অনলাইন ডেস্ক
আপনার কি চোখের পাতায় কাঁপুনির সমস্যা আছে? বা সোজা বাংলায় চোখ পিটপিট করে বা চোখের পাতা বারবার জড়িয়ে আসে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি কোনো রোগের লক্ষণ নয়। সাধারণত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি, ঘুমের ঘাটতি বা মানসিক চাপে এমন হতে পারে।
চোখের পাতার পেশি, বিশেষ করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে চোখের ওপরের পাতার পেশির সংকুচিত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে। চোখের পাতার অনিচ্ছাকৃত এই কাঁপুনিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় মায়োকাইমিয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে এ সমস্যা হতে পারে—
১. ক্লান্তি ও ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া ব্যাহত হয়, যার ফলে চোখের পাতায় মাংসপেশির খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।
২. চাপ ও উদ্বেগ
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে চোখের মাংসপেশিতে টান পড়ে, যা কাঁপুনির কারণ হতে পারে।
৩. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল গ্রহণ
ক্যাফেইন (চা, কফি ইত্যাদি) বা অ্যালকোহল স্নায়ুতন্ত্রকে অতিরিক্ত উদ্দীপিত করতে পারে, যার ফলে চোখের পাতায় খিঁচুনি শুরু হয়।
৪. চোখের চাপ
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং মনোযোগ নিবদ্ধ করে কাজ করলে চোখের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা কাঁপুনির একটি সাধারণ কারণ।
৫. চোখ শুকিয়ে যাওয়া ও জ্বালাপোড়া
ড্রাই আই সিনড্রোম বা অ্যালার্জির কারণে চোখের পৃষ্ঠে জ্বালাপোড়া হলে পাতায় খিঁচুনি হতে পারে।
৬. উজ্জ্বল আলো ও বাতাসের ঝাপটা
চোখের পৃষ্ঠ অতিরিক্ত আলো বা বাতাসের সংস্পর্শে এলে তা উত্তেজিত হয়ে কাঁপুনি শুরু হতে পারে।
৭. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাইগ্রেন বা মানসিক স্বাস্থ্যজনিত রোগের জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চোখের পাতায় কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
৮. পুষ্টির ঘাটতি
ম্যাগনেশিয়াম বা ক্যালসিয়ামের অভাব মাংসপেশির খিঁচুনির অন্যতম কারণ।
উপরোল্লিখিত কারণে চোখের পাতায় কাঁপুনি হলে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই—এমনটাই বলেন চিকিৎসকেরা। তবে, এই সমস্যা যদি খুব বেশি হয়, যেমন—সারাক্ষণই চোখের পাতা কাঁপতে থাকে, তখন তা স্নায়বিক রোগের (বেলস পালসি, পারকিনসনস ডিজিজ বা ডিসটোনিয়া) লক্ষণ হতে পারে। সারাক্ষণ চোখের পাতা পিট পিট করাকে বলে বিনাইন এসেনশিয়াল ব্লেফারোস্পাজম। চিকিৎসকেরা বলেন, এই রোগ খুবই বিরল, প্রতি ৫০ হাজারে একজনের দেখা যায়। এসেনশিয়াল ব্লেফারোস্পাজমে নারীরাই বেশি ভোগেন।
৯. সাধারণ চোখ পিট পিট কমাতে কী করবেন?
-পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন ও চাপ কমান: নিয়মিত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কাঁপুনি কমাতে সাহায্য করে।
-ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কমান: এসব উত্তেজক দ্রব্য গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে ফেলুন।
-চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন: কৃত্রিম অশ্রু (আর্টিফিশিয়াল টিয়ার) দিয়ে শুষ্কতা বা জ্বালাপোড়া থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে।
-চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: কাঁপুনি যদি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, জনস হপকিন্স মেডিসিন
আরও খবর পড়ুন:
আপনার কি চোখের পাতায় কাঁপুনির সমস্যা আছে? বা সোজা বাংলায় চোখ পিটপিট করে বা চোখের পাতা বারবার জড়িয়ে আসে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি কোনো রোগের লক্ষণ নয়। সাধারণত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি, ঘুমের ঘাটতি বা মানসিক চাপে এমন হতে পারে।
চোখের পাতার পেশি, বিশেষ করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে চোখের ওপরের পাতার পেশির সংকুচিত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে। চোখের পাতার অনিচ্ছাকৃত এই কাঁপুনিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় মায়োকাইমিয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে এ সমস্যা হতে পারে—
১. ক্লান্তি ও ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া ব্যাহত হয়, যার ফলে চোখের পাতায় মাংসপেশির খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।
২. চাপ ও উদ্বেগ
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে চোখের মাংসপেশিতে টান পড়ে, যা কাঁপুনির কারণ হতে পারে।
৩. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল গ্রহণ
ক্যাফেইন (চা, কফি ইত্যাদি) বা অ্যালকোহল স্নায়ুতন্ত্রকে অতিরিক্ত উদ্দীপিত করতে পারে, যার ফলে চোখের পাতায় খিঁচুনি শুরু হয়।
৪. চোখের চাপ
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং মনোযোগ নিবদ্ধ করে কাজ করলে চোখের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা কাঁপুনির একটি সাধারণ কারণ।
৫. চোখ শুকিয়ে যাওয়া ও জ্বালাপোড়া
ড্রাই আই সিনড্রোম বা অ্যালার্জির কারণে চোখের পৃষ্ঠে জ্বালাপোড়া হলে পাতায় খিঁচুনি হতে পারে।
৬. উজ্জ্বল আলো ও বাতাসের ঝাপটা
চোখের পৃষ্ঠ অতিরিক্ত আলো বা বাতাসের সংস্পর্শে এলে তা উত্তেজিত হয়ে কাঁপুনি শুরু হতে পারে।
৭. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাইগ্রেন বা মানসিক স্বাস্থ্যজনিত রোগের জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চোখের পাতায় কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
৮. পুষ্টির ঘাটতি
ম্যাগনেশিয়াম বা ক্যালসিয়ামের অভাব মাংসপেশির খিঁচুনির অন্যতম কারণ।
উপরোল্লিখিত কারণে চোখের পাতায় কাঁপুনি হলে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই—এমনটাই বলেন চিকিৎসকেরা। তবে, এই সমস্যা যদি খুব বেশি হয়, যেমন—সারাক্ষণই চোখের পাতা কাঁপতে থাকে, তখন তা স্নায়বিক রোগের (বেলস পালসি, পারকিনসনস ডিজিজ বা ডিসটোনিয়া) লক্ষণ হতে পারে। সারাক্ষণ চোখের পাতা পিট পিট করাকে বলে বিনাইন এসেনশিয়াল ব্লেফারোস্পাজম। চিকিৎসকেরা বলেন, এই রোগ খুবই বিরল, প্রতি ৫০ হাজারে একজনের দেখা যায়। এসেনশিয়াল ব্লেফারোস্পাজমে নারীরাই বেশি ভোগেন।
৯. সাধারণ চোখ পিট পিট কমাতে কী করবেন?
-পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন ও চাপ কমান: নিয়মিত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ কাঁপুনি কমাতে সাহায্য করে।
-ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কমান: এসব উত্তেজক দ্রব্য গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে ফেলুন।
-চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন: কৃত্রিম অশ্রু (আর্টিফিশিয়াল টিয়ার) দিয়ে শুষ্কতা বা জ্বালাপোড়া থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে।
-চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: কাঁপুনি যদি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, জনস হপকিন্স মেডিসিন
আরও খবর পড়ুন:
গবেষকেরা বলছেন, ওজন কমানো এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধের প্রভাবে মস্তিষ্কে পরিবর্তন আসে, যার কারণে বিষণ্নতার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ওষুধগুলো হরমোনে প্রভাব ফেলে, রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষুধা দমন করে। তবে, গবেষণায় দেখা গেছে, এই ওষুধগুলো মস্তিষ্কের সেই অংশগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে...
১৬ ঘণ্টা আগেপুরুষদের জন্য নতুন একটি জন্মনিরোধক আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। অবশেষে হয়তো বিজ্ঞানীরা সফল হতে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে’ দেখা গেছে, পুরুষের শুক্রাণু নালিতে স্থাপনযোগ্য এই জন্মনিরোধক দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে। এই জন্মনিরোধক স্থাপনে শরীরের হরমোনে কোনো পরিবর্তন আসে
২ দিন আগেআধুনিক সমাজে আমাদের একধরনের ব্যস্ততা আছে, তাড়া আছে। কোনো কিছুতেই যেন সময় হয়ে উঠছে না আমাদের। প্রতিদিন রান্না করার বিষয়টিও সেই সময়সংকটের মধ্যে পড়েছে। ফলে এখন এক দিনেই বেশি রান্নার পর একাধিক দিন গরম করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। অথচ রান্না করা খাবার পুনরায় গরম করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে...
২ দিন আগেহিমোফিলিয়া একটি বিরল অথচ গুরুতর ধরনের রক্তক্ষরণজনিত রোগ। এটি সাধারণত বংশগত কারণে হয়। তবে মাঝে মাঝে কোনো জিনগত পরিবর্তনের কারণেও কেউ জন্মসূত্রে হিমোফিলিয়া নিয়ে জন্মায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি নির্দিষ্ট ক্লটিং ফ্যাক্টরের ঘাটতি থাকে। ফলে সামান্য আঘাতেও..
২ দিন আগে