হাবিবুর রহমান
১০০ বছর আগে (২ মে, ১৯২১) সত্যজিৎ রায় জন্মেছিলেন পরাধীন এক দেশে। ১০০ বছর পরে সত্যজিতের মাতৃভূমি পরাধীন নয়, কিন্তু বিভক্ত কাঁটাতারে। তবে সত্যজিৎ, তাঁর কর্ম ও উত্তরাধিকার অবিভক্ত ও অখণ্ড দুই বাংলায়।
বিদেশি শাসকেরা বাঙালিদের ওপর লাগিয়েছিলেন নানা রকম অবমাননাকর তকমা—কলহপ্রিয়, ভীরু, অযোদ্ধা, কর্মবিমুখ, মিশ্র ও খর্বকায় জনগোষ্ঠী।
দুই দীর্ঘকায় বাঙালি তাঁদের অসীম সৃষ্টিশীলতায় শুধু বাংলা নয় ভারতীয় উপমহাদেশকে টেনে তুলেছিলেন মাউন্ট এভারেষ্টের চূড়ায়, যা ছিল যোগ্য জবাব দখলদারদের জন্য। রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ বাংলার মুকুটে দুই কোহিনূর, মানিকজোড়।
সম্পর্কে তাঁরা দুজন গুরু-শিষ্য। সত্যজিৎ তাঁর গুরু রবীন্দ্রনাথের শুধু ভাবশিষ্যই ছিলেন না, অধিকন্তু গুরুর উত্তরাধিকার বহন করেছেন যথাসম্মানে নিজের কাজের মধ্যে।
বিশ্বজয়ী সত্যজিতের স্বদেশ বাংলা এখন সাম্প্রদায়িকা ও ক্ষুদ্র ধর্মীয় বিভাজনে বিদীর্ণ ও শতছিন্ন। বাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখন স্বদেশের গৌরব, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে পর ধনের পেছনে পঙ্গপালের মতো ছুটছে। করছে হানাহানি ভাইয়ে-ভাইয়ে।
বাঙালি মধ্যবিত্ত—যাঁরা ছিলেন আলোর মশালবাহী, সেই মধ্যবিত্ত আজ যেন ধর্মের আফিম ও সাম্প্রদায়িকতার কর্কট দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। বাংলার কৃতী সন্তানদের কর্মসাধনাবিমুখতা ও অবহেলার কারণেই শিক্ষিত বাঙালি আজ অন্তসারশূন্য ও সৃষ্টিশক্তিহীণ।
নতুন দিনের যাঁরা নতুন মানুষ, তাঁদের কাছে শুধু একটা কথাই বলার আছে। সত্যজিৎ রায় হিরন্ময় সব সৃষ্টি রেখে গেছেন আমাদের জন্য, যেখানে রয়েছে মানিক ও রত্নের অফুরান ভান্ডার।
বাংলার রত্ন মানিক বাবুকে তাঁর শততম জন্মবার্ষিকী জানাই শ্রদ্ধা ও প্রণাম। মহারাজা তোমারে সেলাম!
১০০ বছর আগে (২ মে, ১৯২১) সত্যজিৎ রায় জন্মেছিলেন পরাধীন এক দেশে। ১০০ বছর পরে সত্যজিতের মাতৃভূমি পরাধীন নয়, কিন্তু বিভক্ত কাঁটাতারে। তবে সত্যজিৎ, তাঁর কর্ম ও উত্তরাধিকার অবিভক্ত ও অখণ্ড দুই বাংলায়।
বিদেশি শাসকেরা বাঙালিদের ওপর লাগিয়েছিলেন নানা রকম অবমাননাকর তকমা—কলহপ্রিয়, ভীরু, অযোদ্ধা, কর্মবিমুখ, মিশ্র ও খর্বকায় জনগোষ্ঠী।
দুই দীর্ঘকায় বাঙালি তাঁদের অসীম সৃষ্টিশীলতায় শুধু বাংলা নয় ভারতীয় উপমহাদেশকে টেনে তুলেছিলেন মাউন্ট এভারেষ্টের চূড়ায়, যা ছিল যোগ্য জবাব দখলদারদের জন্য। রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ বাংলার মুকুটে দুই কোহিনূর, মানিকজোড়।
সম্পর্কে তাঁরা দুজন গুরু-শিষ্য। সত্যজিৎ তাঁর গুরু রবীন্দ্রনাথের শুধু ভাবশিষ্যই ছিলেন না, অধিকন্তু গুরুর উত্তরাধিকার বহন করেছেন যথাসম্মানে নিজের কাজের মধ্যে।
বিশ্বজয়ী সত্যজিতের স্বদেশ বাংলা এখন সাম্প্রদায়িকা ও ক্ষুদ্র ধর্মীয় বিভাজনে বিদীর্ণ ও শতছিন্ন। বাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখন স্বদেশের গৌরব, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে পর ধনের পেছনে পঙ্গপালের মতো ছুটছে। করছে হানাহানি ভাইয়ে-ভাইয়ে।
বাঙালি মধ্যবিত্ত—যাঁরা ছিলেন আলোর মশালবাহী, সেই মধ্যবিত্ত আজ যেন ধর্মের আফিম ও সাম্প্রদায়িকতার কর্কট দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। বাংলার কৃতী সন্তানদের কর্মসাধনাবিমুখতা ও অবহেলার কারণেই শিক্ষিত বাঙালি আজ অন্তসারশূন্য ও সৃষ্টিশক্তিহীণ।
নতুন দিনের যাঁরা নতুন মানুষ, তাঁদের কাছে শুধু একটা কথাই বলার আছে। সত্যজিৎ রায় হিরন্ময় সব সৃষ্টি রেখে গেছেন আমাদের জন্য, যেখানে রয়েছে মানিক ও রত্নের অফুরান ভান্ডার।
বাংলার রত্ন মানিক বাবুকে তাঁর শততম জন্মবার্ষিকী জানাই শ্রদ্ধা ও প্রণাম। মহারাজা তোমারে সেলাম!
আবদুল হাই তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তুলে ধরেছেন ঈদের উৎসব কীভাবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে। আগে ঈদ ছিল আন্তরিকতা, ভাগাভাগি ও আত্মত্যাগের প্রতীক; আজ তা হয়ে উঠেছে প্রদর্শন, প্রতিযোগিতা ও বাহ্যিক আয়োজনের উৎসব। লেখক আক্ষেপ করেন, এখন ঈদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ‘কন্টেন্ট’, গরুর নাম, ব্যানার আর মোবাইল ক্যাম
২ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে এক বিশেষ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে একটি অভ্যুত্থানোত্তর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে রয়েছে এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একধরনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা হয়েছিল, অরাজনৈতিক সরকারের বাজেটে
১ দিন আগেসংবাদপত্রের পাতায় প্রকাশিত কোনো কোনো শিরোনাম ও সংবাদ বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পড়তে চান পাঠক। আজকের পত্রিকায় ৩১ মে প্রকাশিত প্রধান শিরোনাম, ‘৬ মাসের টানাটানিতে ভোট’ শীর্ষক সংবাদটি সম্পর্কে আমাকে একজন সম্পাদক ফোন করে প্রশংসা করলেন। আমি বুঝতে পারলাম শিরোনামটি যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভোট নিয়ে জনগণের আগ
২ দিন আগেঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন
৩ দিন আগে