বাসব রায়
‘জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো’—রবি ঠাকুরের হৃদয়ছোঁয়া প্রার্থনা। বসন্তে যেমন চারদিকে ফুলের সমারোহ, তেমনি এই সময়ে খরার দাপটও প্রচণ্ড থাকে। আশপাশে যেদিকেই তাকাবেন, দেখবেন জলশূন্যতার প্রকট ছাপ আপনাকে বিঁধবে। নিজেদেরও ভেতরটা শুকিয়ে যায়, গলা শুকিয়ে যায়; পশুপাখিসহ অন্য প্রাণীরাও এই সময়টাতে জলশূন্যতায় ভোগে। শুকনা মৌসুমের দৃষ্টান্ত টেনে কবিগুরু কী অসাধারণ লিখেছেন; নান্দনিক একটি প্রার্থনা! আসলে মানুষের জীবনে যেকোনো সময়েই শুষ্কতা আসতে পারে। নানা রকমের জীবন-যন্ত্রণায় মানুষ একেবারেই শুকিয়ে যায় আর এমন শুষ্কতার ক্ষেত্রে প্রকৃতির ঋতুবৈচিত্র্যের কোনো সম্পর্ক নেই। দুঃখ, কষ্ট, অসুখ, অভাব প্রভৃতির নানা প্রভাবে মানুষের মন থেকে বসন্ত হারিয়ে সেখানে খরার বেদনা আসন পেতে নিতে পারে যা খুবই কষ্টের, খুউব যন্ত্রণার! কিন্তু সহসা পথ না পেলে সেই মানুষটিই নিজেকে ধরে রাখতে বিকল্প পথ খোঁজে; কখনো সফল হয় আবার কখনো ব্যর্থ হয়।
কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় ফাল্গুন ও চৈত্রের বিবিধ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের উপস্থিতি দেখতে পাই। এটি কবি ও সাহিত্যিকরা বরাবরই করে থাকেন। সময়কে তাঁরা হৃদয়ে ধারণ করতে পারেন; মানুষের মনমানসিকতাকে দারুণভাবে উপলব্ধি করতেও পারেন, আবার এভাবেই মূর্ত ও বিমূর্ত চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নান্দনিক করে গড়ে তুলেন তাঁদের নিজ নিজ ভাবনাকে। কিন্তু এরপরও জীবনের বিচ্যুতি থেকে কবি-সাহিত্যিকেরাও রেহাই পান না, বরং বেদনার কাব্য, গল্প এবং উপন্যাসেরই সংখ্যা বেশি। তাই বলা যায়, বোধের দরজায় বেদনাবোধ এমনিতেই জেগে ওঠে এবং ডালপালা গজিয়ে তা শাখায় শাখায় বিস্তার লাভ করে। জীবন যে সাধারণ পাবলিকেরই শুকায় তা নয়; জীবন যেকোনো সময় যে কারও শুকিয়ে যেতে পারে। তবে শুকনো জীবনকে সজীব ও সতেজ করতে কবি-সাহিত্যিকদের অবদান এবং ভূমিকাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এঁরাই সবভাবে মানুষকে সান্ত্বনার কথা বলেন, ধীর ও স্থির হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং বিচলিত না হওয়ারও আবেদন জানান।
কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কোনো রকমের সান্ত্বনাই কাজ করে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে উপায়ও সব বন্ধ হয়ে যায়। তখন চতুর্দিকে শুধু খরা আর খরা। সবুজের সমারোহ নিশ্চল হয়ে যায় এবং সেখানে ধীরে ধীরে জায়গা দখল করতে আসে মরুভূমির অভিযাত্রা। মাটি ও মানুষের সবকিছুই দিনের পর দিন শুকিয়ে যেতে থাকে। আমরা নীরবেই সেসব নৃশংসতা হজম করি বা হজম করতে প্রয়াসী হই। আজকাল মানুষ খুব রসকষহীন হয়ে পড়েছে। কেন যেন বেশির ভাগ মানুষ শুষ্কং কাষ্ঠং হয়ে গেছে আর মানুষকে বাঁচাতে এখন আগের মতো কেউ এগিয়ে আসে না। বিপদে-আপদে আগের মতো মানুষকে কাছে পাওয়া খুব কঠিন। এখন বিপদে-আপদে অ্যাপসের ব্যবহার মানুষকে কৃত্রিমতার পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষ প্রকৃতিসহ একে অপরের কাছে সহযোগিতা পাওয়াটাকে ঝুঁকিও হয়তো ভাবছে।
রবি ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’ গানটিতে প্রচণ্ড প্রত্যাশার আলো দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ নানা কিছু অবলম্বন করে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে চায় এবং সে কারণে মানুষ জীবনকে সাজাতে চায়, পরিপাটি করতে চায়, যেখানে নিরবচ্ছিন্ন সুখের সাম্রাজ্য থাকবে। আর যদি কোনোভাবেই নিজেকে রক্ষা করা না যায় তখন এসব গান মানুষের মনে বড্ড প্রেরণার সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন আঁকে আর এসব স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে গিয়েই হিসাবনিকাশের ভুল হলে বিপর্যয় নেমে আসে। তখন সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। আশপাশে কোথাও সে একটু অবলম্বন খুঁজে সেটিকে আঁকড়ে ধরে, যদি আরও কিছুটা পথ চলা যায়। জীবন শুকিয়ে গেছে, আষাঢ়িয়া ঢল বা বৃষ্টি নামতে এখনো অনেক দেরি। প্রাণবন্ত জীবন ফিরে পাওয়ার এক বুক আশা নিয়ে মানুষ হারানো সুখগুলো হাতড়ে বেড়ায়, সান্ত্বনা খোঁজে, পরিত্রাণের পথ আবিষ্কারের চেষ্টা করে।
বৈচিত্র্যে ভরপুর জীবনগুলো সৃষ্টিশীলতা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে হাজার বছর। মানুষ বৈচিত্র্যকে পছন্দ করে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা অবিরাম করে চলছে। তবে অনেক সময় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ তার স্বকীয়তাকে ধরে রাখতে পারে না। সমাজ ও মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলারাই বিপদে পড়ে বেশি। সামাজিক নৈকট্যে থাকলে এবং ভাবের আদানপ্রদান যথাযথ প্রক্রিয়ায় হলে মানুষ একা থাকার কথা নয়। মানুষকে মানুষের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো থাকতে হবে। তবেই পৃথিবী সুন্দর হবে আর কাউকে হা-হুতাশ নিয়ে থাকতেও হবে না। পারিপার্শ্বিক বিবিধ পরামর্শসহ একে-অপরের মধ্যে ভাববিনিময় হতে পারে আর তাতে করে কপোট দরজাগুলো খুলেও যেতে পারে। ঝড়ো হাওয়ার পর আসুক এক রোদ-ঝলমলে পরিষ্কার দিন, যার আলো মেখে আবারও ছুটে চলুক মানুষ নতুন থেকে নতুনের পথে। কেটে উঠুক মানুষ সব প্রতিবন্ধকতা।
লেখক: বাসব রায়
কবি
‘জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো’—রবি ঠাকুরের হৃদয়ছোঁয়া প্রার্থনা। বসন্তে যেমন চারদিকে ফুলের সমারোহ, তেমনি এই সময়ে খরার দাপটও প্রচণ্ড থাকে। আশপাশে যেদিকেই তাকাবেন, দেখবেন জলশূন্যতার প্রকট ছাপ আপনাকে বিঁধবে। নিজেদেরও ভেতরটা শুকিয়ে যায়, গলা শুকিয়ে যায়; পশুপাখিসহ অন্য প্রাণীরাও এই সময়টাতে জলশূন্যতায় ভোগে। শুকনা মৌসুমের দৃষ্টান্ত টেনে কবিগুরু কী অসাধারণ লিখেছেন; নান্দনিক একটি প্রার্থনা! আসলে মানুষের জীবনে যেকোনো সময়েই শুষ্কতা আসতে পারে। নানা রকমের জীবন-যন্ত্রণায় মানুষ একেবারেই শুকিয়ে যায় আর এমন শুষ্কতার ক্ষেত্রে প্রকৃতির ঋতুবৈচিত্র্যের কোনো সম্পর্ক নেই। দুঃখ, কষ্ট, অসুখ, অভাব প্রভৃতির নানা প্রভাবে মানুষের মন থেকে বসন্ত হারিয়ে সেখানে খরার বেদনা আসন পেতে নিতে পারে যা খুবই কষ্টের, খুউব যন্ত্রণার! কিন্তু সহসা পথ না পেলে সেই মানুষটিই নিজেকে ধরে রাখতে বিকল্প পথ খোঁজে; কখনো সফল হয় আবার কখনো ব্যর্থ হয়।
কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় ফাল্গুন ও চৈত্রের বিবিধ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের উপস্থিতি দেখতে পাই। এটি কবি ও সাহিত্যিকরা বরাবরই করে থাকেন। সময়কে তাঁরা হৃদয়ে ধারণ করতে পারেন; মানুষের মনমানসিকতাকে দারুণভাবে উপলব্ধি করতেও পারেন, আবার এভাবেই মূর্ত ও বিমূর্ত চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নান্দনিক করে গড়ে তুলেন তাঁদের নিজ নিজ ভাবনাকে। কিন্তু এরপরও জীবনের বিচ্যুতি থেকে কবি-সাহিত্যিকেরাও রেহাই পান না, বরং বেদনার কাব্য, গল্প এবং উপন্যাসেরই সংখ্যা বেশি। তাই বলা যায়, বোধের দরজায় বেদনাবোধ এমনিতেই জেগে ওঠে এবং ডালপালা গজিয়ে তা শাখায় শাখায় বিস্তার লাভ করে। জীবন যে সাধারণ পাবলিকেরই শুকায় তা নয়; জীবন যেকোনো সময় যে কারও শুকিয়ে যেতে পারে। তবে শুকনো জীবনকে সজীব ও সতেজ করতে কবি-সাহিত্যিকদের অবদান এবং ভূমিকাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এঁরাই সবভাবে মানুষকে সান্ত্বনার কথা বলেন, ধীর ও স্থির হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং বিচলিত না হওয়ারও আবেদন জানান।
কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কোনো রকমের সান্ত্বনাই কাজ করে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে উপায়ও সব বন্ধ হয়ে যায়। তখন চতুর্দিকে শুধু খরা আর খরা। সবুজের সমারোহ নিশ্চল হয়ে যায় এবং সেখানে ধীরে ধীরে জায়গা দখল করতে আসে মরুভূমির অভিযাত্রা। মাটি ও মানুষের সবকিছুই দিনের পর দিন শুকিয়ে যেতে থাকে। আমরা নীরবেই সেসব নৃশংসতা হজম করি বা হজম করতে প্রয়াসী হই। আজকাল মানুষ খুব রসকষহীন হয়ে পড়েছে। কেন যেন বেশির ভাগ মানুষ শুষ্কং কাষ্ঠং হয়ে গেছে আর মানুষকে বাঁচাতে এখন আগের মতো কেউ এগিয়ে আসে না। বিপদে-আপদে আগের মতো মানুষকে কাছে পাওয়া খুব কঠিন। এখন বিপদে-আপদে অ্যাপসের ব্যবহার মানুষকে কৃত্রিমতার পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষ প্রকৃতিসহ একে অপরের কাছে সহযোগিতা পাওয়াটাকে ঝুঁকিও হয়তো ভাবছে।
রবি ঠাকুরের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’ গানটিতে প্রচণ্ড প্রত্যাশার আলো দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ নানা কিছু অবলম্বন করে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে চায় এবং সে কারণে মানুষ জীবনকে সাজাতে চায়, পরিপাটি করতে চায়, যেখানে নিরবচ্ছিন্ন সুখের সাম্রাজ্য থাকবে। আর যদি কোনোভাবেই নিজেকে রক্ষা করা না যায় তখন এসব গান মানুষের মনে বড্ড প্রেরণার সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন আঁকে আর এসব স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে গিয়েই হিসাবনিকাশের ভুল হলে বিপর্যয় নেমে আসে। তখন সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। আশপাশে কোথাও সে একটু অবলম্বন খুঁজে সেটিকে আঁকড়ে ধরে, যদি আরও কিছুটা পথ চলা যায়। জীবন শুকিয়ে গেছে, আষাঢ়িয়া ঢল বা বৃষ্টি নামতে এখনো অনেক দেরি। প্রাণবন্ত জীবন ফিরে পাওয়ার এক বুক আশা নিয়ে মানুষ হারানো সুখগুলো হাতড়ে বেড়ায়, সান্ত্বনা খোঁজে, পরিত্রাণের পথ আবিষ্কারের চেষ্টা করে।
বৈচিত্র্যে ভরপুর জীবনগুলো সৃষ্টিশীলতা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে হাজার বছর। মানুষ বৈচিত্র্যকে পছন্দ করে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা অবিরাম করে চলছে। তবে অনেক সময় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ তার স্বকীয়তাকে ধরে রাখতে পারে না। সমাজ ও মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলারাই বিপদে পড়ে বেশি। সামাজিক নৈকট্যে থাকলে এবং ভাবের আদানপ্রদান যথাযথ প্রক্রিয়ায় হলে মানুষ একা থাকার কথা নয়। মানুষকে মানুষের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো থাকতে হবে। তবেই পৃথিবী সুন্দর হবে আর কাউকে হা-হুতাশ নিয়ে থাকতেও হবে না। পারিপার্শ্বিক বিবিধ পরামর্শসহ একে-অপরের মধ্যে ভাববিনিময় হতে পারে আর তাতে করে কপোট দরজাগুলো খুলেও যেতে পারে। ঝড়ো হাওয়ার পর আসুক এক রোদ-ঝলমলে পরিষ্কার দিন, যার আলো মেখে আবারও ছুটে চলুক মানুষ নতুন থেকে নতুনের পথে। কেটে উঠুক মানুষ সব প্রতিবন্ধকতা।
লেখক: বাসব রায়
কবি
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
১৫ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
১৫ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
২ দিন আগে