রিমেল সরকার
ঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে যাওয়ার কারণে শব্দটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। তা না হলে ঈশ্বর তো এত ন্যাম্বি-ফ্যাম্বি নন যে কতগুলো ধর্মগ্রন্থ, কতগুলো লোকাচার, আচার মানলেই তাকে বুঝে ওঠা সম্ভব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুঝতে পেরেছিলেন ঈশ্বরকে। রবীন্দ্রনাথ কোনো পাদরি বা পুরোহিত নন। তিনি নিতান্তই সাধক। সেই সাধনাতেই বোধ হয় শুনতে পেয়েছিলেন অনাহত নাদ, বুঝতে পেরেছিলেন ঈশ্বরকে। শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম পাওয়ার সুবাদে অসংখ্য গুরু, ওস্তাদ ও পণ্ডিতের মৃত্যুমুহূর্ত শুনে হতবিহ্বল হয়ে উঠেছিলাম।
দুটো ঘটনা বলা যেতে পারে। ওস্তাদ আবদুল করিম খাঁ। কিরানা ঘরানার স্থপতি এবং সেই ঘরানার প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। ১৯৩৭ সালের অক্টোবর মাসে মাদ্রাজে এক অনুষ্ঠানের পর কবি দার্শনিক অরবিন্দর ডাকে ওস্তাদজি পদুচেরির আশ্রমে সংগীত পরিবেশনের জন্য রওনা হন। তিনি পদুচেরি যাওয়ার পথে তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপট্টুতে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। তাৎক্ষণিক তিনি ট্রেন থেকে নেমে নামাজে বসেন এবং রাগ দরবারি কানাড়াতে কালিমা পাঠ করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর চলে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ১৯৩৭ সালের ২৭ অক্টোবর সিঙ্গাপেরুমালকোইল রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ওস্তাদ আবদুল করিম খাঁ। তাঁর মৃত্যুতে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘হোয়াটএভার হি স্যাং ওয়াজ মিউজিক।’
আমির খাঁ সাহেব অতি আশ্চর্য গান্ধার গাওয়ার পরে বলেছিলেন, ‘আমার সময় এসে গেছে। এই গান্ধার যে গাইতে পারে, তার আর সময় থাকে না।’ এক সপ্তাহের মাথায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় ইহলোক ত্যাগ করেন।
সুর ও সংগীতের সঙ্গে ঈশ্বরের সম্পর্ক যে গভীর, আমাদের থেকেও অনাহত নাদ হয়ে ঈশ্বর সংগীতসাধকদের ধরা দেন। সুর তো সর্বব্যাপী, ঈশ্বরেরই মতো। অথচ আজ সেই সুর নিষিদ্ধ। শিল্পকে করা হচ্ছে ধ্বংস। একটি অপশক্তি সেই সুরের পেছনে লেগেছে, শিল্পের পেছনে লেগেছে। কিন্তু যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, সংগীত ও শিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা নেহাতই বৃথা।
আমাদের শেষ আদতে কোথায় কিংবা সেই শেষ যে কেবলই শুরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের তা বুঝিয়েছেন। আদতে মানুষ জন্ম-মৃত্যুরও ঊর্ধ্বে। কিন্তু সেটি আমরা বুঝতে পারি না। বুঝতে পারলে কি আর এত হানাহানি হতো? মানুষের অন্তরে যে বিষের প্রবল হাওয়া, সেটিই আমাদের এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হানাহানি তো আমরা আমাদের অন্তরে নিজেদের সঙ্গে যুগ যুগ ধরেই চালিয়ে আসছি। বাইরের ঝড় না হয় একদিন থামানো যাবে। অন্তরের বিষ কে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে?
এই যে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে একটি অপশক্তি অসংখ্য ভাস্কর্য ভেঙে ফেলল, চিত্রকলা বিনষ্ট করল, শিল্পীর বাড়ি, বাদ্যযন্ত্র, পাঠাগার, হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘর, দোকান, মাজার ইত্যাদি গুঁড়িয়ে দিল; এতে কী হলো? দিনাজপুরের সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে কী প্রতিষ্ঠা করা হলো? এগুলো দেশকে নন্দনশূন্য করে দেওয়ার একটা নিছক অবান্তর ও বৃথা অপচেষ্টা মাত্র। শশীলজে দেবী ভেনাসের ভাস্কর্য কী ভয়ানকভাবে ভেঙে ফেলা হলো! ভাস্কর্য ভেঙে দেবীর মাথা নিয়ে গেল, পাথরের দেহটুকু ফেলে গেল শশীলজে। এর অ্যান্টিক মূল্য কিংবা আর্ট ভ্যালু যদি সেই অপশক্তি বুঝত! বাইরে থেকে না হয় সবকিছু মুছে ফেললেন, মানুষের অন্তর থেকে মুছবেন কী করে?
ঈশ্বরকে কেন্দ্র করে এই যে তাদের হানাহানি, এত অপচেষ্টার প্রয়াস, তা নেহাতই ভ্রান্ত ও বৃথা। ঈশ্বরকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িকতা ইস্যু ইত্যাদি সৃষ্টি করা গেলেও ঈশ্বরের এতে ভ্রুক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কল্পিত সত্তার কল্পিত আশ্রয়ে ঘটে যাওয়া অপকর্মকে কখনোই জাস্টিফিকেশন দেন না।
যেদিন পৃথিবীতে শেষ গানটি গাওয়া শেষ হয়ে যাবে, সেদিন থেকে গান নিজেই গেয়ে উঠবে নিজেকে, যেদিন পৃথিবীতে শেষ কথাটি বলা শেষ হয়ে যাবে, সেদিন থেকে আবার কথারাই বলে উঠতে শুরু করবে নিজেদের। ব্যথারা কথা ভোলে না যেমন, ঠিক তেমনি কথারাও ব্যথা ভোলে না। শিল্প-সাহিত্যের শেষটা আপনারা ঠিক যেখান থেকে ভেঙে নিচ্ছেন, সেখান থেকেই শিল্প-সাহিত্য আবার নিজেকে সৃষ্টি করবে। কারণ, তাদের ঈশ্বর শিল্পী। তাকে কখনো ধ্বংস করা যায় না।
দেশের কিছু কিছু এলাকায় শুনছি কৌশলে সংগীত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তারা বোধ হয় জানে না, সংগীত সর্বব্যাপী। হাওয়ার সিম্ফনিকেও যদি নিষিদ্ধ করতে চায়, তাহলে যে তাদের শ্বাসরোধে মারা পড়তে হবে, সেই খেয়াল কি তারা রাখেন? অনেকেই দাবি করছেন যে, উচ্চ স্বরে সংগীত বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উচ্চ স্বরে কি শুধু সংগীতই বাজানো হয়?
সাধারণ মানুষ যেমন সাম্প্রদায়িকতা বোঝে না, তেমনি নন্দনশূন্য দেশে বসবাস করতে পারে না।
আমরা জন্ম-মৃত্যুর ঊর্ধ্বে মানুষ। যেখান থেকে শেষ হয় সেখান থেকেই সৃষ্টির শুরু হয় আবার।
ঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে যাওয়ার কারণে শব্দটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। তা না হলে ঈশ্বর তো এত ন্যাম্বি-ফ্যাম্বি নন যে কতগুলো ধর্মগ্রন্থ, কতগুলো লোকাচার, আচার মানলেই তাকে বুঝে ওঠা সম্ভব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুঝতে পেরেছিলেন ঈশ্বরকে। রবীন্দ্রনাথ কোনো পাদরি বা পুরোহিত নন। তিনি নিতান্তই সাধক। সেই সাধনাতেই বোধ হয় শুনতে পেয়েছিলেন অনাহত নাদ, বুঝতে পেরেছিলেন ঈশ্বরকে। শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম পাওয়ার সুবাদে অসংখ্য গুরু, ওস্তাদ ও পণ্ডিতের মৃত্যুমুহূর্ত শুনে হতবিহ্বল হয়ে উঠেছিলাম।
দুটো ঘটনা বলা যেতে পারে। ওস্তাদ আবদুল করিম খাঁ। কিরানা ঘরানার স্থপতি এবং সেই ঘরানার প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। ১৯৩৭ সালের অক্টোবর মাসে মাদ্রাজে এক অনুষ্ঠানের পর কবি দার্শনিক অরবিন্দর ডাকে ওস্তাদজি পদুচেরির আশ্রমে সংগীত পরিবেশনের জন্য রওনা হন। তিনি পদুচেরি যাওয়ার পথে তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপট্টুতে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। তাৎক্ষণিক তিনি ট্রেন থেকে নেমে নামাজে বসেন এবং রাগ দরবারি কানাড়াতে কালিমা পাঠ করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর চলে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ১৯৩৭ সালের ২৭ অক্টোবর সিঙ্গাপেরুমালকোইল রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ওস্তাদ আবদুল করিম খাঁ। তাঁর মৃত্যুতে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘হোয়াটএভার হি স্যাং ওয়াজ মিউজিক।’
আমির খাঁ সাহেব অতি আশ্চর্য গান্ধার গাওয়ার পরে বলেছিলেন, ‘আমার সময় এসে গেছে। এই গান্ধার যে গাইতে পারে, তার আর সময় থাকে না।’ এক সপ্তাহের মাথায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় ইহলোক ত্যাগ করেন।
সুর ও সংগীতের সঙ্গে ঈশ্বরের সম্পর্ক যে গভীর, আমাদের থেকেও অনাহত নাদ হয়ে ঈশ্বর সংগীতসাধকদের ধরা দেন। সুর তো সর্বব্যাপী, ঈশ্বরেরই মতো। অথচ আজ সেই সুর নিষিদ্ধ। শিল্পকে করা হচ্ছে ধ্বংস। একটি অপশক্তি সেই সুরের পেছনে লেগেছে, শিল্পের পেছনে লেগেছে। কিন্তু যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, সংগীত ও শিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা নেহাতই বৃথা।
আমাদের শেষ আদতে কোথায় কিংবা সেই শেষ যে কেবলই শুরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের তা বুঝিয়েছেন। আদতে মানুষ জন্ম-মৃত্যুরও ঊর্ধ্বে। কিন্তু সেটি আমরা বুঝতে পারি না। বুঝতে পারলে কি আর এত হানাহানি হতো? মানুষের অন্তরে যে বিষের প্রবল হাওয়া, সেটিই আমাদের এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হানাহানি তো আমরা আমাদের অন্তরে নিজেদের সঙ্গে যুগ যুগ ধরেই চালিয়ে আসছি। বাইরের ঝড় না হয় একদিন থামানো যাবে। অন্তরের বিষ কে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে?
এই যে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে একটি অপশক্তি অসংখ্য ভাস্কর্য ভেঙে ফেলল, চিত্রকলা বিনষ্ট করল, শিল্পীর বাড়ি, বাদ্যযন্ত্র, পাঠাগার, হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘর, দোকান, মাজার ইত্যাদি গুঁড়িয়ে দিল; এতে কী হলো? দিনাজপুরের সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে কী প্রতিষ্ঠা করা হলো? এগুলো দেশকে নন্দনশূন্য করে দেওয়ার একটা নিছক অবান্তর ও বৃথা অপচেষ্টা মাত্র। শশীলজে দেবী ভেনাসের ভাস্কর্য কী ভয়ানকভাবে ভেঙে ফেলা হলো! ভাস্কর্য ভেঙে দেবীর মাথা নিয়ে গেল, পাথরের দেহটুকু ফেলে গেল শশীলজে। এর অ্যান্টিক মূল্য কিংবা আর্ট ভ্যালু যদি সেই অপশক্তি বুঝত! বাইরে থেকে না হয় সবকিছু মুছে ফেললেন, মানুষের অন্তর থেকে মুছবেন কী করে?
ঈশ্বরকে কেন্দ্র করে এই যে তাদের হানাহানি, এত অপচেষ্টার প্রয়াস, তা নেহাতই ভ্রান্ত ও বৃথা। ঈশ্বরকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িকতা ইস্যু ইত্যাদি সৃষ্টি করা গেলেও ঈশ্বরের এতে ভ্রুক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। কারণ, তিনি কল্পিত সত্তার কল্পিত আশ্রয়ে ঘটে যাওয়া অপকর্মকে কখনোই জাস্টিফিকেশন দেন না।
যেদিন পৃথিবীতে শেষ গানটি গাওয়া শেষ হয়ে যাবে, সেদিন থেকে গান নিজেই গেয়ে উঠবে নিজেকে, যেদিন পৃথিবীতে শেষ কথাটি বলা শেষ হয়ে যাবে, সেদিন থেকে আবার কথারাই বলে উঠতে শুরু করবে নিজেদের। ব্যথারা কথা ভোলে না যেমন, ঠিক তেমনি কথারাও ব্যথা ভোলে না। শিল্প-সাহিত্যের শেষটা আপনারা ঠিক যেখান থেকে ভেঙে নিচ্ছেন, সেখান থেকেই শিল্প-সাহিত্য আবার নিজেকে সৃষ্টি করবে। কারণ, তাদের ঈশ্বর শিল্পী। তাকে কখনো ধ্বংস করা যায় না।
দেশের কিছু কিছু এলাকায় শুনছি কৌশলে সংগীত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তারা বোধ হয় জানে না, সংগীত সর্বব্যাপী। হাওয়ার সিম্ফনিকেও যদি নিষিদ্ধ করতে চায়, তাহলে যে তাদের শ্বাসরোধে মারা পড়তে হবে, সেই খেয়াল কি তারা রাখেন? অনেকেই দাবি করছেন যে, উচ্চ স্বরে সংগীত বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উচ্চ স্বরে কি শুধু সংগীতই বাজানো হয়?
সাধারণ মানুষ যেমন সাম্প্রদায়িকতা বোঝে না, তেমনি নন্দনশূন্য দেশে বসবাস করতে পারে না।
আমরা জন্ম-মৃত্যুর ঊর্ধ্বে মানুষ। যেখান থেকে শেষ হয় সেখান থেকেই সৃষ্টির শুরু হয় আবার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
৮ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
১ দিন আগে