মো. আশিকুর রহমান
দেশের কনজ্যুমার টেকনোলজি-বিষয়ক কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে আশিকুর রহমান তুষার পরিচিত এক নাম। ২০১৩ সাল থেকে বাংলায় প্রযুক্তি রিভিউ কনটেন্ট নির্মাণ করে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘এটিসি অ্যান্ড্রয়েড টোটো কোম্পানি’ নামের একটি ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম। এখানে তিনি সহজ ভাষায় তুলে ধরছেন মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ। বর্তমানে চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি, ভিডিও ১ হাজার ৩২৪ এবং ভিউ ৩৬ কোটি ২৮ লাখের বেশি। তিনি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ঘিরে কাজ করছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
অ্যান্ড্রয়েড টোটো কোম্পানির যাত্রা থেকে আজকের এই সফলতার পেছনে বড় চালিকাশক্তি কী ছিল?
আমাদের যাত্রা শুরু ২০১২-১৩ সালের দিকে। এই সময়ে বিষয়টা একান্তই ভালোবাসা ও আগ্রহ থেকে হয়েছিল। প্রযুক্তির প্রতি প্রবল টানে সেই আগ্রহকে পেশা বানানোর চেষ্টা ছিল এটিসির। প্রথমে জানতে পারতাম না, ভবিষ্যতে কী হবে। শুধু জানতাম, এটি ভালো লাগে। ২০১৬-১৭ সালের দিকে এসে অনুভব করলাম, বাংলাদেশে এই প্রথম এমন কিছু করছি, যেখানে ফিউশনের মাধ্যমে টেক কনটেন্টকে মজাদার করে তোলা হচ্ছে। তখন মনে হলো, এটাকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, তখন পর্যন্ত বাংলাদেশে টেক কনটেন্টের দর্শক তৈরি হয়নি। প্রযুক্তির বিষয়গুলো যেন কোনোভাবে একঘেয়ে না লাগে, তাই বিনোদনের মাধ্যমে সহজভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা চ্যালেঞ্জ এসেছে। কিন্তু আমরা সব সময় দর্শকদের পছন্দ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েছি।
এখনকার দর্শকেরা কোন ধরনের কনটেন্টে বেশি সাড়া দিয়ে থাকেন?
এখন দর্শকদের মানসিকতা, রুচি, চাহিদা—সবকিছুতে বড় পরিবর্তন এসেছে। আমরাও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছি। তবে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলাদেশের অনেক টেক কনটেন্ট নির্মাতা এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তুলনায় উন্নত। বর্তমানে দর্শকেরা শুধু বাংলা ভাষায় কনটেন্ট চান না, তাঁরা চান বাংলা ভাষায় আন্তর্জাতিক মানের কনটেন্ট। প্রযুক্তির বিষয়গুলোয় দর্শকেরা গ্লোবাল ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাৎক্ষণিক আপডেট চান। যে মুহূর্তে বিশ্বে নতুন কিছু আসে, তখনই আমাদের দর্শকেরা তা জানতে চান। এই চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করছি।
বর্তমানে স্পনসরশিপ ও ইউটিউব আয় মিলিয়ে বাংলাদেশে টেক ইউটিউবারদের জন্য একটি টেকসই ক্যারিয়ার গড়ে তোলা কতটা সম্ভব?
আমি বিশ্বাস করি, এখন বাংলাদেশে টেক ইউটিউবার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া অনেকটা সম্ভব। ক্ষেত্রটি শুধু ভাইরাল কনটেন্টের ওপর নির্ভর করে না; যাঁরা ধীরে ধীরে কাজ করেন, তাঁদের উন্নতি হয় শক্ত ভিত্তির ওপর। নিয়মিত ও মানসম্মত কনটেন্ট আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। মনে রাখতে হবে, নৈতিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কী ধরনের কনটেন্ট দিচ্ছেন এবং সেটা দর্শকদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, সেই বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। এটি একজন কনটেন্ট নির্মাতার ভবিষ্যৎ ঠিক করে।
নতুন যেই তরুণেরা স্বপ্ন দেখছেন টেক রিভিউয়ার হওয়ার, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
আপনি যে বিষয়ের কনটেন্ট বানাতে চান, সেটি আগে জানা থাকতে হবে। সে বিষয়কে ভালোবাসতে হবে, আগ্রহ রাখতে হবে, শিখতে হবে এবং সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা লাভ করতে হবে। একজন কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদম, নিয়মকানুন ও দর্শকদের রুচি সম্পর্কে জানতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, সঠিক পথে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। যাঁরা মানুষের সত্যিকার উপকার করতে চান, তাঁদের সফলতা অবশ্যই আসবে।
ভবিষ্যতে ‘অ্যান্ড্রয়েড টোটো কোম্পানি’কে কোথায় দেখতে চান? সামনে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
এটিসি সব সময় মূলধারার বাইরে থেকে নিজের মতো কাজ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হলো, দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা এবং এমন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা, যেন সেগুলো মানুষের বিভিন্ন উপকারে আসতে পারে।
দেশের কনজ্যুমার টেকনোলজি-বিষয়ক কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে আশিকুর রহমান তুষার পরিচিত এক নাম। ২০১৩ সাল থেকে বাংলায় প্রযুক্তি রিভিউ কনটেন্ট নির্মাণ করে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘এটিসি অ্যান্ড্রয়েড টোটো কোম্পানি’ নামের একটি ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম। এখানে তিনি সহজ ভাষায় তুলে ধরছেন মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ। বর্তমানে চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি, ভিডিও ১ হাজার ৩২৪ এবং ভিউ ৩৬ কোটি ২৮ লাখের বেশি। তিনি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ঘিরে কাজ করছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
অ্যান্ড্রয়েড টোটো কোম্পানির যাত্রা থেকে আজকের এই সফলতার পেছনে বড় চালিকাশক্তি কী ছিল?
আমাদের যাত্রা শুরু ২০১২-১৩ সালের দিকে। এই সময়ে বিষয়টা একান্তই ভালোবাসা ও আগ্রহ থেকে হয়েছিল। প্রযুক্তির প্রতি প্রবল টানে সেই আগ্রহকে পেশা বানানোর চেষ্টা ছিল এটিসির। প্রথমে জানতে পারতাম না, ভবিষ্যতে কী হবে। শুধু জানতাম, এটি ভালো লাগে। ২০১৬-১৭ সালের দিকে এসে অনুভব করলাম, বাংলাদেশে এই প্রথম এমন কিছু করছি, যেখানে ফিউশনের মাধ্যমে টেক কনটেন্টকে মজাদার করে তোলা হচ্ছে। তখন মনে হলো, এটাকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, তখন পর্যন্ত বাংলাদেশে টেক কনটেন্টের দর্শক তৈরি হয়নি। প্রযুক্তির বিষয়গুলো যেন কোনোভাবে একঘেয়ে না লাগে, তাই বিনোদনের মাধ্যমে সহজভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা চ্যালেঞ্জ এসেছে। কিন্তু আমরা সব সময় দর্শকদের পছন্দ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েছি।
এখনকার দর্শকেরা কোন ধরনের কনটেন্টে বেশি সাড়া দিয়ে থাকেন?
এখন দর্শকদের মানসিকতা, রুচি, চাহিদা—সবকিছুতে বড় পরিবর্তন এসেছে। আমরাও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছি। তবে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলাদেশের অনেক টেক কনটেন্ট নির্মাতা এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তুলনায় উন্নত। বর্তমানে দর্শকেরা শুধু বাংলা ভাষায় কনটেন্ট চান না, তাঁরা চান বাংলা ভাষায় আন্তর্জাতিক মানের কনটেন্ট। প্রযুক্তির বিষয়গুলোয় দর্শকেরা গ্লোবাল ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাৎক্ষণিক আপডেট চান। যে মুহূর্তে বিশ্বে নতুন কিছু আসে, তখনই আমাদের দর্শকেরা তা জানতে চান। এই চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করছি।
বর্তমানে স্পনসরশিপ ও ইউটিউব আয় মিলিয়ে বাংলাদেশে টেক ইউটিউবারদের জন্য একটি টেকসই ক্যারিয়ার গড়ে তোলা কতটা সম্ভব?
আমি বিশ্বাস করি, এখন বাংলাদেশে টেক ইউটিউবার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া অনেকটা সম্ভব। ক্ষেত্রটি শুধু ভাইরাল কনটেন্টের ওপর নির্ভর করে না; যাঁরা ধীরে ধীরে কাজ করেন, তাঁদের উন্নতি হয় শক্ত ভিত্তির ওপর। নিয়মিত ও মানসম্মত কনটেন্ট আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। মনে রাখতে হবে, নৈতিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কী ধরনের কনটেন্ট দিচ্ছেন এবং সেটা দর্শকদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে, সেই বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। এটি একজন কনটেন্ট নির্মাতার ভবিষ্যৎ ঠিক করে।
নতুন যেই তরুণেরা স্বপ্ন দেখছেন টেক রিভিউয়ার হওয়ার, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
আপনি যে বিষয়ের কনটেন্ট বানাতে চান, সেটি আগে জানা থাকতে হবে। সে বিষয়কে ভালোবাসতে হবে, আগ্রহ রাখতে হবে, শিখতে হবে এবং সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা লাভ করতে হবে। একজন কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদম, নিয়মকানুন ও দর্শকদের রুচি সম্পর্কে জানতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, সঠিক পথে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। যাঁরা মানুষের সত্যিকার উপকার করতে চান, তাঁদের সফলতা অবশ্যই আসবে।
ভবিষ্যতে ‘অ্যান্ড্রয়েড টোটো কোম্পানি’কে কোথায় দেখতে চান? সামনে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
এটিসি সব সময় মূলধারার বাইরে থেকে নিজের মতো কাজ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হলো, দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা এবং এমন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা, যেন সেগুলো মানুষের বিভিন্ন উপকারে আসতে পারে।
বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের অদ্ভুত ও অভিনব হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতি রোবট দেখা গেলেও, সম্প্রতি চীনের তৈরি এক রোবট বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। এটি নিজেই নিজের ব্যাটারি পাল্টাতে পারে—ফলে এটি সপ্তাহের সাত দিন, দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম।
১ ঘণ্টা আগেবহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের
১ ঘণ্টা আগেদুর্বল পাসওয়ার্ডের কারণে পথে বসেছে যুক্তরাজ্যের ১৬০ বছরের একটি পুরোনো কোম্পানি। একদল হ্যাকার ব্রিটিশ পরিবহন কোম্পানি কেএনপি লজিস্টিকসের তথ্যভান্ডার হ্যাক করায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কোম্পানিটির ৭০০ কর্মীর চাকরি চলে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি দিনে গড়ে ২৫০ কোটির বেশি প্রম্পট বা প্রশ্ন পাচ্ছে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই প্রতিদিন ৩৩ কোটির মতো প্রম্পট পাঠানো হয়। সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে এসব তথ্য জানিয়েছে ওপেনএআই।
৪ ঘণ্টা আগে