Ajker Patrika

মূর্খের সঙ্গে তর্ক নয়

বিরস
Thumbnail image

একদিন অবসর সময়ে একটি গাধা বাঘের সঙ্গে খোশগল্প করছিল। একসময় বাঘ গাধাকে প্রশ্ন করল, বল তো, গাছের পাতার রং কী? গাধা বলল, লাল। বাঘ মাথা নেড়ে বলে, না, ঠিক হলো না। পাতার রং সবুজ।

কিছুক্ষণের মধ্যে গাধা আর বাঘের আলোচনা তুমুল বিতর্ক তৈরি করল। তারা একপর্যায়ে বনের রাজা সিংহের কাছে বিচারের জন্য গিয়ে উপস্থিত হলো। রাজদরবারে পৌঁছেই গাধা তারস্বরে চিৎকার করে বলে ওঠে, মহারাজ আপনি বলেন, পাতার রং লাল কি না?

কিছু একটা সমস্যা হয়েছে অনুমান করে সিংহ হুট করে উত্তর দিল, হ্যাঁ, পাতার রং লাল।

গাধা এবার বলল, বাঘ আমার কথা না মেনে তর্ক করছে। ওকে শাস্তি দিন।

সিংহ বাঘকে পাঁচ বছর নীরবতা পালনের শাস্তি দিল। গাধা খুশি হয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে গেল। এবার সিংহ বাঘকে বলল, পাতার রং আসলেই সবুজ।

বাঘ শাস্তি মেনে নিয়ে জানতে চাইল, পাতার রং সবুজ হলে আমাকে শাস্তি দিলেন কেন?

সিংহের উত্তর: তোমাকে শাস্তি দিয়েছি, কারণ তোমার মতো সাহসী, বুদ্ধিমান প্রাণী একটা গাধার সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট করেছ এবং এমন একটা ফালতু বিষয় নিয়ে আমার কাছে এসে আমারও সময় নষ্ট করেছ। মনে রাখবে, মূর্খের সঙ্গে তর্ক নয়।  

খ. মহিষ চুরি করা নাকি একজনের পক্ষে সম্ভব হয় না, কমপক্ষে তিনজন লাগে। একজন মহিষের গলার ঘণ্টা খুলে বাজাতে বাজাতে গ্রামের উত্তর দিকে রওনা হয়। দ্বিতীয় জন মহিষ নিয়ে গ্রামের দক্ষিণ দিকে যেতে থাকে, আর তৃতীয়জন ভালো মানুষ সেজে গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশে যায়।

ভালো মানুষ সাজা তৃতীয় চোর গ্রামের মানুষকে পরামর্শ দেয়, ঘণ্টার শব্দ যেদিক থেকে আসছে, মহিষ সেই দিকেই গেছে। বাজনাপ্রিয় গ্রামবাসী ঘণ্টার শব্দের দিকেই ছুটতে থাকে। ঘণ্টা নিয়ে যাওয়া প্রথম চোর নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে ঘণ্টা ফেলে দিয়ে অন্ধকারে মিশে যায়। গ্রামবাসী ঘণ্টা খুঁজে পেয়ে সেটা নিয়ে নানা কিসিমের আলোচনায় মশগুল থাকে। এই সুযোগে দ্বিতীয় চোর মহিষ নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যায় আর ভালো মানুষ সাজা তৃতীয় চোরও কিছুক্ষণ পর সটকে পড়ে।  

তিনে মিলে অনেক দুষ্কর্মের ঘটনা কি আমরা ঘটতে দেখি না?  

গ. বহু বছর আগের কথা। পাঠশালার এক ছাত্র তার শিক্ষকের কাছে জানতে চাইল, স্যার, একটি কবিতার লাইন হলো ‘কপোল ভিজিয়া গেল নয়নের জলে’। কপোল শব্দের অর্থ কী?  

শিক্ষক টেবিলের ওপরে দুই পা উঠিয়ে সুখনিদ্রায় ছিলেন। ছাত্রের প্রশ্নে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় মেজাজ একটু বিগড়ে গেল। তিনি ছাত্রের কথা ভালো করে শোনেননি। তাই চোখ রগড়ে বললেন, কী প্রশ্ন করলি?

ছাত্র আবার প্রশ্নটি করল। এবার একটু ভেবে শিক্ষক বললেন, ওটা কপোল নয়, কপাল হবে–কপাল ভিজিয়া গেল নয়নের জলে।

এবার বিস্মিত ছাত্রের প্রশ্ন, স্যার কপাল কীভাবে নয়নের জলে ভিজল?

শিক্ষক আবারও একটু ভাবলেন, তারপর বললেন, পা দুটো বাঁধা ছিল তমালের ডালে!

ঘ. বাংলার শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, মহিষাসুরের ব্যাসবাক্য আর সমাস কী হবে বলো?  

ছাত্রের জবাব: মহিষের ন্যায় শ্বশুর যাহার।

শিক্ষক এমন জবাবে রুষ্ট হয়ে ওই ছাত্রকে বেঞ্চির ওপর দাঁড় করিয়ে রাখলেন। ছাত্র কিন্তু বুঝতে পারেনি স্যার কেন রাগ করলেন—কোন সমাস হবে, তা সে বলতে পারেনি বলেই কি?

ঙ. স্কুলে ইন্সপেক্টর এসেছেন। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। নাম জানছেন, কার বাবা-মা কী করেন, কজন ভাই-বোন ইত্যাদি প্রশ্ন করছেন।

পঞ্চম শ্রেণিতে এক ছাত্রী তার নাম বলল, পুষ্পিতা। ইন্সপেক্টর খুশি হয়ে বললেন। খুব সুন্দর নাম তোমার। তা তোমার বাবা কী করেন?

পুষ্পিতা হাসিমুখে বেণী দুলিয়ে বলল, মা যখন যা বলেন, বাবা তখন তা-ই করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখার পক্ষে যে যুক্তি দিলেন আলী রীয়াজ

রাজধানীতে নিখোঁজ কিশোরী নওগাঁয়, যা বললেন সঙ্গে থাকা তরুণের বাবা

নবাবি প্রশাসনে হিন্দু আমলারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

আটক ৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে উত্তরায় থানায় হামলা শিক্ষার্থীদের

উপদেষ্টা রিজওয়ানার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়ে পাইনি: বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত