রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। এতে বন্দীদের চাপ বাড়ছে কারাগারে। ফলে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৭০টি কারাগারের বন্দী ধারণ-ক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৫৭ জন। ১ জুলাই এসব কারাগারে বন্দী ছিল ৭২ হাজার ১০৫ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারগুলোতে। সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ৪ হাজার ৫৯০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ সাবেক সচিব, সাবেক বিচারপতি, সেনা ও নৌ কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ হাজার ৪৩৮, নারী ২ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬ জন। এসবের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৬০২ জন। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও অন্যান্য সংগঠনের আসামিরাও কারাবন্দী হিসেবে রয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৮টি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারে ১৩ হাজার ৫৮২ জন বন্দীকে জায়গা দেওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে বন্দী রয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন বন্দীর। সেখানে এখন রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন। ২ হাজার ধারণক্ষমতার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী রয়েছে ৩ হাজার ৩৬৩ জন। ১ হাজার ধারণক্ষমতার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারেও দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী ২ হাজার ৫৩২ জন। ৫৪০ জন ধারণক্ষমতার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জন। এ ছাড়া মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার প্রায় তিন গুণ বন্দী রয়েছে। ২০০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৫৪৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারগুলোর ৬ হাজার ৯৫০ জন ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে বন্দী রয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১ হাজার ৮৫৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে তিন গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বন্দীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ হাজার ১৪৭ জন। এ ছাড়া মাত্র ৮৩০ জন ধারণক্ষমতার কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জন।
রাজশাহী বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ১৭৯ জন। কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৯ হাজার ২২৭ জন। এর মধ্যে ধারণক্ষমতার দেড় গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে বগুড়া জেলা কারাগারে। ৭২৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৭৩০ জন।
বরিশাল বিভাগের ৬টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৯১৩ জন। বর্তমানে এই ছয়টি কারাগারে রয়েছে ২ হাজার ৯১৩ জন বন্দী। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৮০৩ জন হলেও বন্দী রয়েছে ৪ হাজার জন। খুলনা বিভাগের ১০টি কারাগারে ৫ হাজার ৬৯ জন ধারণক্ষমতায় বন্দী রয়েছে ৬ হাজার ৫৭২ জন। সিলেট বিভাগের ৫টি কারাগারে ৪ হাজার ৪৮২ জন ধারণক্ষমতার মধ্যে বন্দী রয়েছে ৪ হাজার ৫৪০ জন। রংপুর বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৫ হাজার ১৭৯ জন। বর্তমানে বন্দী ৪ হাজার ৮৪৫ জন।
কারাগারগুলো বলছে, বন্দীর সংখ্যা বাড়লে জেলকোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধায় ঘটতি পড়ে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি থাকায় বিভিন্ন রোগে ভোগে বন্দীরা। স্ক্যাবিস, হাড়ক্ষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে তারা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন মো. মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাবন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা যায় ত্বকের। স্ক্যাবিস ধরনের রোগে বেশি ভোগে তারা। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে হাড়ের ক্ষয়, হার্টের রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তবে কারা ব্যবস্থাপনায় বন্দীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ধারণক্ষমতার চেয়ে কারাগারে বন্দীর সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দী থাকে। তবে সব কারাগারেই বন্দীর সংখ্যা বেশি, তা নয়। কোনো কোনো কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা কমও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। এতে বন্দীদের চাপ বাড়ছে কারাগারে। ফলে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৭০টি কারাগারের বন্দী ধারণ-ক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৫৭ জন। ১ জুলাই এসব কারাগারে বন্দী ছিল ৭২ হাজার ১০৫ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারগুলোতে। সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ৪ হাজার ৫৯০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ সাবেক সচিব, সাবেক বিচারপতি, সেনা ও নৌ কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ হাজার ৪৩৮, নারী ২ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬ জন। এসবের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৬০২ জন। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও অন্যান্য সংগঠনের আসামিরাও কারাবন্দী হিসেবে রয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৮টি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারে ১৩ হাজার ৫৮২ জন বন্দীকে জায়গা দেওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে বন্দী রয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন বন্দীর। সেখানে এখন রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন। ২ হাজার ধারণক্ষমতার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী রয়েছে ৩ হাজার ৩৬৩ জন। ১ হাজার ধারণক্ষমতার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারেও দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী ২ হাজার ৫৩২ জন। ৫৪০ জন ধারণক্ষমতার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জন। এ ছাড়া মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার প্রায় তিন গুণ বন্দী রয়েছে। ২০০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৫৪৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারগুলোর ৬ হাজার ৯৫০ জন ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে বন্দী রয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১ হাজার ৮৫৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে তিন গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বন্দীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ হাজার ১৪৭ জন। এ ছাড়া মাত্র ৮৩০ জন ধারণক্ষমতার কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জন।
রাজশাহী বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ১৭৯ জন। কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৯ হাজার ২২৭ জন। এর মধ্যে ধারণক্ষমতার দেড় গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে বগুড়া জেলা কারাগারে। ৭২৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৭৩০ জন।
বরিশাল বিভাগের ৬টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৯১৩ জন। বর্তমানে এই ছয়টি কারাগারে রয়েছে ২ হাজার ৯১৩ জন বন্দী। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৮০৩ জন হলেও বন্দী রয়েছে ৪ হাজার জন। খুলনা বিভাগের ১০টি কারাগারে ৫ হাজার ৬৯ জন ধারণক্ষমতায় বন্দী রয়েছে ৬ হাজার ৫৭২ জন। সিলেট বিভাগের ৫টি কারাগারে ৪ হাজার ৪৮২ জন ধারণক্ষমতার মধ্যে বন্দী রয়েছে ৪ হাজার ৫৪০ জন। রংপুর বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৫ হাজার ১৭৯ জন। বর্তমানে বন্দী ৪ হাজার ৮৪৫ জন।
কারাগারগুলো বলছে, বন্দীর সংখ্যা বাড়লে জেলকোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধায় ঘটতি পড়ে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি থাকায় বিভিন্ন রোগে ভোগে বন্দীরা। স্ক্যাবিস, হাড়ক্ষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে তারা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন মো. মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাবন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা যায় ত্বকের। স্ক্যাবিস ধরনের রোগে বেশি ভোগে তারা। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে হাড়ের ক্ষয়, হার্টের রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তবে কারা ব্যবস্থাপনায় বন্দীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ধারণক্ষমতার চেয়ে কারাগারে বন্দীর সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দী থাকে। তবে সব কারাগারেই বন্দীর সংখ্যা বেশি, তা নয়। কোনো কোনো কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা কমও রয়েছে।
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। এতে বন্দীদের চাপ বাড়ছে কারাগারে। ফলে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৭০টি কারাগারের বন্দী ধারণ-ক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৫৭ জন। ১ জুলাই এসব কারাগারে বন্দী ছিল ৭২ হাজার ১০৫ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারগুলোতে। সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ৪ হাজার ৫৯০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ সাবেক সচিব, সাবেক বিচারপতি, সেনা ও নৌ কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ হাজার ৪৩৮, নারী ২ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬ জন। এসবের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৬০২ জন। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও অন্যান্য সংগঠনের আসামিরাও কারাবন্দী হিসেবে রয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৮টি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারে ১৩ হাজার ৫৮২ জন বন্দীকে জায়গা দেওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে বন্দী রয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন বন্দীর। সেখানে এখন রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন। ২ হাজার ধারণক্ষমতার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী রয়েছে ৩ হাজার ৩৬৩ জন। ১ হাজার ধারণক্ষমতার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারেও দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী ২ হাজার ৫৩২ জন। ৫৪০ জন ধারণক্ষমতার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জন। এ ছাড়া মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার প্রায় তিন গুণ বন্দী রয়েছে। ২০০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৫৪৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারগুলোর ৬ হাজার ৯৫০ জন ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে বন্দী রয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১ হাজার ৮৫৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে তিন গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বন্দীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ হাজার ১৪৭ জন। এ ছাড়া মাত্র ৮৩০ জন ধারণক্ষমতার কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জন।
রাজশাহী বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ১৭৯ জন। কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৯ হাজার ২২৭ জন। এর মধ্যে ধারণক্ষমতার দেড় গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে বগুড়া জেলা কারাগারে। ৭২৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৭৩০ জন।
বরিশাল বিভাগের ৬টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৯১৩ জন। বর্তমানে এই ছয়টি কারাগারে রয়েছে ২ হাজার ৯১৩ জন বন্দী। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৮০৩ জন হলেও বন্দী রয়েছে ৪ হাজার জন। খুলনা বিভাগের ১০টি কারাগারে ৫ হাজার ৬৯ জন ধারণক্ষমতায় বন্দী রয়েছে ৬ হাজার ৫৭২ জন। সিলেট বিভাগের ৫টি কারাগারে ৪ হাজার ৪৮২ জন ধারণক্ষমতার মধ্যে বন্দী রয়েছে ৪ হাজার ৫৪০ জন। রংপুর বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৫ হাজার ১৭৯ জন। বর্তমানে বন্দী ৪ হাজার ৮৪৫ জন।
কারাগারগুলো বলছে, বন্দীর সংখ্যা বাড়লে জেলকোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধায় ঘটতি পড়ে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি থাকায় বিভিন্ন রোগে ভোগে বন্দীরা। স্ক্যাবিস, হাড়ক্ষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে তারা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন মো. মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাবন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা যায় ত্বকের। স্ক্যাবিস ধরনের রোগে বেশি ভোগে তারা। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে হাড়ের ক্ষয়, হার্টের রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তবে কারা ব্যবস্থাপনায় বন্দীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ধারণক্ষমতার চেয়ে কারাগারে বন্দীর সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দী থাকে। তবে সব কারাগারেই বন্দীর সংখ্যা বেশি, তা নয়। কোনো কোনো কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা কমও রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। এতে বন্দীদের চাপ বাড়ছে কারাগারে। ফলে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৭০টি কারাগারের বন্দী ধারণ-ক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৫৭ জন। ১ জুলাই এসব কারাগারে বন্দী ছিল ৭২ হাজার ১০৫ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারগুলোতে। সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ৪ হাজার ৫৯০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ সাবেক সচিব, সাবেক বিচারপতি, সেনা ও নৌ কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ হাজার ৪৩৮, নারী ২ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬ জন। এসবের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৬০২ জন। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও অন্যান্য সংগঠনের আসামিরাও কারাবন্দী হিসেবে রয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৮টি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারে ১৩ হাজার ৫৮২ জন বন্দীকে জায়গা দেওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে বন্দী রয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন বন্দীর। সেখানে এখন রয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন। ২ হাজার ধারণক্ষমতার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দী রয়েছে ৩ হাজার ৩৬৩ জন। ১ হাজার ধারণক্ষমতার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারেও দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী ২ হাজার ৫৩২ জন। ৫৪০ জন ধারণক্ষমতার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫ জন। এ ছাড়া মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার প্রায় তিন গুণ বন্দী রয়েছে। ২০০ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৫৪৫ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারগুলোর ৬ হাজার ৯৫০ জন ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে বন্দী রয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১ হাজার ৮৫৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে তিন গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে। কারাগারটিতে বন্দীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ হাজার ১৪৭ জন। এ ছাড়া মাত্র ৮৩০ জন ধারণক্ষমতার কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জন।
রাজশাহী বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ১৭৯ জন। কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৯ হাজার ২২৭ জন। এর মধ্যে ধারণক্ষমতার দেড় গুণ বেশি কারাবন্দী রয়েছে বগুড়া জেলা কারাগারে। ৭২৩ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বন্দী রয়েছে ১ হাজার ৭৩০ জন।
বরিশাল বিভাগের ৬টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৯১৩ জন। বর্তমানে এই ছয়টি কারাগারে রয়েছে ২ হাজার ৯১৩ জন বন্দী। ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৮০৩ জন হলেও বন্দী রয়েছে ৪ হাজার জন। খুলনা বিভাগের ১০টি কারাগারে ৫ হাজার ৬৯ জন ধারণক্ষমতায় বন্দী রয়েছে ৬ হাজার ৫৭২ জন। সিলেট বিভাগের ৫টি কারাগারে ৪ হাজার ৪৮২ জন ধারণক্ষমতার মধ্যে বন্দী রয়েছে ৪ হাজার ৫৪০ জন। রংপুর বিভাগের ৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা ৫ হাজার ১৭৯ জন। বর্তমানে বন্দী ৪ হাজার ৮৪৫ জন।
কারাগারগুলো বলছে, বন্দীর সংখ্যা বাড়লে জেলকোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধায় ঘটতি পড়ে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি থাকায় বিভিন্ন রোগে ভোগে বন্দীরা। স্ক্যাবিস, হাড়ক্ষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে তারা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন মো. মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাবন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা যায় ত্বকের। স্ক্যাবিস ধরনের রোগে বেশি ভোগে তারা। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে হাড়ের ক্ষয়, হার্টের রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তবে কারা ব্যবস্থাপনায় বন্দীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ধারণক্ষমতার চেয়ে কারাগারে বন্দীর সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দী থাকে। তবে সব কারাগারেই বন্দীর সংখ্যা বেশি, তা নয়। কোনো কোনো কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা কমও রয়েছে।

সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৬ মিনিট আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪০ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
এদিকে পদোন্নতির প্যানেল ছাড়াও ২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল ফুলকোর্ট সভায়। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদন হয়নি বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে...

সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
এদিকে পদোন্নতির প্যানেল ছাড়াও ২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল ফুলকোর্ট সভায়। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদন হয়নি বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে...

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে।
৩০ জুলাই ২০২৫
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪০ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে।
৩০ জুলাই ২০২৫
সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৬ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে।
৩০ জুলাই ২০২৫
সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৬ মিনিট আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪০ মিনিট আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।
এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।
অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।
কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।
এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।
অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।
কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, হামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে এখনো বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব আসামিকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে।
৩০ জুলাই ২০২৫
সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৬ মিনিট আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪০ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে