আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা অগ্রগতি হলেও যুদ্ধ-সংঘাত ও রাজনৈতিক অস্থিরতা শিশুদের টিকার আওতায় আনার পথকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে টিকাবঞ্চিত শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার কমলেও এখনো কোটি কোটি শিশু ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাগুলো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ছাড়া আরও ৫৭ লাখ শিশু আংশিক টিকা পেয়েছে—অর্থাৎ তারা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পায়নি।
ডব্লিউএইচওর টিকাদান, ভ্যাকসিন ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক কেট ও’ব্রায়েন বলেন, এটি বেশ উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বজুড়ে শিশুদের জীবন রক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য, তা এখন একধরনের অদৃশ্য বাধা বা গ্লাস সিলিংয়ের নিচে আটকে গেছে। এই প্রতিবন্ধকতা ভেঙে সামনে এগোনো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংঘাতপীড়িত দেশগুলোতে পরিস্থিতি আরও সংকটময়। বর্তমান বিশ্বে ২৬টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ, সংঘাতময় ও মানবিক জরুরি পরিস্থিতির’ দেশ রয়েছে, যেগুলোতে বসবাসরত শিশুরা স্থিতিশীল দেশগুলোর শিশুদের তুলনায় তিন গুণ বেশি টিকাবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। বিশ্বে বর্তমানে টিকাবঞ্চিত অর্ধেক শিশুই এসব দেশে বাস করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে নাইজেরিয়া, ভারত, সুদান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান ও অ্যাঙ্গোলা—এই নয়টি দেশেই বাস করছে বিশ্বের মোট টিকাবঞ্চিত শিশুর ৫২ শতাংশ।
এদিকে ধনী দেশগুলোতে টিকাদানে সংকটের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা, ভুল তথ্য ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাসের অভাব। ইউনিসেফের স্বাস্থ্য ও টিকাদান বিভাগের সহযোগী পরিচালক এফরেম লেমাঙ্গো বলেন, গত ৫০ বছর শুধু টিকার মাধ্যমে ১৫ কোটিরও বেশি প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে টিকাবিরোধিতা বেড়ে গেছে। তাঁর মতে, এটি কেবল তথ্য প্রবাহজনিত সমস্যা নয়, বরং তা গভীরতর আস্থাহীনতার প্রতিফলন। তিনি বলেন, টিকা নিয়ে ভুল তথ্য শুধু যে ভয় তৈরি করে, তা নয়, বরং এটি পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থার অভাবকেও প্রকাশ করে।
কেট ও’ব্রায়েন বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান হয়তো ভালো দেখাচ্ছে, কিন্তু এই সংখ্যার নিচে অনেক ছোট ছোট জনগোষ্ঠী রয়েছে, যাদের টিকা নেওয়ার হার খুবই কম এবং দেখা যাচ্ছে, ওসব অঞ্চলেই শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর হামের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে, টেক্সাসের পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে টিকা নেওয়ার হার তুলনামূলকভাবে কম। এই বছর দেশটিতে হামের যত কেস দেখা গেছে, তা গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ও’ব্রায়েন বলেন, টিকা না পাওয়ার প্রধান কারণ হলো—টিকা ও টিকাদান সেবার নাগাল না পাওয়া। অনেক শিশুই এমন এলাকায় রয়েছে, যেখানে পৌঁছানো কঠিন কিংবা সেখানে সরকারই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। যে কারণে টিকা কর্মসূচির বাইরে থাকতে হচ্ছে তাদের।
এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন বিশ্বজুড়ে টিকাদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রশাসন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ভেঙে দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গ্লোবাল ফান্ড থেকেও মার্কিন অর্থায়ন কমানোর ঘোষণা এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি। উন্নয়ন সাহায্যে ব্যাপক কাটছাঁট ও ভ্যাকসিনসংক্রান্ত ভুল তথ্য—এই দুই মিলে বিগত কয়েক দশকের অর্জনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। ডব্লিউএইচও আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে স্থানীয় সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সব শিশুর কাছে জীবন রক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দেওয়া যায়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অন্তত ৮৯ শতাংশ শিশু ধনুষ্টঙ্কার, টিটেনাস ও হুপিং কাশির টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, যা ২০২৩ ও ২০২২ সালের তুলনায় অপরিবর্তিত। তবে তিনটি পূর্ণ ডোজ পেয়েছে মাত্র ৮৫ শতাংশ শিশু, যেখানে ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৮৪ শতাংশ।
হামের প্রথম ডোজ পেয়েছে ৮৪ শতাংশ শিশু, যা ২০২৩ ও ২০২২ সালের মতোই; তবে এটি ২০১৯ সালের তুলনায় কম, সেবার এই হার ছিল ৮৬ শতাংশ। তবুও হামের দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেছে—২০২২ সালে ৭৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৪ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ৭৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হামের প্রকোপ বাড়ছে। এ বছর হামে আক্রান্ত শিশুদের ৯০ শতাংশের বেশিই টিকা নেয়নি।
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘সুখবর হলো আমরা অনেক শিশুর কাছে জীবন রক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দিতে পেরেছি। কিন্তু এখনো লাখ লাখ শিশু প্রতিরোধযোগ্য রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে—এটা সবার জন্যই চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট সংকোচন, দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থা, তথ্য বিভ্রান্তি ও সংঘাতজনিত প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই এখন জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। এমন কোনো শিশুর মৃত্যু হওয়া উচিত নয়, যাকে একটি টিকা দিয়েই রক্ষা করা যেত।’

বিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা অগ্রগতি হলেও যুদ্ধ-সংঘাত ও রাজনৈতিক অস্থিরতা শিশুদের টিকার আওতায় আনার পথকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে টিকাবঞ্চিত শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার কমলেও এখনো কোটি কোটি শিশু ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাগুলো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ছাড়া আরও ৫৭ লাখ শিশু আংশিক টিকা পেয়েছে—অর্থাৎ তারা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পায়নি।
ডব্লিউএইচওর টিকাদান, ভ্যাকসিন ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক কেট ও’ব্রায়েন বলেন, এটি বেশ উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বজুড়ে শিশুদের জীবন রক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য, তা এখন একধরনের অদৃশ্য বাধা বা গ্লাস সিলিংয়ের নিচে আটকে গেছে। এই প্রতিবন্ধকতা ভেঙে সামনে এগোনো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংঘাতপীড়িত দেশগুলোতে পরিস্থিতি আরও সংকটময়। বর্তমান বিশ্বে ২৬টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ, সংঘাতময় ও মানবিক জরুরি পরিস্থিতির’ দেশ রয়েছে, যেগুলোতে বসবাসরত শিশুরা স্থিতিশীল দেশগুলোর শিশুদের তুলনায় তিন গুণ বেশি টিকাবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। বিশ্বে বর্তমানে টিকাবঞ্চিত অর্ধেক শিশুই এসব দেশে বাস করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে নাইজেরিয়া, ভারত, সুদান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান ও অ্যাঙ্গোলা—এই নয়টি দেশেই বাস করছে বিশ্বের মোট টিকাবঞ্চিত শিশুর ৫২ শতাংশ।
এদিকে ধনী দেশগুলোতে টিকাদানে সংকটের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা, ভুল তথ্য ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাসের অভাব। ইউনিসেফের স্বাস্থ্য ও টিকাদান বিভাগের সহযোগী পরিচালক এফরেম লেমাঙ্গো বলেন, গত ৫০ বছর শুধু টিকার মাধ্যমে ১৫ কোটিরও বেশি প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে টিকাবিরোধিতা বেড়ে গেছে। তাঁর মতে, এটি কেবল তথ্য প্রবাহজনিত সমস্যা নয়, বরং তা গভীরতর আস্থাহীনতার প্রতিফলন। তিনি বলেন, টিকা নিয়ে ভুল তথ্য শুধু যে ভয় তৈরি করে, তা নয়, বরং এটি পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থার অভাবকেও প্রকাশ করে।
কেট ও’ব্রায়েন বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান হয়তো ভালো দেখাচ্ছে, কিন্তু এই সংখ্যার নিচে অনেক ছোট ছোট জনগোষ্ঠী রয়েছে, যাদের টিকা নেওয়ার হার খুবই কম এবং দেখা যাচ্ছে, ওসব অঞ্চলেই শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর হামের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে, টেক্সাসের পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে টিকা নেওয়ার হার তুলনামূলকভাবে কম। এই বছর দেশটিতে হামের যত কেস দেখা গেছে, তা গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ও’ব্রায়েন বলেন, টিকা না পাওয়ার প্রধান কারণ হলো—টিকা ও টিকাদান সেবার নাগাল না পাওয়া। অনেক শিশুই এমন এলাকায় রয়েছে, যেখানে পৌঁছানো কঠিন কিংবা সেখানে সরকারই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। যে কারণে টিকা কর্মসূচির বাইরে থাকতে হচ্ছে তাদের।
এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন বিশ্বজুড়ে টিকাদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রশাসন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ভেঙে দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গ্লোবাল ফান্ড থেকেও মার্কিন অর্থায়ন কমানোর ঘোষণা এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি। উন্নয়ন সাহায্যে ব্যাপক কাটছাঁট ও ভ্যাকসিনসংক্রান্ত ভুল তথ্য—এই দুই মিলে বিগত কয়েক দশকের অর্জনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। ডব্লিউএইচও আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে স্থানীয় সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সব শিশুর কাছে জীবন রক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দেওয়া যায়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অন্তত ৮৯ শতাংশ শিশু ধনুষ্টঙ্কার, টিটেনাস ও হুপিং কাশির টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, যা ২০২৩ ও ২০২২ সালের তুলনায় অপরিবর্তিত। তবে তিনটি পূর্ণ ডোজ পেয়েছে মাত্র ৮৫ শতাংশ শিশু, যেখানে ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৮৪ শতাংশ।
হামের প্রথম ডোজ পেয়েছে ৮৪ শতাংশ শিশু, যা ২০২৩ ও ২০২২ সালের মতোই; তবে এটি ২০১৯ সালের তুলনায় কম, সেবার এই হার ছিল ৮৬ শতাংশ। তবুও হামের দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি দেখা গেছে—২০২২ সালে ৭৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৪ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ৭৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হামের প্রকোপ বাড়ছে। এ বছর হামে আক্রান্ত শিশুদের ৯০ শতাংশের বেশিই টিকা নেয়নি।
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘সুখবর হলো আমরা অনেক শিশুর কাছে জীবন রক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দিতে পেরেছি। কিন্তু এখনো লাখ লাখ শিশু প্রতিরোধযোগ্য রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে—এটা সবার জন্যই চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট সংকোচন, দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থা, তথ্য বিভ্রান্তি ও সংঘাতজনিত প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই এখন জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। এমন কোনো শিশুর মৃত্যু হওয়া উচিত নয়, যাকে একটি টিকা দিয়েই রক্ষা করা যেত।’

চুল পড়া রোধে নানা গবেষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে বহু ওষুধ। কিন্তু এত দিন কোনো চিকিৎসাই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে ‘ক্লাসকোটেরন’ (clascoterone) নামের একটি ওষুধে আশার আলো দেখছেন গবেষকেরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে ব্রণ চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে এটি অনুমোদন পেয়েছিল।
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
১ দিন আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

টাকের সমস্যা বা অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বিশ্বজুড়ে পুরুষদের মধ্যে দেখা দেওয়া সবচেয়ে সাধারণ চুল পড়ার সমস্যা। সাধারণত ২০ বছর বয়সের শেষ ভাগ বা ৩০-এর শুরুর দিকে অনেক পুরুষই এ সমস্যায় ভোগেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, মাথার স্ক্যাল্প বা ত্বকে চুল ঝরে পড়ার পর সেই চুল আর স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে না। ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, কপালের দুপাশ থেকে হেয়ারলাইন পিছিয়ে যাওয়া—সবই টাকের লক্ষণ।
চুল পড়া রোধে নানা গবেষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে বহু ওষুধ। কিন্তু এত দিন কোনো চিকিৎসাই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে ‘ক্লাসকোটেরন’ (clascoterone) নামের একটি ওষুধে আশার আলো দেখছেন গবেষকেরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে ব্রণ চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে এটি অনুমোদন পেয়েছিল।
আইরিশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কসমো ফার্মাসিউটিক্যালস নভেম্বরে ওষুধটির দুটি (ফেজ-৩) ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে। এতে মোট ১ হাজার ৫০০ পুরুষ অংশ নেন। এক দলকে দেওয়া হয় প্লাসেবো, অন্য দল ব্যবহার করে ক্লাসকোটেরন।
প্রথম ট্রায়ালে দেখা গেছে, ক্লাসকোটেরন ব্যবহারে চুল ফিরে আসার ক্ষেত্রে ৫৩৯ শতাংশ উন্নতি ঘটেছে। দ্বিতীয় ট্রায়ালে এই উন্নতির হার ছিল ১৬৮ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ওষুধটি নিরাপদ ও সহনীয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। কোম্পানির সিইও জিওভান্নি দি নাপোলি বলেন, ‘এটি চুল পড়া রোগীদের জন্য চিকিৎসার এক নতুন যুগের দরজা খুলে দেবে।’
এই আশাব্যঞ্জক ফলের কারণে ওষুধটি আগামী বছর ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন পেতে পারে। অনুমোদন পেলে এটি হবে গত ৩০ বছরে প্রথম কার্যকর টাক প্রতিরোধের ওষুধ। উল্লেখ্য, এফডিএ ২০২০ সালে এই ওষুধকে ব্রণের চিকিৎসার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। ওষুধটি তৈরি করেছে ক্যাসিওপিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা এখন কসমোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
পুরুষদের টাক কীভাবে বাড়ে—
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, পুরুষদের টাক ধীরে ধীরে সাতটি ধাপে বাড়ে।
ধাপ ১: মাথায় খুব কম বা কোনো চুল পড়া দেখা যায় না।
ধাপ ২: কপালের দুপাশ (টেম্পল) এবং কানের পেছন থেকে চুল কমতে থাকে।
ধাপ ৩: কপালের পাশে গভীর হেয়ারলাইন রিসেশন হয়, হেয়ারলাইনের আকৃতি ‘M’ বা ‘U’-এর মতো হয়।
ধাপ ৪: মাথার ওপরের অংশ (ক্রাউন) থেকে চুল পড়া শুরু হয়।
ধাপ ৫: কপালের রিসেশন ধীরে ধীরে ক্রাউনের টাক জায়গার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
ধাপ ৬: টেম্পল ও ক্রাউনের মাঝের অংশ থেকেও চুল উধাও হতে থাকে।
ধাপ ৭: মাথার ওপরে একেবারেই চুল থাকে না, শুধু চারপাশে পাতলা একটি রিংয়ের মতো চুল থাকে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লাসকোটেরন অনুমোদন পেলে অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়ায় বা টাকের সমস্যায় ভোগা কোটি মানুষের জন্য এটি হবে যুগান্তকারী চিকিৎসা। যাঁরা এখনো চুল ফিরিয়ে আনার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন, তাঁরা প্রথমবারের মতো কার্যকর সমাধান পেতে পারেন।

টাকের সমস্যা বা অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বিশ্বজুড়ে পুরুষদের মধ্যে দেখা দেওয়া সবচেয়ে সাধারণ চুল পড়ার সমস্যা। সাধারণত ২০ বছর বয়সের শেষ ভাগ বা ৩০-এর শুরুর দিকে অনেক পুরুষই এ সমস্যায় ভোগেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, মাথার স্ক্যাল্প বা ত্বকে চুল ঝরে পড়ার পর সেই চুল আর স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে না। ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, কপালের দুপাশ থেকে হেয়ারলাইন পিছিয়ে যাওয়া—সবই টাকের লক্ষণ।
চুল পড়া রোধে নানা গবেষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে বহু ওষুধ। কিন্তু এত দিন কোনো চিকিৎসাই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে ‘ক্লাসকোটেরন’ (clascoterone) নামের একটি ওষুধে আশার আলো দেখছেন গবেষকেরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে ব্রণ চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে এটি অনুমোদন পেয়েছিল।
আইরিশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কসমো ফার্মাসিউটিক্যালস নভেম্বরে ওষুধটির দুটি (ফেজ-৩) ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে। এতে মোট ১ হাজার ৫০০ পুরুষ অংশ নেন। এক দলকে দেওয়া হয় প্লাসেবো, অন্য দল ব্যবহার করে ক্লাসকোটেরন।
প্রথম ট্রায়ালে দেখা গেছে, ক্লাসকোটেরন ব্যবহারে চুল ফিরে আসার ক্ষেত্রে ৫৩৯ শতাংশ উন্নতি ঘটেছে। দ্বিতীয় ট্রায়ালে এই উন্নতির হার ছিল ১৬৮ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ওষুধটি নিরাপদ ও সহনীয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। কোম্পানির সিইও জিওভান্নি দি নাপোলি বলেন, ‘এটি চুল পড়া রোগীদের জন্য চিকিৎসার এক নতুন যুগের দরজা খুলে দেবে।’
এই আশাব্যঞ্জক ফলের কারণে ওষুধটি আগামী বছর ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন পেতে পারে। অনুমোদন পেলে এটি হবে গত ৩০ বছরে প্রথম কার্যকর টাক প্রতিরোধের ওষুধ। উল্লেখ্য, এফডিএ ২০২০ সালে এই ওষুধকে ব্রণের চিকিৎসার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। ওষুধটি তৈরি করেছে ক্যাসিওপিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যা এখন কসমোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
পুরুষদের টাক কীভাবে বাড়ে—
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, পুরুষদের টাক ধীরে ধীরে সাতটি ধাপে বাড়ে।
ধাপ ১: মাথায় খুব কম বা কোনো চুল পড়া দেখা যায় না।
ধাপ ২: কপালের দুপাশ (টেম্পল) এবং কানের পেছন থেকে চুল কমতে থাকে।
ধাপ ৩: কপালের পাশে গভীর হেয়ারলাইন রিসেশন হয়, হেয়ারলাইনের আকৃতি ‘M’ বা ‘U’-এর মতো হয়।
ধাপ ৪: মাথার ওপরের অংশ (ক্রাউন) থেকে চুল পড়া শুরু হয়।
ধাপ ৫: কপালের রিসেশন ধীরে ধীরে ক্রাউনের টাক জায়গার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
ধাপ ৬: টেম্পল ও ক্রাউনের মাঝের অংশ থেকেও চুল উধাও হতে থাকে।
ধাপ ৭: মাথার ওপরে একেবারেই চুল থাকে না, শুধু চারপাশে পাতলা একটি রিংয়ের মতো চুল থাকে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লাসকোটেরন অনুমোদন পেলে অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়ায় বা টাকের সমস্যায় ভোগা কোটি মানুষের জন্য এটি হবে যুগান্তকারী চিকিৎসা। যাঁরা এখনো চুল ফিরিয়ে আনার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন, তাঁরা প্রথমবারের মতো কার্যকর সমাধান পেতে পারেন।

বিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা
১৫ জুলাই ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
১ দিন আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি) ওষুধশিল্পকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী ও জাতীয় স্বাস্থ্যনিরাপত্তা জোরদার করতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো খোলাচিঠিতে এই নীতিকে ‘জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও এএইচআরবির আহ্বায়ক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এপিআই, ভ্যাকসিন, আইভিডি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে দ্রুত দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য গবেষণা–উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রণোদনা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমদানি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির সফল বাস্তবায়ন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, কঠোর তদারকি ও দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বে বড় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তর না ঘটলে দেশের ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত ৭ শতাংশের নিচে থাকবে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এই রূপান্তরের বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। ভারতে মোট রপ্তানির ৫ শতাংশ আসে ওষুধশিল্প থেকে, যেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ০.৫ শতাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোয়েল মকিয়ের উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়, ‘জ্ঞানই আধুনিক অর্থনীতির প্রধান চালক।’ তাই খাতটিকে টেকসই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তরিত করা জরুরি।
এপিআই নীতি কার্যকর করতে পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত বাধা দূর করা, আকর্ষণীয় প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করা, আর অ্যান্ড ডি-তে ধারাবাহিক সরকারি অনুদান, একাডেমিয়া–ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা জোরদার এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন।
চিঠিতে বলা হয়, এ নীতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এগোবে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও দ্রুত তদারকি নিশ্চিত করলে এপিআই নীতি কাগুজে অবস্থায় আটকে থাকবে না। আমদানিনির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, রপ্তানি বাড়বে, দক্ষ কর্মসংস্থান বাড়বে এবং ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত উন্নত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এটি কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা, সক্ষমতা ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত কৌশলগত রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার।

অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি) ওষুধশিল্পকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী ও জাতীয় স্বাস্থ্যনিরাপত্তা জোরদার করতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো খোলাচিঠিতে এই নীতিকে ‘জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও এএইচআরবির আহ্বায়ক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এপিআই, ভ্যাকসিন, আইভিডি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে দ্রুত দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য গবেষণা–উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রণোদনা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমদানি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির সফল বাস্তবায়ন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, কঠোর তদারকি ও দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বে বড় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তর না ঘটলে দেশের ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত ৭ শতাংশের নিচে থাকবে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এই রূপান্তরের বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। ভারতে মোট রপ্তানির ৫ শতাংশ আসে ওষুধশিল্প থেকে, যেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ০.৫ শতাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোয়েল মকিয়ের উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়, ‘জ্ঞানই আধুনিক অর্থনীতির প্রধান চালক।’ তাই খাতটিকে টেকসই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তরিত করা জরুরি।
এপিআই নীতি কার্যকর করতে পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত বাধা দূর করা, আকর্ষণীয় প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করা, আর অ্যান্ড ডি-তে ধারাবাহিক সরকারি অনুদান, একাডেমিয়া–ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা জোরদার এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন।
চিঠিতে বলা হয়, এ নীতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এগোবে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও দ্রুত তদারকি নিশ্চিত করলে এপিআই নীতি কাগুজে অবস্থায় আটকে থাকবে না। আমদানিনির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, রপ্তানি বাড়বে, দক্ষ কর্মসংস্থান বাড়বে এবং ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত উন্নত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এটি কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা, সক্ষমতা ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত কৌশলগত রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার।

বিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা
১৫ জুলাই ২০২৫
চুল পড়া রোধে নানা গবেষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে বহু ওষুধ। কিন্তু এত দিন কোনো চিকিৎসাই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে ‘ক্লাসকোটেরন’ (clascoterone) নামের একটি ওষুধে আশার আলো দেখছেন গবেষকেরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে ব্রণ চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে এটি অনুমোদন পেয়েছিল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স জানিয়েছেন, দেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
আজ রোববার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এই অর্জন প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ সরকার শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে সুরক্ষা এবং পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপ কমাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, টিসিভি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে অগ্রগামী অবস্থানে এসেছে।
এই টিকা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন শিশুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভেতে (এমআইসিএস) দেখা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আওতায় পানি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পানির সব ধরনের উৎসের প্রায় অর্ধেক (৪৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং প্রতি ১০টির মধ্যে আটটি পরিবারে ব্যবহৃত পানির নমুনায় (৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ) ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে। এসব সংখ্যা এটাই বোঝায় যে, লাখ লাখ শিশুর জন্য টাইফয়েডের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়া খুবই সহজ। তারা প্রতিটি দিন এই ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সাধারণ এক গ্লাস পানিই তাদের জন্য ভয়ানক বিপদ নিয়ে আসতে পারে।
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘এ কারণে ইউনিসেফ এ ক্যাম্পেইন শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে জরুরিভাবে সহায়তা করে। প্রতিটি পরিবারের জন্য পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দেওয়া, তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা এবং বাবা-মায়েদের দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার জন্য আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী যেসব সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা দিতে পারি, তার মধ্যে টিসিভি টিকা অন্যতম।’
রানা ফ্লাওয়ার্স জানান, ক্যাম্পেইন সফল করতে ইউনিসেফ ৫ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিসিভি সরবরাহ করেছে, নতুন কোল্ড রুম স্থাপন ও ভ্যাক্সইপিআই (VaxEPI) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে। পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করেছে সংস্থাটি।
রানা ফ্লাওয়ার্স অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটির সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সহযোগীকে নিয়ে ১২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, দেশের সব অঞ্চলের শিশুকে—জলাভূমি, পাহাড়ি এলাকা, উপকূলীয় অঞ্চল, ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায়, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, চা-বাগানের শ্রমিকদের সন্তান এবং রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা ৪ লাখ ২৪ হাজার শিশুকে—এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হয়েছে।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিকে (ইপিআই) তাদের নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সহায়তার কারণেই একসময় দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়ার এই কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য আমাদের পাশে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও অন্য অংশীজনদের ভূমিকাও আমরা স্মরণ করছি।’
রানা ফ্লাওয়ার্স গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ভুল তথ্যের যুগে গণমাধ্যম পরিবারগুলোকে আস্থাপূর্ণ তথ্য দিয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুদের জন্য ভালো কিছু করার যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা করতে পারি, তার মধ্যে টিকা প্রদান সবচেয়ে শক্তিশালী—এটি কেবল টিকার নয়, বরং স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও আশার প্রতিশ্রুতি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিটি শিশুর জন্য টাইফয়েডমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে।’

বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স জানিয়েছেন, দেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
আজ রোববার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এই অর্জন প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ সরকার শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে সুরক্ষা এবং পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপ কমাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, টিসিভি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে অগ্রগামী অবস্থানে এসেছে।
এই টিকা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন শিশুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভেতে (এমআইসিএস) দেখা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আওতায় পানি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পানির সব ধরনের উৎসের প্রায় অর্ধেক (৪৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং প্রতি ১০টির মধ্যে আটটি পরিবারে ব্যবহৃত পানির নমুনায় (৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ) ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে। এসব সংখ্যা এটাই বোঝায় যে, লাখ লাখ শিশুর জন্য টাইফয়েডের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়া খুবই সহজ। তারা প্রতিটি দিন এই ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সাধারণ এক গ্লাস পানিই তাদের জন্য ভয়ানক বিপদ নিয়ে আসতে পারে।
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘এ কারণে ইউনিসেফ এ ক্যাম্পেইন শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে জরুরিভাবে সহায়তা করে। প্রতিটি পরিবারের জন্য পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দেওয়া, তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা এবং বাবা-মায়েদের দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার জন্য আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী যেসব সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা দিতে পারি, তার মধ্যে টিসিভি টিকা অন্যতম।’
রানা ফ্লাওয়ার্স জানান, ক্যাম্পেইন সফল করতে ইউনিসেফ ৫ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিসিভি সরবরাহ করেছে, নতুন কোল্ড রুম স্থাপন ও ভ্যাক্সইপিআই (VaxEPI) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে। পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করেছে সংস্থাটি।
রানা ফ্লাওয়ার্স অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটির সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সহযোগীকে নিয়ে ১২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, দেশের সব অঞ্চলের শিশুকে—জলাভূমি, পাহাড়ি এলাকা, উপকূলীয় অঞ্চল, ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায়, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, চা-বাগানের শ্রমিকদের সন্তান এবং রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা ৪ লাখ ২৪ হাজার শিশুকে—এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হয়েছে।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিকে (ইপিআই) তাদের নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সহায়তার কারণেই একসময় দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়ার এই কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য আমাদের পাশে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও অন্য অংশীজনদের ভূমিকাও আমরা স্মরণ করছি।’
রানা ফ্লাওয়ার্স গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ভুল তথ্যের যুগে গণমাধ্যম পরিবারগুলোকে আস্থাপূর্ণ তথ্য দিয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুদের জন্য ভালো কিছু করার যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা করতে পারি, তার মধ্যে টিকা প্রদান সবচেয়ে শক্তিশালী—এটি কেবল টিকার নয়, বরং স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও আশার প্রতিশ্রুতি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিটি শিশুর জন্য টাইফয়েডমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে।’

বিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা
১৫ জুলাই ২০২৫
চুল পড়া রোধে নানা গবেষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে বহু ওষুধ। কিন্তু এত দিন কোনো চিকিৎসাই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে ‘ক্লাসকোটেরন’ (clascoterone) নামের একটি ওষুধে আশার আলো দেখছেন গবেষকেরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে ব্রণ চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে এটি অনুমোদন পেয়েছিল।
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
১ দিন আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ থেকে

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেল ৪টার দিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস।
ওই চিকিৎসককে জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি মো. আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ উত্তর দিতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। চলতি বছরের জুলাই মাসে আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান তিনি।
মমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের ইনচার্জ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. ধনদেব বর্মণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি চাকরির শেষ বয়সে চলে এসেছি। আমার বন্ধুবান্ধব সবাই অধ্যাপক পদে রয়েছেন। আমাকে সারাজীবন লেকচারার হিসেবেই থাকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের ডিজি আমার সমবয়সী হবেন। আমি হাসপাতালের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা বলেছি তাঁকে। এটি শুনে তিনি রেগে গেছেন। রোগী ও ডাক্তারদের সামনে আমার সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি ডিজি তাই আমার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।’
ধনদেব বর্মণ আরও বলেন, ‘আমাকে নাকি শোকজ করা হয়েছে। আমি আর চাকরি করব না। নিজে থেকেই চলে যাব দু-এক দিনের মধ্যে।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেল ৪টার দিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস।
ওই চিকিৎসককে জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি মো. আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ উত্তর দিতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। চলতি বছরের জুলাই মাসে আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান তিনি।
মমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের ইনচার্জ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. ধনদেব বর্মণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি চাকরির শেষ বয়সে চলে এসেছি। আমার বন্ধুবান্ধব সবাই অধ্যাপক পদে রয়েছেন। আমাকে সারাজীবন লেকচারার হিসেবেই থাকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের ডিজি আমার সমবয়সী হবেন। আমি হাসপাতালের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা বলেছি তাঁকে। এটি শুনে তিনি রেগে গেছেন। রোগী ও ডাক্তারদের সামনে আমার সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি ডিজি তাই আমার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।’
ধনদেব বর্মণ আরও বলেন, ‘আমাকে নাকি শোকজ করা হয়েছে। আমি আর চাকরি করব না। নিজে থেকেই চলে যাব দু-এক দিনের মধ্যে।’

বিশ্বজুড়ে অন্তত ১ কোটি ৪৩ লাখ শিশু এখনো এক ডোজও টিকা পায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নতুন বার্ষিক প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ১৯৫টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা
১৫ জুলাই ২০২৫
চুল পড়া রোধে নানা গবেষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে বহু ওষুধ। কিন্তু এত দিন কোনো চিকিৎসাই উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে ‘ক্লাসকোটেরন’ (clascoterone) নামের একটি ওষুধে আশার আলো দেখছেন গবেষকেরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে ব্রণ চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে এটি অনুমোদন পেয়েছিল।
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
১ দিন আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১ দিন আগে