আহমেদ শমসের, সাংবাদিক
১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যেটি ইতিহাসে ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে), অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। এই সরকারের গঠন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, এটি ছিল একটি অনন্য কৌশলগত পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাস্তবে একটি সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক রূপ লাভ করে।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালিয়ে ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকেই আজ শেখ মুজিবের ওই অনুপস্থিতিকে তির্যক দৃষ্টিতে দেখে মন্তব্য করেন, অথচ তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হন—শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতি কোনো শূন্যতা সৃষ্টি করেনি; বরং তাঁর নাম, কণ্ঠস্বর, তাঁর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণ এবং সেই অসামান্য রাজনৈতিক দূরদর্শিতা গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিল। মুজিব অনুপস্থিত থাকলেও মুজিবের বজ্রকণ্ঠ ছিল উপস্থিত। মুজিবের নামেই লড়াই চলেছে, প্রাণ দেওয়া হয়েছে, আর বিশ্ব মঞ্চে যে সরকার আত্মপ্রকাশ করে সেটিও তাঁর নামেই—‘মুজিবনগর’ সরকার।
এই সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। অসামরিক ও অপ্রস্তুত বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে মুজিবনগর সরকার। যুদ্ধের নানা পর্যায়ে এই সরকার পরিচালনা করেছে কূটনৈতিক উদ্যোগ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা, বিশ্ব বিবেকের দরজায় কড়া নাড়া এবং ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা। ভারত সরকার এই সরকারের বৈধতা মেনে নিয়েছে, সাহায্য দিয়েছে খোলাখুলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন—সব আন্তর্জাতিক শক্তির চোখ তখন মুজিবনগর সরকারের ওপর ছিল, কারণ এ সরকার ছিল জনগণের নির্বাচিত নেতৃত্বের উত্তরসূরি এবং গণতান্ত্রিক বৈধতার ধারক।
মুজিবনগর সরকার না থাকলে যুদ্ধের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় অসম্ভব হয়ে উঠত। গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা, প্রশিক্ষণ, রণকৌশল, লজিস্টিক সহায়তা, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা—এই সবকিছুই পরিচালিত হয়েছে মুজিবনগর সরকারের অধীনে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে এই সরকার যেভাবে বাংলাদেশকে সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে সংগঠিত করেছে, তা এককথায় যুগান্তকারী। তিনি একদিকে ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ কৌশলগত সমন্বয় তৈরি করেন, অপরদিকে অভ্যন্তরে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার ও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেন। একটি সংগঠিত সামরিক-রাজনৈতিক অবস্থান ছাড়া স্বাধীনতার দাবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা পেত না।
আজকাল কেউ কেউ ১৯৭১ সালের এই ইতিহাসকে হেয় করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক নাটকীয়তার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন—যে তুলনা শুধু বালখিল্য নয়, ইতিহাস-অজ্ঞতার জ্বলন্ত প্রমাণ। একদিকে একটি জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ, যেখানে শত্রু বাহিনী একটি বিদেশি রাষ্ট্রের সেনা; অন্যদিকে একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বা সাময়িক অস্থিরতা। এই দুইয়ের মাঝে তুলনার প্রয়াস ইতিহাস-অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়।
আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো—বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কল্পনা করাও বাতুলতা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের আহ্বান, জনগণের ভোটে তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনে বিজয়, তাঁর নামেই স্বাধীনতার ঘোষণা, তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন—সবই প্রমাণ করে, মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের আত্মার প্রতীক। তিনি ছিলেন না শুধু একজন রাজনীতিক, তিনি ছিলেন আন্দোলনের অভিভাবক, সংগ্রামের মুখপাত্র এবং জনগণের নিঃশর্ত আস্থা। যে সময় তিনি পাকিস্তানে বন্দী, সেই সময়েও তাঁর নামে যুদ্ধ চলছে, তাঁর নামে স্লোগান উঠছে, তাঁর নামে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করা হচ্ছে। এমন ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল।
মুজিবনগর সরকার ছিল শেখ মুজিবের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফল ও বহিঃপ্রকাশ এবং এটি ছাড়া যুদ্ধ সংঘটিত ও বিজয় অর্জন সম্ভব ছিল না। এই সরকার যুদ্ধকে কেবল প্রতিরোধের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে তা একটি জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে রূপ দেয়। এই সরকারের নেতৃত্বেই ৯
মাসব্যাপী এক রক্তাক্ত কিন্তু গর্বিত যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১—ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে।
সুতরাং, মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অস্বীকার করার চেষ্টা কেবল ইতিহাসকে বিকৃত করা নয়, তা জাতির আত্মপরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি রাজনৈতিকভাবে সচেতন, সশস্ত্র, কৌশলগত এবং নেতৃত্বভিত্তিক সংগ্রাম—যার মূলে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং যার কৌশলগত রূপদাতা ছিল মুজিবনগর সরকার।
১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যেটি ইতিহাসে ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে), অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। এই সরকারের গঠন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, এটি ছিল একটি অনন্য কৌশলগত পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাস্তবে একটি সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক রূপ লাভ করে।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালিয়ে ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকেই আজ শেখ মুজিবের ওই অনুপস্থিতিকে তির্যক দৃষ্টিতে দেখে মন্তব্য করেন, অথচ তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হন—শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতি কোনো শূন্যতা সৃষ্টি করেনি; বরং তাঁর নাম, কণ্ঠস্বর, তাঁর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণ এবং সেই অসামান্য রাজনৈতিক দূরদর্শিতা গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিল। মুজিব অনুপস্থিত থাকলেও মুজিবের বজ্রকণ্ঠ ছিল উপস্থিত। মুজিবের নামেই লড়াই চলেছে, প্রাণ দেওয়া হয়েছে, আর বিশ্ব মঞ্চে যে সরকার আত্মপ্রকাশ করে সেটিও তাঁর নামেই—‘মুজিবনগর’ সরকার।
এই সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। অসামরিক ও অপ্রস্তুত বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে মুজিবনগর সরকার। যুদ্ধের নানা পর্যায়ে এই সরকার পরিচালনা করেছে কূটনৈতিক উদ্যোগ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা, বিশ্ব বিবেকের দরজায় কড়া নাড়া এবং ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা। ভারত সরকার এই সরকারের বৈধতা মেনে নিয়েছে, সাহায্য দিয়েছে খোলাখুলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন—সব আন্তর্জাতিক শক্তির চোখ তখন মুজিবনগর সরকারের ওপর ছিল, কারণ এ সরকার ছিল জনগণের নির্বাচিত নেতৃত্বের উত্তরসূরি এবং গণতান্ত্রিক বৈধতার ধারক।
মুজিবনগর সরকার না থাকলে যুদ্ধের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় অসম্ভব হয়ে উঠত। গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা, প্রশিক্ষণ, রণকৌশল, লজিস্টিক সহায়তা, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা—এই সবকিছুই পরিচালিত হয়েছে মুজিবনগর সরকারের অধীনে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে এই সরকার যেভাবে বাংলাদেশকে সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে সংগঠিত করেছে, তা এককথায় যুগান্তকারী। তিনি একদিকে ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ কৌশলগত সমন্বয় তৈরি করেন, অপরদিকে অভ্যন্তরে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার ও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেন। একটি সংগঠিত সামরিক-রাজনৈতিক অবস্থান ছাড়া স্বাধীনতার দাবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা পেত না।
আজকাল কেউ কেউ ১৯৭১ সালের এই ইতিহাসকে হেয় করে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক নাটকীয়তার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন—যে তুলনা শুধু বালখিল্য নয়, ইতিহাস-অজ্ঞতার জ্বলন্ত প্রমাণ। একদিকে একটি জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ, যেখানে শত্রু বাহিনী একটি বিদেশি রাষ্ট্রের সেনা; অন্যদিকে একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বা সাময়িক অস্থিরতা। এই দুইয়ের মাঝে তুলনার প্রয়াস ইতিহাস-অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়।
আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো—বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কল্পনা করাও বাতুলতা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের আহ্বান, জনগণের ভোটে তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনে বিজয়, তাঁর নামেই স্বাধীনতার ঘোষণা, তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন—সবই প্রমাণ করে, মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের আত্মার প্রতীক। তিনি ছিলেন না শুধু একজন রাজনীতিক, তিনি ছিলেন আন্দোলনের অভিভাবক, সংগ্রামের মুখপাত্র এবং জনগণের নিঃশর্ত আস্থা। যে সময় তিনি পাকিস্তানে বন্দী, সেই সময়েও তাঁর নামে যুদ্ধ চলছে, তাঁর নামে স্লোগান উঠছে, তাঁর নামে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করা হচ্ছে। এমন ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল।
মুজিবনগর সরকার ছিল শেখ মুজিবের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফল ও বহিঃপ্রকাশ এবং এটি ছাড়া যুদ্ধ সংঘটিত ও বিজয় অর্জন সম্ভব ছিল না। এই সরকার যুদ্ধকে কেবল প্রতিরোধের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে তা একটি জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে রূপ দেয়। এই সরকারের নেতৃত্বেই ৯
মাসব্যাপী এক রক্তাক্ত কিন্তু গর্বিত যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১—ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে।
সুতরাং, মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অস্বীকার করার চেষ্টা কেবল ইতিহাসকে বিকৃত করা নয়, তা জাতির আত্মপরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি রাজনৈতিকভাবে সচেতন, সশস্ত্র, কৌশলগত এবং নেতৃত্বভিত্তিক সংগ্রাম—যার মূলে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং যার কৌশলগত রূপদাতা ছিল মুজিবনগর সরকার।
আবদুল হাই তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তুলে ধরেছেন ঈদের উৎসব কীভাবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে। আগে ঈদ ছিল আন্তরিকতা, ভাগাভাগি ও আত্মত্যাগের প্রতীক; আজ তা হয়ে উঠেছে প্রদর্শন, প্রতিযোগিতা ও বাহ্যিক আয়োজনের উৎসব। লেখক আক্ষেপ করেন, এখন ঈদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ‘কন্টেন্ট’, গরুর নাম, ব্যানার আর মোবাইল ক্যাম
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে এক বিশেষ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে একটি অভ্যুত্থানোত্তর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে রয়েছে এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একধরনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা হয়েছিল, অরাজনৈতিক সরকারের বাজেটে
২ দিন আগেসংবাদপত্রের পাতায় প্রকাশিত কোনো কোনো শিরোনাম ও সংবাদ বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পড়তে চান পাঠক। আজকের পত্রিকায় ৩১ মে প্রকাশিত প্রধান শিরোনাম, ‘৬ মাসের টানাটানিতে ভোট’ শীর্ষক সংবাদটি সম্পর্কে আমাকে একজন সম্পাদক ফোন করে প্রশংসা করলেন। আমি বুঝতে পারলাম শিরোনামটি যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভোট নিয়ে জনগণের আগ
৩ দিন আগেঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন
৩ দিন আগে