Ajker Patrika

চাপের সময় সেরাটা খেলতে পারি, গেইলের রেকর্ডে ভাগ বসানো জোন্স

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ১৪: ১৪
Thumbnail image

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাদের ভয়ডরহীন ব্যাটিং দেখে মনে হওয়ার সুযোগই নেই আজ প্রথম খেলতে নেমেছিল তারা। এতটাই বিধ্বংসী ও ডাকাবুকো ব্যাটিং করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটারা। 

ডালাসে কানাডার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড জয়ও পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক ৭ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসীরূপে হাজির হয়েছিলেন অ্যারন জোন্স। ব্যাটিংয়ে এতটাই তাণ্ডব চালিয়েছেন যে আর কিছু রান করতে পারলে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সেঞ্চুরির সঙ্গে ক্রিস গেইলের রেকর্ডেও ভাগ বসাতেন তিনি। 

কানাডার দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রিস গুসের সঙ্গে ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান জোন্স। জুটির অর্ধেকের বেশি ৭৬ রান করেন তিনি। এর আগে ২২ বলে ফিফটি করে দলের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার। 

ইনিংসের ১৮তম ওভারে চতুর্থ বলে যখন ছক্কা মেরে যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যাচ জেতান, তখন ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন জোন্স। এতে করে ৪০ বলের ইনিংসে ৬ রানের আক্ষেপ থেকে যায় তাঁর। আর কিছু রান করলে নিশ্চিতভাবেই সেঞ্চুরিটা পেতে পারতেন তিনি। ২৩৫.০০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ১০ ছক্কার বিপরীতে চার ছিল ৪টি। 

আর ১টি ছক্কা মারার সুযোগ পেলে গেইলের সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডের পাশে বসতে পারতেন। তবে বিশ্বকাপের ম্যাচে ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১ ছক্কার রেকর্ডে বসতে না পারলেও ‘ইউনিভার্স বসের’ ১০ ছক্কার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন জোন্স। ২০১৬ বিশ্বকাপে ইনিংসে ১১ ছক্কার রেকর্ড গড়ার আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টির প্রথম বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি। 

জোন্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই নিজেদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তো অবশ্যই, সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে সহযোগী দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পাওয়ার আগে তাদের আগের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল ১৬৯। আর বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে আগের সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিল নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডসের দেওয়া ১৯০ রানের বিপরীতে ১৯৩ করে ডাচরা। 

ম্যাচ শেষে নিজের ইনিংস সম্পর্কে জানতে চাইলে জোন্স জানান, ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ম্যাচ-সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, ভাষায় প্রকাশ করা এটি সহজ। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম, যে পন্থায় আমি নেটে অনুশীলন করি। তবে সততার সঙ্গে বলছি, দল চাপে থাকলেই আমার সেরাটা বের হয়ে আসে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত