সূর্যকে কেন্দ্র করে আমাদের সৌরজগৎ। আর বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা সূর্যকে নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যেও বিকট শব্দ উৎপন্ন হয়।
পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে, শব্দ বায়ুশূন্য স্থানের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। তাই পৃথিবী থেকে সূর্যের গর্জন শোনা যায় না।
সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্পেস স্টাডিজ বিভাগের হেলিওফিজিসিস্ট (সৌরমণ্ডল বিষয়ক পদার্থবিজ্ঞানী) ক্রেইগ ডিফরেস্ট বলেন, ‘সূর্যে অনেক জোরে শব্দ করে।’ যদি ভেবে নেওয়া হয়, সূর্যের শব্দ মহাকাশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে এবং এর পুরোটাই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে যায়, তাহলে এই তীব্র শব্দ মানুষসহ পৃথিবীর সব প্রাণীকে বধির করে দিত।
আপাতদৃষ্টিতে সূর্যকে পৃথিবী থেকে মসৃণ ও শান্ত দেখা যায়। কিন্তু এতে আসলে প্রতিনিয়ত অতি উত্তপ্ত প্লাজমার (নক্ষত্রের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন এবং আয়নের মিশ্রণ) বিধ্বংসী ঝড় সংঘটিত হয়। এই প্লাজমা অবস্থায় সংঘটিত পারমাণবিক বিক্রিয়া (সূর্যের ক্ষেত্রে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম পরমাণু তৈরি হয়, একে বলে ফিউশন বিক্রিয়া) নক্ষত্রগুলোতে বিপুল শক্তি উৎপন্ন করে। ফলে অতি উত্তপ্ত গ্যাসের অংশ পরিচালন প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত সূর্যের পৃষ্ঠের ওপরে ওঠে ও আছড়ে পড়ে। আর এই ঘটনা কিছুক্ষণ পরপর ঘটে।
ডিফরেস্ট বলেন, মনে করুন, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মতো বিশাল আয়তনের পৃষ্ঠ ভূগর্ভ থেকে উঠে আসছে, পুড়ে যাচ্ছে, আবার ভূগর্ভে চলে যাচ্ছে। এসব ঘটছে পাঁচ মিনিট পরপর। এটি একটি ভয়ংকর বিধ্বংসী প্রক্রিয়া। এতে প্রচুর শব্দ তৈরি হবে।
তিনি গণনা করে দেখান, সূর্যের উত্তপ্ত গ্যাসের প্রতিটি অংশ প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১০০ থেকে ৩০০ ওয়াট (৫০–৫৫ ডেসিবেল) পর্যন্ত শব্দ তৈরি করে। এটি একটি পুলিশ সাইরেনের সমান। আর সূর্যের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল পৃথিবীর প্রায় ১০ হাজার গুণ। তাহলে কল্পনা করুন, ১০ হাজার পৃথিবীর সমান একটি গোলকজুড়ে পুলিশ সাইরেন, আর সাইরেনগুলো একই সঙ্গে বাজছে!
পৃথিবী সূর্য থেকে প্রায় ৯ কোটি ২০ লাখ মাইল দূরে। তাই সূর্য থেকে শব্দ পৃথিবীতে আসতে আসতে কিছুটা ক্ষীণ হয়ে যাবে। ডিফরেস্টের মতে, সূর্যের শব্দ পৃথিবীতে ১০০ ডেসিবেলে শোনা যাবে যা একটি রক কনসার্টের স্পিকার থেকে উৎপন্ন শব্দের চেয়ে কিছুটা কম তীব্র। এটি অবশ্য দিনের ক্ষেত্রে। কারণ এ সময় সূর্য থেকে সরাসরি শব্দ পৃথিবীতে এসে পৌঁছাত। কিন্তু রাতের বেলা চাঁদের বাধায় শব্দ তরঙ্গ ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে শব্দ কিছুটা কম শোনা যেত। মানুষ শুধু রাতেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার মতো পরিবেশ পেত।
ডিফরেস্ট বলেন, সূর্য থেকে আসা শব্দ হবে নিস্তেজ গর্জনের মতো। কারণ মানুষের কান পর্যন্ত আসা শব্দ তরঙ্গগুলো বিভিন্ন কম্পাঙ্কের হবে। মনে করুন, আপনি সব সময় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রকৃতপক্ষে সূর্য থেকে আসা শব্দ এর চেয়েও তীব্র হবে। যেখানে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে প্রায় ৯০ ডেসিবেলে শব্দ হয়।
তথ্যসূত্র: ডিসকভার ম্যাগাজিন
সূর্যকে কেন্দ্র করে আমাদের সৌরজগৎ। আর বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা সূর্যকে নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করছেন। বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যেও বিকট শব্দ উৎপন্ন হয়।
পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে, শব্দ বায়ুশূন্য স্থানের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। তাই পৃথিবী থেকে সূর্যের গর্জন শোনা যায় না।
সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্পেস স্টাডিজ বিভাগের হেলিওফিজিসিস্ট (সৌরমণ্ডল বিষয়ক পদার্থবিজ্ঞানী) ক্রেইগ ডিফরেস্ট বলেন, ‘সূর্যে অনেক জোরে শব্দ করে।’ যদি ভেবে নেওয়া হয়, সূর্যের শব্দ মহাকাশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে এবং এর পুরোটাই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে যায়, তাহলে এই তীব্র শব্দ মানুষসহ পৃথিবীর সব প্রাণীকে বধির করে দিত।
আপাতদৃষ্টিতে সূর্যকে পৃথিবী থেকে মসৃণ ও শান্ত দেখা যায়। কিন্তু এতে আসলে প্রতিনিয়ত অতি উত্তপ্ত প্লাজমার (নক্ষত্রের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন এবং আয়নের মিশ্রণ) বিধ্বংসী ঝড় সংঘটিত হয়। এই প্লাজমা অবস্থায় সংঘটিত পারমাণবিক বিক্রিয়া (সূর্যের ক্ষেত্রে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম পরমাণু তৈরি হয়, একে বলে ফিউশন বিক্রিয়া) নক্ষত্রগুলোতে বিপুল শক্তি উৎপন্ন করে। ফলে অতি উত্তপ্ত গ্যাসের অংশ পরিচালন প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত সূর্যের পৃষ্ঠের ওপরে ওঠে ও আছড়ে পড়ে। আর এই ঘটনা কিছুক্ষণ পরপর ঘটে।
ডিফরেস্ট বলেন, মনে করুন, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মতো বিশাল আয়তনের পৃষ্ঠ ভূগর্ভ থেকে উঠে আসছে, পুড়ে যাচ্ছে, আবার ভূগর্ভে চলে যাচ্ছে। এসব ঘটছে পাঁচ মিনিট পরপর। এটি একটি ভয়ংকর বিধ্বংসী প্রক্রিয়া। এতে প্রচুর শব্দ তৈরি হবে।
তিনি গণনা করে দেখান, সূর্যের উত্তপ্ত গ্যাসের প্রতিটি অংশ প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১০০ থেকে ৩০০ ওয়াট (৫০–৫৫ ডেসিবেল) পর্যন্ত শব্দ তৈরি করে। এটি একটি পুলিশ সাইরেনের সমান। আর সূর্যের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল পৃথিবীর প্রায় ১০ হাজার গুণ। তাহলে কল্পনা করুন, ১০ হাজার পৃথিবীর সমান একটি গোলকজুড়ে পুলিশ সাইরেন, আর সাইরেনগুলো একই সঙ্গে বাজছে!
পৃথিবী সূর্য থেকে প্রায় ৯ কোটি ২০ লাখ মাইল দূরে। তাই সূর্য থেকে শব্দ পৃথিবীতে আসতে আসতে কিছুটা ক্ষীণ হয়ে যাবে। ডিফরেস্টের মতে, সূর্যের শব্দ পৃথিবীতে ১০০ ডেসিবেলে শোনা যাবে যা একটি রক কনসার্টের স্পিকার থেকে উৎপন্ন শব্দের চেয়ে কিছুটা কম তীব্র। এটি অবশ্য দিনের ক্ষেত্রে। কারণ এ সময় সূর্য থেকে সরাসরি শব্দ পৃথিবীতে এসে পৌঁছাত। কিন্তু রাতের বেলা চাঁদের বাধায় শব্দ তরঙ্গ ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে শব্দ কিছুটা কম শোনা যেত। মানুষ শুধু রাতেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার মতো পরিবেশ পেত।
ডিফরেস্ট বলেন, সূর্য থেকে আসা শব্দ হবে নিস্তেজ গর্জনের মতো। কারণ মানুষের কান পর্যন্ত আসা শব্দ তরঙ্গগুলো বিভিন্ন কম্পাঙ্কের হবে। মনে করুন, আপনি সব সময় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রকৃতপক্ষে সূর্য থেকে আসা শব্দ এর চেয়েও তীব্র হবে। যেখানে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে প্রায় ৯০ ডেসিবেলে শব্দ হয়।
তথ্যসূত্র: ডিসকভার ম্যাগাজিন
পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অনুসন্ধানে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ট্রাপিস্ট–১ই (TRAPPIST-1 e) গ্রহে পৃথিবীর মতো প্রাণের বিকাশ সহায়ক বায়ুমণ্ডল থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি ট্রাপিস্ট ১ (TRAPPIST-1) লাল বামনের চারপাশে ঘুরতে থাকা সাতটি গ্রহের একটি।
৭ ঘণ্টা আগেমহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১ দিন আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগে