অনিন্দ্য মজুমদার অর্ণব
ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলার নামকরণ করেছিলেন যাঁর নামে, তিনি ছিলেন একজন খ্যাপা বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। পুরো নাম নিকোলা টেসলা। সেই খ্যাপা মানুষটি প্রায় সোয়া শ বছর আগে আপনার-আমার জীবন সহজ করার জন্য হোম সিস্টেমের ধারণা দিয়েছিলেন। ধরুন, আপনি বাড়িতে নেই, কিন্তু এসি চলছে; আপনি অফিসে বসে সেটা বন্ধ করলেন।
বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ঘরের লাইট জ্বলে উঠল; অথবা আপনার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে আগুন লাগল আর আপনি অন্য কোনো দেশে বসে সেই আগুন নিভিয়ে দিলেন! এগুলোই আসলে স্মার্ট হোম সিস্টেম। শুনতে সাই-ফাই সিনেমার মতো মনে হলেও এগুলো আপনাকে দেবে এমনই সব সুবিধা।আগুন দ্রুত শনাক্ত করে এবং নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে এখন।
স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর
ধোঁয়া শনাক্ত করার আধুনিক যন্ত্র এটি। এই যন্ত্রটি স্মার্ট হোম হাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা চিহ্নিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মোবাইল ফোনের অ্যাপ ও এসএমএসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক হতে পরামর্শ দেবে। এখনকার এ ধরনের যন্ত্র কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস শনাক্ত করতে পারে। ফলে অন্যান্য ধোঁয়ার সঙ্গে পার্থক্য বুঝতে সহজ হয়। কখনো আবার স্মার্ট হোমের সঙ্গে যুক্ত এই যন্ত্র ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করা শুরু করতে পারে। বাজারে নেস্ট প্রোটেক্ট, কিড্ডি, শাওমির হনিওয়েল জিগবিসহ আরও অনেক স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর পাওয়া যায়।
ফায়ার ডোর বা অটো ডোর
পেশাদার ফায়ার ফাইটার জোয়েল সেলিংগার লাইফ ডোর নামের এ পণ্য আবিষ্কার করেছিলেন। এটি ফায়ার অ্যালার্ম বাজলে দরজা বন্ধ করে দেয়। এর উন্নত সংস্করণ এখন একটি সাধারণ স্মোক ডিটেক্টরের শব্দেও সাড়া দেয়। এটি আগুন, পানি, তাপ ও শব্দ নিরোধক দরজা। ভবনে আগুন লাগলে একটি ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে আগুন ছড়ায় দরজা ও জানালা দিয়ে। ধোঁয়া দরজা দিয়ে এসে সিঁড়ি বন্ধ করে ফেলে। ফলে বেশির ভাগ লোক অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। যদি ফায়ার ডোর লাগানো থাকে, তবে ধোঁয়া সিঁড়ি ব্লক করতে পারবে না। এতে আটকা পড়া লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবে।
স্মার্ট ফায়ার ডিটেক্টর
ঘরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করলে বা তাপমাত্রা বাড়ার হার অস্বাভাবিক হলে এই স্মার্ট ফায়ার ডিটেক্টর সতর্কসংকেত বাজাতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, এই স্মার্ট যন্ত্র আগুন নেভানোর ব্যবস্থাগুলো সক্রিয় করতে পারে। ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন দুর্যোগের সময় মূল সংযোগ বন্ধ করে আপৎকালীন বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে পারে।
স্মার্ট স্টোভটপ
বাড়িতে আগুন লাগার একটা উৎস হলো রান্নাঘরের চুলা। স্মার্ট স্টোভটপের সঙ্গে যুক্ত মোশন সেন্সর সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখে চুলার সামনে কেউ আছে কি না। চুলার সামনে থেকে চলে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই যন্ত্র চুলা বন্ধ করতে শুরু করে। একই সঙ্গে বিপৎসংকেত পাঠায় নির্দিষ্ট যন্ত্রে।
স্মার্ট ব্যাটারি
আগে থেকে সক্রিয় স্মোক ডিটেক্টরগুলো যদি কেন্দ্রীয় স্মার্ট হাবের সঙ্গে যুক্ত না থাকে, তবে স্মার্ট ব্যাটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাটারির সঙ্গে বাড়তি কিছু সরঞ্জাম যুক্ত থাকে, যা ওয়াই-ফাই বা মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বার্তা বা নোটিফিকেশন পাঠাতে পারে।
কোথায় পাবেন
এসব স্মার্ট যন্ত্র ভবন নির্মাণে জড়িত আবাসন বা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান বা পরামর্শক প্রকৌশলী, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি বিক্রেতাদের কাছে যেমন পাবেন, তেমনি অনলাইনে আমাজন, দারাজসহ বেশ কিছু সাইট থেকেও কিনতে পারবেন।
সূত্র: ভার্জ, ট্রাভেলার
ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলার নামকরণ করেছিলেন যাঁর নামে, তিনি ছিলেন একজন খ্যাপা বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। পুরো নাম নিকোলা টেসলা। সেই খ্যাপা মানুষটি প্রায় সোয়া শ বছর আগে আপনার-আমার জীবন সহজ করার জন্য হোম সিস্টেমের ধারণা দিয়েছিলেন। ধরুন, আপনি বাড়িতে নেই, কিন্তু এসি চলছে; আপনি অফিসে বসে সেটা বন্ধ করলেন।
বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ঘরের লাইট জ্বলে উঠল; অথবা আপনার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে আগুন লাগল আর আপনি অন্য কোনো দেশে বসে সেই আগুন নিভিয়ে দিলেন! এগুলোই আসলে স্মার্ট হোম সিস্টেম। শুনতে সাই-ফাই সিনেমার মতো মনে হলেও এগুলো আপনাকে দেবে এমনই সব সুবিধা।আগুন দ্রুত শনাক্ত করে এবং নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে এখন।
স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর
ধোঁয়া শনাক্ত করার আধুনিক যন্ত্র এটি। এই যন্ত্রটি স্মার্ট হোম হাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা চিহ্নিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মোবাইল ফোনের অ্যাপ ও এসএমএসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক হতে পরামর্শ দেবে। এখনকার এ ধরনের যন্ত্র কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস শনাক্ত করতে পারে। ফলে অন্যান্য ধোঁয়ার সঙ্গে পার্থক্য বুঝতে সহজ হয়। কখনো আবার স্মার্ট হোমের সঙ্গে যুক্ত এই যন্ত্র ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করা শুরু করতে পারে। বাজারে নেস্ট প্রোটেক্ট, কিড্ডি, শাওমির হনিওয়েল জিগবিসহ আরও অনেক স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর পাওয়া যায়।
ফায়ার ডোর বা অটো ডোর
পেশাদার ফায়ার ফাইটার জোয়েল সেলিংগার লাইফ ডোর নামের এ পণ্য আবিষ্কার করেছিলেন। এটি ফায়ার অ্যালার্ম বাজলে দরজা বন্ধ করে দেয়। এর উন্নত সংস্করণ এখন একটি সাধারণ স্মোক ডিটেক্টরের শব্দেও সাড়া দেয়। এটি আগুন, পানি, তাপ ও শব্দ নিরোধক দরজা। ভবনে আগুন লাগলে একটি ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে আগুন ছড়ায় দরজা ও জানালা দিয়ে। ধোঁয়া দরজা দিয়ে এসে সিঁড়ি বন্ধ করে ফেলে। ফলে বেশির ভাগ লোক অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। যদি ফায়ার ডোর লাগানো থাকে, তবে ধোঁয়া সিঁড়ি ব্লক করতে পারবে না। এতে আটকা পড়া লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবে।
স্মার্ট ফায়ার ডিটেক্টর
ঘরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করলে বা তাপমাত্রা বাড়ার হার অস্বাভাবিক হলে এই স্মার্ট ফায়ার ডিটেক্টর সতর্কসংকেত বাজাতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, এই স্মার্ট যন্ত্র আগুন নেভানোর ব্যবস্থাগুলো সক্রিয় করতে পারে। ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন দুর্যোগের সময় মূল সংযোগ বন্ধ করে আপৎকালীন বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে পারে।
স্মার্ট স্টোভটপ
বাড়িতে আগুন লাগার একটা উৎস হলো রান্নাঘরের চুলা। স্মার্ট স্টোভটপের সঙ্গে যুক্ত মোশন সেন্সর সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখে চুলার সামনে কেউ আছে কি না। চুলার সামনে থেকে চলে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই যন্ত্র চুলা বন্ধ করতে শুরু করে। একই সঙ্গে বিপৎসংকেত পাঠায় নির্দিষ্ট যন্ত্রে।
স্মার্ট ব্যাটারি
আগে থেকে সক্রিয় স্মোক ডিটেক্টরগুলো যদি কেন্দ্রীয় স্মার্ট হাবের সঙ্গে যুক্ত না থাকে, তবে স্মার্ট ব্যাটারি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাটারির সঙ্গে বাড়তি কিছু সরঞ্জাম যুক্ত থাকে, যা ওয়াই-ফাই বা মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বার্তা বা নোটিফিকেশন পাঠাতে পারে।
কোথায় পাবেন
এসব স্মার্ট যন্ত্র ভবন নির্মাণে জড়িত আবাসন বা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান বা পরামর্শক প্রকৌশলী, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি বিক্রেতাদের কাছে যেমন পাবেন, তেমনি অনলাইনে আমাজন, দারাজসহ বেশ কিছু সাইট থেকেও কিনতে পারবেন।
সূত্র: ভার্জ, ট্রাভেলার
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অন্তভুক্ত করলে বিভিন্ন কাজ দ্রুত ও সহজভাবে করা যায়। তাই এআই নিয়ে অতী উৎসাহী ব্যবসায়ীরা। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বিশেষ করে নেতৃত্ব পর্যায়ে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণার অভাব থাকায় সংস্থাগুলোর মধ্যে...
২ ঘণ্টা আগেটেক জায়ান্ট গুগল তার ‘প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড ডিভাইস’ দলে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কর্মীদের জন্য একটি ‘ভলিউন্টারি এক্সিট’ প্রোগ্রাম চালু করছে। অর্থাৎ এই বিভাগে কর্মীরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারবে। পিক্সেল এবং অ্যান্ড্রয়েড প্রকল্পগুলো একত্রিত করে গত বছর এই ডিভিশন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি।
৩ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপে ১০০ সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ওপর নজরদারি করেছে ইসরায়েলি সংস্থা প্যারাগন সলিউশনস। মেটা-মালিকানাধীন এই ম্যাসেজিং অ্যাপের এক কর্মী জানিয়েছে, কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট ‘সম্ভবত আক্রান্ত’ হয়েছে স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে। তাদের ডিভাইসের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেযখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
২১ ঘণ্টা আগে