নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তাওহিদ হৃদয় এখন যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হট টপিক’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত না থাকলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তাঁর নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে উত্তপ্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। একবার নিষিদ্ধ হওয়ার পর সেই শাস্তি মওকুফ হওয়ার পর আবার নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছেন। হান্নান সরকার এখানে হৃদয়েরই দায় দেখছেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সবশেষ যে শাস্তি পেয়েছেন হৃদয়, তাতে নিষিদ্ধ হয়েছেন চার ম্যাচ। আবাহনীর বিপক্ষে ১২ এপ্রিল মিরপুরে সুপার লিগের ম্যাচে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছে হৃদয়ের। পরে আম্পায়ারিং নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন হৃদয়। সেই শাস্তির সঙ্গে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে পরশু শাস্তি পাওয়ায় ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট হৃদয়ের নামের পাশে জুটেছে। মিরপুরে আজ সাংবাদিকেরা আবাহনী কোচ হান্নান সরকারের কাছে জানতে চান, হৃদয় আগে থেকেই এমন মাথা গরম করেন কিনা। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘হৃদয় খুবই আক্রমণাত্মক একজন খেলোয়াড়। আর সব সময়ই জিততে চায়। সব সময়ই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। তার সেই মানসিকতা অনেক আগে থেকেই আমি জানি এবং হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেক ঘনিষ্ঠ। প্রথম যেবার নিষিদ্ধ হয়েছিল, তারপরও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সবশেষ যে ঘটনাটা ঘটেছে, তাতে আমার খুবই মন খারাপ হয়েছে। আবার এমনটা হওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে।’
রাগের মাথায় ক্রিকেটাররা অনেক সময় এমন কিছু করেন, যেটা করা উচিত না বলে মনে করেন হান্নান। হৃদয়ের কথা বলতে গিয়ে হান্নান নিজের কথাও উল্লেখ করেন। আবাহনী কোচ বলেন, ‘হৃদয় জেতার জন্য খুবই আগ্রাসী থাকে। আমরা জানি, ক্রিকেটাররা উত্তেজনার মুহূর্তে অনেক কিছু করে ফেলে। যেটা জানে যে সে করবে না। কিন্তু ওই মুহূর্তে হয়ে যায়। আমার জীবনেও হয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছিলাম আমি। যার যার ক্ষেত্রে ঘটেছে, তিনিই বুঝতে পারেন। অনেক বড় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই হয়েছে। তাই হৃদয় হয়তোবা সেই মুহূর্তে মেজাজ না হারালে ভালো হতো। যেটা তার ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
হৃদয়ের ঘটনা থেকে অন্যান্য ক্রিকেটাররা শিক্ষা নেবেন বলে আশা হান্নানের। আবাহনী কোচ বলেন, ‘আপনারাই একটা সময় আলোচনায় এনেছেন যে হৃদয় হয়তো নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছে বাংলাদেশ দলের। সে মোহামেডানের অধিনায়ক হয়েই খেলছিল। যদি মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হতো, তার হাতে ট্রফিটা যেতে পারত। আরও একটা অর্জন হতো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেও আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। যা-ই হয়েছে, উত্তেজনার মুহূর্তে হয়ে গেছে। এটা হওয়াটা কোনোভাবে কাম্য নয়। তবে যেটা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এটা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবে। শুধু হৃদয় না, আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটার।’
মিরপুরে ২৬ এপ্রিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওয়াসি সিদ্দিকির বলে হৃদয় আউট হওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করেন। তখন কী হয়েছে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছেন না হান্নান। আবাহনী প্রধান কোচ বলেন, ‘সত্যি বলতে আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে হৃদয়ের আউটটা আমার যেভাবে দেখা হয়নি। পরে আমি আর রিপ্লেও দেখিনি। বিকেএসপির খেলা শেষ করে বাসে আসছিলাম। তখন আমি শুনলাম যে হৃদয় একটা আউট নিয়ে কী যেন দেখিয়েছে। ভিডিওটা দেখিনি। তাই আমি মন্তব্য করতে পারছি না।’
এ বছর আবাহনীর বিপক্ষেও আম্পায়াররা অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হান্নান। আম্পায়ারিং নিয়ে আবাহনী কোচ বলেন, ‘ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার তাদের জায়গা থেকে তাদের কর্তব্য করছেন। এ বছর আপনি যদি দেখেন, আবাহনীর বিপক্ষেও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গিয়েছে। প্রতিবাদও করেছি আমি। গণমাধ্যমের সামনে না। যেটা প্রক্রিয়া, আম্পায়ার ডিপার্টমেন্টে লিখিত জানাতে হয়, কোচ বা কোচের রিপোর্টের মাধ্যমে আসে। ম্যাচ চলাকালীন সময়েও আমি করেছি।’
তাওহিদ হৃদয় এখন যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হট টপিক’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত না থাকলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তাঁর নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে উত্তপ্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। একবার নিষিদ্ধ হওয়ার পর সেই শাস্তি মওকুফ হওয়ার পর আবার নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছেন। হান্নান সরকার এখানে হৃদয়েরই দায় দেখছেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সবশেষ যে শাস্তি পেয়েছেন হৃদয়, তাতে নিষিদ্ধ হয়েছেন চার ম্যাচ। আবাহনীর বিপক্ষে ১২ এপ্রিল মিরপুরে সুপার লিগের ম্যাচে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছে হৃদয়ের। পরে আম্পায়ারিং নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন হৃদয়। সেই শাস্তির সঙ্গে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে পরশু শাস্তি পাওয়ায় ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট হৃদয়ের নামের পাশে জুটেছে। মিরপুরে আজ সাংবাদিকেরা আবাহনী কোচ হান্নান সরকারের কাছে জানতে চান, হৃদয় আগে থেকেই এমন মাথা গরম করেন কিনা। বিসিবির সাবেক নির্বাচক বলেন, ‘হৃদয় খুবই আক্রমণাত্মক একজন খেলোয়াড়। আর সব সময়ই জিততে চায়। সব সময়ই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। তার সেই মানসিকতা অনেক আগে থেকেই আমি জানি এবং হৃদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা অনেক ঘনিষ্ঠ। প্রথম যেবার নিষিদ্ধ হয়েছিল, তারপরও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সবশেষ যে ঘটনাটা ঘটেছে, তাতে আমার খুবই মন খারাপ হয়েছে। আবার এমনটা হওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে।’
রাগের মাথায় ক্রিকেটাররা অনেক সময় এমন কিছু করেন, যেটা করা উচিত না বলে মনে করেন হান্নান। হৃদয়ের কথা বলতে গিয়ে হান্নান নিজের কথাও উল্লেখ করেন। আবাহনী কোচ বলেন, ‘হৃদয় জেতার জন্য খুবই আগ্রাসী থাকে। আমরা জানি, ক্রিকেটাররা উত্তেজনার মুহূর্তে অনেক কিছু করে ফেলে। যেটা জানে যে সে করবে না। কিন্তু ওই মুহূর্তে হয়ে যায়। আমার জীবনেও হয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছিলাম আমি। যার যার ক্ষেত্রে ঘটেছে, তিনিই বুঝতে পারেন। অনেক বড় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই হয়েছে। তাই হৃদয় হয়তোবা সেই মুহূর্তে মেজাজ না হারালে ভালো হতো। যেটা তার ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
হৃদয়ের ঘটনা থেকে অন্যান্য ক্রিকেটাররা শিক্ষা নেবেন বলে আশা হান্নানের। আবাহনী কোচ বলেন, ‘আপনারাই একটা সময় আলোচনায় এনেছেন যে হৃদয় হয়তো নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছে বাংলাদেশ দলের। সে মোহামেডানের অধিনায়ক হয়েই খেলছিল। যদি মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হতো, তার হাতে ট্রফিটা যেতে পারত। আরও একটা অর্জন হতো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেও আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। যা-ই হয়েছে, উত্তেজনার মুহূর্তে হয়ে গেছে। এটা হওয়াটা কোনোভাবে কাম্য নয়। তবে যেটা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এটা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবে। শুধু হৃদয় না, আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটার।’
মিরপুরে ২৬ এপ্রিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওয়াসি সিদ্দিকির বলে হৃদয় আউট হওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করেন। তখন কী হয়েছে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছেন না হান্নান। আবাহনী প্রধান কোচ বলেন, ‘সত্যি বলতে আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে হৃদয়ের আউটটা আমার যেভাবে দেখা হয়নি। পরে আমি আর রিপ্লেও দেখিনি। বিকেএসপির খেলা শেষ করে বাসে আসছিলাম। তখন আমি শুনলাম যে হৃদয় একটা আউট নিয়ে কী যেন দেখিয়েছে। ভিডিওটা দেখিনি। তাই আমি মন্তব্য করতে পারছি না।’
এ বছর আবাহনীর বিপক্ষেও আম্পায়াররা অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হান্নান। আম্পায়ারিং নিয়ে আবাহনী কোচ বলেন, ‘ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার তাদের জায়গা থেকে তাদের কর্তব্য করছেন। এ বছর আপনি যদি দেখেন, আবাহনীর বিপক্ষেও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গিয়েছে। প্রতিবাদও করেছি আমি। গণমাধ্যমের সামনে না। যেটা প্রক্রিয়া, আম্পায়ার ডিপার্টমেন্টে লিখিত জানাতে হয়, কোচ বা কোচের রিপোর্টের মাধ্যমে আসে। ম্যাচ চলাকালীন সময়েও আমি করেছি।’
২ উইকেটে ১৬২ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। নিক ওয়েলচ-শন উইলিয়ামস জুটি ভোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু চট্টগ্রামে তীব্র গরমের প্রভাবে ওয়েলচের ক্র্যাম্পই যেন কাল হলো সফরকারীদের। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েছিলেন ৯০ রানের অসাধারণ এক জুটি। ওয়েলচ সেচ্ছায় অবসরে গেলে শুরু হয় তাইজুল ইসলামের ভেলকি আর জিম্বাবুয়ের
১ ঘণ্টা আগেকলম্বো ক্রিকেট ক্লাব (সিসিসি) গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ৬৯ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে যায় ৯৮ রানে। এক দিন বিরতির পর আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে।
২ ঘণ্টা আগেওভারের পর ওভার বোলিং করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বোলিং সামলে উইকেটে থিতু হয়ে ইনিংস বড় করছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। সফরকারীরা যখন সাবলীলভাবে এগোচ্ছে, তখনই আঘাত হানল বাংলাদেশ।
৩ ঘণ্টা আগেএএফসি অনূর্ধ্ব -২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লাওস, পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। সবগুলো ম্যাচ হবে লাওসে। ২-১০ আগস্ট হবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাই।
৪ ঘণ্টা আগে