ফিচার ডেস্ক
ফেসবুকের গোপনীয়তা লঙ্ঘনে ৮ বিলিয়ন ডলারের মামলার তোপে পড়েছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। অভিযোগটা ছিল গুরুতর, ফেসবুক নাকি বছরের পর বছর ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য গচ্ছিত রাখতে পারেনি। আর সেগুলো তৃতীয় পক্ষের হাতে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
মামলাটি করেছিলেন মেটার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাকারবার্গ, সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গসহ কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও পরিচালক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় নজরদারি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন জরিমানা ও আইনি খরচ মিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। শেয়ারহোল্ডাররা চেয়েছিলেন, এই ক্ষতির দায় যেন প্রতিষ্ঠান না নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ওই কর্মকর্তারাই বহন করেন।
আর এতেই রাজি হয়ে যান মার্ক জাকারবার্গ। মামলার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে হঠাৎ উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছে যায়। এর ফলে মামলার আর কোনো শুনানি হয়নি এবং জাকারবার্গসহ কাউকে আর আদালতে সাক্ষ্য দিতে হয়নি। এ ধরনের মামলা মার্কিন করপোরেট আইনে ‘কেয়ার মার্ক ক্লেইম’ নামে পরিচিত। বোর্ড সদস্যদের দায়িত্বহীনতা প্রমাণের সবচেয়ে কঠিন মামলা হিসেবে ধরা হয় এ ধরনের মামলাকে।
কেন এই মামলা
২০১৯ সালে ফেসবুককে মার্কিন সরকার ৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। কারণ, তারা ২০১২ সালে করা এক চুক্তি ভেঙে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল। এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি। যেখানে কোটি কোটি মানুষের তথ্য গোপনে ব্যবহার করা হয়েছিল রাজনৈতিক কাজে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে। এত কিছুর পর বিনিয়োগকারীরা বললেন, ‘এই বিপদ তো আসলেই তোমাদের কারণে হয়েছে। তাহলে ক্ষতিটাও নিজেরাই দাও।’
মামলা হঠাৎ থেমে গেল
মামলা শুরু হয়েছিল। সাক্ষ্য দিতে আসার কথা জাকারবার্গ, শেরিল স্যান্ডবার্গ, নেটফ্লিক্সের রিড হ্যাস্টিংস, পালান্টির পিটার থিয়েল, এমনকি ফেসবুক বোর্ডের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য মার্ক আন্দ্রেসেনেরও। কিন্তু ঠিক দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বিচারক শুনলেন, সব পক্ষ মিলে সমঝোতায় পৌঁছে গেছে। আর মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হলো। কে কত টাকা দেবে, কার কী শর্ত—সবকিছুই গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু একটাই কথা—জাকারবার্গরা আর সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন না, আর মামলাটিও শেষ।
ফেসবুকের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এই মামলার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কেমন করে নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। সমঝোতার মাধ্যমে মামলাটি শেষ হলেও বহু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে; বিশেষ করে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ডেটা ব্যবসা’ এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নিয়ে।
সূত্র: রয়টার্স
ফেসবুকের গোপনীয়তা লঙ্ঘনে ৮ বিলিয়ন ডলারের মামলার তোপে পড়েছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। অভিযোগটা ছিল গুরুতর, ফেসবুক নাকি বছরের পর বছর ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য গচ্ছিত রাখতে পারেনি। আর সেগুলো তৃতীয় পক্ষের হাতে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
মামলাটি করেছিলেন মেটার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাকারবার্গ, সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গসহ কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও পরিচালক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় নজরদারি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ফলে প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন জরিমানা ও আইনি খরচ মিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। শেয়ারহোল্ডাররা চেয়েছিলেন, এই ক্ষতির দায় যেন প্রতিষ্ঠান না নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ওই কর্মকর্তারাই বহন করেন।
আর এতেই রাজি হয়ে যান মার্ক জাকারবার্গ। মামলার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে হঠাৎ উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছে যায়। এর ফলে মামলার আর কোনো শুনানি হয়নি এবং জাকারবার্গসহ কাউকে আর আদালতে সাক্ষ্য দিতে হয়নি। এ ধরনের মামলা মার্কিন করপোরেট আইনে ‘কেয়ার মার্ক ক্লেইম’ নামে পরিচিত। বোর্ড সদস্যদের দায়িত্বহীনতা প্রমাণের সবচেয়ে কঠিন মামলা হিসেবে ধরা হয় এ ধরনের মামলাকে।
কেন এই মামলা
২০১৯ সালে ফেসবুককে মার্কিন সরকার ৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। কারণ, তারা ২০১২ সালে করা এক চুক্তি ভেঙে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল। এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি। যেখানে কোটি কোটি মানুষের তথ্য গোপনে ব্যবহার করা হয়েছিল রাজনৈতিক কাজে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে। এত কিছুর পর বিনিয়োগকারীরা বললেন, ‘এই বিপদ তো আসলেই তোমাদের কারণে হয়েছে। তাহলে ক্ষতিটাও নিজেরাই দাও।’
মামলা হঠাৎ থেমে গেল
মামলা শুরু হয়েছিল। সাক্ষ্য দিতে আসার কথা জাকারবার্গ, শেরিল স্যান্ডবার্গ, নেটফ্লিক্সের রিড হ্যাস্টিংস, পালান্টির পিটার থিয়েল, এমনকি ফেসবুক বোর্ডের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য মার্ক আন্দ্রেসেনেরও। কিন্তু ঠিক দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বিচারক শুনলেন, সব পক্ষ মিলে সমঝোতায় পৌঁছে গেছে। আর মামলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হলো। কে কত টাকা দেবে, কার কী শর্ত—সবকিছুই গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু একটাই কথা—জাকারবার্গরা আর সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন না, আর মামলাটিও শেষ।
ফেসবুকের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এই মামলার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কেমন করে নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। সমঝোতার মাধ্যমে মামলাটি শেষ হলেও বহু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে; বিশেষ করে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ডেটা ব্যবসা’ এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নিয়ে।
সূত্র: রয়টার্স
বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের অদ্ভুত ও অভিনব হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতি রোবট দেখা গেলেও, সম্প্রতি চীনের তৈরি এক রোবট বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। এটি নিজেই নিজের ব্যাটারি পাল্টাতে পারে—ফলে এটি সপ্তাহের সাত দিন, দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম।
২৭ মিনিট আগেবহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের
১ ঘণ্টা আগেদুর্বল পাসওয়ার্ডের কারণে পথে বসেছে যুক্তরাজ্যের ১৬০ বছরের একটি পুরোনো কোম্পানি। একদল হ্যাকার ব্রিটিশ পরিবহন কোম্পানি কেএনপি লজিস্টিকসের তথ্যভান্ডার হ্যাক করায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কোম্পানিটির ৭০০ কর্মীর চাকরি চলে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট বা প্রশ্ন পাচ্ছে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই প্রতিদিন ৩৩ কোটির মতো প্রম্পট পাঠানো হয়। সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে এসব তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
৩ ঘণ্টা আগে