মহাকাশে কৃত্রিম মহাকর্ষ বলের পরিবেশে বীজ থেকে গজানো চারায় টমেটো উৎপাদন করেছেন এক দল মার্কিন মহাকাশচারী। তবে সে টমেটোর খবর পৃথিবীতে আসার আগেই তা হারিয়ে ফেলে বিপাকে পড়েছিলেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) ক্রু ফ্রান্সিসকো রুবিও।
স্পেস ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি গবেষণার অংশ হিসেবে আইএসএসে বীজ থেকে টমেটো তৈরি করেছিলেন রুবিও। তবে আট মাস আগে ওই টমেটো হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যখন টমেটোর কোনো হদিস মিলছিল না তখন সবাই ধরে নেয়, রুবিও টমেটোটি খেয়ে ফেলেছেন। সম্প্রতি এক ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ক্ষুদ্র এ টমেটো বা অন্তত এর অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এক ক্রু।
চলতি সপ্তাহে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এ মহাকাশ স্টেশনে ২৫ তম জন্মদিন উদ্যাপন করতে লাইভ স্ট্রিমে এসেছিলেন সাত ক্রু। ওই লাইভেই টমেটোর খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানান এক ক্রু।
নাসার মহাকাশচারী জেসমিন মোঘবেলি বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই আমাদের বন্ধু ফ্র্যাংক রুবিওকে টমেটো খেয়ে ফেলার জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে এখন আমরা তাঁকে দায়মুক্ত করতে পারি। আমরা টমেটোটি খুঁজে পেয়েছি।’
তবে ৩৫৬ ফুটের দৈর্ঘ্যের মহাকাশ স্টেশনে এক ইঞ্চির টমেটো কোথায় বা কী অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জেসমিন।
তবে এর অস্তিত্বের খবর রুবিওর জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল তা নিশ্চিত। মহাকাশে রেকর্ড ৩৭১ দিন থাকার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বরে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবিও। এই প্রথম কোনো মার্কিন নভোচারী এত দিন মহাকাশে ছিলেন।
পৃথিবীতে অবতরণের পর রুবিও এক সংবাদ সম্মেলনে টমেটোটি হারিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, মহাকাশে দীর্ঘ মিশনের সময় মহাকাশচারীদের টিকে থাকার উপায় বের করার জন্য মহাকাশযানে বিভিন্ন সালাদজাতীয় উদ্ভিদ বুনেছিলেন তিনি। সে উদ্ভিদেরই একটি ছিল টমেটোটি। তিনি আজীবন ‘টমেটো চোর’ হিসেবে আখ্যায়িত হওয়ার ভয়ে ছিলেন!
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, কেউ একদিন ছোট এই কুঁচকানো জিনিসটি খুঁজে পাবে।’ তিনি বলেন, টমেটোটি হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি তা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় খুঁজেছেন। ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম আমি টমেটোটি সেখানেই রেখেছিলাম যেখানে রাখার কথা। আমি ফিরে এসে দেখি এটা নেই।’ যোগ করেন তিনি।
টমেটোটি নাসার ভেজ–০৫ প্রকল্পের অংশ ছিল। প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক নাম হলো, ‘পিক–অ্যান্ড–ইট সালাদ ফসলের উৎপাদনশীলতা, পুষ্টি মান এবং আইএসএস খাদ্য ব্যবস্থার পরিপূরক গ্রহণযোগ্যতা’ পরীক্ষা।
এ প্রকল্পে ভিন্ন আলোক ব্যবস্থায় ফলজ উদ্ভিদের ওপর মহাকাশ যাত্রার প্রভাব ও এর টিকে থাকা মূল্যায়ন করা হয়। এ পরীক্ষায় মহাকাশচারীরা মহাকাশযানে উৎপন্ন বিভিন্ন ফলজ উদ্ভিদের স্বাদও পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া মহাকাশ যাত্রার সময় উদ্ভিদের সঙ্গে সময় কাটানোর কারণে মহাকাশচারীদের ওপর কোনো মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব পড়ে কি না তাও পরীক্ষা করা হয়।
আইএসএসের নিজস্ব সবজি উৎপাদন ব্যবস্থা আছে। একে ভেজি বলা হয় এবং এতে কাজ করার সুযোগ অনেক মহাকাশচারীর জন্যই বেশ লোভনীয়। রুবিও বেশ উৎসাহের সঙ্গে তাঁর গাছ পরিচর্যার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। নাসা কর্মকর্তারা বলছেন, এ কাজের মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জিত হবে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মহাকাশচারীদের জন্য বেশ লাভজনক হবে।
মহাকাশে কৃত্রিম মহাকর্ষ বলের পরিবেশে বীজ থেকে গজানো চারায় টমেটো উৎপাদন করেছেন এক দল মার্কিন মহাকাশচারী। তবে সে টমেটোর খবর পৃথিবীতে আসার আগেই তা হারিয়ে ফেলে বিপাকে পড়েছিলেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) ক্রু ফ্রান্সিসকো রুবিও।
স্পেস ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি গবেষণার অংশ হিসেবে আইএসএসে বীজ থেকে টমেটো তৈরি করেছিলেন রুবিও। তবে আট মাস আগে ওই টমেটো হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যখন টমেটোর কোনো হদিস মিলছিল না তখন সবাই ধরে নেয়, রুবিও টমেটোটি খেয়ে ফেলেছেন। সম্প্রতি এক ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ক্ষুদ্র এ টমেটো বা অন্তত এর অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এক ক্রু।
চলতি সপ্তাহে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এ মহাকাশ স্টেশনে ২৫ তম জন্মদিন উদ্যাপন করতে লাইভ স্ট্রিমে এসেছিলেন সাত ক্রু। ওই লাইভেই টমেটোর খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানান এক ক্রু।
নাসার মহাকাশচারী জেসমিন মোঘবেলি বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই আমাদের বন্ধু ফ্র্যাংক রুবিওকে টমেটো খেয়ে ফেলার জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে এখন আমরা তাঁকে দায়মুক্ত করতে পারি। আমরা টমেটোটি খুঁজে পেয়েছি।’
তবে ৩৫৬ ফুটের দৈর্ঘ্যের মহাকাশ স্টেশনে এক ইঞ্চির টমেটো কোথায় বা কী অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জেসমিন।
তবে এর অস্তিত্বের খবর রুবিওর জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল তা নিশ্চিত। মহাকাশে রেকর্ড ৩৭১ দিন থাকার পর গত ২৭ সেপ্টেম্বরে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবিও। এই প্রথম কোনো মার্কিন নভোচারী এত দিন মহাকাশে ছিলেন।
পৃথিবীতে অবতরণের পর রুবিও এক সংবাদ সম্মেলনে টমেটোটি হারিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, মহাকাশে দীর্ঘ মিশনের সময় মহাকাশচারীদের টিকে থাকার উপায় বের করার জন্য মহাকাশযানে বিভিন্ন সালাদজাতীয় উদ্ভিদ বুনেছিলেন তিনি। সে উদ্ভিদেরই একটি ছিল টমেটোটি। তিনি আজীবন ‘টমেটো চোর’ হিসেবে আখ্যায়িত হওয়ার ভয়ে ছিলেন!
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, কেউ একদিন ছোট এই কুঁচকানো জিনিসটি খুঁজে পাবে।’ তিনি বলেন, টমেটোটি হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি তা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় খুঁজেছেন। ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম আমি টমেটোটি সেখানেই রেখেছিলাম যেখানে রাখার কথা। আমি ফিরে এসে দেখি এটা নেই।’ যোগ করেন তিনি।
টমেটোটি নাসার ভেজ–০৫ প্রকল্পের অংশ ছিল। প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক নাম হলো, ‘পিক–অ্যান্ড–ইট সালাদ ফসলের উৎপাদনশীলতা, পুষ্টি মান এবং আইএসএস খাদ্য ব্যবস্থার পরিপূরক গ্রহণযোগ্যতা’ পরীক্ষা।
এ প্রকল্পে ভিন্ন আলোক ব্যবস্থায় ফলজ উদ্ভিদের ওপর মহাকাশ যাত্রার প্রভাব ও এর টিকে থাকা মূল্যায়ন করা হয়। এ পরীক্ষায় মহাকাশচারীরা মহাকাশযানে উৎপন্ন বিভিন্ন ফলজ উদ্ভিদের স্বাদও পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া মহাকাশ যাত্রার সময় উদ্ভিদের সঙ্গে সময় কাটানোর কারণে মহাকাশচারীদের ওপর কোনো মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব পড়ে কি না তাও পরীক্ষা করা হয়।
আইএসএসের নিজস্ব সবজি উৎপাদন ব্যবস্থা আছে। একে ভেজি বলা হয় এবং এতে কাজ করার সুযোগ অনেক মহাকাশচারীর জন্যই বেশ লোভনীয়। রুবিও বেশ উৎসাহের সঙ্গে তাঁর গাছ পরিচর্যার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। নাসা কর্মকর্তারা বলছেন, এ কাজের মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জিত হবে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মহাকাশচারীদের জন্য বেশ লাভজনক হবে।
মহাকাশে ২২০ দিন কাটিয়ে আজ রোববার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম কর্মরত মহাকাশচারী ডন পেটিট। বিশেষ এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর ৭০তম জন্মদিনে। রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-২৬ চড়ে কাজাখস্তানের স্টেপ অঞ্চলে অবতরণ করেন তিনি ও তাঁর দুই রুশ সহযাত্রী আলেক্সি ওভচিনিন ও ইভান ভাগনার।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন মানবের টিকে থাকার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের বড় রকমের পরিবর্তনের সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মারাত্মক প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছিল পৃথিবীর জীবজগৎ।
১৬ ঘণ্টা আগেরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
১ দিন আগেরঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
২ দিন আগে