Ajker Patrika

পক্ষাঘাতের রোগীর মস্তিষ্কে চিপ বসাতে যাচ্ছে মাস্কের নিউরালিংক

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪: ০০
পক্ষাঘাতের রোগীর মস্তিষ্কে চিপ বসাতে যাচ্ছে মাস্কের নিউরালিংক

পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের মস্তিষ্কে পরীক্ষামূলকভাবে চিপ বসানোর কাজে একধাপ এগিয়েছে ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ স্টার্টআপ নিউরালিংক। এই পরীক্ষার জন্য নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে স্বাধীন পর্যালোচনা বোর্ডের অনুমোদন মিলেছে বলে গত মঙ্গলবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলছে, সার্ভিকাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি বা অ্যামিয়োট্রফিক ল্যাটারাল স্কলেরোসিসের কারণে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই গবেষণার জন্য বাছাই করা হবে। তবে কতজনের উপর পরীক্ষা চালানো হবে তা স্পষ্ট নয়। এই পরীক্ষা শেষ করতে প্রায় ছয় বছর লাগবে। 

নিউরালিংক বলছে, মস্তিষ্কের যে অংশটি অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ নড়াচড়ার জন্য দায়ী সেখানে রোবট ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্রেইন–কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিএল) প্রতিস্থাপন করা বা বসানো হবে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের চিন্তাশক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের কার্সর বা কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণে সক্ষম করা গবেষণাটির প্রাথমিক লক্ষ্য। 

নিউরালিংকের বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মচারীদের মতে, কোম্পানিটি ১০ জন রোগীর মধ্যে যন্ত্রটি বসাতে অনুমোদন চেয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় পরে রোগীর সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত কতজনের উপর পরীক্ষার অনুমোদন মিলেছে তা অজানা।

নিউরালিংক নিয়ে মাস্কের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেক। কোম্পানিটির দাবি, অটিজম বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা, স্থূলতা, বিষণ্ণতা ও সিজোফ্রেনিয়ার মত রোগের চিকিৎসায় দ্রুত অস্ত্রোপচারে এই চিপগুলো সাহায্য করবে। 

গত মে মাসে নিউরালিংক জানিয়েছে, মানুষের মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপনের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এফডিএ অনুমোদন দিয়েছে। যদিও একই পরীক্ষা প্রাণীর ওপর করা নিয়ে কোম্পানিটি তদন্তের মুখে ছিল। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিসিআই ডিভাইস মানুষের ওপর ব্যবহারে নিরাপদ বলে এফডিএ স্বীকৃতি দিলেও এর বাণিজ্যিক ব্যবহারের ছাড়পত্র পেতে অন্তত এক দশক লাগবে। এর চেয়ে বেশি সময়ও লাগতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত