নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন বাতিল, গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচারের নামে অবিচার বন্ধের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। তবে কোথাও কোথাও নিজেরা না গেলেও অপেক্ষাকৃত জুনিয়র এবং রাজনীতির সম্পৃক্ত নন এমন আইনজীবীদের সহযোগিতা নিয়েছেন নির্ধারিত মামলার ক্ষেত্রে। এদিন হাইকোর্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি থাকলেও যাননি সিনিয়র আইনজীবীরা। তবে ওয়ালী উদ্দিন নামে এক আইনজীবী সময় আবেদন করেন।
অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও সুপ্রিম কোর্ট বারে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এদিন এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রধান ফটকে কয়েকশ আইনজীবী অবস্থান নেন। তারা আদালত বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আদালত বর্জন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আদালতের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করুক। আমরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে স্মরণ করে দিতে চাই যে, আদালত জনগণের জন্য। আদালতের জন্য জনগণ নয়।’
এদিকে আদালত বর্জনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত যে বর্জন করেছে এটা নিছক রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি। এর কোনো মর্মার্থ নেই।’ বুধবার আখাউড়ায় নির্বাচনী কর্মসূচিতে রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালত আদালতের কাজ করে যাচ্ছে। আদালতকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে টেনে আনা বিএনপির ভুল এবং অন্যায়।’
বুধবার সকালে কুষ্টিয়া আদালতের সামনে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান নেন আইনজীবীরা। তবে আদালত বর্জনকারী আইনজীবীদের জুনিয়ররা মক্কেলদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা শামিম উল হাসান অপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মামলার শুনানিতে অংশ নিচ্ছি না। আগেই মক্কেলদের মুঠোফোনে আদালত বর্জনের কথা জানানো হচ্ছে।’
বগুড়া আদালতে গিয়ে দেখা যায়, মামলায় হাজিরা দিতে এসেও কাউকে ফিরে যেতে হয়নি। যদিও বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নেননি। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মামলা নিজে পরিচালনা করছেন এমন তথ্য নেই। মক্কেলের স্বার্থে হয়ত কেউ অন্য আইনজীবীর মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকতে পারেন।’
এদিকে বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা আদালতে গিয়ে দেখা যায়, আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করলেও তাদের কাছে আইনি সহায়তা নিতে আসা কাউকে ফিরে যেতে হয়নি। নিজেরা বর্জন করলেও অন্য সহকর্মীদের সহযোগিতা নিচ্ছেন তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবীর সহকারী সঞ্জয় পাল বলেন, রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা আদালত বর্জন করেছেন ঠিকই। তবে তাদের পরিচিত অন্য আইনজীবীদের দিয়ে মামলার কাজ চলমান রেখেছেন। এতে বিচারপ্রার্থীদের তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার আদালত ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর, পটুয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, মেহেরপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নেত্রকোনা, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, বরগুনা, রংপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও এবং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা আইনজীবী সমিতিতে মিছিল, লিফলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বিএনপি–জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা।
নির্বাচন বাতিল, গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচারের নামে অবিচার বন্ধের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। তবে কোথাও কোথাও নিজেরা না গেলেও অপেক্ষাকৃত জুনিয়র এবং রাজনীতির সম্পৃক্ত নন এমন আইনজীবীদের সহযোগিতা নিয়েছেন নির্ধারিত মামলার ক্ষেত্রে। এদিন হাইকোর্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি থাকলেও যাননি সিনিয়র আইনজীবীরা। তবে ওয়ালী উদ্দিন নামে এক আইনজীবী সময় আবেদন করেন।
অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও সুপ্রিম কোর্ট বারে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এদিন এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রধান ফটকে কয়েকশ আইনজীবী অবস্থান নেন। তারা আদালত বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আদালত বর্জন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আদালতের বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করুক। আমরা এই আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে স্মরণ করে দিতে চাই যে, আদালত জনগণের জন্য। আদালতের জন্য জনগণ নয়।’
এদিকে আদালত বর্জনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত যে বর্জন করেছে এটা নিছক রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি। এর কোনো মর্মার্থ নেই।’ বুধবার আখাউড়ায় নির্বাচনী কর্মসূচিতে রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালত আদালতের কাজ করে যাচ্ছে। আদালতকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে টেনে আনা বিএনপির ভুল এবং অন্যায়।’
বুধবার সকালে কুষ্টিয়া আদালতের সামনে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান নেন আইনজীবীরা। তবে আদালত বর্জনকারী আইনজীবীদের জুনিয়ররা মক্কেলদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা শামিম উল হাসান অপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মামলার শুনানিতে অংশ নিচ্ছি না। আগেই মক্কেলদের মুঠোফোনে আদালত বর্জনের কথা জানানো হচ্ছে।’
বগুড়া আদালতে গিয়ে দেখা যায়, মামলায় হাজিরা দিতে এসেও কাউকে ফিরে যেতে হয়নি। যদিও বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নেননি। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মামলা নিজে পরিচালনা করছেন এমন তথ্য নেই। মক্কেলের স্বার্থে হয়ত কেউ অন্য আইনজীবীর মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকতে পারেন।’
এদিকে বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা আদালতে গিয়ে দেখা যায়, আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করলেও তাদের কাছে আইনি সহায়তা নিতে আসা কাউকে ফিরে যেতে হয়নি। নিজেরা বর্জন করলেও অন্য সহকর্মীদের সহযোগিতা নিচ্ছেন তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবীর সহকারী সঞ্জয় পাল বলেন, রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা আদালত বর্জন করেছেন ঠিকই। তবে তাদের পরিচিত অন্য আইনজীবীদের দিয়ে মামলার কাজ চলমান রেখেছেন। এতে বিচারপ্রার্থীদের তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার আদালত ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর, পটুয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, মেহেরপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নেত্রকোনা, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, বরগুনা, রংপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও এবং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা আইনজীবী সমিতিতে মিছিল, লিফলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বিএনপি–জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে ১৩ জুন লন্ডনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে চলমান অস্থিরতা ও সময়সূচি নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দর বা রাখাইন করিডর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র একটি জনগণের নির্বাচনে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই নেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ।
১০ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জুবাইরুল আলম মানিক বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো মাফিয়াকে বিতাড়িত করে দিয়েছি, এখন দেশে আমরাই বড় মাফিয়া। আমাদের চেয়ে বড় মাফিয়া দেশে আর কেউ নেই।’
১০ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার খুনের সঙ্গে জড়িত টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হলে তা ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
১১ ঘণ্টা আগে