নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় বড় ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের আকাশ থেকে এখনো কালো মেঘের ঘনঘটা কেটে যায়নি। শকুনির শ্যেন দৃষ্টি এখনো তৎপর রয়েছে। তাই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং সুশাসন ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে আরও বড় ধরনের ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হয়ে উঠবে না বা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করা যাবে না। বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কারে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ারও আহ্বান জানান।
জামায়াত আমির বলেন, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তাঁর লেখনী ও তাফসির মাহফিলের মাধ্যমে আমৃত্যু দ্বীনের খেদমত করে গেছেন। কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে তাঁরা দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূন্য করার পাঁয়তারা করে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রহসন করে শীর্ষ ১১ জন জাতীয় নেতা ও বরেণ্য আলেমদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মহড়া চালিয়েছে। প্রহসনের বিচারের নামে জামায়াতের ৫ জন নেতাকে ফাঁসিতে আরও ৫ নেতাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য শত শত নেতাকে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসিবাদীদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার তোপের মুখে তাঁদের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা ছাত্র-জনতার তীব্র গণ-আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল। তাঁরা জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু জামায়াত সেই পাতানো ফাঁদে পা দেয়নি বলেও মন্তব্য করেন দলটির এই শীর্ষ নেতা।
সাম্প্রতিক আন্দোলনে শত শত মানুষ প্রাণহানি, হাজার হাজার আহত ও অন্ধত্ব বরণ করা মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ডা. শফিকুর রহমান।
দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশের সাংবাদিক সমাজ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজ জাতির বিবেক ও দর্পণ। কিন্তু আওয়ামী শাসনামলে তাঁরা স্বাধীন ও বিবেক সম্মতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তাই সময় এসেছে গণ মাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করার।
পেশাজীবী পরিষদের মহানগরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় বড় ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের আকাশ থেকে এখনো কালো মেঘের ঘনঘটা কেটে যায়নি। শকুনির শ্যেন দৃষ্টি এখনো তৎপর রয়েছে। তাই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং সুশাসন ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে আরও বড় ধরনের ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হয়ে উঠবে না বা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করা যাবে না। বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কারে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ারও আহ্বান জানান।
জামায়াত আমির বলেন, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তাঁর লেখনী ও তাফসির মাহফিলের মাধ্যমে আমৃত্যু দ্বীনের খেদমত করে গেছেন। কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে তাঁরা দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূন্য করার পাঁয়তারা করে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রহসন করে শীর্ষ ১১ জন জাতীয় নেতা ও বরেণ্য আলেমদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মহড়া চালিয়েছে। প্রহসনের বিচারের নামে জামায়াতের ৫ জন নেতাকে ফাঁসিতে আরও ৫ নেতাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য শত শত নেতাকে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু জুলুমবাজ ও ফ্যাসিবাদীদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার তোপের মুখে তাঁদের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা ছাত্র-জনতার তীব্র গণ-আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিল। তাঁরা জামায়াতের ওপর দায় চাপিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু জামায়াত সেই পাতানো ফাঁদে পা দেয়নি বলেও মন্তব্য করেন দলটির এই শীর্ষ নেতা।
সাম্প্রতিক আন্দোলনে শত শত মানুষ প্রাণহানি, হাজার হাজার আহত ও অন্ধত্ব বরণ করা মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ডা. শফিকুর রহমান।
দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশের সাংবাদিক সমাজ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজ জাতির বিবেক ও দর্পণ। কিন্তু আওয়ামী শাসনামলে তাঁরা স্বাধীন ও বিবেক সম্মতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তাই সময় এসেছে গণ মাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করার।
পেশাজীবী পরিষদের মহানগরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গতবছর সরকার পতনের আগে উত্তাল জুলাই ও আগস্ট মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে তাঁর ফুপু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের একটি রেকর্ড ফাঁস করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
৮ ঘণ্টা আগেসুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে তৈরি ‘জাতীয় সনদ’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে তুলে দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এ
১২ ঘণ্টা আগেএকাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত ব্যক্তিরাই একাত্তরের সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে চান বা পরিবর্তন করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘৭১-এর সংবিধান রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বকে ঘিরে। সংবিধানকে সংস্কার করা যাবে, কিন্তু সংবি
১৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ‘নতুন এক যুগে প্রবেশ’ করেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামোকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব আবারও বিএনপির ওপরই বর্তেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে