Ajker Patrika

স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিতরাই সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে চায়: বজলুর রশীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৪৭
বজলুর রশীদ ফিরোজ। ফাইল ছবি
বজলুর রশীদ ফিরোজ। ফাইল ছবি

একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত ব্যক্তিরাই একাত্তরের সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে চান বা পরিবর্তন করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘৭১-এর সংবিধান রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বকে ঘিরে। সংবিধানকে সংস্কার করা যাবে, কিন্তু সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে হবে, এটা কোনো কথা নয়। যাঁরা ‘৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত গ্লানি ভুলতে পারেননি, তাঁরাই ‘৭১-এর সংবিধান পুরোটা বাদ দিতে চান।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: প্রত্যয় ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, জুলাইয়ে প্রত্যাশা ছিল মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। এই অভ্যুত্থান অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কেন্দ্রীয় প্রত্যয় ছিল। সরকার যে এক বছরে আমূল পরিবর্তন করে ফেলতে পারবে, তা নয়, কিন্তু সূচনা করা তো উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ ছিল সংস্কার, বিচারপ্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচনব্যবস্থা করা। এই তিনটার একটাও করতে পারেনি তারা।

তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে যে পাহাড়সম বৈষম্য, সেটি দূর করতে পারেনি। সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, সেখানে বাস্তবায়ন তো দূরে থাক, মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল, সেখানেও তো কৃষির উন্নয়নের জন্য কোনো কমিশন গঠন করেনি।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। গণফোরামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধুর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি মিসেস তানিয়া রব, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, গণফোরামের সভাপতি পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ

গণফোরামের সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘আজকে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, যার অবদান জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। দেশের কল্যাণে, দেশ ও জনতার স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।’

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘‘৭১-এ একটা প্রত্যয় ছিল। আমাদের বলা হলো, তোমরা অস্ত্র জমা দিয়ে যার যার কর্মস্থলে চলে যাও। তখন বুঝেছিলাম, ৭১-এর স্বাধীনতা বেহাত হয়ে গেল। এই গণ-অভ্যুত্থানটাও বেহাত হয়ে যাবে দখলদারত্বের হাতে। এর ভবিষ্যতও যে কী হবে, তারও ভালো নিশ্চয়তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘দুটি বড় দল, একটি নতুন দল, মোট তিনটি দল মিলে প্রস্তুত করেছে জুলাই সনদ। আগামীকালকে ঘোষণা করা হবে। আমাদের খসড়া কেউ এখনো পাঠায়নি। অথচ আমরাও জুলাই সনদের একটি খসড়া তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আমরা কিছুই জানি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত