সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘টেনেটুনে’ প্রথম রাউন্ড পেরোলেও সুপার টুয়েলভে কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার পর ফেবারিট ইংল্যান্ডের কাছেও নাস্তানাবুদ হয়ে বাস্তবতা টের পাচ্ছেন রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মোস্তাফিজুর রহমানরা আঁচ করতে পারছেন মিরপুরে ক্ষীণ শক্তির দলের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর মরুর বুকে পূর্ণ শক্তির দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্ব আসরে লড়াই করা এক জিনিস নয়।
লাগাতার ব্যর্থতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলেও রেগে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। খারাপ খেললে সমালোচনা হবে—এটাই স্বাভাবিক। সেটার জবাব দেওয়ার মোক্ষম উপায় যখন ব্যাট-বলই হওয়ার কথা, তখন তাঁরা দিচ্ছেন মুখে। যদিও নাসুম আহমেদ পরশু বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, হচ্ছে না।’
চেষ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে এখন বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও চেষ্টার ফল না মিললে আগেভাগেই ফিরতি টিকিট কেটে ফেলতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—কিছুই আসলে ঠিক হচ্ছে না বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেকে বড় দলগুলোর ওপেনাররা যখন সাফল্যের পথে প্রথম সোপান হিসেবে দেখছেন, তখন বাংলাদেশের টপ অর্ডার সেটিকে বানিয়ে ফেলছেন সংগ্রামের এবড়োখেবড়ো পথ। টুর্নামেন্টে খেলা ৫ ম্যাচে পাওয়ার প্লের ৩০ ওভারে বাংলাদেশ করেছে মাত্র ১৬৭ রান, খুঁইয়েছে ৯ উইকেট। রানরেট ৬-এরও কম!
‘বিসমিল্লাহতেই গলদ’ শেষে গিয়েও গলদই থেকে যাচ্ছে। স্লগ ওভারে রান বাড়াতে গিয়ে উইকেট পড়ছে টপাটপ। মাঝের ওভারগুলোতেও বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়।
তবে শুরু আর শেষে দলকে ডোবানোয় যে দুটি নাম আসছে, তাঁরা লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। সব ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ ওপেনার লিটন ও ‘কথিত’ ফিনিশার সোহান। লিটন ১৩ গড়ে করেছেন মাত্র ৬৫ রান। সোহানের অবস্থা আরও করুণ, ৫.২৫ গড়ে ২১ রান। লিটন তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ক্যাচ ছেড়ে খলনায়কই বনে গেছেন। এ দুটিসহ বাংলাদেশ ৫ ম্যাচে ফেলেছে ছয় ক্যাচ। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ ফেলার হার নবাগত পাপুয়া নিউগিনি ও নামিবিয়ার চেয়েও বেশি!
বোলিংয়েও মিরপুরের মোস্তাফিজকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেদম পিটুনি খেয়েছেন মেহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। পরশু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাইফের জায়গায় অনভিজ্ঞ শরীফুল ইসলামকে খেলানো নিয়েও আছে প্রশ্ন। শরীফুলের জায়গায় টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করতে পারত পরীক্ষিত তাসকিন আহমেদের ওপর। তাসকিন এরই মধ্যে এই বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা স্পিন বোলিং। সেখানেও হতাশ হতে হয়েছে সমর্থকদের। শেষ দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মেহেদী হাসান। নাসুম ৩টি উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। এক সাকিবই ভালো করছেন তাঁর অভিজ্ঞতার জোরে।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতাতেই আটকে নেই বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব, তাঁর শরীরি ভাষা ও রানিং বিটুইন দ্য উইকেট নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দলকে উজ্জীবিত করতে একজন অধিনায়কের যখন অসাধারণ কিছু করে দেখানোর কথা, তখনই ‘সুপার ফ্লপ’ মাহমুদউল্লাহ। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পেছেনে মাহমুদউল্লাহর বাজে অধিনায়কত্বকেও দুষছেন অনেকে। সাকিব-মোস্তাফিজের বোলিং কোটা পূরণ না করিয়ে নিজে এসেছেন বোলিংয়ে। অকারণে বল তুলে দিয়েছেন আফিফের হাতে।
এত ভুলের মাঝেও নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে সেমিফাইনালের আশা। বাকি তিন ম্যাচে ভুলের পুনরাবৃত্তি না হলে টুর্নামেন্টটা ভালোভাবে শেষ করার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘টেনেটুনে’ প্রথম রাউন্ড পেরোলেও সুপার টুয়েলভে কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার পর ফেবারিট ইংল্যান্ডের কাছেও নাস্তানাবুদ হয়ে বাস্তবতা টের পাচ্ছেন রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মোস্তাফিজুর রহমানরা আঁচ করতে পারছেন মিরপুরে ক্ষীণ শক্তির দলের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর মরুর বুকে পূর্ণ শক্তির দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্ব আসরে লড়াই করা এক জিনিস নয়।
লাগাতার ব্যর্থতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলেও রেগে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। খারাপ খেললে সমালোচনা হবে—এটাই স্বাভাবিক। সেটার জবাব দেওয়ার মোক্ষম উপায় যখন ব্যাট-বলই হওয়ার কথা, তখন তাঁরা দিচ্ছেন মুখে। যদিও নাসুম আহমেদ পরশু বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, হচ্ছে না।’
চেষ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে এখন বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও চেষ্টার ফল না মিললে আগেভাগেই ফিরতি টিকিট কেটে ফেলতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—কিছুই আসলে ঠিক হচ্ছে না বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেকে বড় দলগুলোর ওপেনাররা যখন সাফল্যের পথে প্রথম সোপান হিসেবে দেখছেন, তখন বাংলাদেশের টপ অর্ডার সেটিকে বানিয়ে ফেলছেন সংগ্রামের এবড়োখেবড়ো পথ। টুর্নামেন্টে খেলা ৫ ম্যাচে পাওয়ার প্লের ৩০ ওভারে বাংলাদেশ করেছে মাত্র ১৬৭ রান, খুঁইয়েছে ৯ উইকেট। রানরেট ৬-এরও কম!
‘বিসমিল্লাহতেই গলদ’ শেষে গিয়েও গলদই থেকে যাচ্ছে। স্লগ ওভারে রান বাড়াতে গিয়ে উইকেট পড়ছে টপাটপ। মাঝের ওভারগুলোতেও বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়।
তবে শুরু আর শেষে দলকে ডোবানোয় যে দুটি নাম আসছে, তাঁরা লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। সব ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ ওপেনার লিটন ও ‘কথিত’ ফিনিশার সোহান। লিটন ১৩ গড়ে করেছেন মাত্র ৬৫ রান। সোহানের অবস্থা আরও করুণ, ৫.২৫ গড়ে ২১ রান। লিটন তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ক্যাচ ছেড়ে খলনায়কই বনে গেছেন। এ দুটিসহ বাংলাদেশ ৫ ম্যাচে ফেলেছে ছয় ক্যাচ। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ ফেলার হার নবাগত পাপুয়া নিউগিনি ও নামিবিয়ার চেয়েও বেশি!
বোলিংয়েও মিরপুরের মোস্তাফিজকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেদম পিটুনি খেয়েছেন মেহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। পরশু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাইফের জায়গায় অনভিজ্ঞ শরীফুল ইসলামকে খেলানো নিয়েও আছে প্রশ্ন। শরীফুলের জায়গায় টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করতে পারত পরীক্ষিত তাসকিন আহমেদের ওপর। তাসকিন এরই মধ্যে এই বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা স্পিন বোলিং। সেখানেও হতাশ হতে হয়েছে সমর্থকদের। শেষ দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মেহেদী হাসান। নাসুম ৩টি উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। এক সাকিবই ভালো করছেন তাঁর অভিজ্ঞতার জোরে।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতাতেই আটকে নেই বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব, তাঁর শরীরি ভাষা ও রানিং বিটুইন দ্য উইকেট নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দলকে উজ্জীবিত করতে একজন অধিনায়কের যখন অসাধারণ কিছু করে দেখানোর কথা, তখনই ‘সুপার ফ্লপ’ মাহমুদউল্লাহ। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পেছেনে মাহমুদউল্লাহর বাজে অধিনায়কত্বকেও দুষছেন অনেকে। সাকিব-মোস্তাফিজের বোলিং কোটা পূরণ না করিয়ে নিজে এসেছেন বোলিংয়ে। অকারণে বল তুলে দিয়েছেন আফিফের হাতে।
এত ভুলের মাঝেও নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে সেমিফাইনালের আশা। বাকি তিন ম্যাচে ভুলের পুনরাবৃত্তি না হলে টুর্নামেন্টটা ভালোভাবে শেষ করার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের।
আত্মবিশ্বাস নাকি জেদ—কোনটি বেশি কাজ করছিল মোসাম্মত সাগরিকার। জেদকে এগিয়ে রাখলে মন্দ হবে না। কারণ নেপালের বিপক্ষেই লাল কার্ড দেখে ৩ ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। ফেরার ম্যাচেও প্রতিপক্ষ নেপাল। প্রতিশোধের মঞ্চে নেপালকে একাই গুঁড়িয়ে দিলেন সাগরিকা। হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করে বাংলাদেশকে ভাসালেন শিরোপা
১৯ মিনিট আগেসমীকরণটা সহজ—ড্র করলেই মিলবে শিরোপা। শুধু ড্র নয়, বাংলাদেশ হাঁটছে জয়ের পথে। অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে অলিখিত ফাইনাল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথমার্ধ শেষে নেপালের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেস্টেডিয়ামে বাইরের খাবার ও পানীয় নিয়ে ঢোকার ব্যাপারে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের জন্য সেটা তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল—দর্শক চাইলে হালকা খাবার ও পানীয় সঙ্গে করে আনতে পারবেন। তবে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টির পরই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে বোর্ড।
৪ ঘণ্টা আগেওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের (ডব্লিউসিএল) ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের না হলেও ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ ছিল বেশি। কারণ, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যখন কালেভদ্রে মুখোমুখি হয়, তখন তাদের ম্যাচ মানেই ভিন্ন আবহ। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তে পানি ঢেলে দিয়েছে ভারত চ্যাম্পিয়নস।
৪ ঘণ্টা আগে