Ajker Patrika

জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি

মহাপরিচালক ছাড়া নেই আর কোনো কর্মকর্তা

  • প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়
  • আর কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়নি
  • অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও আসবাব
জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। কিন্তু গত দুই বছরেও সেখানে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর এখন পর্যন্ত আর কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়নি। ফলে পুরো একাডেমি যেন ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও ভবন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মেলান্দহ উপজেলার মহিরামকুলে নির্মাণ করা হয়েছে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। যার আগের নাম ছিল শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। এখানে আছে ১০ তলা প্রশাসনিক ভবন, ৬ তলাবিশিষ্ট তিনটি হোস্টেল, ৪ তলা ডরমিটরি, স্কুল ও মসজিদ। সব নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২৩ সালে। এর পর থেকে পড়ে আছে একাডেমিটি। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও আসবাব। পুরো প্রতিষ্ঠানে জনবল হিসেবে মহাপরিচালক ছাড়াও বর্তমানে আছেন আটজন নিরাপত্তাকর্মী।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলার সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরির উদ্দেশে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করা হয়েছে। কিন্তু সরকার একজন মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে দায় সেরেছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। তাঁদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত লোকবল নিয়োগ দিয়ে এখানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করে।

স্থানীয় কলেজছাত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘৫০ একর জমিতে শতকোটি টাকার ওপর ব্যয়ে প্রকল্পটা শুরু হলেও এখন দৃশ্যমান কোনো কাজ এখানে হচ্ছে বলে আমরা দেখছি না। এখানে কর্মকর্তা বলতে শুধু একজন মহাপরিচালক আছেন। এ ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ হয় নাই। এমনকি এটা শহর থেকে অনেক দূরে। আমরা এলাকার স্থানীয়রা এ বিষয়ে ভালো করে জানিও না। এমন একটা প্রশিক্ষণকেন্দ্র দ্রুত চালুর দাবি করছি।’

এ নিয়ে কথা হলে সামাজিক আন্দোলন জামালপুরের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, জামালপুরের সার্বিক উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যসহ নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্দেশে ২০২২ সালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্থাপন করা হয়। এখন এটি চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। অবহেলায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। তিনিও কেন্দ্রটি চালু করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

যোগাযোগ করা হলে একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে আমরা সম্পূর্ণরূপে একাডেমিটি চালু করতে সক্ষম হয়নি। আশা করছি, আগামী মাসে (চলতি আগস্ট) জনবল-সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ৬০ জনের মতো জনবল নিয়োগ করা হবে। নিয়োগটি হলে এই অঞ্চলের যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য একাডেমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার সুফল জনগণ ভোগ করবে।’

মহাপরিচালক জানান, একাডেমি মূলত কাজ করবে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে। এই অঞ্চলের যেসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে, সেগুলো পরে প্রকল্প আকারে বাস্তবায়িত হবে। এতে এই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত