নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক অর্থবছরে বিদেশি ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে পরিশোধের পরিমাণ ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে মোট ৪০৮ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছে, যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, পরিশোধিত এই ৪০০ কোটি ডলারের মধ্যে ২৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার ছিল ঋণের মূলধন এবং ১৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার ছিল সুদ। পূর্ববর্তী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এই খাতে পরিশোধের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০২ কোটি ডলার (মূলধন) এবং ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার (সুদ)। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে মূলধন পরিশোধে ২৯ শতাংশ এবং সুদ পরিশোধে প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধের চাপ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে গত এক দশকে নেওয়া বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প এবং বাজেট সহায়তার ঋণগুলোর ‘অনুগ্রহকাল’ (গ্রেস পিরিয়ড) শেষ হয়ে যাওয়া। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে, ফলে সামনে এই চাপ আরও বাড়বে।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ সাল থেকে সরকার যেসব বড় প্রকল্পে ঋণ নিয়েছে, তার অনেকগুলোই বাজেট স্ফীত করে তৈরি হয়েছে এবং বাস্তবতা বিবেচনা না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলস্বরূপ দেশের রাজস্ব আদায় দুর্বল থাকায় বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে এবং গত সাত বছরে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
মাসরুর রিয়াজ আরও উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী অর্থনৈতিক চাপ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ে। তখন বাজেট সহায়তার নামে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধযোগ্য অনেক ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যেগুলোর শর্ত ছিল কঠিন এবং সুদের হারও ছিল বেশি। এখন সেই ঋণগুলোর কিস্তি পরিশোধ শুরু হওয়ায় অর্থনৈতিক চাপ আরও বেড়েছে।
এদিকে, নতুন করে বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮৩২ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের নতুন ঋণচুক্তি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একই সময়ে ঋণের অর্থছাড়ও কমে এসেছে, যা দাঁড়িয়েছে ৮৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। পূর্ববর্তী অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণে কিছু প্রকল্পে বিদেশি ঠিকাদার কাজ থেকে সরে গেছে, ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি দেখা গেছে। এ ছাড়া, সরকারের মাঝারি মেয়াদি ঋণ কৌশল অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন ঋণ নেওয়া কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে বাজেট ঘাটতি পূরণে রেকর্ড পরিমাণ—৩৪০ কোটি ডলারের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।
ঋণদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাংক সবচেয়ে বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার পরিমাণ ২৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলার ছিল সরাসরি বাজেট সহায়তা। এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যারা ২০০ কোটি ডলার এবং জাপান, যারা ১৮৯ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অর্থছাড়ের দিক থেকেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক শীর্ষে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এখন সময় এসেছে ঋণ ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের। ভবিষ্যতে যেন ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতি ও বাজেট ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত না করে, সে জন্য এখনই সতর্ক হতে হবে। কেবল ঋণ নেওয়ার দিকে নজর না দিয়ে, সেই ঋণ কতটুকু অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর এবং সময়মতো পরিশোধযোগ্য তা নিশ্চিত করাই হবে সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক অর্থবছরে বিদেশি ঋণের আসল ও সুদ মিলিয়ে পরিশোধের পরিমাণ ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে মোট ৪০৮ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছে, যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, পরিশোধিত এই ৪০০ কোটি ডলারের মধ্যে ২৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার ছিল ঋণের মূলধন এবং ১৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার ছিল সুদ। পূর্ববর্তী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এই খাতে পরিশোধের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০২ কোটি ডলার (মূলধন) এবং ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার (সুদ)। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে মূলধন পরিশোধে ২৯ শতাংশ এবং সুদ পরিশোধে প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধের চাপ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে গত এক দশকে নেওয়া বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প এবং বাজেট সহায়তার ঋণগুলোর ‘অনুগ্রহকাল’ (গ্রেস পিরিয়ড) শেষ হয়ে যাওয়া। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে, ফলে সামনে এই চাপ আরও বাড়বে।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ সাল থেকে সরকার যেসব বড় প্রকল্পে ঋণ নিয়েছে, তার অনেকগুলোই বাজেট স্ফীত করে তৈরি হয়েছে এবং বাস্তবতা বিবেচনা না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলস্বরূপ দেশের রাজস্ব আদায় দুর্বল থাকায় বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে এবং গত সাত বছরে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
মাসরুর রিয়াজ আরও উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী অর্থনৈতিক চাপ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ে। তখন বাজেট সহায়তার নামে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধযোগ্য অনেক ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যেগুলোর শর্ত ছিল কঠিন এবং সুদের হারও ছিল বেশি। এখন সেই ঋণগুলোর কিস্তি পরিশোধ শুরু হওয়ায় অর্থনৈতিক চাপ আরও বেড়েছে।
এদিকে, নতুন করে বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮৩২ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের নতুন ঋণচুক্তি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একই সময়ে ঋণের অর্থছাড়ও কমে এসেছে, যা দাঁড়িয়েছে ৮৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। পূর্ববর্তী অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণে কিছু প্রকল্পে বিদেশি ঠিকাদার কাজ থেকে সরে গেছে, ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি দেখা গেছে। এ ছাড়া, সরকারের মাঝারি মেয়াদি ঋণ কৌশল অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন ঋণ নেওয়া কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে বাজেট ঘাটতি পূরণে রেকর্ড পরিমাণ—৩৪০ কোটি ডলারের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।
ঋণদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাংক সবচেয়ে বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার পরিমাণ ২৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলার ছিল সরাসরি বাজেট সহায়তা। এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যারা ২০০ কোটি ডলার এবং জাপান, যারা ১৮৯ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অর্থছাড়ের দিক থেকেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক শীর্ষে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এখন সময় এসেছে ঋণ ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের। ভবিষ্যতে যেন ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতি ও বাজেট ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত না করে, সে জন্য এখনই সতর্ক হতে হবে। কেবল ঋণ নেওয়ার দিকে নজর না দিয়ে, সেই ঋণ কতটুকু অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর এবং সময়মতো পরিশোধযোগ্য তা নিশ্চিত করাই হবে সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজধানীর বসুন্ধরা এক্সপো ভিলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টেরিয়র–ফার্নিচার–সাইনেজ টেকনোলজি এক্সপো ২০২৫ ’। আজ বৃহস্পতিবার এফ টাচ ইভেন্টস লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম মাসুদ উর রশিদ।
৬ ঘণ্টা আগেব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ...
১ দিন আগেউপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
১ দিন আগেসিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
১ দিন আগে