Ajker Patrika

হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল

মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গের দায় রিক্রুটিং এজেন্সির

  • প্রতিবেদন কর্মী প্রেরণের ব্যর্থতা এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ।
  • দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চেয়েছেন আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ২৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

১৭ হাজার ৭৭৭ জন মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে রিক্রুটিং এজেন্সির দায় রয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি। গতকাল রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও যেতে না পারাদের টাকা ফেরত দেওয়া এবং তাঁদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ২৭ আগস্টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কালক্ষেপণ করে কর্মীদের বিলম্বে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। এতে বিমানের টিকিটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে টিকিটপ্রাপ্তির অনিশ্চয়তা দেখা দেয় এবং টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি পায়। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে অযাচিত বিলম্ব না করলে শেষ মুহূর্তে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। এ ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর দায়িত্বহীনতাই দায়ী।

প্রতিবেদনে কর্মী প্রেরণের ব্যর্থতা এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। যেসব কর্মী বিদেশ যেতে পারেননি, তাঁদের কাছ থেকে গৃহীত অর্থ অবিলম্বে ফেরত প্রদানের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া ই-ভিসা প্রাপ্ত যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক সে দেশের সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে বলা হয়।

এর আগে সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও প্রায় ২০ হাজারের মতো কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা যুক্ত করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ জুলাই রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে প্রতি তিন মাস পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত