হৃদরোগ ইনস্টিটিউট
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) পুরোনো করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সেটির নির্মাণকাজ। এই অবস্থায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী সিসিইউতে। কিন্তু একটি সিসিইউর জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেখানে তা নেই। নানা অব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন হচ্ছে রোগীর সেবা কার্যক্রম।
এনআইসিভিডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে মূল ভবনের সিসিইউর পুরোনো কাঠামো ভেঙে নতুন করে নির্মাণ শুরু করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সে সময় সিসিইউ স্থানান্তর করা হয় দক্ষিণ ভবনের দ্বিতীয় তলায়। নতুন সিসিইউর সিভিল (পুরকৌশল) কাজের জন্য পৌনে ২ কোটি টাকা এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য পৌনে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল কাজ শুরু না হওয়ায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দের অর্থ ফেরত যায়। ওই অর্থবছরে নতুন বরাদ্দ আসেনি। পরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনআইসিভিডি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো বরাদ্দ ফেরত আসে। নির্মাণকাজ শেষ হলেও চলছে ইলেকট্রিক ও অভ্যন্তরীণ নকশার (ইন্টেরিয়র) কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় সিসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে। এ জন্য দুই দিকে প্রবেশদ্বারে টিনের বেড়া দেওয়া, ভেতরে চলছে কাজ। সিভিল বা পুরকৌশল ও টাইলস স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন ইলেকট্রিক্যাল, রং করা ও ঘষামাজা চলছে।
এদিকে নতুন সিসিইউ স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ায় হাসপাতালের দক্ষিণ ভবনের দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী সিসিইউতে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে অস্থায়ী সিসিইউর সামনে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে দেখা গেছে, ৩৮ শয্যার অস্থায়ী সিসিইউতে অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ার মতো। শয্যায় সংকটাপন্ন হৃদ্রোগী থাকলেও অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো শোরগোল শোনা যায় সেখানে। রোগীদের স্বজন এবং হাসপাতালের কর্মচারীরা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রবেশ করছেন। শয্যা ছাড়াও মেঝেতে রোগীর সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। রোগীদের তুলনায় ইউনিটটিতে স্বজন ও অন্য লোকজনের সংখ্যা বেশি। গুরুত্বপূর্ণ ওই ইউনিটে সংক্রমণ ও চিকিৎসার মান নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি স্পষ্ট।
অস্থায়ী সিসিইউতে রোগীর যথাযথ যত্নের ঘাটতির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সিসিইউর পরিবেশ ভালো রাখতে হলে রোগী সীমিত করতে হবে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে তা সম্ভব নয়। বিশেষত এনআইসিভিডির মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি বেশ কঠিন। এই প্রতিষ্ঠান কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারে না। শুধু শয্যা বাড়ানোই সমাধান নয়, শয্যা বাড়ানোর পর যথাযথ সেবাও নিশ্চিত করতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), স্থিতিশীল অবস্থার রোগীদের প্রিসিসিইউতে রাখা হয়। অস্ত্রোপচারের পর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রোগীকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। এর পরবর্তী ধাপে এইচডিইউ এবং ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে কারও অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে সিসিইউতে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড থোরাসিক অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের (বিএসিটিএ) সভাপতি অধ্যাপক এ টি এম খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব রোগীর মারাত্মক হার্ট প্রবলেম, তাদের সিসিইউতে আনা হয়। জরুরি চিকিৎসা যন্ত্রাংশ ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়েই সিসিইউ। সবাই সরকারি হাসপাতালের সংকট সম্পর্কে অবগত। তবে সমাধানে সদিচ্ছা দেখা যায় না। সরকারি সিসিইউতে বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনে রোগীরা। শয্যা, যন্ত্রাংশ, অন্যান্য সুবিধাসহ আদর্শ সিসিইউ বলতে যা বোঝায়, তা অবশ্যই থাকতে হবে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে সিসিইউ স্থাপন বা সংস্কারের জন্য তিন বছর লেগে যাবে; কোনো অবস্থায়ই তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
নতুন সিসিইউর বিষয়ে এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিসিইউ সংস্কার নয়, নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে। যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে এ মাসের শেষ বা আগামী মাসের শুরুতে সিসিইউটি আমরা বুঝে পাব। আগের সিসিইউ ভেঙে নতুন করে অবকাঠামো করা হয়েছে। কেননা আগে একাধিক কক্ষ ছিল; তা এখন একত্র করা হয়েছে। নতুন সিসিইউতে আমরা ৩৮টি শয্যা করব। এক অংশে রোগীদের এক্সামিনেশনের জন্য স্বতন্ত্র জায়গা রাখা হবে। গত বছরের মাঝামাঝি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরোনো যে বরাদ্দ ছিল, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আনা হয়েছে। নতুন সিসিইউ চালু হলে অস্থায়ীটিকে সিসিইউ-২ করা হবে। রোগী কিছুটা স্থিতিশীল হলে মূল সিসিইউ থেকে ইউনিট-২-তে পাঠানো হবে। এতে বেশি সংকটাপন্ন রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে।’
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) পুরোনো করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সেটির নির্মাণকাজ। এই অবস্থায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী সিসিইউতে। কিন্তু একটি সিসিইউর জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেখানে তা নেই। নানা অব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন হচ্ছে রোগীর সেবা কার্যক্রম।
এনআইসিভিডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে মূল ভবনের সিসিইউর পুরোনো কাঠামো ভেঙে নতুন করে নির্মাণ শুরু করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সে সময় সিসিইউ স্থানান্তর করা হয় দক্ষিণ ভবনের দ্বিতীয় তলায়। নতুন সিসিইউর সিভিল (পুরকৌশল) কাজের জন্য পৌনে ২ কোটি টাকা এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য পৌনে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল কাজ শুরু না হওয়ায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দের অর্থ ফেরত যায়। ওই অর্থবছরে নতুন বরাদ্দ আসেনি। পরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনআইসিভিডি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো বরাদ্দ ফেরত আসে। নির্মাণকাজ শেষ হলেও চলছে ইলেকট্রিক ও অভ্যন্তরীণ নকশার (ইন্টেরিয়র) কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় সিসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে। এ জন্য দুই দিকে প্রবেশদ্বারে টিনের বেড়া দেওয়া, ভেতরে চলছে কাজ। সিভিল বা পুরকৌশল ও টাইলস স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন ইলেকট্রিক্যাল, রং করা ও ঘষামাজা চলছে।
এদিকে নতুন সিসিইউ স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ায় হাসপাতালের দক্ষিণ ভবনের দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী সিসিইউতে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে অস্থায়ী সিসিইউর সামনে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে দেখা গেছে, ৩৮ শয্যার অস্থায়ী সিসিইউতে অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ার মতো। শয্যায় সংকটাপন্ন হৃদ্রোগী থাকলেও অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো শোরগোল শোনা যায় সেখানে। রোগীদের স্বজন এবং হাসপাতালের কর্মচারীরা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রবেশ করছেন। শয্যা ছাড়াও মেঝেতে রোগীর সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। রোগীদের তুলনায় ইউনিটটিতে স্বজন ও অন্য লোকজনের সংখ্যা বেশি। গুরুত্বপূর্ণ ওই ইউনিটে সংক্রমণ ও চিকিৎসার মান নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি স্পষ্ট।
অস্থায়ী সিসিইউতে রোগীর যথাযথ যত্নের ঘাটতির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সিসিইউর পরিবেশ ভালো রাখতে হলে রোগী সীমিত করতে হবে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে তা সম্ভব নয়। বিশেষত এনআইসিভিডির মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি বেশ কঠিন। এই প্রতিষ্ঠান কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারে না। শুধু শয্যা বাড়ানোই সমাধান নয়, শয্যা বাড়ানোর পর যথাযথ সেবাও নিশ্চিত করতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), স্থিতিশীল অবস্থার রোগীদের প্রিসিসিইউতে রাখা হয়। অস্ত্রোপচারের পর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রোগীকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। এর পরবর্তী ধাপে এইচডিইউ এবং ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে কারও অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে সিসিইউতে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড থোরাসিক অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের (বিএসিটিএ) সভাপতি অধ্যাপক এ টি এম খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব রোগীর মারাত্মক হার্ট প্রবলেম, তাদের সিসিইউতে আনা হয়। জরুরি চিকিৎসা যন্ত্রাংশ ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়েই সিসিইউ। সবাই সরকারি হাসপাতালের সংকট সম্পর্কে অবগত। তবে সমাধানে সদিচ্ছা দেখা যায় না। সরকারি সিসিইউতে বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনে রোগীরা। শয্যা, যন্ত্রাংশ, অন্যান্য সুবিধাসহ আদর্শ সিসিইউ বলতে যা বোঝায়, তা অবশ্যই থাকতে হবে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে সিসিইউ স্থাপন বা সংস্কারের জন্য তিন বছর লেগে যাবে; কোনো অবস্থায়ই তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
নতুন সিসিইউর বিষয়ে এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিসিইউ সংস্কার নয়, নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে। যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে এ মাসের শেষ বা আগামী মাসের শুরুতে সিসিইউটি আমরা বুঝে পাব। আগের সিসিইউ ভেঙে নতুন করে অবকাঠামো করা হয়েছে। কেননা আগে একাধিক কক্ষ ছিল; তা এখন একত্র করা হয়েছে। নতুন সিসিইউতে আমরা ৩৮টি শয্যা করব। এক অংশে রোগীদের এক্সামিনেশনের জন্য স্বতন্ত্র জায়গা রাখা হবে। গত বছরের মাঝামাঝি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরোনো যে বরাদ্দ ছিল, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আনা হয়েছে। নতুন সিসিইউ চালু হলে অস্থায়ীটিকে সিসিইউ-২ করা হবে। রোগী কিছুটা স্থিতিশীল হলে মূল সিসিইউ থেকে ইউনিট-২-তে পাঠানো হবে। এতে বেশি সংকটাপন্ন রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে।’
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৭ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৯ ঘণ্টা আগেঅ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা এমন একটি মানসিক রোগ, যেখানে একজন মানুষ সব সময় মনে করেন তিনি মোটা। যদিও বাস্তবে হয়তো তিনি খুবই পাতলা। এই ভয়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া একেবারে কমিয়ে দেন বা বাদই দিয়ে দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা
১ দিন আগে