জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবিএল) ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ এবং গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতা। গত ৩১ মার্চ ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড রিকভারি বিভাগের একটি প্রতিবেদন থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির মোট ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, যার মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ একাই বেনামি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকাই খেলাপি। শতকরা হিসেবে এটি মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। অন্যদিকে, ব্যাংকটির আমানত সংগ্রহের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। মার্চ, ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটিতে প্রায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি রয়েছে।
ব্যাংকের একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহক ভেদে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে না, যা গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমানতকারীদের টাকা উত্তোলনের চাপ সামলাতে ব্যাংকটি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। গ্রাহকেরা টাকা জমা না দিয়ে বরং বাজপাখির মতো টাকা উত্তোলনের জন্য ছুটে আসছেন।
ব্যাংকারদের মতে, নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান, ভুয়া দলিল, জামানতকৃত সম্পত্তির অতিমূল্যায়নসহ নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। বিশাল পরিমাণ ঋণখেলাপি, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানের ভারে ব্যাংকটি কুঁজো হয়ে পড়েছে। আর্থিক খাতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত এই ব্যাংকটিতে দীর্ঘ দিন ধরে এই লুটপাট চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকটির ফরেনসিক প্রতিবেদনেও ভুয়া দলিল দিয়ে কাগুজে কোম্পানির নামে বিনিয়োগ গ্রহণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এই পরিস্থিতিকে ‘ব্যাংক খাতের সর্বনাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে তিনি দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকার এই অনিয়মে বাধা দেয়নি, বরং সরকার প্রধানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক খালি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এস আলমের লোকজন এখনো নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বকেয়া শোধ করছে না। চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেছেন, সামনে ব্যাংকটির পরিবর্তন আসবে এবং এ জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, হাসিনা সরকারের আমলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংকে প্রকৃত তথ্য গোপন করে লুটপাট চালানো হতো। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই তথ্যগুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে গ্রাহকেরা একযোগে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দেয়।
খেলাপির তালিকায় দেশের অনেক বড় বড় গ্রুপ ও কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখার বড় বিনিয়োগ গ্রহীতা দেশবন্ধু গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশবন্ধু গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশবন্ধু সুগার মিলস লিমিটেড, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস, সাউথইস্ট সোয়েটার্স লিমিটেড ও এম আর ট্রেডিং। দীর্ঘদিন বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আরেক বড় খেলাপি সিকদার গ্রুপ। এই গ্রুপের অনাদায়ি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১০ কোটি টাকা। সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান, মৃত জয়নুল হক সিকদারের পুত্র রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও দীপু হক সিকদারের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এগুলোও খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।
ব্যাংকের অন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলাপি গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে এমআরসি বিজনেস হাউস, যার খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৭৫ কোটি টাকা। গ্লোব ট্রেডার্সের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৮০২ কোটি টাকায়। তাসনিম ফ্লাওয়ার মিলসের ঋণ ৭২৫ কোটি টাকা এবং মো. নুরুন্নবীর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা।
জুবিলি রোড শাখার অন্যান্য খেলাপি গ্রাহক হিসেবে রয়েছে সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৬৩৪ কোটি টাকা), ইমেজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৫৯৮ কোটি টাকা) ও ইকো ট্রেড কর্নার (৫৭৮ কোটি টাকা)।
আগ্রাবাদ শাখার খেলাপিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এস এ অয়েল রিফাইনারি, যার ঋণ ৬৩২ কোটি টাকা। লিজেন্ডারি ইন্টারন্যাশনালও প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে রয়েছে। রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের বকেয়া ৫৮৭ কোটি টাকা, যা বসুন্ধরা শাখায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, এই ব্যাংকটির বিষয়ে গভর্নর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকটিকে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাতারাতি সবকিছু সম্ভব নয়। বকেয়া আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবিএল) ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ এবং গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতা। গত ৩১ মার্চ ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড রিকভারি বিভাগের একটি প্রতিবেদন থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির মোট ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, যার মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ একাই বেনামি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকাই খেলাপি। শতকরা হিসেবে এটি মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। অন্যদিকে, ব্যাংকটির আমানত সংগ্রহের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। মার্চ, ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটিতে প্রায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি রয়েছে।
ব্যাংকের একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহক ভেদে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে না, যা গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমানতকারীদের টাকা উত্তোলনের চাপ সামলাতে ব্যাংকটি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। গ্রাহকেরা টাকা জমা না দিয়ে বরং বাজপাখির মতো টাকা উত্তোলনের জন্য ছুটে আসছেন।
ব্যাংকারদের মতে, নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান, ভুয়া দলিল, জামানতকৃত সম্পত্তির অতিমূল্যায়নসহ নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। বিশাল পরিমাণ ঋণখেলাপি, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানের ভারে ব্যাংকটি কুঁজো হয়ে পড়েছে। আর্থিক খাতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত এই ব্যাংকটিতে দীর্ঘ দিন ধরে এই লুটপাট চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকটির ফরেনসিক প্রতিবেদনেও ভুয়া দলিল দিয়ে কাগুজে কোম্পানির নামে বিনিয়োগ গ্রহণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এই পরিস্থিতিকে ‘ব্যাংক খাতের সর্বনাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে তিনি দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকার এই অনিয়মে বাধা দেয়নি, বরং সরকার প্রধানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক খালি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এস আলমের লোকজন এখনো নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বকেয়া শোধ করছে না। চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেছেন, সামনে ব্যাংকটির পরিবর্তন আসবে এবং এ জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, হাসিনা সরকারের আমলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংকে প্রকৃত তথ্য গোপন করে লুটপাট চালানো হতো। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই তথ্যগুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে গ্রাহকেরা একযোগে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দেয়।
খেলাপির তালিকায় দেশের অনেক বড় বড় গ্রুপ ও কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখার বড় বিনিয়োগ গ্রহীতা দেশবন্ধু গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশবন্ধু গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশবন্ধু সুগার মিলস লিমিটেড, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস, সাউথইস্ট সোয়েটার্স লিমিটেড ও এম আর ট্রেডিং। দীর্ঘদিন বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আরেক বড় খেলাপি সিকদার গ্রুপ। এই গ্রুপের অনাদায়ি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১০ কোটি টাকা। সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান, মৃত জয়নুল হক সিকদারের পুত্র রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও দীপু হক সিকদারের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এগুলোও খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।
ব্যাংকের অন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলাপি গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে এমআরসি বিজনেস হাউস, যার খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৭৫ কোটি টাকা। গ্লোব ট্রেডার্সের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৮০২ কোটি টাকায়। তাসনিম ফ্লাওয়ার মিলসের ঋণ ৭২৫ কোটি টাকা এবং মো. নুরুন্নবীর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা।
জুবিলি রোড শাখার অন্যান্য খেলাপি গ্রাহক হিসেবে রয়েছে সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৬৩৪ কোটি টাকা), ইমেজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৫৯৮ কোটি টাকা) ও ইকো ট্রেড কর্নার (৫৭৮ কোটি টাকা)।
আগ্রাবাদ শাখার খেলাপিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এস এ অয়েল রিফাইনারি, যার ঋণ ৬৩২ কোটি টাকা। লিজেন্ডারি ইন্টারন্যাশনালও প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে রয়েছে। রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের বকেয়া ৫৮৭ কোটি টাকা, যা বসুন্ধরা শাখায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, এই ব্যাংকটির বিষয়ে গভর্নর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকটিকে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাতারাতি সবকিছু সম্ভব নয়। বকেয়া আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবিএল) ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ এবং গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতা। গত ৩১ মার্চ ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড রিকভারি বিভাগের একটি প্রতিবেদন থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির মোট ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, যার মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ একাই বেনামি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকাই খেলাপি। শতকরা হিসেবে এটি মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। অন্যদিকে, ব্যাংকটির আমানত সংগ্রহের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। মার্চ, ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটিতে প্রায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি রয়েছে।
ব্যাংকের একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহক ভেদে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে না, যা গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমানতকারীদের টাকা উত্তোলনের চাপ সামলাতে ব্যাংকটি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। গ্রাহকেরা টাকা জমা না দিয়ে বরং বাজপাখির মতো টাকা উত্তোলনের জন্য ছুটে আসছেন।
ব্যাংকারদের মতে, নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান, ভুয়া দলিল, জামানতকৃত সম্পত্তির অতিমূল্যায়নসহ নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। বিশাল পরিমাণ ঋণখেলাপি, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানের ভারে ব্যাংকটি কুঁজো হয়ে পড়েছে। আর্থিক খাতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত এই ব্যাংকটিতে দীর্ঘ দিন ধরে এই লুটপাট চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকটির ফরেনসিক প্রতিবেদনেও ভুয়া দলিল দিয়ে কাগুজে কোম্পানির নামে বিনিয়োগ গ্রহণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এই পরিস্থিতিকে ‘ব্যাংক খাতের সর্বনাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে তিনি দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকার এই অনিয়মে বাধা দেয়নি, বরং সরকার প্রধানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক খালি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এস আলমের লোকজন এখনো নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বকেয়া শোধ করছে না। চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেছেন, সামনে ব্যাংকটির পরিবর্তন আসবে এবং এ জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, হাসিনা সরকারের আমলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংকে প্রকৃত তথ্য গোপন করে লুটপাট চালানো হতো। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই তথ্যগুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে গ্রাহকেরা একযোগে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দেয়।
খেলাপির তালিকায় দেশের অনেক বড় বড় গ্রুপ ও কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখার বড় বিনিয়োগ গ্রহীতা দেশবন্ধু গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশবন্ধু গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশবন্ধু সুগার মিলস লিমিটেড, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস, সাউথইস্ট সোয়েটার্স লিমিটেড ও এম আর ট্রেডিং। দীর্ঘদিন বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আরেক বড় খেলাপি সিকদার গ্রুপ। এই গ্রুপের অনাদায়ি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১০ কোটি টাকা। সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান, মৃত জয়নুল হক সিকদারের পুত্র রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও দীপু হক সিকদারের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এগুলোও খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।
ব্যাংকের অন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলাপি গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে এমআরসি বিজনেস হাউস, যার খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৭৫ কোটি টাকা। গ্লোব ট্রেডার্সের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৮০২ কোটি টাকায়। তাসনিম ফ্লাওয়ার মিলসের ঋণ ৭২৫ কোটি টাকা এবং মো. নুরুন্নবীর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা।
জুবিলি রোড শাখার অন্যান্য খেলাপি গ্রাহক হিসেবে রয়েছে সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৬৩৪ কোটি টাকা), ইমেজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৫৯৮ কোটি টাকা) ও ইকো ট্রেড কর্নার (৫৭৮ কোটি টাকা)।
আগ্রাবাদ শাখার খেলাপিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এস এ অয়েল রিফাইনারি, যার ঋণ ৬৩২ কোটি টাকা। লিজেন্ডারি ইন্টারন্যাশনালও প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে রয়েছে। রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের বকেয়া ৫৮৭ কোটি টাকা, যা বসুন্ধরা শাখায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, এই ব্যাংকটির বিষয়ে গভর্নর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকটিকে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাতারাতি সবকিছু সম্ভব নয়। বকেয়া আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবিএল) ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ এবং গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতা। গত ৩১ মার্চ ব্যাংকটির ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড রিকভারি বিভাগের একটি প্রতিবেদন থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির মোট ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, যার মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ একাই বেনামি ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকাই খেলাপি। শতকরা হিসেবে এটি মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। অন্যদিকে, ব্যাংকটির আমানত সংগ্রহের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। মার্চ, ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটিতে প্রায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি রয়েছে।
ব্যাংকের একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহক ভেদে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে না, যা গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমানতকারীদের টাকা উত্তোলনের চাপ সামলাতে ব্যাংকটি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। গ্রাহকেরা টাকা জমা না দিয়ে বরং বাজপাখির মতো টাকা উত্তোলনের জন্য ছুটে আসছেন।
ব্যাংকারদের মতে, নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান, ভুয়া দলিল, জামানতকৃত সম্পত্তির অতিমূল্যায়নসহ নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। বিশাল পরিমাণ ঋণখেলাপি, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানের ভারে ব্যাংকটি কুঁজো হয়ে পড়েছে। আর্থিক খাতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত এই ব্যাংকটিতে দীর্ঘ দিন ধরে এই লুটপাট চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকটির ফরেনসিক প্রতিবেদনেও ভুয়া দলিল দিয়ে কাগুজে কোম্পানির নামে বিনিয়োগ গ্রহণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এই পরিস্থিতিকে ‘ব্যাংক খাতের সর্বনাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে তিনি দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকার এই অনিয়মে বাধা দেয়নি, বরং সরকার প্রধানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক খালি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এস আলমের লোকজন এখনো নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বকেয়া শোধ করছে না। চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেছেন, সামনে ব্যাংকটির পরিবর্তন আসবে এবং এ জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, হাসিনা সরকারের আমলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যাংকে প্রকৃত তথ্য গোপন করে লুটপাট চালানো হতো। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই তথ্যগুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে গ্রাহকেরা একযোগে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দেয়।
খেলাপির তালিকায় দেশের অনেক বড় বড় গ্রুপ ও কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখার বড় বিনিয়োগ গ্রহীতা দেশবন্ধু গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশবন্ধু গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশবন্ধু সুগার মিলস লিমিটেড, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস, সাউথইস্ট সোয়েটার্স লিমিটেড ও এম আর ট্রেডিং। দীর্ঘদিন বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে গণ্য হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আরেক বড় খেলাপি সিকদার গ্রুপ। এই গ্রুপের অনাদায়ি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১০ কোটি টাকা। সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান, মৃত জয়নুল হক সিকদারের পুত্র রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও দীপু হক সিকদারের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন অর্থ ফেরত না দেওয়ায় এগুলোও খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।
ব্যাংকের অন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলাপি গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে এমআরসি বিজনেস হাউস, যার খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৭৫ কোটি টাকা। গ্লোব ট্রেডার্সের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৮০২ কোটি টাকায়। তাসনিম ফ্লাওয়ার মিলসের ঋণ ৭২৫ কোটি টাকা এবং মো. নুরুন্নবীর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা।
জুবিলি রোড শাখার অন্যান্য খেলাপি গ্রাহক হিসেবে রয়েছে সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৬৩৪ কোটি টাকা), ইমেজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৫৯৮ কোটি টাকা) ও ইকো ট্রেড কর্নার (৫৭৮ কোটি টাকা)।
আগ্রাবাদ শাখার খেলাপিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এস এ অয়েল রিফাইনারি, যার ঋণ ৬৩২ কোটি টাকা। লিজেন্ডারি ইন্টারন্যাশনালও প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে রয়েছে। রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের বকেয়া ৫৮৭ কোটি টাকা, যা বসুন্ধরা শাখায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, এই ব্যাংকটির বিষয়ে গভর্নর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকটিকে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাতারাতি সবকিছু সম্ভব নয়। বকেয়া আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। গ্রাহক চাইলেও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংকের কাছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের থেকে আদায়যোগ্য ঋণ ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এর ৯৫ শতাংশই এখন খেলাপি।
২৮ জুলাই ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। গ্রাহক চাইলেও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংকের কাছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের থেকে আদায়যোগ্য ঋণ ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এর ৯৫ শতাংশই এখন খেলাপি।
২৮ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। গ্রাহক চাইলেও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংকের কাছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের থেকে আদায়যোগ্য ঋণ ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এর ৯৫ শতাংশই এখন খেলাপি।
২৮ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। গ্রাহক চাইলেও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংকের কাছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের থেকে আদায়যোগ্য ঋণ ৫১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এর ৯৫ শতাংশই এখন খেলাপি।
২৮ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
৯ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে