জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
একুশ মানে মাথা নত না করা—শিক্ষাবিদ আবুল ফজলের বলা এই বাক্যটি এতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে আর কবে দেখা দিয়েছে? নানা লোকের নানা মতবাদে দেশের ভাবনার ভারসাম্য যখন বিপদের সম্মুখীন, তখন একুশ আমাদের কোন অনুপ্রেরণা দেয়, সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্বও এ সময়কার মানুষদের ওপর বর্তায়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ মূলত একুশের আবেদনকে স্পষ্ট করে তোলে।
ইতিহাসের কাছে খানিক ফিরে যাই। একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় হয়েছিল ছাত্রসভা। সেখান থেকেই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বের হয়েছিল একের পর এক দশজনি মিছিল। পুলিশ ছুড়েছিল কাঁদানে গ্যাস, করেছিল লাঠিপেটা। এরপর দুপুরের দিকে একসময় ভাটা পড়েছিল ছাত্রদের আন্দোলনে। কিন্তু সেই ভাটায় সমুদ্রে জোয়ারও এসেছিল কিছুক্ষণ পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটের সামনে। এই পথ ধরেই প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা পরিষদে যেতেন। সে পরিষদ ভবন ছিল বর্তমান জগন্নাথ হলের ভেতর একটি ভবনে, যে ভবনটি এখন আর নেই। কোথা থেকে জোগাড় করা হয়েছিল একটি মাইক্রোফোন। সেই মাইক্রোফোনে অনবরত রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছিল। আর হঠাৎ বলা নেই, কওয়া নেই পুলিশ চালাল গুলি। রক্তাক্ত একুশ পাল্টে দিল এই অঞ্চলের ভাবনার জগৎ। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে যে দোদুল্যমানতা ছিল, তা উধাও হয়ে গেল। এই ভূখণ্ডে বাংলা পেল সম্মান।
ভাষা আন্দোলন তো শুধু রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাওয়ার আন্দোলন ছিল না, এ আন্দোলন ছিল এই ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষের মর্যাদা নিয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম। পাকিস্তান আমলে আঞ্চলিক বৈষম্য এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, সাদা চোখেই এই অঞ্চলের মানুষ দেখতে পেত, নিজেদের সৃষ্ট পাকিস্তানে তারা প্রতারিত হচ্ছে, তারা হচ্ছে বৈষম্যের শিকার। ফলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন কয়েক বছরের মধ্যেই পরিণত হয়েছিল ‘বাংলা ভাষা রাষ্ট্র চাই’ আন্দোলনে।
একুশের বড় বৈশিষ্ট্য ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। ‘আমার এ দেশ সব মানুষের’ এই বার্তা ভাষা আন্দোলনে প্রচ্ছন্ন ছিল। নিজ সংস্কৃতি আর শিল্পের প্রতি ভালোবাসা, গণতন্ত্রকে সম্মান করার কথাও কি অলক্ষ্যে ছিল না?
যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ একদা, সেই সোনার বাংলা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি ফুঁসে উঠেছিল বাংলা, সেই রাজনীতি ও অর্থনীতির পরিবর্তন আসেনি। ক্ষমতায় গেলেই আমাদের শাসকেরা যে যার মতো একরোখা নীতি নিয়ে চলার চেষ্টা করে। এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে একুশের কাছ থেকেই পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। স্মরণ করা যেতে পারে, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’।
ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
ঢাবি প্রতিনিধি জানান, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি ১২টা ১ মিনিটে এবং প্রধান উপদেষ্টা ১২টা ১৩ মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি রাত ১২টায় এবং প্রধান উপদেষ্টা রাত ১২টা ১০ মিনিটে শহীদ মিনারে পৌঁছালে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান, সদস্যসচিব সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য সাইমা হক বিদিশা।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। উপদেষ্টাদের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, হাইকমিশনাররা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারপর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধানেরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। তারপর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইজিপি বাহালুল আলম, ডিএমপির কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই এলাকা ত্যাগ করলে সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামে। কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর পায়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক ও সজ্জায়ও ছিল শোকের রং। কণ্ঠে ছিল সেই বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।
একুশ মানে মাথা নত না করা—শিক্ষাবিদ আবুল ফজলের বলা এই বাক্যটি এতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে আর কবে দেখা দিয়েছে? নানা লোকের নানা মতবাদে দেশের ভাবনার ভারসাম্য যখন বিপদের সম্মুখীন, তখন একুশ আমাদের কোন অনুপ্রেরণা দেয়, সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্বও এ সময়কার মানুষদের ওপর বর্তায়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ মূলত একুশের আবেদনকে স্পষ্ট করে তোলে।
ইতিহাসের কাছে খানিক ফিরে যাই। একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় হয়েছিল ছাত্রসভা। সেখান থেকেই ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বের হয়েছিল একের পর এক দশজনি মিছিল। পুলিশ ছুড়েছিল কাঁদানে গ্যাস, করেছিল লাঠিপেটা। এরপর দুপুরের দিকে একসময় ভাটা পড়েছিল ছাত্রদের আন্দোলনে। কিন্তু সেই ভাটায় সমুদ্রে জোয়ারও এসেছিল কিছুক্ষণ পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটের সামনে। এই পথ ধরেই প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা পরিষদে যেতেন। সে পরিষদ ভবন ছিল বর্তমান জগন্নাথ হলের ভেতর একটি ভবনে, যে ভবনটি এখন আর নেই। কোথা থেকে জোগাড় করা হয়েছিল একটি মাইক্রোফোন। সেই মাইক্রোফোনে অনবরত রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছিল। আর হঠাৎ বলা নেই, কওয়া নেই পুলিশ চালাল গুলি। রক্তাক্ত একুশ পাল্টে দিল এই অঞ্চলের ভাবনার জগৎ। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে যে দোদুল্যমানতা ছিল, তা উধাও হয়ে গেল। এই ভূখণ্ডে বাংলা পেল সম্মান।
ভাষা আন্দোলন তো শুধু রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাওয়ার আন্দোলন ছিল না, এ আন্দোলন ছিল এই ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষের মর্যাদা নিয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম। পাকিস্তান আমলে আঞ্চলিক বৈষম্য এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, সাদা চোখেই এই অঞ্চলের মানুষ দেখতে পেত, নিজেদের সৃষ্ট পাকিস্তানে তারা প্রতারিত হচ্ছে, তারা হচ্ছে বৈষম্যের শিকার। ফলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন কয়েক বছরের মধ্যেই পরিণত হয়েছিল ‘বাংলা ভাষা রাষ্ট্র চাই’ আন্দোলনে।
একুশের বড় বৈশিষ্ট্য ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। ‘আমার এ দেশ সব মানুষের’ এই বার্তা ভাষা আন্দোলনে প্রচ্ছন্ন ছিল। নিজ সংস্কৃতি আর শিল্পের প্রতি ভালোবাসা, গণতন্ত্রকে সম্মান করার কথাও কি অলক্ষ্যে ছিল না?
যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ একদা, সেই সোনার বাংলা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি ফুঁসে উঠেছিল বাংলা, সেই রাজনীতি ও অর্থনীতির পরিবর্তন আসেনি। ক্ষমতায় গেলেই আমাদের শাসকেরা যে যার মতো একরোখা নীতি নিয়ে চলার চেষ্টা করে। এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে একুশের কাছ থেকেই পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। স্মরণ করা যেতে পারে, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’।
ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
ঢাবি প্রতিনিধি জানান, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি ১২টা ১ মিনিটে এবং প্রধান উপদেষ্টা ১২টা ১৩ মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি রাত ১২টায় এবং প্রধান উপদেষ্টা রাত ১২টা ১০ মিনিটে শহীদ মিনারে পৌঁছালে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান, সদস্যসচিব সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য সাইমা হক বিদিশা।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। উপদেষ্টাদের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, হাইকমিশনাররা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারপর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধানেরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। তারপর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইজিপি বাহালুল আলম, ডিএমপির কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই এলাকা ত্যাগ করলে সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ঢল নামে। কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর পায়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক ও সজ্জায়ও ছিল শোকের রং। কণ্ঠে ছিল সেই বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।
এমনিতেই ফেব্রুয়ারি এলে রাজপথগুলো আগুনরাঙা হয়ে ওঠে। বাতাসে গনগনে ফুলকি ছড়াতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি এ দেশের প্রতিটি মানুষকে মনে করিয়ে দেয় ১৯৫২ সালে তার রচিত পথের কথা।
৭ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতা হলেও স্বৈরশাসক হাসিনা কিংবা আন্দোলনকারীরা তা আন্দাজ করতে পারেননি। জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছিল স্বৈরশাসক হাসিনাকে...
৭ ঘণ্টা আগেতথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ বা পিআইবিতে তারুণ্যের উৎসবে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তিনির্ভর ছাত্ররাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে...
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বায়ান্নর ফেব্রুয়ারির ট্র্যাজিক ঘটনায় শহীদ হয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর, আউয়াল, অহিউল্লাহসহ অনেকে। ১৯৫২ সালের ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও মিলিটারির নির্মম গুলিবর্ষণ ও ট্রাকের চাপায় তাঁরা শহীদ হন। আহত হয়েছিলেন অগণিত নর-নারী। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত
১ দিন আগে