Ajker Patrika

মেহেদী হাসানসহ ‘অভ্র’র কারিগরদের সবাইকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
মেহেদী হাসানসহ ‘অভ্র’র কারিগরদের সবাইকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত

চলতি বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় মেহেদী হাসান খানের সঙ্গে আরও তিনজন একুশে পদক পেতে যাচ্ছেন। যাঁরা, মেহেদী হাসানের সঙ্গে অভ্র কি বোর্ড তৈরিতে যুক্ত ছিলেন।

আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুকে এ কথা জানান। মেহেদী হাসান খানও ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘আমরা জানতাম মেহেদী হাসান খান পুরস্কার গ্রহণ করতে আগ্রহী না। এর আগেও তাঁকে অ্যাপ্রোচ করা হয়েছিল। তিনি পুরস্কার না নিতে পারেন জেনেও আমাদের ক্যাবিনেট থেকে আমরা পুরস্কার ঘোষণা করতে সম্মত হই। এর মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চেয়েছি আমরা কাদের সেলিব্রেট করব।’

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেহেদী হাসান পুরস্কার নিতে সম্মত হয়েছেন জানিয়ে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘তিনি (মেহেদী হাসান) একা এই কৃতিত্ব নিতে চাননি। তাঁর আরও তিন বন্ধু—রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফা; যাঁরা অভ্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাঁদের ছাড়া তিনি পুরস্কার নিতে চাননি। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া এই চার গুণীকেই অভ্রর জন‍্য দলগতভাবে একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

এরপর মেহেদী হাসান খান ‘অভ্র কিবোর্ড-বাংলা সফটওয়ার’ পেজ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানান, অভ্র তৈরির সঙ্গে অনেকেই যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে খুশি করতে পারব না। কিন্তু দলের কাজের কৃতিত্ব একক ব্যক্তি না পাক, আমার সামর্থ্য দিয়ে এটুকু চেষ্টা করতে পারি। একুশে পদক ঘোষণার পরে অ্যাডভাইজার ফারুকী ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হলো। ওনাকে ব্যাপারটা বোঝাতে খুব বেশি চেষ্টা করতে হয় নাই, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

মেহেদী হাসান খান আরও লেখেন, ‘২০০৩ সাল থেকে অনেকে অভ্র কাজে সাহায্য করেছেন, এদের সবার অবদান আছে। কিন্তু শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত আমরা যারা একসাথে কাজ করেছি—রিফাত, সিয়াম, শাবাব, এদের ছাড়া আমি অভ্রর নামে একুশে পদক গ্রহণ করতে পারব না। উনি মেনে নিয়েছেন, বাকিদেরও রাজি করিয়েছেন। ওনাদের কথা ছিল—পদক গ্রহণ করা বা না করার কথা পরে, রাষ্ট্রের কাজ জানানো যে আপনাদের কাজের জন্য রাষ্ট্র কৃতজ্ঞ, তাঁরা তাই করেছেন। আমিও মেনে নিয়েছি। পরের প্রজন্মের জন্য অভ্রর মিশনটা যদি রেখে যেতে হয়, সাথে আমাদের টিমওয়ার্কটাও উদাহরণ হিসেবে থাকুক। একা একা তো বেশিদূর যাওয়া যায় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত