Ajker Patrika

সিন্ডিকেট সংসদ দখল করে ফেলেছে: সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮: ০০
সিন্ডিকেট সংসদ দখল করে ফেলেছে: সিপিবি

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম দিন দিন বাড়ছে। সরকার এসব ক্ষেত্রে দাম বেঁধে দিলেও সিন্ডিকেটের কারণে মাঠপর্যায়ে তা কার্যকর হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের আমদানির ঘোষণা আইওয়াশ। এই আইওয়াশ দিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। সিন্ডিকেট ওয়ালারা সংসদ দখল করে ফেলেছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম।

এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সিন্ডিকেট ভাঙা, সারা দেশে রেশনিং ব্যবস্থা, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুসহ উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলার দাবিতে ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম বলেন, ‘আইওয়াশ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সিন্ডিকেট সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। আজকে আলু, ডিম হচ্ছে। আরেক দিন চিনি হবে। সিন্ডিকেট ওয়ালারা সংসদ দখল করে ফেলেছে, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করে বসে আছে। তারা ব্যাংক, শেয়ারবাজার দখল করে বসে আছে। এই অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। সরকারকে বলব, আইওয়াশ দেওয়ার দরকার নাই। স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। বিকল্প ১৩ দফার মাধ্যমে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব।’

সংসদে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জবাবদিহি না থাকায় বাজারে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ না থাকাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই নৈরাজ্য থেকে বের হয়ে আসতে হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে স্থায়ী রেশন ব্যবস্থা চালু, ক্রেতা ও ভোক্তা সমবায় সমিতি গঠন, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, টিসিবির কার্যক্রম বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাফার স্টক গড়ে তোলা, মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, অবাধ খোলাবাজার অর্থনীতির দর্শন নীতি থেকে বের হয়ে আসা উল্লেখযোগ্য।

এম এম আকাশ বলেন, ‘আমাদের দেশের ধনীরা বিদেশে ভোগ-বিলাস এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ক্রয়ে হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করছেন। কেউ কেউ বিদেশে বিনিয়োগ করে ডলার উপার্জনও করছেন। কিন্তু এগুলো কিছুই দেশে ডলারের রিজার্ভ বাড়াচ্ছে না। সরকার এক টাকার মেগা প্রজেক্টে তিন টাকা ব্যয় করছে। সে জন্য চীন, জাপান, ভারত, আইএমএফ থেকে প্রচুর ডলার ঋণ নিতে হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় চার কোটি লোক প্রয়োজনীয় ক্যালরি খাবার পাচ্ছেন না। এদের কথা সরকার, শাসকগোষ্ঠী ও মুনাফালোভীরা ভাবছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত