উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারী
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর এপিএসদের বেতন প্রথমে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ীই নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে এসে তা একবারে ৩১ হাজার ৬০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
বর্তমান বেতনকাঠামো অনুযায়ী, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একজন সরকারি কর্মকর্তা নবম গ্রেডের শুরুর ধাপে, অর্থাৎ ২২ হাজার টাকা মূল বেতনে চাকরি শুরু করেন। এরপর ১৮ বছরে ১৮টি ইনক্রিমেন্ট যোগ হলে নবম গ্রেডের কোনো কর্মকর্তার বেতন দাঁড়াবে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা, এটিই এ গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপ। এপিএসদের বেতন ৩১ হাজার ৬০ টাকা বাড়িয়ে নবম গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুরুর নিয়োগে বেতন ২২ হাজার
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৪ আগস্ট থেকে গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর এপিএসদের ২২ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার এপিএস নাজমুস সাদাত, ক্রীড়া উপদেষ্টার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, শিল্প উপদেষ্টার এপিএস আমান সাদিক, পরিবেশ উপদেষ্টার এপিএস আশিকুর রহমান সমী, বস্ত্র উপদেষ্টার এপিএস সাজ্জাদ নাঈম, শিক্ষা উপদেষ্টার এপিএস কামরুন নাহার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএস ফারহানুল হক, ধর্ম উপদেষ্টার এপিএস মো. আশিকুল ইসলাম, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এপিএস মুনিম সিদ্দিকী, ত্রাণ উপদেষ্টার এপিএস মো. আমিরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর এপিএস শিমসাদ নারমীন, প্রয়াত ভূমি উপদেষ্টার এপিএস মো. আবিদ চৌধুরী এবং গণশিক্ষা উপদেষ্টার এপিএস আবিদ সরকার সোহাগের নিয়োগ ২২ হাজার টাকা বেতনে হয়।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের দপ্তর বদলে নৌপরিবহন এবং শ্রম উপদেষ্টার এপিএস হিসেবে সাজ্জাদ নাঈমকে ২২ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর এপিএস সিফাত মাহমুদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর এপিএস হিসেবে আশিক এলাহীর নিয়োগও ২২ হাজার বেতনে হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী নিজের এপিএস পদে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বর্তমান নাম বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সাউফ উদ্দিন সরকারকে নিয়োগ দেন।
একলাফে বেতন বেড়ে ৫৩ হাজার
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে একজন উপদেষ্টা তাঁর এপিএসের বেতন বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধা সরকারি পত্র দেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভা করে কীভাবে এপিএসের বেতন বাড়ানো যায়, সেই সিদ্ধান্তে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন উপদেষ্টার কাছ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর আমরা দেখলাম, আগে এভাবে কারও বেতন বাড়ানো হয়নি। যেহেতু এপিএসদের মর্যাদা সহকারী সচিবদের সমান, আর সহকারী সচিবদের সর্বোচ্চ বেতন স্কেল ৫৩ হাজার ৬০ টাকা, সে কারণে উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের এপিএসদের বেতন ৫৩ হাজার ৬০ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে সহকারী সচিব পদে চাকরি শুরু হয় ২২ হাজার টাকা বেতনে। এটি নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে।’
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীরা যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই তাঁদের এপিএসদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক কিছুই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার ‘হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ’ ড. খলিলুর রহমানের ‘অভিপ্রায় অনুযায়ী’ মো. রেজাউল হককে নবম গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপ ৫৩ হাজার ৬০ টাকা মূল বেতনে তাঁর এপিএস নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৬ মার্চ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার এপিএস পদে মো. আব্দুল আহাদ, ১২ মে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক সহকারীর এপিএস পদে আমিরুল ইসলাম, গত ২ জুলাই মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টার এপিএস পদে মো. আব্দুর রহমান এবং ১৬ জুলাই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এপিএস পদে মো. আয়মন হাসান রাহাতকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯ মে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর এপিএস মো. সাইফ উদ্দিন সরকার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএস মো. ফারহানুল হক ও পরিবেশ উপদেষ্টার এপিএস আশিকুর রহমান সমী; ২৭ মে শিল্প উপদেষ্টার এপিএস আমান সাদিক, ২৮ মে ধর্ম উপদেষ্টার এপিএস মো. আশিকুল ইসলাম, ৯ জুলাই পরিকল্পনা উপদেষ্টার এপিএস কামরুন নাহার, ২৮ জুলাই নৌপরিবহন উপদেষ্টার এপিএস সাজ্জাদ নাঈম এবং ১০ আগস্ট ত্রাণ উপদেষ্টার এপিএস মো. আমিরুল ইসলামের বেতন ২২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা করা হয়। তবে নিয়োগের তারিখ থেকেই তাঁদের নতুন বেতন স্কেল কার্যকর ধরা হয়। গত ৬ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের এপিএস হিসেবে উদ্ভাষন চাকমার বেতনও ৫৩ হাজার ৬০ টাকা করা হয়।
বেতন পঞ্চম গ্রেডের থেকেও বেশি!
উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের এপিএসদের বেতন রাতারাতি বাড়ানোর ফলে পঞ্চম গ্রেডে নিয়োগ পাওয়া একজন পিএসের বেতন এখন তাঁদের থেকে কম। পঞ্চম গ্রেডের শুরুর বেতন ৪৩ হাজার টাকা। ১৫ জুন আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদায় নিয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের একান্ত সচিব পদে মুহাম্মদ শিহাব উদ্দীনকে পঞ্চম বেতন গ্রেডের শুরুর স্কেলে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে তাঁর বর্তমান বেতন ৪৩ হাজার টাকা, যা নবম গ্রেডে নিযুক্ত এপিএসদের চেয়ে অনেকটাই কম।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মো. মোয়াজ্জেমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৯ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর এপিএস সিফাত মাহমুদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রয়াত ভূমি উপদেষ্টা হাসান আরিফের এপিএস আবিদ চৌধুরী তাঁর বেতন বাড়ানোর জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। তখন উপদেষ্টা তাঁর এপিএসকে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলেন। তবে আবিদ চৌধুরী নিজে সেই আবেদন করেননি।
বিগত সরকারের আমলে এপিএসদের মধ্যে কারও বেতন এভাবে বাড়ানো হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। তবে তাঁরা বলেছেন, জানামতে এর আগে এভাবে এপিএসদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বিগত সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর চারজন এপিএসের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁরা সবাই ২২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করার কথা জানিয়েছেন।
ত্রাণ উপদেষ্টার নজিরবিহীন কাজ
কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে পিএস নিয়োগ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের অভিপ্রায় অনুযায়ী, তাঁর পিএস পদে সাবেক লে. কর্নেল মো. আব্দুল গাফ্ফারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আব্দুল গাফ্ফারকে যুগ্ম সচিবের পদমর্যাদা দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাঁর পদমর্যাদা ভবিষ্যতে এ পদের জন্য নজির হবে না।
আইনে কী আছে
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর (পারিশ্রমিক এবং সুযোগ-সুবিধা) আইন অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা যে কাউকে এপিএস পদে নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরে থেকে এপিএস নিয়োগ দিলে তাঁকে প্রথম শ্রেণির চাকরি পাওয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাধারী হতে হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে এপিএস নিয়োগ দিলে তাঁর মর্যাদা নির্ধারণ করে দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে এপিএসদের মর্যাদা ধরা হয় সহকারী সচিবের সমান। ফলে তাঁদের নবম বেতন গ্রেডের শুরুর ধাপে নিয়োগ হয়। আর সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এপিএস নিয়োগ দিলে ওই কর্মকর্তা যে দপ্তরে যে বেতনে চাকরি করতেন, সেই বেতনেই এপিএসের দায়িত্ব পালন করবেন। শুধু তাঁকে প্রেষণে এপিএস নিয়োগ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দেওয়া হয় উপসচিবদের মধ্য থেকে। তবে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী চাইলে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও পিএস নিয়োগ দিতে পারেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ার পর উপদেষ্টা বা বিশেষ সহকারীর কোনো পদ নেই। ফলে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর (পারিশ্রমিক এবং সুযোগ-সুবিধা) আইন অনুযায়ী উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এপিএসদের যে স্কেলে যোগদান করানো হয়, তার থেকে তাঁদের বেতন বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এই সরকারের মেয়াদ খুব বেশি নেই। ফলে এখন অনেকেই আমাদের কাছে বেতন বাড়ানোর আবেদন করছেন, সেসব আবেদন ধরে অনেকের বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এটা আর্থিক অনিয়ম
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বিষয়টি আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কোন কর্তৃত্ববলে সর্বোচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ করল? সর্বোচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হলে বিধি জারি করে করতে হবে। এসব কী হচ্ছে! সরকারি কর্মকর্তারা কি বিধিবিধান জানেন না? অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কাছ থেকে তো মানুষ এসব আশা করে না। পিএস সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই। দেখবেন এগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে মামলা হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর এপিএসদের বেতন প্রথমে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ীই নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের শেষের দিকে এসে তা একবারে ৩১ হাজার ৬০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
বর্তমান বেতনকাঠামো অনুযায়ী, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একজন সরকারি কর্মকর্তা নবম গ্রেডের শুরুর ধাপে, অর্থাৎ ২২ হাজার টাকা মূল বেতনে চাকরি শুরু করেন। এরপর ১৮ বছরে ১৮টি ইনক্রিমেন্ট যোগ হলে নবম গ্রেডের কোনো কর্মকর্তার বেতন দাঁড়াবে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা, এটিই এ গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপ। এপিএসদের বেতন ৩১ হাজার ৬০ টাকা বাড়িয়ে নবম গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুরুর নিয়োগে বেতন ২২ হাজার
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৪ আগস্ট থেকে গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর এপিএসদের ২২ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার এপিএস নাজমুস সাদাত, ক্রীড়া উপদেষ্টার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, শিল্প উপদেষ্টার এপিএস আমান সাদিক, পরিবেশ উপদেষ্টার এপিএস আশিকুর রহমান সমী, বস্ত্র উপদেষ্টার এপিএস সাজ্জাদ নাঈম, শিক্ষা উপদেষ্টার এপিএস কামরুন নাহার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএস ফারহানুল হক, ধর্ম উপদেষ্টার এপিএস মো. আশিকুল ইসলাম, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এপিএস মুনিম সিদ্দিকী, ত্রাণ উপদেষ্টার এপিএস মো. আমিরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর এপিএস শিমসাদ নারমীন, প্রয়াত ভূমি উপদেষ্টার এপিএস মো. আবিদ চৌধুরী এবং গণশিক্ষা উপদেষ্টার এপিএস আবিদ সরকার সোহাগের নিয়োগ ২২ হাজার টাকা বেতনে হয়।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের দপ্তর বদলে নৌপরিবহন এবং শ্রম উপদেষ্টার এপিএস হিসেবে সাজ্জাদ নাঈমকে ২২ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর এপিএস সিফাত মাহমুদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর এপিএস হিসেবে আশিক এলাহীর নিয়োগও ২২ হাজার বেতনে হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী নিজের এপিএস পদে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বর্তমান নাম বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সাউফ উদ্দিন সরকারকে নিয়োগ দেন।
একলাফে বেতন বেড়ে ৫৩ হাজার
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে একজন উপদেষ্টা তাঁর এপিএসের বেতন বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আধা সরকারি পত্র দেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভা করে কীভাবে এপিএসের বেতন বাড়ানো যায়, সেই সিদ্ধান্তে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন উপদেষ্টার কাছ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর আমরা দেখলাম, আগে এভাবে কারও বেতন বাড়ানো হয়নি। যেহেতু এপিএসদের মর্যাদা সহকারী সচিবদের সমান, আর সহকারী সচিবদের সর্বোচ্চ বেতন স্কেল ৫৩ হাজার ৬০ টাকা, সে কারণে উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের এপিএসদের বেতন ৫৩ হাজার ৬০ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে সহকারী সচিব পদে চাকরি শুরু হয় ২২ হাজার টাকা বেতনে। এটি নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে।’
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীরা যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই তাঁদের এপিএসদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক কিছুই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা রয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার ‘হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ’ ড. খলিলুর রহমানের ‘অভিপ্রায় অনুযায়ী’ মো. রেজাউল হককে নবম গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপ ৫৩ হাজার ৬০ টাকা মূল বেতনে তাঁর এপিএস নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৬ মার্চ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার এপিএস পদে মো. আব্দুল আহাদ, ১২ মে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক সহকারীর এপিএস পদে আমিরুল ইসলাম, গত ২ জুলাই মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টার এপিএস পদে মো. আব্দুর রহমান এবং ১৬ জুলাই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এপিএস পদে মো. আয়মন হাসান রাহাতকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯ মে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর এপিএস মো. সাইফ উদ্দিন সরকার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএস মো. ফারহানুল হক ও পরিবেশ উপদেষ্টার এপিএস আশিকুর রহমান সমী; ২৭ মে শিল্প উপদেষ্টার এপিএস আমান সাদিক, ২৮ মে ধর্ম উপদেষ্টার এপিএস মো. আশিকুল ইসলাম, ৯ জুলাই পরিকল্পনা উপদেষ্টার এপিএস কামরুন নাহার, ২৮ জুলাই নৌপরিবহন উপদেষ্টার এপিএস সাজ্জাদ নাঈম এবং ১০ আগস্ট ত্রাণ উপদেষ্টার এপিএস মো. আমিরুল ইসলামের বেতন ২২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা করা হয়। তবে নিয়োগের তারিখ থেকেই তাঁদের নতুন বেতন স্কেল কার্যকর ধরা হয়। গত ৬ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের এপিএস হিসেবে উদ্ভাষন চাকমার বেতনও ৫৩ হাজার ৬০ টাকা করা হয়।
বেতন পঞ্চম গ্রেডের থেকেও বেশি!
উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের এপিএসদের বেতন রাতারাতি বাড়ানোর ফলে পঞ্চম গ্রেডে নিয়োগ পাওয়া একজন পিএসের বেতন এখন তাঁদের থেকে কম। পঞ্চম গ্রেডের শুরুর বেতন ৪৩ হাজার টাকা। ১৫ জুন আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদায় নিয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের একান্ত সচিব পদে মুহাম্মদ শিহাব উদ্দীনকে পঞ্চম বেতন গ্রেডের শুরুর স্কেলে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে তাঁর বর্তমান বেতন ৪৩ হাজার টাকা, যা নবম গ্রেডে নিযুক্ত এপিএসদের চেয়ে অনেকটাই কম।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মো. মোয়াজ্জেমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৯ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর এপিএস সিফাত মাহমুদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রয়াত ভূমি উপদেষ্টা হাসান আরিফের এপিএস আবিদ চৌধুরী তাঁর বেতন বাড়ানোর জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। তখন উপদেষ্টা তাঁর এপিএসকে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলেন। তবে আবিদ চৌধুরী নিজে সেই আবেদন করেননি।
বিগত সরকারের আমলে এপিএসদের মধ্যে কারও বেতন এভাবে বাড়ানো হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। তবে তাঁরা বলেছেন, জানামতে এর আগে এভাবে এপিএসদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বিগত সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর চারজন এপিএসের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁরা সবাই ২২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করার কথা জানিয়েছেন।
ত্রাণ উপদেষ্টার নজিরবিহীন কাজ
কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে পিএস নিয়োগ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের অভিপ্রায় অনুযায়ী, তাঁর পিএস পদে সাবেক লে. কর্নেল মো. আব্দুল গাফ্ফারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আব্দুল গাফ্ফারকে যুগ্ম সচিবের পদমর্যাদা দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাঁর পদমর্যাদা ভবিষ্যতে এ পদের জন্য নজির হবে না।
আইনে কী আছে
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর (পারিশ্রমিক এবং সুযোগ-সুবিধা) আইন অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা যে কাউকে এপিএস পদে নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরে থেকে এপিএস নিয়োগ দিলে তাঁকে প্রথম শ্রেণির চাকরি পাওয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাধারী হতে হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে এপিএস নিয়োগ দিলে তাঁর মর্যাদা নির্ধারণ করে দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে এপিএসদের মর্যাদা ধরা হয় সহকারী সচিবের সমান। ফলে তাঁদের নবম বেতন গ্রেডের শুরুর ধাপে নিয়োগ হয়। আর সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এপিএস নিয়োগ দিলে ওই কর্মকর্তা যে দপ্তরে যে বেতনে চাকরি করতেন, সেই বেতনেই এপিএসের দায়িত্ব পালন করবেন। শুধু তাঁকে প্রেষণে এপিএস নিয়োগ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দেওয়া হয় উপসচিবদের মধ্য থেকে। তবে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী চাইলে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও পিএস নিয়োগ দিতে পারেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ার পর উপদেষ্টা বা বিশেষ সহকারীর কোনো পদ নেই। ফলে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর (পারিশ্রমিক এবং সুযোগ-সুবিধা) আইন অনুযায়ী উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এপিএসদের যে স্কেলে যোগদান করানো হয়, তার থেকে তাঁদের বেতন বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এই সরকারের মেয়াদ খুব বেশি নেই। ফলে এখন অনেকেই আমাদের কাছে বেতন বাড়ানোর আবেদন করছেন, সেসব আবেদন ধরে অনেকের বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এটা আর্থিক অনিয়ম
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বিষয়টি আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কোন কর্তৃত্ববলে সর্বোচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ করল? সর্বোচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হলে বিধি জারি করে করতে হবে। এসব কী হচ্ছে! সরকারি কর্মকর্তারা কি বিধিবিধান জানেন না? অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কাছ থেকে তো মানুষ এসব আশা করে না। পিএস সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই। দেখবেন এগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে মামলা হবে।’
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেসুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ আগস্ট ২০২৫আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ আগস্ট ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ আগস্ট ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ আগস্ট ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে