসের রূপকার জসীমউদ্দীন, সেটা বঙ্গবন্ধু বুঝতেন। জসীমউদ্দীন বিশ্বাস করতেন, কোনো একদিন বঙ্গবন্ধু তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেবেন। অন্তত জাতীয় অধ্যাপক করবেন। কিন্তু সেটা বঙ্গবন্ধু করেননি। তাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ক্ষোভ থাকতে পারত জসীমউদ্দীনের। কিন্তু অবাক কাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করতেই দেখা যায়নি তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, সেদিন একেবারে ভেঙে পড়লেন জসীমউদ্দীন। হু হু করে কেঁদে উঠলেন।
এর কিছুদিন পর দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের গভর্নমেন্ট হাউসে আমন্ত্রণ জানালেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোশতাক তখন দেশের রাষ্ট্রপতি। এই গণ্যমান্যদের তালিকায় ছিলেন জসীমউদ্দীনও। কিন্তু তিনি সেখানে গেলেন না। তিনি বললেন, ‘আমি খুনিদের সঙ্গে বসে চা খাব? না।’
অথচ বঙ্গবন্ধু যাদের জাতীয় অধ্যাপক করেছিলেন, তাদের অনেকেই খন্দকার মোশতাকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে গভর্নমেন্ট হাউসে গিয়েছিলেন। তাতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন জসীমউদ্দীন।
সূত্র: জসীমউদ্দীন জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা: ৭৫-৭৬
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫