Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে হামলায় জামায়াত নেতার মৃত্যুর অভিযোগ, বিএনপির তদন্ত কমিটি গঠন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৫, ১৮: ৩৫
গতকাল কাউছার আহমেদ মিলনের জানাজায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল কাউছার আহমেদ মিলনের জানাজায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কাউছার আহমেদ মিলন (৬০) নামে এক জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি আজ শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান।

হাসিবুর রহমান বলেন, জামায়াত নেতার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোখলেছুর রহমান হারুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোফাজ্জল হোসেন রনিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাঁদের তদন্তের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।

নিহত কাউছার আহমেদ সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকার মৃত মমিন উল্যার ছেলে। তিনি বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি এবং স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কাউছারের মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে দোষারোপ করেছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় একটি ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়।

নিহতের স্বজনেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে একই এলাকার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রিয়াজ হোসেন বাবলু ও সোহাগদের সঙ্গে মারামারি হয় জামায়াত নেতা কাউছারের ভাই আলতাফ হোসেন আরজুর। ঘটনার সময় কাউছারসহ তাঁর পরিবারের চারজন আহত হন। পরে তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকেলে কাউছার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। স্বজনদের দাবি, রিয়াজসহ অন্যদের মারধরের কারণে কাউছার মারা গেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, দেড় মাস আগে এলাকায় একটি টিউবওয়েল চুরিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন, তা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘কাউছারের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে মামলা রুজি করা হবে। জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত