অনলাইন ডেস্ক
আর্দ্র আবহাওয়াতেও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—এমন একধরনের ভাঁজযোগ্য সৌরকোষ তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি খুব কম খরচেই তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। তাই এই উদ্ভাবন সৌরপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছেন কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্সের (কেআইএমএস) গবেষক ড. দোং-চান লিম ও ড. সো-য়ন কিমের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল। তাঁদের গবেষণা ‘কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় ব্যবহৃত মূল উপাদানটি হলো পেরোভস্কাইট নামের একটি বিশেষ উপাদান। এটি সিলিকনের তুলনায় অনেক হালকা, সাশ্রয়ী এবং সূর্যের আলো শোষণে অত্যন্ত কার্যকর। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—এই উপাদান দিয়ে ভাঁজযোগ্য নমনীয় ফিল্ম তৈরি করা যায়। এই ফিল্ম সহজে বহনযোগ্য প্যানেল বা পরিধানযোগ্য গ্যাজেট তৈরির উপযোগী।
তবে এত দিন পর্যন্ত একটি বড় সমস্যা ছিল—পেরোভস্কাইট আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলেই ভেঙে পড়ে। এই কারণে সৌরকোষ তৈরির সময় বিশেষ শুকনো পরিবেশের প্রয়োজন হতো, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেয় এবং বড় পরিসরে প্রযুক্তিটি বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এই সমস্যার সমাধানে গবেষক দল একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করে। তাঁরা সৌরকোষের আলো শোষণকারী স্তরের ওপরে ও নিচে বিশেষ ধরনের দ্বি-মাত্রিক (২ ডি) পেরোভস্কাইট বসিয়ে দেন। এটি আর্দ্রতা দূর করতে এবং কোষটিকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই নতুন পদ্ধতিতে তৈরি নমনীয় পেরোভস্কাইট সৌরকোষগুলো ৫০ শতাংশ আর্দ্রতায় কার্যকরভাবে কাজ করেছে। ২ হাজার ৮০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চালানোর পরও সেগুলো ৮৫ শতাংশের বেশি শক্তি ধরে রেখেছে।
এ ছাড়া কোষগুলো কঠোর যান্ত্রিক পরীক্ষাও পাস করেছে। ১০ হাজারবার বাঁকানোর পরও এর ৯৬ শতাংশ কার্যকারিতা অটুট ছিল। এমনকি পাশ থেকে টানা ও চাপ দেওয়ার মতো চরম পরীক্ষায়ও এটি ৮৭ শতাংশ কার্যকর ছিল। এটি প্রমাণ করে, নতুন এই নকশা কেবল আর্দ্রতা প্রতিরোধী নয়, বরং যথেষ্ট মজবুত ও নমনীয়ও।
সবচেয়ে আশার বিষয় হলো, গবেষক দল প্রযুক্তিটিকে বড় পরিসরে উৎপাদনের উপযোগী করে তুলেছে। অর্থাৎ, এটি কেবল গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তব জীবনে ব্যবহার করা সম্ভব।
ড. লিম জানান, ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ছাড়াই উচ্চ কার্যকারিতা সম্পন্ন এই সৌরকোষ তৈরি করা গেলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। এটি সৌরশক্তিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
গবেষণা দল এখন প্রযুক্তিটির আরও উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পরিবেশে এর কার্যকারিতা পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি বড় পরিসরে উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি মানুষ সাশ্রয়ী ও টেকসই সৌরশক্তির সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর্দ্র আবহাওয়াতেও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—এমন একধরনের ভাঁজযোগ্য সৌরকোষ তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি খুব কম খরচেই তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। তাই এই উদ্ভাবন সৌরপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছেন কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্সের (কেআইএমএস) গবেষক ড. দোং-চান লিম ও ড. সো-য়ন কিমের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল। তাঁদের গবেষণা ‘কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় ব্যবহৃত মূল উপাদানটি হলো পেরোভস্কাইট নামের একটি বিশেষ উপাদান। এটি সিলিকনের তুলনায় অনেক হালকা, সাশ্রয়ী এবং সূর্যের আলো শোষণে অত্যন্ত কার্যকর। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—এই উপাদান দিয়ে ভাঁজযোগ্য নমনীয় ফিল্ম তৈরি করা যায়। এই ফিল্ম সহজে বহনযোগ্য প্যানেল বা পরিধানযোগ্য গ্যাজেট তৈরির উপযোগী।
তবে এত দিন পর্যন্ত একটি বড় সমস্যা ছিল—পেরোভস্কাইট আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলেই ভেঙে পড়ে। এই কারণে সৌরকোষ তৈরির সময় বিশেষ শুকনো পরিবেশের প্রয়োজন হতো, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দেয় এবং বড় পরিসরে প্রযুক্তিটি বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এই সমস্যার সমাধানে গবেষক দল একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করে। তাঁরা সৌরকোষের আলো শোষণকারী স্তরের ওপরে ও নিচে বিশেষ ধরনের দ্বি-মাত্রিক (২ ডি) পেরোভস্কাইট বসিয়ে দেন। এটি আর্দ্রতা দূর করতে এবং কোষটিকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই নতুন পদ্ধতিতে তৈরি নমনীয় পেরোভস্কাইট সৌরকোষগুলো ৫০ শতাংশ আর্দ্রতায় কার্যকরভাবে কাজ করেছে। ২ হাজার ৮০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চালানোর পরও সেগুলো ৮৫ শতাংশের বেশি শক্তি ধরে রেখেছে।
এ ছাড়া কোষগুলো কঠোর যান্ত্রিক পরীক্ষাও পাস করেছে। ১০ হাজারবার বাঁকানোর পরও এর ৯৬ শতাংশ কার্যকারিতা অটুট ছিল। এমনকি পাশ থেকে টানা ও চাপ দেওয়ার মতো চরম পরীক্ষায়ও এটি ৮৭ শতাংশ কার্যকর ছিল। এটি প্রমাণ করে, নতুন এই নকশা কেবল আর্দ্রতা প্রতিরোধী নয়, বরং যথেষ্ট মজবুত ও নমনীয়ও।
সবচেয়ে আশার বিষয় হলো, গবেষক দল প্রযুক্তিটিকে বড় পরিসরে উৎপাদনের উপযোগী করে তুলেছে। অর্থাৎ, এটি কেবল গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তব জীবনে ব্যবহার করা সম্ভব।
ড. লিম জানান, ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ছাড়াই উচ্চ কার্যকারিতা সম্পন্ন এই সৌরকোষ তৈরি করা গেলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। এটি সৌরশক্তিকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
গবেষণা দল এখন প্রযুক্তিটির আরও উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পরিবেশে এর কার্যকারিতা পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি বড় পরিসরে উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি মানুষ সাশ্রয়ী ও টেকসই সৌরশক্তির সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইন্টারনেটে যে কেউ হঠাৎ ভাইরাল হতে পারে। অনেক সময় তার পেছনে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যাও থাকে না। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে জাপানের এক নারী সাওরি আরাকিকে ঘিরে।
৪ ঘণ্টা আগেমিস্টার বিস্ট নামে পরিচিত ইউটিবের সুপারস্টার জিমি ডোনাল্ডসন নতুন ইতিহাস গড়লেন। তাঁর প্রধান চ্যানেল ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি সাবস্ক্রাইবার পার করায় বিশ্বের প্রথম একক ক্রিয়েটরের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। এই উপলক্ষে ইউটিউব তাঁকে একটি বিশেষ ধরনের প্লে বাটন ট্রফি প্রদান করে, যা এই অবিস্মরণীয় কৃতিত্বের স্মারক।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি খাতে আবারও নজির গড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। গত বৃহস্পতিবার সংক্ষেপে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারমূল্যে পৌঁছায় কোম্পানিটি এর আগে কেবল এনভিডিয়া এ মাইলফলকে পৌঁছেছিল।
৮ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে লাইভ ভিডিও করতে এখন থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অ্যাকাউন্টটি অবশ্যই পাবলিক হতে হবে। প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে