Ajker Patrika

মিয়ানমারের বেপরোয়া তৎপরতায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭: ৫৭
মিয়ানমারের বেপরোয়া তৎপরতায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা বিএনপির

বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা ও শুক্রবার নিক্ষিপ্ত মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। 

সম্প্রতি মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় এক গভীর আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মিয়ানমারের এই ঔদ্ধত্য প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’ 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকারের নতজানু ও দুর্বল কূটনীতির সুযোগে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে এক শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’ 

বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারশেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটারের ভেতরে পড়ে গোলা বিস্ফোরিত হয় যা সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। তিনি বলেন, মিয়ানমার বাহিনী প্রায়শই যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করছে। এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ মহা সংকটে রয়েছে। তার ওপর এখন নতুন করে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করছে মিয়ানমার বাহিনী। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে। 

ফখরুল বলেন, ‘এদিকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়েও সীমান্ত হত্যা সংঘটিত হয়েছে।’ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার্থে মেরুদণ্ড সোজা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত