Ajker Patrika

বেনাপোল বন্দরে সহযোগিতার কথা বলে ক্যানসারে আক্রান্ত পাসপোর্টধারীর টাকা ছিনতাই

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০: ১০
ভুক্তভোগী নারী ও ছিনতাইকারী। ছবি: সংগৃহীত
ভুক্তভোগী নারী ও ছিনতাইকারী। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতগামী পাসপোর্টধারী আরজিনা খাতুন নামের ক্যানসারে আক্রান্ত এক রোগীকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে চিহ্নিত ছিনতাইকারীরা। আজ মঙ্গলবার ভ্রমণ ট্যাক্স কাটার নাম করে বেনাপোল বন্দর বাস টার্মিনাল থেকে ডেকে নিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী ডালিম ও তার দলবল।

ছিনতাইয়ের শিকার নারী বগুড়ার মালতিকার শুড়া গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী। এদিকে প্রতিনিয়ত এভাবে পাসপোর্টধারীরা প্রতারণার শিকার হলেও কোনো পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের।

জানতে চাইলে বেনাপোল বন্দর আর্মড ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তু আজকের পত্রিকাকে জানান, ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোল বন্দরে আসেন। এ সময় বন্দর বাস টার্মিনালের সামনে থেকে ভ্রমণ ট্যাক্স কাটতে সহযোগিতার কথা বলে ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী ইউনুস মার্কেটে নেওয়া হয়। পরে যাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ওই যাত্রী পরে অভিযোগ দেন। ঘটনার পর থেকে ছিনতাইকারীরা পলাতক রয়েছে। বিষয়টি পোর্ট থানার ওসিকে জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা জানান, চেকপোস্টে সব সময় প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকেন। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও জোরালো পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির জানান, পাসপোর্টধারীদের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা দুঃখজনক। মাঝেমধ্যেই টাকা উদ্ধার করে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্দর এলাকায় ওদের বিরুদ্ধে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া জানান, ছিনতাই ও প্রতারণার অভিযোগে এর আগে চেকপোস্ট এলাকার একাধিক দোকানে তালা মারা হয়েছে। এ ছাড়া অনেককে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা বারবার জামিনে এসে আবার প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতারকদের কাছে পাসপোর্ট দেওয়া থেকে যাত্রীদের বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

পুলিশের খাতায় চেকপোস্ট এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও প্রতারকেরা হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামের শেখ রাহাদ অন্তর (৩৫), আব্দুল কাদের (৩৩) এবং একই গ্রামের আমজাদ হেসেনের ছেলে শোয়েব আক্তার (২৮), বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের সাহাজুল ইসলামের ছেলে আসাদুল, ইশার উদ্দিনের ছেলে মিরাজ, ভবারবেড় গ্রামের সমেদ হাওলাদারের ছেলে শামিম, ঘিবা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রনি, বড় আঁচড়া শহিদুল ইসলামের ছেলে ইমরান। এ ছাড়া রয়েছে সাইদুর সুপার মার্কেটের বাবুল, রেজাউল সুপার মার্কেটের হামিদ, ইউনুস সুপার মার্কেটের রবি, সয়েব, ইবাদত, হৃদয়, শিমুল, ইমারুফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত