আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে চুপচাপ হয়ে যায় মোসা. লামিয়া। মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন মা রুমা বেগম, নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু ট্রমায় ভুগতে থাকা লামিয়া অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সে একেবারে একা একা থাকতে শুরু করে, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে না সে। কিন্তু মায়ের চেষ্টা থামে না। মেয়েকে খুশি করতে তাঁর নানা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেন তিনি। তাকে নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে আর লামিয়ার নানাবাড়ি আর যাওয়া হলো না!
গতকাল শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসার দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় লামিয়ার লাশ। আজ রোববার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে পটুয়াখালীতে চলে যান মা ও নানী আকলিমা বেগম।
আদাবরের শেখেরটেক ৬ নম্বর সড়কের মাথায় শ্যামলী হাউজিং এলাকায় রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে তিন তলা জরাজীর্ণ একটি ভবন। সেই ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ৯ বছর ধরে সপরিবারে ভাড়ায় থাকতে লামিয়ার বাবা জসিম হাওলাদার। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন। জসিম ও রুমা দম্পতির তিন সন্তান— লামিয়া, রিয়া মনি ও নয় মাসের জুবায়ের। ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় লামিয়া পটুয়াখালী পাঙ্গাশিয়া নানার বাড়িতে থেকে দুমকি সরকারি জনতা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন জসিম; ৩০ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাকে পটুয়াখালীর দুমকি দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া হাওলাদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সহপাঠীর মাধ্যমেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় লামিয়া
বাবাকে হারানোর বেদনার মধ্যে দুর্বিষহ ট্রমার শিকার হয় লামিয়া। চলতি বছর ১৮ মার্চ দুপুরে বাবার কবর জিয়ারত করতে সে পাঙ্গাশিয়ার নানা বাড়ি থেকে দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া দাদার বাড়িতে যায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে দাদা বাড়ির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বিকেল হয়ে যায়। বিকেলে বাবার কবর জিয়ারত করে সন্ধ্যার দিকে ফের নানা বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পায়ে হেটে পাঙ্গাশিয়া নানা বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঙ্গাশিয়ার আলগি নাম স্থানে পৌঁছালে তার পথরোধ করে তারই সহপাঠী সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সী। তার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয় সাকিব। হাত ধরে ও মুখ চেপে সড়কের পাশে জলিল মুন্সীর বাগানের ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে এই দুই বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে; মোবাইলে ছবি ও ভিডিওধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। এরপর লামিয়াকে ফেলে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। লামিয়া কোনোভাবে নিজেকে সামলে নানা বাড়িতে গিয়ে ঘটনা স্বজনদের জানায়। লামিয়ার মা ঢাকা থেকে ছুটে যান বাড়িতে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় লামিয়া। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেই বাদি হয়ে দুমকি থানায় ওই দুই কিশোরকে আসামি করে মামলা করে লামিয়া। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সাকিব ও সিফাতকে। তারা বর্তমানে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলার পরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে। তারা দুজনেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
কটূক্তি ও সামাজিক চাপে চুপচাপ হয়ে যায় লামিয়া, অবশেষ আত্মহত্যা
পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ঘটনাটি দুমকি এলাকায় জানাজানি হয়; আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহপাঠীরা নানা কটূক্তি করেন, কানাঘুষা হতে থাকে। এসব থেকে বাঁচতে নিজেই ঘরবন্দী হয় লামিয়া। তাকে চলতি মাসেই ঢাকায় নিয়ে আসেন তাঁর মা রুমা বেগম। ঢাকায় সারাদিন নিজেকে বাসার মধ্যেই লুকিয়া রাখতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
আজ রোববার সকালে শ্যামলী হাউজিংয়ের ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, এক কক্ষের বাসার লোহার দরজাটির সিটকানির পাশ দিয়ে টিন কাটা, দরজাটিও বাঁকা হয়ে যায়। প্রতিবেশী জাকির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ভেতর থেকে সিটকিনি আটকানো ছিল। দরজা কেটে লামিয়াকে বাসা থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দরজাটি সেই অবস্থায় আছে। তবে ভাঙা দরজায় বাইরে থেকে একটি তালা দেওয়া রয়েছে।
আরেক প্রতিবেশী শারমিন আক্তার বলেন, লামিয়া ধর্ষণের ঘটনার পর বাসা থেকে বের হতো না। সারাদিন বাসার ভেতরেই থাকতো। দুইবার চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) লামিয়াকে জামা কাপড় কিনে দেয় মা, ২৭ এপ্রিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় লামিয়াকে বাসায় রেখে মেয়ে রিয়া মনিকে পাশের মাদ্রাসা থেকে আনতে যায় রুমা বেগম। এই ফাঁকে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। বাসার পেছনের জানালা দিয়ে রাত ৮টার দিকে নবোদয় হাউজিংয়ের বস্তির লোকজন ঝুলতে দেখে তারা ওই বাসার বাসিন্দাদের জানায়। এরপর সবাই গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে লামিয়াকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন, দরজা ভেঙে তাকে বের করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে অটোতে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শনিবার রাত ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন আদাবর থানার এসআই কমল চন্দ্র ধর। মৃত্যুর কারণ হিসেব তিনি ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার’ কথা উল্লেখ করেছেন। ‘তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ’ রয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন।
রোববার সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. সুব্রত হালদার তার ময়নাতদন্ত করেন। এসময় মর্গের সামনে লামিয়ার মা ও স্বজনদের বিলাপ করতে দেখা যায়।
লামিয়া মা রুমা বেগম বলেন, ‘আমার পাখিকে আমি বাঁচাতে পারলাম না। তাকে নিজের কাছে রাখছি, যাতে কেউ কিছু না বলতে পারে, তারপরও আমার পাখি চলে গেল।’
সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লামিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসর নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে ছুটে যায় বিএনপি ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা লামিয়ার মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে লামিয়ার বাবা জসিম আন্দোলনে নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন সংগঠন ও মানুষের দান-অনুদানে রুমা বেগম সংসার চালাতেন। ঢাকার খরচ না চালাতে পেরে চলতি মাসে বাসাও ছেড়ে দেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে চুপচাপ হয়ে যায় মোসা. লামিয়া। মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন মা রুমা বেগম, নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু ট্রমায় ভুগতে থাকা লামিয়া অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সে একেবারে একা একা থাকতে শুরু করে, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে না সে। কিন্তু মায়ের চেষ্টা থামে না। মেয়েকে খুশি করতে তাঁর নানা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেন তিনি। তাকে নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে আর লামিয়ার নানাবাড়ি আর যাওয়া হলো না!
গতকাল শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসার দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় লামিয়ার লাশ। আজ রোববার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে পটুয়াখালীতে চলে যান মা ও নানী আকলিমা বেগম।
আদাবরের শেখেরটেক ৬ নম্বর সড়কের মাথায় শ্যামলী হাউজিং এলাকায় রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে তিন তলা জরাজীর্ণ একটি ভবন। সেই ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ৯ বছর ধরে সপরিবারে ভাড়ায় থাকতে লামিয়ার বাবা জসিম হাওলাদার। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন। জসিম ও রুমা দম্পতির তিন সন্তান— লামিয়া, রিয়া মনি ও নয় মাসের জুবায়ের। ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় লামিয়া পটুয়াখালী পাঙ্গাশিয়া নানার বাড়িতে থেকে দুমকি সরকারি জনতা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন জসিম; ৩০ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাকে পটুয়াখালীর দুমকি দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া হাওলাদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সহপাঠীর মাধ্যমেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় লামিয়া
বাবাকে হারানোর বেদনার মধ্যে দুর্বিষহ ট্রমার শিকার হয় লামিয়া। চলতি বছর ১৮ মার্চ দুপুরে বাবার কবর জিয়ারত করতে সে পাঙ্গাশিয়ার নানা বাড়ি থেকে দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া দাদার বাড়িতে যায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে দাদা বাড়ির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বিকেল হয়ে যায়। বিকেলে বাবার কবর জিয়ারত করে সন্ধ্যার দিকে ফের নানা বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পায়ে হেটে পাঙ্গাশিয়া নানা বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঙ্গাশিয়ার আলগি নাম স্থানে পৌঁছালে তার পথরোধ করে তারই সহপাঠী সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সী। তার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয় সাকিব। হাত ধরে ও মুখ চেপে সড়কের পাশে জলিল মুন্সীর বাগানের ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে এই দুই বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে; মোবাইলে ছবি ও ভিডিওধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। এরপর লামিয়াকে ফেলে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। লামিয়া কোনোভাবে নিজেকে সামলে নানা বাড়িতে গিয়ে ঘটনা স্বজনদের জানায়। লামিয়ার মা ঢাকা থেকে ছুটে যান বাড়িতে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় লামিয়া। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেই বাদি হয়ে দুমকি থানায় ওই দুই কিশোরকে আসামি করে মামলা করে লামিয়া। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সাকিব ও সিফাতকে। তারা বর্তমানে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলার পরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে। তারা দুজনেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
কটূক্তি ও সামাজিক চাপে চুপচাপ হয়ে যায় লামিয়া, অবশেষ আত্মহত্যা
পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ঘটনাটি দুমকি এলাকায় জানাজানি হয়; আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহপাঠীরা নানা কটূক্তি করেন, কানাঘুষা হতে থাকে। এসব থেকে বাঁচতে নিজেই ঘরবন্দী হয় লামিয়া। তাকে চলতি মাসেই ঢাকায় নিয়ে আসেন তাঁর মা রুমা বেগম। ঢাকায় সারাদিন নিজেকে বাসার মধ্যেই লুকিয়া রাখতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
আজ রোববার সকালে শ্যামলী হাউজিংয়ের ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, এক কক্ষের বাসার লোহার দরজাটির সিটকানির পাশ দিয়ে টিন কাটা, দরজাটিও বাঁকা হয়ে যায়। প্রতিবেশী জাকির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ভেতর থেকে সিটকিনি আটকানো ছিল। দরজা কেটে লামিয়াকে বাসা থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দরজাটি সেই অবস্থায় আছে। তবে ভাঙা দরজায় বাইরে থেকে একটি তালা দেওয়া রয়েছে।
আরেক প্রতিবেশী শারমিন আক্তার বলেন, লামিয়া ধর্ষণের ঘটনার পর বাসা থেকে বের হতো না। সারাদিন বাসার ভেতরেই থাকতো। দুইবার চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) লামিয়াকে জামা কাপড় কিনে দেয় মা, ২৭ এপ্রিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় লামিয়াকে বাসায় রেখে মেয়ে রিয়া মনিকে পাশের মাদ্রাসা থেকে আনতে যায় রুমা বেগম। এই ফাঁকে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। বাসার পেছনের জানালা দিয়ে রাত ৮টার দিকে নবোদয় হাউজিংয়ের বস্তির লোকজন ঝুলতে দেখে তারা ওই বাসার বাসিন্দাদের জানায়। এরপর সবাই গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে লামিয়াকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন, দরজা ভেঙে তাকে বের করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে অটোতে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শনিবার রাত ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন আদাবর থানার এসআই কমল চন্দ্র ধর। মৃত্যুর কারণ হিসেব তিনি ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার’ কথা উল্লেখ করেছেন। ‘তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ’ রয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন।
রোববার সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. সুব্রত হালদার তার ময়নাতদন্ত করেন। এসময় মর্গের সামনে লামিয়ার মা ও স্বজনদের বিলাপ করতে দেখা যায়।
লামিয়া মা রুমা বেগম বলেন, ‘আমার পাখিকে আমি বাঁচাতে পারলাম না। তাকে নিজের কাছে রাখছি, যাতে কেউ কিছু না বলতে পারে, তারপরও আমার পাখি চলে গেল।’
সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লামিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসর নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে ছুটে যায় বিএনপি ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা লামিয়ার মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে লামিয়ার বাবা জসিম আন্দোলনে নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন সংগঠন ও মানুষের দান-অনুদানে রুমা বেগম সংসার চালাতেন। ঢাকার খরচ না চালাতে পেরে চলতি মাসে বাসাও ছেড়ে দেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে চুপচাপ হয়ে যায় মোসা. লামিয়া। মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন মা রুমা বেগম, নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু ট্রমায় ভুগতে থাকা লামিয়া অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সে একেবারে একা একা থাকতে শুরু করে, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে না সে। কিন্তু মায়ের চেষ্টা থামে না। মেয়েকে খুশি করতে তাঁর নানা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেন তিনি। তাকে নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে আর লামিয়ার নানাবাড়ি আর যাওয়া হলো না!
গতকাল শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসার দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় লামিয়ার লাশ। আজ রোববার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে পটুয়াখালীতে চলে যান মা ও নানী আকলিমা বেগম।
আদাবরের শেখেরটেক ৬ নম্বর সড়কের মাথায় শ্যামলী হাউজিং এলাকায় রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে তিন তলা জরাজীর্ণ একটি ভবন। সেই ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ৯ বছর ধরে সপরিবারে ভাড়ায় থাকতে লামিয়ার বাবা জসিম হাওলাদার। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন। জসিম ও রুমা দম্পতির তিন সন্তান— লামিয়া, রিয়া মনি ও নয় মাসের জুবায়ের। ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় লামিয়া পটুয়াখালী পাঙ্গাশিয়া নানার বাড়িতে থেকে দুমকি সরকারি জনতা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন জসিম; ৩০ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাকে পটুয়াখালীর দুমকি দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া হাওলাদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সহপাঠীর মাধ্যমেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় লামিয়া
বাবাকে হারানোর বেদনার মধ্যে দুর্বিষহ ট্রমার শিকার হয় লামিয়া। চলতি বছর ১৮ মার্চ দুপুরে বাবার কবর জিয়ারত করতে সে পাঙ্গাশিয়ার নানা বাড়ি থেকে দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া দাদার বাড়িতে যায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে দাদা বাড়ির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বিকেল হয়ে যায়। বিকেলে বাবার কবর জিয়ারত করে সন্ধ্যার দিকে ফের নানা বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পায়ে হেটে পাঙ্গাশিয়া নানা বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঙ্গাশিয়ার আলগি নাম স্থানে পৌঁছালে তার পথরোধ করে তারই সহপাঠী সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সী। তার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয় সাকিব। হাত ধরে ও মুখ চেপে সড়কের পাশে জলিল মুন্সীর বাগানের ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে এই দুই বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে; মোবাইলে ছবি ও ভিডিওধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। এরপর লামিয়াকে ফেলে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। লামিয়া কোনোভাবে নিজেকে সামলে নানা বাড়িতে গিয়ে ঘটনা স্বজনদের জানায়। লামিয়ার মা ঢাকা থেকে ছুটে যান বাড়িতে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় লামিয়া। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেই বাদি হয়ে দুমকি থানায় ওই দুই কিশোরকে আসামি করে মামলা করে লামিয়া। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সাকিব ও সিফাতকে। তারা বর্তমানে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলার পরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে। তারা দুজনেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
কটূক্তি ও সামাজিক চাপে চুপচাপ হয়ে যায় লামিয়া, অবশেষ আত্মহত্যা
পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ঘটনাটি দুমকি এলাকায় জানাজানি হয়; আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহপাঠীরা নানা কটূক্তি করেন, কানাঘুষা হতে থাকে। এসব থেকে বাঁচতে নিজেই ঘরবন্দী হয় লামিয়া। তাকে চলতি মাসেই ঢাকায় নিয়ে আসেন তাঁর মা রুমা বেগম। ঢাকায় সারাদিন নিজেকে বাসার মধ্যেই লুকিয়া রাখতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
আজ রোববার সকালে শ্যামলী হাউজিংয়ের ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, এক কক্ষের বাসার লোহার দরজাটির সিটকানির পাশ দিয়ে টিন কাটা, দরজাটিও বাঁকা হয়ে যায়। প্রতিবেশী জাকির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ভেতর থেকে সিটকিনি আটকানো ছিল। দরজা কেটে লামিয়াকে বাসা থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দরজাটি সেই অবস্থায় আছে। তবে ভাঙা দরজায় বাইরে থেকে একটি তালা দেওয়া রয়েছে।
আরেক প্রতিবেশী শারমিন আক্তার বলেন, লামিয়া ধর্ষণের ঘটনার পর বাসা থেকে বের হতো না। সারাদিন বাসার ভেতরেই থাকতো। দুইবার চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) লামিয়াকে জামা কাপড় কিনে দেয় মা, ২৭ এপ্রিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় লামিয়াকে বাসায় রেখে মেয়ে রিয়া মনিকে পাশের মাদ্রাসা থেকে আনতে যায় রুমা বেগম। এই ফাঁকে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। বাসার পেছনের জানালা দিয়ে রাত ৮টার দিকে নবোদয় হাউজিংয়ের বস্তির লোকজন ঝুলতে দেখে তারা ওই বাসার বাসিন্দাদের জানায়। এরপর সবাই গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে লামিয়াকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন, দরজা ভেঙে তাকে বের করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে অটোতে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শনিবার রাত ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন আদাবর থানার এসআই কমল চন্দ্র ধর। মৃত্যুর কারণ হিসেব তিনি ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার’ কথা উল্লেখ করেছেন। ‘তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ’ রয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন।
রোববার সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. সুব্রত হালদার তার ময়নাতদন্ত করেন। এসময় মর্গের সামনে লামিয়ার মা ও স্বজনদের বিলাপ করতে দেখা যায়।
লামিয়া মা রুমা বেগম বলেন, ‘আমার পাখিকে আমি বাঁচাতে পারলাম না। তাকে নিজের কাছে রাখছি, যাতে কেউ কিছু না বলতে পারে, তারপরও আমার পাখি চলে গেল।’
সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লামিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসর নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে ছুটে যায় বিএনপি ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা লামিয়ার মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে লামিয়ার বাবা জসিম আন্দোলনে নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন সংগঠন ও মানুষের দান-অনুদানে রুমা বেগম সংসার চালাতেন। ঢাকার খরচ না চালাতে পেরে চলতি মাসে বাসাও ছেড়ে দেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে চুপচাপ হয়ে যায় মোসা. লামিয়া। মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন মা রুমা বেগম, নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু ট্রমায় ভুগতে থাকা লামিয়া অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সে একেবারে একা একা থাকতে শুরু করে, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে না সে। কিন্তু মায়ের চেষ্টা থামে না। মেয়েকে খুশি করতে তাঁর নানা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেন তিনি। তাকে নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে আর লামিয়ার নানাবাড়ি আর যাওয়া হলো না!
গতকাল শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসার দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় লামিয়ার লাশ। আজ রোববার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে পটুয়াখালীতে চলে যান মা ও নানী আকলিমা বেগম।
আদাবরের শেখেরটেক ৬ নম্বর সড়কের মাথায় শ্যামলী হাউজিং এলাকায় রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে তিন তলা জরাজীর্ণ একটি ভবন। সেই ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ৯ বছর ধরে সপরিবারে ভাড়ায় থাকতে লামিয়ার বাবা জসিম হাওলাদার। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ছিলেন। জসিম ও রুমা দম্পতির তিন সন্তান— লামিয়া, রিয়া মনি ও নয় মাসের জুবায়ের। ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় লামিয়া পটুয়াখালী পাঙ্গাশিয়া নানার বাড়িতে থেকে দুমকি সরকারি জনতা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ত।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন জসিম; ৩০ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাকে পটুয়াখালীর দুমকি দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া হাওলাদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সহপাঠীর মাধ্যমেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় লামিয়া
বাবাকে হারানোর বেদনার মধ্যে দুর্বিষহ ট্রমার শিকার হয় লামিয়া। চলতি বছর ১৮ মার্চ দুপুরে বাবার কবর জিয়ারত করতে সে পাঙ্গাশিয়ার নানা বাড়ি থেকে দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া দাদার বাড়িতে যায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে দাদা বাড়ির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বিকেল হয়ে যায়। বিকেলে বাবার কবর জিয়ারত করে সন্ধ্যার দিকে ফের নানা বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পায়ে হেটে পাঙ্গাশিয়া নানা বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঙ্গাশিয়ার আলগি নাম স্থানে পৌঁছালে তার পথরোধ করে তারই সহপাঠী সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সী। তার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয় সাকিব। হাত ধরে ও মুখ চেপে সড়কের পাশে জলিল মুন্সীর বাগানের ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে এই দুই বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে; মোবাইলে ছবি ও ভিডিওধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। এরপর লামিয়াকে ফেলে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। লামিয়া কোনোভাবে নিজেকে সামলে নানা বাড়িতে গিয়ে ঘটনা স্বজনদের জানায়। লামিয়ার মা ঢাকা থেকে ছুটে যান বাড়িতে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় লামিয়া। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেই বাদি হয়ে দুমকি থানায় ওই দুই কিশোরকে আসামি করে মামলা করে লামিয়া। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সাকিব ও সিফাতকে। তারা বর্তমানে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলার পরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে। তারা দুজনেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
কটূক্তি ও সামাজিক চাপে চুপচাপ হয়ে যায় লামিয়া, অবশেষ আত্মহত্যা
পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ঘটনাটি দুমকি এলাকায় জানাজানি হয়; আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহপাঠীরা নানা কটূক্তি করেন, কানাঘুষা হতে থাকে। এসব থেকে বাঁচতে নিজেই ঘরবন্দী হয় লামিয়া। তাকে চলতি মাসেই ঢাকায় নিয়ে আসেন তাঁর মা রুমা বেগম। ঢাকায় সারাদিন নিজেকে বাসার মধ্যেই লুকিয়া রাখতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
আজ রোববার সকালে শ্যামলী হাউজিংয়ের ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, এক কক্ষের বাসার লোহার দরজাটির সিটকানির পাশ দিয়ে টিন কাটা, দরজাটিও বাঁকা হয়ে যায়। প্রতিবেশী জাকির হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ভেতর থেকে সিটকিনি আটকানো ছিল। দরজা কেটে লামিয়াকে বাসা থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দরজাটি সেই অবস্থায় আছে। তবে ভাঙা দরজায় বাইরে থেকে একটি তালা দেওয়া রয়েছে।
আরেক প্রতিবেশী শারমিন আক্তার বলেন, লামিয়া ধর্ষণের ঘটনার পর বাসা থেকে বের হতো না। সারাদিন বাসার ভেতরেই থাকতো। দুইবার চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) লামিয়াকে জামা কাপড় কিনে দেয় মা, ২৭ এপ্রিল তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় লামিয়াকে বাসায় রেখে মেয়ে রিয়া মনিকে পাশের মাদ্রাসা থেকে আনতে যায় রুমা বেগম। এই ফাঁকে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। বাসার পেছনের জানালা দিয়ে রাত ৮টার দিকে নবোদয় হাউজিংয়ের বস্তির লোকজন ঝুলতে দেখে তারা ওই বাসার বাসিন্দাদের জানায়। এরপর সবাই গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে লামিয়াকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন, দরজা ভেঙে তাকে বের করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে অটোতে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শনিবার রাত ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন আদাবর থানার এসআই কমল চন্দ্র ধর। মৃত্যুর কারণ হিসেব তিনি ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার’ কথা উল্লেখ করেছেন। ‘তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ’ রয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন।
রোববার সকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. সুব্রত হালদার তার ময়নাতদন্ত করেন। এসময় মর্গের সামনে লামিয়ার মা ও স্বজনদের বিলাপ করতে দেখা যায়।
লামিয়া মা রুমা বেগম বলেন, ‘আমার পাখিকে আমি বাঁচাতে পারলাম না। তাকে নিজের কাছে রাখছি, যাতে কেউ কিছু না বলতে পারে, তারপরও আমার পাখি চলে গেল।’
সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লামিয়ার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসর নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে ছুটে যায় বিএনপি ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা লামিয়ার মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে লামিয়ার বাবা জসিম আন্দোলনে নিহত হওয়ার পর বিভিন্ন সংগঠন ও মানুষের দান-অনুদানে রুমা বেগম সংসার চালাতেন। ঢাকার খরচ না চালাতে পেরে চলতি মাসে বাসাও ছেড়ে দেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৬ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে ট্রমায় ভেঙে পড়া লামিয়া শেষমেশ আত্মহত্যা করল ঢাকার আদাবরে। সহপাঠীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সামাজিক চাপ ও কটূক্তির ভয়ে নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল সে। মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও নতুন জীবন শুরু করা হয়নি লামিয়ার; তার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ ও বিচার দাবি উঠে
২৮ এপ্রিল ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে ট্রমায় ভেঙে পড়া লামিয়া শেষমেশ আত্মহত্যা করল ঢাকার আদাবরে। সহপাঠীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সামাজিক চাপ ও কটূক্তির ভয়ে নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল সে। মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও নতুন জীবন শুরু করা হয়নি লামিয়ার; তার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ ও বিচার দাবি উঠে
২৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৬ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে ট্রমায় ভেঙে পড়া লামিয়া শেষমেশ আত্মহত্যা করল ঢাকার আদাবরে। সহপাঠীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সামাজিক চাপ ও কটূক্তির ভয়ে নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল সে। মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও নতুন জীবন শুরু করা হয়নি লামিয়ার; তার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ ও বিচার দাবি উঠে
২৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৬ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

পটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে ট্রমায় ভেঙে পড়া লামিয়া শেষমেশ আত্মহত্যা করল ঢাকার আদাবরে। সহপাঠীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সামাজিক চাপ ও কটূক্তির ভয়ে নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল সে। মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও নতুন জীবন শুরু করা হয়নি লামিয়ার; তার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ ও বিচার দাবি উঠে
২৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
২৬ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে