সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানালেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউরেনাস সম্পর্কে আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি, তার অধিকাংশ তথ্যই নাসার ভয়েজার-২ মহাকাশযান সংগ্রহ করেছে। মহাকাশযানটি প্রায় ৪০ বছর আগে ইউরেনাসের কাছে গিয়েছিল।
তবে নতুন গবেষণায় জানা যায়, ভয়েজারের এই সফরের সময় ইউরেনাসের সামনে একটি শক্তিশালী সৌরঝড় হচ্ছিল। ফলে ইউরেনাস সিস্টেমটি আসলেই কেমন তা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছিল।
ইউরেনাস একটি সুন্দর, বরফাচ্ছাদিত বলয়যুক্ত গ্রহ, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরের সীমায় অবস্থান করছে। এটি সমস্ত গ্রহের মধ্যে অন্যতম শীতল গ্রহ। এ ছাড়া এটি অন্যান্য গ্রহের তুলনায় একদিকে তীব্রভাবে ঝুঁকে রয়েছে। মনে হয় যেন এটি উল্টে পড়েছে।
১৯৮৬ সালে ইউরেনাস ও এর পাঁচটি প্রধান চাঁদের প্রথমবারের মতো বেশ কাছে থেকে ছবি তুলে ভয়েজার-২।
বিজ্ঞানীদের আরও বিস্মিত করেছে ভয়েজার-২-এর পাঠানো তথ্য, যা দেখিয়েছে যে, ইউরেনাসের সিস্টেম তাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি অদ্ভুত।
মহাকাশযানটির যন্ত্রপাতি থেকে প্রাপ্ত পরিমাপগুলো নির্দেশ করেছিল যে, ইউরেনাসের গ্রহ ও চাঁদগুলো নিষ্ক্রিয়, যা সৌরজগতের বাইরের অন্যান্য চাঁদের তুলনায় ভিন্ন ছিল। এ ছাড়া ইউরেনাসের সুরক্ষামূলক চৌম্বক ক্ষেত্র অদ্ভুতভাবে বিকৃত ছিল বলে সেসব তথ্য নির্দেশ দিয়েছিল। এটি চ্যাপ্টা হয়ে সূর্য থেকে দূরে সরে গিয়েছিল।
গ্রহ এবং এর চাঁদগুলোর নিঃসৃত গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান আটকে রাখে গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র। সমুদ্র বা ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপ (যেমন: আগ্নেয়গিরি) থেকে এসব উপাদান তৈরি হয়। ভয়েজার-২ এ রকম কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। ফলে ইউরেনাস এবং এর পাঁচটি বৃহত্তম চাঁদ ছিল মৃত এবং নিষ্ক্রিয় ছিল বলে বিজ্ঞানীরা এত দিন মনে করত।
এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়কর তথ্য ছিল। কারণ ইউরেনাস সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ এবং তাদের চাঁদগুলোর বৈশিষ্ট্য থেকে থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।
তবে নতুন বিশ্লেষণটি কয়েক দশকের পুরোনো এই রহস্যের সমাধান করেছে। নতুন গবেষণায় বলা হয়, ভয়েজার-২ একটি খারাপ সময়ে ইউরেনাসের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। ঠিক যখন ভয়েজার ২ ইউরেনাসের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, সূর্য থেকে তখন ব্যাপকভাবে বিকিরণ হচ্ছিল। এর ফলে একটি শক্তিশালী সৌরবায়ু সৃষ্টি হয়েছিল, যা সম্ভবত ইউরেনাস ও এর চাঁদের উপাদানগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল এবং চৌম্বকক্ষেত্রটি সাময়িকভাবে বিকৃত করেছিল।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ড. উইলিয়াম ডানের মতে, ইউরেনাস এবং এর পাঁচটি বৃহত্তম চাঁদ সাধারণত কেমন হবে সে সম্পর্কে ৪০ বছর ধরে আমাদের একটি ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।
তিনি আরও বলেন, ইউরেনাস সিস্টেম আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হতে পারে। এর চাঁদগুলোতে এমন পরিবেশ থাকতে পারে যা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় এবং তাদের পৃষ্ঠের নিচে এমন সমুদ্র থাকতে পারে, যাতে মাছও রয়েছে।
যাঁরা ভয়েজার প্রোগ্রামে কাজ করছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন বিজ্ঞানী হলেন লিন্ডা স্পিলকার। বর্তমানে তিনি ভয়েজার মিশনের প্রকল্প বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। লিন্ডা বলেন, নতুন ফলাফলগুলো সম্পর্কে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
নতুন গবেষণাটি সম্প্রতি ‘নেচার জার্নালের ‘অ্যাস্ট্রোনমি’ বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ফলাফলগুলো চমকপ্রদ এবং আমি সত্যিই উত্তেজিত এটি জেনে যে, ইউরেনিয়াম সিস্টেমে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
শেষবারের মতো ইউরেনাস এবং তার চাঁদগুলোর পাশ দিয়ে ভয়েজার-২ উড়ে যাওয়ার পর প্রায় ৪০ বছর পার হয়ে গেছে। তাই একটি নতুন মিশন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার, যার নাম ‘ইউরেনাস অরবিটার অ্যান্ড প্রোব’। এটি ১০ বছরের মধ্যে আবার ইউরেনাসের কাছে যেতে পারবে এবং আরও কাছ থেকে গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করবে।
ভয়েজার-২-এর ডেটা পুনঃবিশ্লেষণ করার ধারণাটি দিয়েছিলেন নাসার ড. জেমি জাসিনস্কি। তিনি বলেছেন, মিশনটি নতুন ফলাফলগুলোকে মনে রেখে যন্ত্রপাতি ডিজাইন এবং বৈজ্ঞানিক জরিপের পরিকল্পনা করবে।
নাসার নতুন মহাকাশযানটি ইউরেনাসের কাছাকাছি পৌঁছাবে ২০৪৫ সালে। এর মাধ্যমে জানা যাবে, এই শীতল গ্রহটি আসলেই নিষ্ক্রিয় নাকি এটি প্রাণ ধারণে উপযোগী।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানালেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউরেনাস সম্পর্কে আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি, তার অধিকাংশ তথ্যই নাসার ভয়েজার-২ মহাকাশযান সংগ্রহ করেছে। মহাকাশযানটি প্রায় ৪০ বছর আগে ইউরেনাসের কাছে গিয়েছিল।
তবে নতুন গবেষণায় জানা যায়, ভয়েজারের এই সফরের সময় ইউরেনাসের সামনে একটি শক্তিশালী সৌরঝড় হচ্ছিল। ফলে ইউরেনাস সিস্টেমটি আসলেই কেমন তা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছিল।
ইউরেনাস একটি সুন্দর, বরফাচ্ছাদিত বলয়যুক্ত গ্রহ, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরের সীমায় অবস্থান করছে। এটি সমস্ত গ্রহের মধ্যে অন্যতম শীতল গ্রহ। এ ছাড়া এটি অন্যান্য গ্রহের তুলনায় একদিকে তীব্রভাবে ঝুঁকে রয়েছে। মনে হয় যেন এটি উল্টে পড়েছে।
১৯৮৬ সালে ইউরেনাস ও এর পাঁচটি প্রধান চাঁদের প্রথমবারের মতো বেশ কাছে থেকে ছবি তুলে ভয়েজার-২।
বিজ্ঞানীদের আরও বিস্মিত করেছে ভয়েজার-২-এর পাঠানো তথ্য, যা দেখিয়েছে যে, ইউরেনাসের সিস্টেম তাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি অদ্ভুত।
মহাকাশযানটির যন্ত্রপাতি থেকে প্রাপ্ত পরিমাপগুলো নির্দেশ করেছিল যে, ইউরেনাসের গ্রহ ও চাঁদগুলো নিষ্ক্রিয়, যা সৌরজগতের বাইরের অন্যান্য চাঁদের তুলনায় ভিন্ন ছিল। এ ছাড়া ইউরেনাসের সুরক্ষামূলক চৌম্বক ক্ষেত্র অদ্ভুতভাবে বিকৃত ছিল বলে সেসব তথ্য নির্দেশ দিয়েছিল। এটি চ্যাপ্টা হয়ে সূর্য থেকে দূরে সরে গিয়েছিল।
গ্রহ এবং এর চাঁদগুলোর নিঃসৃত গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান আটকে রাখে গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র। সমুদ্র বা ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপ (যেমন: আগ্নেয়গিরি) থেকে এসব উপাদান তৈরি হয়। ভয়েজার-২ এ রকম কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। ফলে ইউরেনাস এবং এর পাঁচটি বৃহত্তম চাঁদ ছিল মৃত এবং নিষ্ক্রিয় ছিল বলে বিজ্ঞানীরা এত দিন মনে করত।
এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়কর তথ্য ছিল। কারণ ইউরেনাস সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ এবং তাদের চাঁদগুলোর বৈশিষ্ট্য থেকে থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।
তবে নতুন বিশ্লেষণটি কয়েক দশকের পুরোনো এই রহস্যের সমাধান করেছে। নতুন গবেষণায় বলা হয়, ভয়েজার-২ একটি খারাপ সময়ে ইউরেনাসের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। ঠিক যখন ভয়েজার ২ ইউরেনাসের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, সূর্য থেকে তখন ব্যাপকভাবে বিকিরণ হচ্ছিল। এর ফলে একটি শক্তিশালী সৌরবায়ু সৃষ্টি হয়েছিল, যা সম্ভবত ইউরেনাস ও এর চাঁদের উপাদানগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল এবং চৌম্বকক্ষেত্রটি সাময়িকভাবে বিকৃত করেছিল।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ড. উইলিয়াম ডানের মতে, ইউরেনাস এবং এর পাঁচটি বৃহত্তম চাঁদ সাধারণত কেমন হবে সে সম্পর্কে ৪০ বছর ধরে আমাদের একটি ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।
তিনি আরও বলেন, ইউরেনাস সিস্টেম আগের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হতে পারে। এর চাঁদগুলোতে এমন পরিবেশ থাকতে পারে যা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় এবং তাদের পৃষ্ঠের নিচে এমন সমুদ্র থাকতে পারে, যাতে মাছও রয়েছে।
যাঁরা ভয়েজার প্রোগ্রামে কাজ করছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন বিজ্ঞানী হলেন লিন্ডা স্পিলকার। বর্তমানে তিনি ভয়েজার মিশনের প্রকল্প বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। লিন্ডা বলেন, নতুন ফলাফলগুলো সম্পর্কে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
নতুন গবেষণাটি সম্প্রতি ‘নেচার জার্নালের ‘অ্যাস্ট্রোনমি’ বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ফলাফলগুলো চমকপ্রদ এবং আমি সত্যিই উত্তেজিত এটি জেনে যে, ইউরেনিয়াম সিস্টেমে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’
শেষবারের মতো ইউরেনাস এবং তার চাঁদগুলোর পাশ দিয়ে ভয়েজার-২ উড়ে যাওয়ার পর প্রায় ৪০ বছর পার হয়ে গেছে। তাই একটি নতুন মিশন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার, যার নাম ‘ইউরেনাস অরবিটার অ্যান্ড প্রোব’। এটি ১০ বছরের মধ্যে আবার ইউরেনাসের কাছে যেতে পারবে এবং আরও কাছ থেকে গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করবে।
ভয়েজার-২-এর ডেটা পুনঃবিশ্লেষণ করার ধারণাটি দিয়েছিলেন নাসার ড. জেমি জাসিনস্কি। তিনি বলেছেন, মিশনটি নতুন ফলাফলগুলোকে মনে রেখে যন্ত্রপাতি ডিজাইন এবং বৈজ্ঞানিক জরিপের পরিকল্পনা করবে।
নাসার নতুন মহাকাশযানটি ইউরেনাসের কাছাকাছি পৌঁছাবে ২০৪৫ সালে। এর মাধ্যমে জানা যাবে, এই শীতল গ্রহটি আসলেই নিষ্ক্রিয় নাকি এটি প্রাণ ধারণে উপযোগী।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
রঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
৬ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগে