সম্পাদকীয়
বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের খ্রিষ্টানপাড়াসংলগ্ন বড় একটি পুকুর বালু ফেলে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে ‘ছালাম মিয়া হাউজিং’ কোম্পানির বিরুদ্ধে। চার দিন ধরে কীর্তনখোলা নদী থেকে পাইপলাইনে বালু এনে ওই পুকুরের একাংশ ভরে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১১ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
যদিও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষ পুকুর ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর আশঙ্কা হচ্ছে, এর আগেও আশপাশের বহু পুকুর, জলাশয় এভাবে ভরাট করা হয়েছিল। এখন এ পুকুরটিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাবে কি না, তা নিয়ে এলাকাবাসী সন্দিহান। এই পুকুর ভরাট নিয়ে বরিশালের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ, বিসিসি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিলেও পরিবেশ অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত কোনো ভূমিকা গ্রহণ করেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় থাকা ফসলি জমি, পুকুর, জলাশয় একটু একটু করে ভরে ওই হাউজিং প্রকল্প করা হয়েছে। এখন চোখ পড়েছে এ পুকুরটির ওপর।
২০০০ সালে ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী, নদী, খাল, বিল, দিঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এই আইন অনুযায়ী, জলাশয় ভরাট করা যাবে না। আইন অমান্য করে জলাশয় ভরাট করা হলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ দেখা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ আইন ভঙ্গের সুযোগ তৈরি করে দেয়। যেমন দেখা গেছে বরিশালের পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকায়। এ কারণে সারা দেশেই জলাশয় ভরাট-দখল হচ্ছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পুকুর বা যেকোনো জলাশয়ের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। মাছের জোগান থেকে শুরু করে বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ করে থাকে পুকুরগুলো।
পুকুর ভরাটের ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। পুকুর কমে গেলে পানি ধারণক্ষমতা হ্রাস পায়, যা বন্যা পরিস্থিতিকে ত্বরান্বিত করে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে আর্সেনিকের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
যদিও ‘ছালাম মিয়া হাউজিং’ কোম্পানির মালিক ওয়াহেদুর আনাম তানু পুকুরটিকে ‘নাল জমি’ বলে দাবি করেছেন। আমরা জানি, সাধারণত নিচু সমতল কৃষিজমিকে নাল জমি বলা হয়। একটা পুকুর কীভাবে নাল জমি হতে পারে? স্থানীয় মানুষেরাও অনেক দিন থেকে এ পুকুরের অস্তিত্ব জেনে আসছে। তারপরেও কীভাবে হাউজিং কোম্পানির মালিক এভাবে একটা পুকুরকে নাল জমি বলে চালিয়ে দিতে পারে? এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ভূমি অফিসের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
বরিশাল নগরের এই পুকুরটি রক্ষা করার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। তাদেরই এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে, কোনোভাবেই যেন পুকুরটি ‘চুরি’ হয়ে না যায়।
বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের খ্রিষ্টানপাড়াসংলগ্ন বড় একটি পুকুর বালু ফেলে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে ‘ছালাম মিয়া হাউজিং’ কোম্পানির বিরুদ্ধে। চার দিন ধরে কীর্তনখোলা নদী থেকে পাইপলাইনে বালু এনে ওই পুকুরের একাংশ ভরে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১১ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
যদিও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষ পুকুর ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর আশঙ্কা হচ্ছে, এর আগেও আশপাশের বহু পুকুর, জলাশয় এভাবে ভরাট করা হয়েছিল। এখন এ পুকুরটিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাবে কি না, তা নিয়ে এলাকাবাসী সন্দিহান। এই পুকুর ভরাট নিয়ে বরিশালের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ, বিসিসি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিলেও পরিবেশ অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত কোনো ভূমিকা গ্রহণ করেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় থাকা ফসলি জমি, পুকুর, জলাশয় একটু একটু করে ভরে ওই হাউজিং প্রকল্প করা হয়েছে। এখন চোখ পড়েছে এ পুকুরটির ওপর।
২০০০ সালে ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী, নদী, খাল, বিল, দিঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এই আইন অনুযায়ী, জলাশয় ভরাট করা যাবে না। আইন অমান্য করে জলাশয় ভরাট করা হলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ দেখা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ আইন ভঙ্গের সুযোগ তৈরি করে দেয়। যেমন দেখা গেছে বরিশালের পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকায়। এ কারণে সারা দেশেই জলাশয় ভরাট-দখল হচ্ছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পুকুর বা যেকোনো জলাশয়ের ভূমিকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। মাছের জোগান থেকে শুরু করে বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ করে থাকে পুকুরগুলো।
পুকুর ভরাটের ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। পুকুর কমে গেলে পানি ধারণক্ষমতা হ্রাস পায়, যা বন্যা পরিস্থিতিকে ত্বরান্বিত করে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে আর্সেনিকের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
যদিও ‘ছালাম মিয়া হাউজিং’ কোম্পানির মালিক ওয়াহেদুর আনাম তানু পুকুরটিকে ‘নাল জমি’ বলে দাবি করেছেন। আমরা জানি, সাধারণত নিচু সমতল কৃষিজমিকে নাল জমি বলা হয়। একটা পুকুর কীভাবে নাল জমি হতে পারে? স্থানীয় মানুষেরাও অনেক দিন থেকে এ পুকুরের অস্তিত্ব জেনে আসছে। তারপরেও কীভাবে হাউজিং কোম্পানির মালিক এভাবে একটা পুকুরকে নাল জমি বলে চালিয়ে দিতে পারে? এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ভূমি অফিসের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
বরিশাল নগরের এই পুকুরটি রক্ষা করার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। তাদেরই এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে, কোনোভাবেই যেন পুকুরটি ‘চুরি’ হয়ে না যায়।
আবদুল হাই তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তুলে ধরেছেন ঈদের উৎসব কীভাবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে। আগে ঈদ ছিল আন্তরিকতা, ভাগাভাগি ও আত্মত্যাগের প্রতীক; আজ তা হয়ে উঠেছে প্রদর্শন, প্রতিযোগিতা ও বাহ্যিক আয়োজনের উৎসব। লেখক আক্ষেপ করেন, এখন ঈদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ‘কন্টেন্ট’, গরুর নাম, ব্যানার আর মোবাইল ক্যাম
১২ মিনিট আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে এক বিশেষ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে একটি অভ্যুত্থানোত্তর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে রয়েছে এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একধরনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা হয়েছিল, অরাজনৈতিক সরকারের বাজেটে
১ দিন আগেসংবাদপত্রের পাতায় প্রকাশিত কোনো কোনো শিরোনাম ও সংবাদ বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পড়তে চান পাঠক। আজকের পত্রিকায় ৩১ মে প্রকাশিত প্রধান শিরোনাম, ‘৬ মাসের টানাটানিতে ভোট’ শীর্ষক সংবাদটি সম্পর্কে আমাকে একজন সম্পাদক ফোন করে প্রশংসা করলেন। আমি বুঝতে পারলাম শিরোনামটি যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভোট নিয়ে জনগণের আগ
২ দিন আগেঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন
২ দিন আগে