অনলাইন ডেস্ক
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন বিষয়ে মুখোমুখি হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আজ বুধবার এই বৈঠকে মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
রাশিয়া খসড়া প্রস্তাবটি বাতিলের জন্য ভোট দিবে বলে অনেক কূটনীতিক আশা করছে। মহাকাশে স্থাপনের জন্য রাশিয়া একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে এমন তথ্য জানার পর যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ও জাপানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ইয়ামাজাকি কাজুউকি বলেন, তাঁরা ছয় সপ্তাহ ধরে খসড়াটি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
খসড়াটিতে মহাকাশ চুক্তি মেনে চলার জন্য রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করে এবং দেশগুলোকে ‘মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ও মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে’ আহ্বান জানায়।
১৯৬৭ সালের আউটার স্পেস ট্রিটি বা মহাকাশ চুক্তি রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ স্বাক্ষরকারীদের ‘পৃথিবীর কক্ষপথে পারমাণবিক অস্ত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী বস্তুকে’ স্থাপনে বাধা দেয়।
জাতিসংঘের প্রথম বৈঠকের ভোটে একটি সংশোধনী আনার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া ও চীন। সংশোধনীটি এই জুটির ২০০৮ সালের একটি প্রস্তাবের প্রতিধ্বনি করে। এই প্রস্তাবনায় ‘মহাকাশে যেকোনো অস্ত্র’ ও হুমকি বা ‘মহাকাশে বস্তুর বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ’ নিষিদ্ধ করার চুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কূটনীতিকেরা বলেছেন, সংশোধনী গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। সংশোধনী ও খসড়া প্রস্তাবনার প্রতিটির পক্ষে কমপক্ষে নয়টি ভোট প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা ফ্রান্সের কোনো ভেটো গৃহীত হবে না।
রাশিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী আমাদের সংশোধন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খসড়াটি ভারসাম্যহীন, ক্ষতিকারক ও রাজনৈতিক হবে। এটি মহাকাশ চুক্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পলিয়ানস্কি আরও বলেন, ‘মহাকাশ সম্পর্কিত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই চুক্তির আওতায় রাষ্ট্রগুলোর মতামত নেওয়া উচিত ও শুধু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোট নিয়ে নয়।’
রাশিয়া মহাকাশভিত্তিক পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এসব বোমা বিস্ফোরণে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ ছড়িয়ে গেলে মহাকাশে অবস্থিত স্যাটেলাইটগুলোর নেটওয়ার্ককে নিষ্ক্রিয় করবে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা, তাদের অনুসন্ধানের সঙ্গে পরিচিত তিনজনের মতে, রাশিয়ান ক্ষমতাকে একটি মহাকাশভিত্তিক পারমাণবিক বোমা বলে বিশ্বাস করে যার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ যদি বিস্ফোরিত হয় তবে স্যাটেলাইটের বিশাল নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করবে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়া এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো অস্ত্র স্থাপন করেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিরুদ্ধে ছিল।
ইউক্রেনের যুদ্ধে মহাকাশ-ভিত্তিক যোগাযোগ ও উপগ্রহ-সংযুক্ত ড্রোনসহ আধুনিক যুদ্ধে মহাকাশের অস্ত্র ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরেছে। দেশগুলো পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসবে দেখেছে যা পৃথিবীতে সামরিক শক্তি প্রকাশ করে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন বিষয়ে মুখোমুখি হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আজ বুধবার এই বৈঠকে মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
রাশিয়া খসড়া প্রস্তাবটি বাতিলের জন্য ভোট দিবে বলে অনেক কূটনীতিক আশা করছে। মহাকাশে স্থাপনের জন্য রাশিয়া একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে এমন তথ্য জানার পর যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ও জাপানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ইয়ামাজাকি কাজুউকি বলেন, তাঁরা ছয় সপ্তাহ ধরে খসড়াটি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
খসড়াটিতে মহাকাশ চুক্তি মেনে চলার জন্য রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করে এবং দেশগুলোকে ‘মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ও মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে’ আহ্বান জানায়।
১৯৬৭ সালের আউটার স্পেস ট্রিটি বা মহাকাশ চুক্তি রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ স্বাক্ষরকারীদের ‘পৃথিবীর কক্ষপথে পারমাণবিক অস্ত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী বস্তুকে’ স্থাপনে বাধা দেয়।
জাতিসংঘের প্রথম বৈঠকের ভোটে একটি সংশোধনী আনার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া ও চীন। সংশোধনীটি এই জুটির ২০০৮ সালের একটি প্রস্তাবের প্রতিধ্বনি করে। এই প্রস্তাবনায় ‘মহাকাশে যেকোনো অস্ত্র’ ও হুমকি বা ‘মহাকাশে বস্তুর বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ’ নিষিদ্ধ করার চুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কূটনীতিকেরা বলেছেন, সংশোধনী গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। সংশোধনী ও খসড়া প্রস্তাবনার প্রতিটির পক্ষে কমপক্ষে নয়টি ভোট প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা ফ্রান্সের কোনো ভেটো গৃহীত হবে না।
রাশিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী আমাদের সংশোধন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খসড়াটি ভারসাম্যহীন, ক্ষতিকারক ও রাজনৈতিক হবে। এটি মহাকাশ চুক্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পলিয়ানস্কি আরও বলেন, ‘মহাকাশ সম্পর্কিত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই চুক্তির আওতায় রাষ্ট্রগুলোর মতামত নেওয়া উচিত ও শুধু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোট নিয়ে নয়।’
রাশিয়া মহাকাশভিত্তিক পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এসব বোমা বিস্ফোরণে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ ছড়িয়ে গেলে মহাকাশে অবস্থিত স্যাটেলাইটগুলোর নেটওয়ার্ককে নিষ্ক্রিয় করবে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা, তাদের অনুসন্ধানের সঙ্গে পরিচিত তিনজনের মতে, রাশিয়ান ক্ষমতাকে একটি মহাকাশভিত্তিক পারমাণবিক বোমা বলে বিশ্বাস করে যার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ যদি বিস্ফোরিত হয় তবে স্যাটেলাইটের বিশাল নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করবে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়া এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো অস্ত্র স্থাপন করেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিরুদ্ধে ছিল।
ইউক্রেনের যুদ্ধে মহাকাশ-ভিত্তিক যোগাযোগ ও উপগ্রহ-সংযুক্ত ড্রোনসহ আধুনিক যুদ্ধে মহাকাশের অস্ত্র ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরেছে। দেশগুলো পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসবে দেখেছে যা পৃথিবীতে সামরিক শক্তি প্রকাশ করে।
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৯ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
২১ ঘণ্টা আগে