বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার গেমিং বাজারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী কোম্পানি ভালভ। গোপনীয়তা এবং কর্মীসংখ্যার তুলনায় এই বাজারে বৃহত্তর প্রভাবের জন্য এই কোম্পানি বিশেষভাবে পরিচিত। সম্প্রতি একটি চলমান মামলার মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ভালভের কর্মী প্রতি গড় আয় বা মাথাপিছু আয় আমাজন, মাইক্রোসফট এ নেটফ্লিক্সের মতো বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর চেয়েও অনেক বেশি।
কোম্পানির মাথাপিছু আয় সম্পর্কে একটি আনুমানিক হিসাব দিয়েছেন একজন ভালভ কর্মী। তিনি বলেন, আমাজন, মাইক্রোসফট এবং নেটফ্লিক্সের মতো কোম্পানির থেকেও ভালভের মাথাপিছু আয় বেশি।
এই তথ্য কিছু বছর পুরোনো হলেও ভালভের এই অবস্থান এখনো খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রতি ঘণ্টায় বা প্রতি কর্মীর নিট বা মোট আয় সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি ভালভ। ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভালভের কর্মী প্রতি গড় আয় ফেসবুক, অ্যাপল, নেটফ্লিক্স, গুগল, মাইক্রোসফট, ইন্টেল এবং আমাজনের থেকেও বেশি।
এই র্যাঙ্কিংয়ে ভালভের পরেই রয়েছে ফেসবুক। যেখানে কর্মী প্রতি বার্ষিক গড় আয় প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ ডলার (প্রতি ঘণ্টায় ৮৯ ডলার), যা অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ ফেসবুকের কর্মী সংখ্যা ৭০ হাজারেও কম। অপরদিকে মাইক্রোসফট এবং অ্যাপলের কর্মী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। অন্যদিকে, আমাজন, যার কর্মী সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। প্রতি কর্মী প্রতি গড় আয় মাত্র ১৫ হাজার ৮৯২ ডলার, বা প্রতি ঘণ্টায় ১ দশমিক ৮১ ডলার।
২০২১ সালের অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার নথি অনুযায়ী, ভালভ সে সময়ে মাত্র ৩৩৬ জন কর্মী নিয়োগ করেছিল, যা ‘বালদুরস গেট ৩’ ভিডিও গেমের এর ডেভেলপমেন্ট দলের থেকেও কম। উলফায়ার গেমস দাবি করেছে যে, এই ছোট কর্মীসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, ভালভ স্টিম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রায় ৪০ মিলিয়ন দৈনিক ব্যবহারকারী এবং পিসি গেম বিক্রির বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে।
স্টিমের ৩০ শতাংশ আয়ের কমিশন অযৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরেছে উলফায়ার গেমস। তাদের যুক্তি ছিল যে, এত কম কর্মী দিয়ে বড় পরিসরের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হলে স্টিমের ৩০ শতাংশ কমিশন খুব বেশি এবং এটি গেম ডেভেলপারদের জন্য অসঙ্গত।
স্টিমের এই ৩০ শতাংশ কমিশন হলো—স্টিম প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া গেমের আয় থেকে ভালভ যে পরিমাণ অর্থ নেয়। এটি ভিডিও শিল্পে একটি ব্যাপক বিতর্কের বিষয়। বিশেষ করে এত কমসংখ্যাক কর্মী নিয়ে প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে এত উচ্চ কমিশন আদায় করতে পারে—এমন প্রশ্ন তুলছেন অন্যান্য প্রতিযোগীরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে চালু হয় ভালভের স্টিম ডেক। স্টিম হল একটি ডিজিটাল গেম এবং সফটওয়্যার বিতরণ প্ল্যাটফর্ম, যা ভালভ কর্পোরেশনের মালিকানাধীন।
এখনকার পরিস্থিতিতে, ভালভ সম্ভবত এখনও প্রতি কর্মী আয় র্যাংকিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে সম্প্রতি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক ছাঁটাই এবং এআই বিপ্লবের কারণে এই অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া এনভিডিয়া এই র্যাংকিংয় সামনে দিকে এগিয়ে আসতে পারে। কারণ এআই প্রযুক্তির বিস্ফোরণ তাদের আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং সম্প্রতি কোম্পানিটি ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হয়েছে।
তথ্যসূত্র: টেকস্পট
বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার গেমিং বাজারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী কোম্পানি ভালভ। গোপনীয়তা এবং কর্মীসংখ্যার তুলনায় এই বাজারে বৃহত্তর প্রভাবের জন্য এই কোম্পানি বিশেষভাবে পরিচিত। সম্প্রতি একটি চলমান মামলার মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ভালভের কর্মী প্রতি গড় আয় বা মাথাপিছু আয় আমাজন, মাইক্রোসফট এ নেটফ্লিক্সের মতো বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর চেয়েও অনেক বেশি।
কোম্পানির মাথাপিছু আয় সম্পর্কে একটি আনুমানিক হিসাব দিয়েছেন একজন ভালভ কর্মী। তিনি বলেন, আমাজন, মাইক্রোসফট এবং নেটফ্লিক্সের মতো কোম্পানির থেকেও ভালভের মাথাপিছু আয় বেশি।
এই তথ্য কিছু বছর পুরোনো হলেও ভালভের এই অবস্থান এখনো খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রতি ঘণ্টায় বা প্রতি কর্মীর নিট বা মোট আয় সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি ভালভ। ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভালভের কর্মী প্রতি গড় আয় ফেসবুক, অ্যাপল, নেটফ্লিক্স, গুগল, মাইক্রোসফট, ইন্টেল এবং আমাজনের থেকেও বেশি।
এই র্যাঙ্কিংয়ে ভালভের পরেই রয়েছে ফেসবুক। যেখানে কর্মী প্রতি বার্ষিক গড় আয় প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ ডলার (প্রতি ঘণ্টায় ৮৯ ডলার), যা অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ ফেসবুকের কর্মী সংখ্যা ৭০ হাজারেও কম। অপরদিকে মাইক্রোসফট এবং অ্যাপলের কর্মী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। অন্যদিকে, আমাজন, যার কর্মী সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি। প্রতি কর্মী প্রতি গড় আয় মাত্র ১৫ হাজার ৮৯২ ডলার, বা প্রতি ঘণ্টায় ১ দশমিক ৮১ ডলার।
২০২১ সালের অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার নথি অনুযায়ী, ভালভ সে সময়ে মাত্র ৩৩৬ জন কর্মী নিয়োগ করেছিল, যা ‘বালদুরস গেট ৩’ ভিডিও গেমের এর ডেভেলপমেন্ট দলের থেকেও কম। উলফায়ার গেমস দাবি করেছে যে, এই ছোট কর্মীসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, ভালভ স্টিম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রায় ৪০ মিলিয়ন দৈনিক ব্যবহারকারী এবং পিসি গেম বিক্রির বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে।
স্টিমের ৩০ শতাংশ আয়ের কমিশন অযৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরেছে উলফায়ার গেমস। তাদের যুক্তি ছিল যে, এত কম কর্মী দিয়ে বড় পরিসরের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হলে স্টিমের ৩০ শতাংশ কমিশন খুব বেশি এবং এটি গেম ডেভেলপারদের জন্য অসঙ্গত।
স্টিমের এই ৩০ শতাংশ কমিশন হলো—স্টিম প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া গেমের আয় থেকে ভালভ যে পরিমাণ অর্থ নেয়। এটি ভিডিও শিল্পে একটি ব্যাপক বিতর্কের বিষয়। বিশেষ করে এত কমসংখ্যাক কর্মী নিয়ে প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে এত উচ্চ কমিশন আদায় করতে পারে—এমন প্রশ্ন তুলছেন অন্যান্য প্রতিযোগীরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে চালু হয় ভালভের স্টিম ডেক। স্টিম হল একটি ডিজিটাল গেম এবং সফটওয়্যার বিতরণ প্ল্যাটফর্ম, যা ভালভ কর্পোরেশনের মালিকানাধীন।
এখনকার পরিস্থিতিতে, ভালভ সম্ভবত এখনও প্রতি কর্মী আয় র্যাংকিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে সম্প্রতি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক ছাঁটাই এবং এআই বিপ্লবের কারণে এই অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া এনভিডিয়া এই র্যাংকিংয় সামনে দিকে এগিয়ে আসতে পারে। কারণ এআই প্রযুক্তির বিস্ফোরণ তাদের আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং সম্প্রতি কোম্পানিটি ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হয়েছে।
তথ্যসূত্র: টেকস্পট
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগে