আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতেন, তাঁরা মূলত ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতেন। নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার দায় থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশীদার হতেন এবং ছাত্রলীগের সংস্কৃতিই চর্চা করতেন।
আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন কল দিয়ে তদবিরও করেছিলেন।
যাঁদের বিষয়ে অভিযোগ
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন:
মাজেদুর রহমান (বিজয় একাত্তর হল) : ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে রাতভর মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। আবদুল কাদেরের দাবি, তিনি একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে জানতেন মাজেদুর ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে ‘ভয়ংকর নিপীড়ক’ হয়ে ওঠেন।
মুসাদ্দিক বিল্লাহ (ঢাবি ছাত্রলীগ দপ্তর সম্পাদক) : ২০১৭-১৮ সেশনের এই নেতাকে আবদুল কাদের তাঁর জেলার বলে উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার জামায়াতপন্থী এবং তিনি নিজেও শিবিরের সাথী ছিলেন। তবে ‘পদ-পদবির জন্য তিনি কট্টর ছাত্রলীগ’ হয়ে ওঠেন এবং পূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পান।
আফজালুন নাঈম (জসীমউদ্দীন হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের। তিনি উল্লেখ করেন, এই নাঈম এখন জামায়াত-শিবিরের ‘আইকন’ শিশির মনিরের বিশেষ সহকারী।
ইলিয়াস হোসাইন (মুজিব হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই নেতা জুনিয়রদের কাছে ‘ত্রাসের নাম’ ছিলেন। মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চাপ দিতেন, গেস্টরুমে ‘অসহ্য মেন্টাল টর্চার’ করতেন এবং ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর এই ইলিয়াস ‘শিবিরের বড় নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং এখন শিবিরের ‘ইমামদের’ সঙ্গে চলাফেরা করেন।
মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল (মুহসীন হল) : ২০১৭ সালে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হলছাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ ছাত্রলীগ নেতার একজন। আবদুল কাদেরের দাবি, শাহাদাত ‘শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত’ ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পর সাদিক কায়েম শাহাদাতকে নিয়ে পোস্টকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তদবির করেন।
হাসানুল বান্না (জহুরুল হক হল) : ২০২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থীকে আবদুল কাদের ‘গুপ্ত শিবির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে থেকে ‘তেলবাজি ও চাটুকারিতায় অনন্য’ ছিল। ৫ আগস্টের পর বান্না শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন এবং এখন শিবিরের জহুরুল হক হল শাখার ‘বড় নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
রায়হান উদ্দিন (স্যার এ এফ রহমান হল) : ২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং হল ক্যান্ডিডেটের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’ ছিলেন। আবদুল কাদেরের দাবি, এই রায়হান ৫ আগস্টের পর শিবিরের ‘বড় নেতা’ হিসেবে হাজির হয়েছেন এবং তার আগের ফেসবুক আইডি মুছে ফেলেছেন।
হাসান সাঈদী (বিজয় একাত্তর হল) : আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই সাঈদী শিবিরের সাথী ছিলেন এবং পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজেকে ‘লীগার’ প্রমাণ করতে তিনি ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নেন এবং কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে ‘সাঈদ’ রাখেন। অবশেষে তিনি একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হন। আবদুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, সাঈদীসহ কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখেছিলেন, যার জন্য তিনি গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, শিবিরের কৌশলগত জায়গা থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের বড় পদ নিতেন। হল ক্যান্ডিডেট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাঁদের ছাত্রলীগের স্টাইল অনুসরণ করতে হতো। শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ তাঁরা ‘একিনের’ সঙ্গে করতেন, যার উদ্দেশ্য ছিল পদ পাওয়া।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটি হয় শিবিরের ‘প্রেসক্রিপশনে’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীকালে ‘ছায়া প্রশাসন’ হিসেবে কাজ করে এবং ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়, যেখানে তারা নিজেদের ‘সাথী ভাইদের’ তালিকার বাইরে রাখে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মাহিম সরকার ও আরমান হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই দুই মামলার বাদীর সঙ্গে শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তদবির করেন। আরমান পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যাঁদের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন, তাঁরা শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শিবিরের প্রতিক্রিয়া
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি ফেসবুকে যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়। মামলার বিষয়ে আমি আরমানকে মেসেজ দিয়েছিলাম খোঁজ নিয়ে দেখতে, যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই ‘তদবির-কাণ্ডের’ কারণে জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায়নি। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে। শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতা-কর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করেনি। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত এক যুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাদবরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!’
পোস্টের সঙ্গে সাদিক কায়েম যে মামলার বিষয়ে বাদীর কাছে তদবির করেছেন, সেই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন আবদুল কাদের। এ ছাড়া কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, ‘পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে আছে। কিছু ঘটনার নিউজ আছে।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রলীগের হয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
গতকাল রোববার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতেন, তাঁরা মূলত ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াতেন। নিজেকে ছাত্রলীগ প্রমাণ করার দায় থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের অংশীদার হতেন এবং ছাত্রলীগের সংস্কৃতিই চর্চা করতেন।
আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের হয়ে নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো এমন কয়েকজনের বিষয়ে শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ফোন কল দিয়ে তদবিরও করেছিলেন।
যাঁদের বিষয়ে অভিযোগ
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন:
মাজেদুর রহমান (বিজয় একাত্তর হল) : ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে রাতভর মারধরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। আবদুল কাদেরের দাবি, তিনি একই মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে জানতেন মাজেদুর ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে ‘ভয়ংকর নিপীড়ক’ হয়ে ওঠেন।
মুসাদ্দিক বিল্লাহ (ঢাবি ছাত্রলীগ দপ্তর সম্পাদক) : ২০১৭-১৮ সেশনের এই নেতাকে আবদুল কাদের তাঁর জেলার বলে উল্লেখ করেছেন, যাঁর পরিবার জামায়াতপন্থী এবং তিনি নিজেও শিবিরের সাথী ছিলেন। তবে ‘পদ-পদবির জন্য তিনি কট্টর ছাত্রলীগ’ হয়ে ওঠেন এবং পূর্বে কোনো কমিটিতে না থেকেও সরাসরি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পান।
আফজালুন নাঈম (জসীমউদ্দীন হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গেস্টরুমে দুর্ব্যবহার ও নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের। তিনি উল্লেখ করেন, এই নাঈম এখন জামায়াত-শিবিরের ‘আইকন’ শিশির মনিরের বিশেষ সহকারী।
ইলিয়াস হোসাইন (মুজিব হল) : ২০১৬-১৭ সেশনের এই নেতা জুনিয়রদের কাছে ‘ত্রাসের নাম’ ছিলেন। মিছিল-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চাপ দিতেন, গেস্টরুমে ‘অসহ্য মেন্টাল টর্চার’ করতেন এবং ছাত্রলীগের পদও পেয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর এই ইলিয়াস ‘শিবিরের বড় নেতা’ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং এখন শিবিরের ‘ইমামদের’ সঙ্গে চলাফেরা করেন।
মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে সোহেল (মুহসীন হল) : ২০১৭ সালে ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় শিবির সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হলছাড়া করার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৩ ছাত্রলীগ নেতার একজন। আবদুল কাদেরের দাবি, শাহাদাত ‘শিবির হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত’ ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই মামলা হওয়ার পর সাদিক কায়েম শাহাদাতকে নিয়ে পোস্টকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তদবির করেন।
হাসানুল বান্না (জহুরুল হক হল) : ২০২১-২২ সেশনের এই শিক্ষার্থীকে আবদুল কাদের ‘গুপ্ত শিবির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের হল ক্যান্ডিডেটদের পেছনে থেকে ‘তেলবাজি ও চাটুকারিতায় অনন্য’ ছিল। ৫ আগস্টের পর বান্না শিবিরের সদস্য সম্মেলনে গিয়ে নিজেকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করেন এবং এখন শিবিরের জহুরুল হক হল শাখার ‘বড় নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
রায়হান উদ্দিন (স্যার এ এফ রহমান হল) : ২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং হল ক্যান্ডিডেটের ‘একনিষ্ঠ অনুসারী’ ছিলেন। আবদুল কাদেরের দাবি, এই রায়হান ৫ আগস্টের পর শিবিরের ‘বড় নেতা’ হিসেবে হাজির হয়েছেন এবং তার আগের ফেসবুক আইডি মুছে ফেলেছেন।
হাসান সাঈদী (বিজয় একাত্তর হল) : আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই সাঈদী শিবিরের সাথী ছিলেন এবং পরে একাত্তর হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজেকে ‘লীগার’ প্রমাণ করতে তিনি ‘উগ্রপন্থা’ বেছে নেন এবং কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করে ‘সাঈদ’ রাখেন। অবশেষে তিনি একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হন। আবদুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, সাঈদীসহ কয়েকজন ছাত্রলীগার মিলে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখেছিলেন, যার জন্য তিনি গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে গেলে সাঈদী সেখানে গিয়েও আহতদের ওপর হামলা করেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সাঈদী ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সভাপতি সাদিক কায়েম তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, শিবিরের কৌশলগত জায়গা থেকেই তাঁরা ছাত্রলীগের বড় পদ নিতেন। হল ক্যান্ডিডেট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্ডিডেট হওয়ার কারণে তাঁদের ছাত্রলীগের স্টাইল অনুসরণ করতে হতো। শিক্ষার্থীদের গণরুম, গেস্টরুম, জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ তাঁরা ‘একিনের’ সঙ্গে করতেন, যার উদ্দেশ্য ছিল পদ পাওয়া।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটি হয় শিবিরের ‘প্রেসক্রিপশনে’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটাভুটি করে অধিকাংশ ব্যাচ প্রতিনিধি শিবির নিজেদের লোকজনকে নির্বাচিত করে। এই ব্যাচ প্রতিনিধিরাই পরবর্তীকালে ‘ছায়া প্রশাসন’ হিসেবে কাজ করে এবং ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের নামের তালিকা তৈরির দায়িত্ব নেয়, যেখানে তারা নিজেদের ‘সাথী ভাইদের’ তালিকার বাইরে রাখে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মাহিম সরকার ও আরমান হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই দুই মামলার বাদীর সঙ্গে শিবিরের সাদিক কায়েম সরাসরি দেখা করে কয়েকজনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তদবির করেন। আরমান পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সাদিক কায়েম যাঁদের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন, তাঁরা শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শিবিরের প্রতিক্রিয়া
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। তিনি ফেসবুকে যেগুলো লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়। মামলার বিষয়ে আমি আরমানকে মেসেজ দিয়েছিলাম খোঁজ নিয়ে দেখতে, যেন কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন।’
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের অভিযোগ, এই ‘তদবির-কাণ্ডের’ কারণে জুলাইয়ের অঙ্গীকার রক্ষা করা যায়নি। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সবাই সবার দলীয় মানুষজনকে বাঁচিয়ে দিতে গিয়ে জুলাইয়ের সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে দিছে। শিবির অস্বীকার করতেছে, তাদের কোনো নেতা-কর্মী গুপ্তভাবে লীগের ভেতরে ঢুকে লীগের কালচার চর্চা করেনি। তারা আমাদের কাছে প্রমাণ চাচ্ছে; কিন্তু শিবির তাদের বিগত এক যুগের হল কমিটি এবং ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক। তাহলেই তো মানুষজন ক্লিয়ার হতে পারে, শিবির ছিল কি ছিল না। বর্তমানের হল কমিটিও তো প্রকাশ করতে পারে। ৫ তারিখের পর তাদের ভয় কিসের? নাকি তাদের কৃতকর্ম প্রকাশিত হয়ে যাবে, সেই ভয়ে প্রকাশ করতেছে না! হলে হলে এখন শিবিরের হয়ে মাদবরি করা মানুষের পূর্বের চেহারা প্রকাশ হয়ে যাবে!’
পোস্টের সঙ্গে সাদিক কায়েম যে মামলার বিষয়ে বাদীর কাছে তদবির করেছেন, সেই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন আবদুল কাদের। এ ছাড়া কমেন্টে উল্লেখ করেছেন, ‘পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে আছে। কিছু ঘটনার নিউজ আছে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
২৮ মিনিট আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে থেকে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি জানিয়েছে, ১২৫ জনের যে তালিকা ঘোষণা হলো, সেটা চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের এই তালিকায় আনা হবে। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। আসন কয়টা পাব বা পাব না, এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। আসন নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম।’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৪ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন। আসনটি বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনে লড়বেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।
ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কবির আহমেদ।
ঢাকার অন্য আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১ মো. রাসেল আহমেদ, ঢাকা-৪ ডা. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৫ এস এম শাহরিয়ার, ঢাকা-৭ তারেক আহম্মেদ আদেল, ঢাকা-১২ নাহিদা সারওয়ার নিভা, ঢাকা-১৩ আকরাম হুসাইন, ঢাকা-১৫ মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা-১৬ আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা-১৭ ডা. তাজনূভা জাবীন, ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ও ঢাকা-২০ আসনে ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে লড়বেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনকে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দল মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এনসিপির নারী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এনসিপির ১২৫ জনের তালিকায় আছেন ১৪ জন নারী। তাঁরা হলেন মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩), দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি (সিরাজগঞ্জ-৪), ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১), তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২), ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭), ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০), সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩), ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২), হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫), সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০) এবং মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি)।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসন থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের। তিনি এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নাটোর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনসিপির নাটোর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ। তিনি অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাতবার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা-৭ আসনের তারেক আহম্মেদ আদেলের নাম এখনো জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা হিসেবে আছে। আদেল জাতীয় পার্টির নেতা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত জাহাঙ্গীর মো. আদেলের ছেলে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণকে মনোনয়ন দিয়েছে এনসিপি। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে লড়ার জন্য শাপলা কলি প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, সেখানে নুসরাত তাবাসসুমের নাম নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে এনসিপির হয়ে লড়বেন আ হ ম সামশুল মুক্তাদির। খালেদা জিয়ার বাকি দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ প্রার্থী দেয়নি এনসিপি।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে এনসিপি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি ২০০৮ সালে বিকল্পধারার হয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায় জায়গা পাননি।
রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে থেকে হ্যাঁ ভোটকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটাকে বাস্তবায়নের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি জানিয়েছে, ১২৫ জনের যে তালিকা ঘোষণা হলো, সেটা চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। এই প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থীদের এই তালিকায় আনা হবে। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। আসন কয়টা পাব বা পাব না, এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। আসন নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম।’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৪ টিতে প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৪ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে লড়বেন। আসনটি বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুম। জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান।
ঢাকা-১৮ আসনে লড়বেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।
ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কবির আহমেদ।
ঢাকার অন্য আসনগুলোর মধ্যে ঢাকা-১ মো. রাসেল আহমেদ, ঢাকা-৪ ডা. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৫ এস এম শাহরিয়ার, ঢাকা-৭ তারেক আহম্মেদ আদেল, ঢাকা-১২ নাহিদা সারওয়ার নিভা, ঢাকা-১৩ আকরাম হুসাইন, ঢাকা-১৫ মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা-১৬ আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাকা-১৭ ডা. তাজনূভা জাবীন, ঢাকা-১৮ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ ফয়সাল মাহমুদ শান্ত ও ঢাকা-২০ আসনে ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে লড়বেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ নওশাদ জমির। জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনকে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারবারের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
এখন পর্যন্ত যতগুলো দল মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এনসিপির নারী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এনসিপির ১২৫ জনের তালিকায় আছেন ১৪ জন নারী। তাঁরা হলেন মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫), দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩), দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি (সিরাজগঞ্জ-৪), ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১), তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১), ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২), ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭), ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০), সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩), ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২), হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫), সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০) এবং মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি)।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসন থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের। তিনি এর আগে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
নাটোর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনসিপির নাটোর জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ। তিনি অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাতবার চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা-৭ আসনের তারেক আহম্মেদ আদেলের নাম এখনো জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা হিসেবে আছে। আদেল জাতীয় পার্টির নেতা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র প্রয়াত জাহাঙ্গীর মো. আদেলের ছেলে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণকে মনোনয়ন দিয়েছে এনসিপি। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন। এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে লড়ার জন্য শাপলা কলি প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছিলেন। তবে এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, সেখানে নুসরাত তাবাসসুমের নাম নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে। দিনাজপুর-৩ আসনে এনসিপির হয়ে লড়বেন আ হ ম সামশুল মুক্তাদির। খালেদা জিয়ার বাকি দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ প্রার্থী দেয়নি এনসিপি।
বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে এনসিপি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি ২০০৮ সালে বিকল্পধারার হয়ে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বগুড়া-৬ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে তিনটি আসন থেকে লড়াই করবেন, তার একটিতে দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে আ হ ম সামশুল মুক্তাদির এই আসনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খালেদা জিয়ার অন্য দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি।
রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলটি।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বগুড়া-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আবিদুর রহমান সোহেল। তিনি বগুড়া শহর জামায়াতের আমির।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে তিনটি আসন থেকে লড়াই করবেন, তার একটিতে দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে আ হ ম সামশুল মুক্তাদির এই আসনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খালেদা জিয়ার অন্য দুটি আসন বগুড়া-৭ ও ফেনী-১-এ এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি।
রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১২৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলটি।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বগুড়া-৬ আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন আবিদুর রহমান সোহেল। তিনি বগুড়া শহর জামায়াতের আমির।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
২৮ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যেই উনি আছেন। উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, শি ক্যান কনটিনিউ অন মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট। চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছে, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই রেসপন্স করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠাও আছে। দেশের মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু উনি একজন রোগী। নীতিগতভাবে উনার কিছু অধিকার আছে। ইচ্ছা করলেই চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু প্রকাশ্যে বলে দেওয়া, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না।’
এ সময় দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং তাতে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। পৃথিবীর মধ্য ভালো চিকিৎসা যাতে উনি পেতে পারেন, সে জন্য এখানে রেখেও দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উনার চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে খুবই আশাবাদী মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্রোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে উনি (খালেদা জিয়া) চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন। একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যেই উনি আছেন। উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, শি ক্যান কনটিনিউ অন মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট। চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছে, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই রেসপন্স করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তাঁর (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে। তাঁকে নিয়ে উৎকণ্ঠাও আছে। দেশের মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু উনি একজন রোগী। নীতিগতভাবে উনার কিছু অধিকার আছে। ইচ্ছা করলেই চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু প্রকাশ্যে বলে দেওয়া, এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না।’
এ সময় দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো এবং তাতে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানান ডা. জাহিদ।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। পৃথিবীর মধ্য ভালো চিকিৎসা যাতে উনি পেতে পারেন, সে জন্য এখানে রেখেও দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উনার চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে খুবই আশাবাদী মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদ্রোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি দুই ডজনের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
২৮ মিনিট আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প হলেও ‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি’ বলে মনে করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে এসব করা হয়েছিল, তা সফল হয়নি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো, আমরা কোনো মেগা প্রকল্পে যাব না। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা দুর্নীতি। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে খরচ করতে হবে। সে জন্যই বিএনপির নতুন আইটি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত সরকারের আমলে মেগা প্রকল্প হলেও ‘উদ্দেশ্য সফল হয়নি’ বলে মনে করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত স্বৈরাচারের সময়ে উন্নয়নের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আইটি পার্কের নামে বহু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে এখন বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে এসব করা হয়েছিল, তা সফল হয়নি।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
০৪ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১২৫ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পরিচিত নেতাদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, জুলাই হতাহতদের পরিবার এবং বিএনপির সাবেক নেতারাও প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার আলোচনায় থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ এই তালিকায়
২৮ মিনিট আগে
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বগুড়া-৬ আসনে এনসিপির হয়ে নির্বাচন করবেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। ২০০৮ সালে একই আসনে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য। এই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত বিদেশে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এখানে রেখেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে