সম্পাদকীয়
খবরটি খুবই লজ্জার। বাংলাদেশ বিমানের একজন কেবিন ক্রু সোনা পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৪ আগস্ট বিকেলে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করার পর গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় এই কেবিন ক্রুর গতিবিধিতে সন্দেহ জাগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। স্ক্যানিং মেশিনের নিচে তিনি পা দিয়ে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছিলেন। টিস্যু পেপারের ভেতর থেকে ২৪ ক্যারেটের ২৩০ গ্রাম স্বর্ণের দুটি চেইন উদ্ধার করা হয়, যা অবৈধ পণ্য হিসেবে জব্দ করা হয়।
কেবিন ক্রুদের মাধ্যমে সোনা পাচার বা চোরাচালানের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল, তা নয়। সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে তাঁরা কারও প্রলোভনে ধরা দিতে পারেন এবং তখনই এ ধরনের অনৈতিক কাজ করে থাকেন। এর বড় একটি কারণ হলো, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কাজ করার সুবাদে কেবিন ক্রুরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁদের ওপর বিশ্বাস রেখে তুলনামূলক কম স্ক্যানিং, পরিচয়পত্রের কারণে বিশেষ সুবিধা এবং বিমানবন্দরের নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের ভালো ধারণা থাকায় কখনো কখনো তাঁরা স্বর্ণ চোরাচালানকারী সিন্ডিকেটের নজরে পড়ে যান এবং প্রচুর অর্থের প্রলোভনে এ ধরনের কাজ করতে সম্মত হন।
কেবিন ক্রুদের কেউ কেউ যখন অর্থের লোভ সংবরণ করতে পারেন না, তখনই তাঁরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের কম সন্দেহের চোখে দেখা হয় বলে সেই সুযোগ তাঁরা কাজে লাগান। সবাই প্রলোভনে পড়েন না, কেউ কেউ পড়েন এবং তাঁরা এই অন্যায়গুলো করে থাকেন।
এ ধরনের ঘটনা ঘটলে নির্দিষ্ট এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা কমে যায়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কেবিন ক্রুদের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশির সময় কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়া উচিত। সন্দেহভাজন আচরণ দেখলে তাঁকে নজরদারির মধ্যে আনা প্রয়োজন। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হলো কেবিন ক্রুদের কাজের পরিধি ও বিষয় নিয়ে কাউন্সেলিং করা এবং নিয়মিত তাঁদের নৈতিকতার শিক্ষাদান করা। যেকোনো প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের কাজ এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি।
অল্প কয়েকজনের কারণে গোটা বিমান সংস্থাকে যে সম্মানহানির গ্লানিতে পড়তে হয়, সে কথা বলা বাহুল্য। নৈতিকতার শিক্ষা এ ক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে। বলে
রাখা দরকার, বিমানবন্দরে নানা প্রলোভন ছড়িয়ে রয়েছে, তা থেকে নিজেকে সংবরণ করা প্রয়োজন।
আরও একটি কথা বলা দরকার, পাচারকারীরা যদি প্রভাবশালী কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তবে তাঁকে শাস্তির মুখোমুখি করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অবশ্য প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও পাচারকারী রেহাই পাননি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক তাঁর, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এই পথে পা না বাড়ায়।
খবরটি খুবই লজ্জার। বাংলাদেশ বিমানের একজন কেবিন ক্রু সোনা পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৪ আগস্ট বিকেলে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করার পর গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় এই কেবিন ক্রুর গতিবিধিতে সন্দেহ জাগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। স্ক্যানিং মেশিনের নিচে তিনি পা দিয়ে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছিলেন। টিস্যু পেপারের ভেতর থেকে ২৪ ক্যারেটের ২৩০ গ্রাম স্বর্ণের দুটি চেইন উদ্ধার করা হয়, যা অবৈধ পণ্য হিসেবে জব্দ করা হয়।
কেবিন ক্রুদের মাধ্যমে সোনা পাচার বা চোরাচালানের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল, তা নয়। সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে তাঁরা কারও প্রলোভনে ধরা দিতে পারেন এবং তখনই এ ধরনের অনৈতিক কাজ করে থাকেন। এর বড় একটি কারণ হলো, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কাজ করার সুবাদে কেবিন ক্রুরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁদের ওপর বিশ্বাস রেখে তুলনামূলক কম স্ক্যানিং, পরিচয়পত্রের কারণে বিশেষ সুবিধা এবং বিমানবন্দরের নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের ভালো ধারণা থাকায় কখনো কখনো তাঁরা স্বর্ণ চোরাচালানকারী সিন্ডিকেটের নজরে পড়ে যান এবং প্রচুর অর্থের প্রলোভনে এ ধরনের কাজ করতে সম্মত হন।
কেবিন ক্রুদের কেউ কেউ যখন অর্থের লোভ সংবরণ করতে পারেন না, তখনই তাঁরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের কম সন্দেহের চোখে দেখা হয় বলে সেই সুযোগ তাঁরা কাজে লাগান। সবাই প্রলোভনে পড়েন না, কেউ কেউ পড়েন এবং তাঁরা এই অন্যায়গুলো করে থাকেন।
এ ধরনের ঘটনা ঘটলে নির্দিষ্ট এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা কমে যায়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কেবিন ক্রুদের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশির সময় কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়া উচিত। সন্দেহভাজন আচরণ দেখলে তাঁকে নজরদারির মধ্যে আনা প্রয়োজন। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হলো কেবিন ক্রুদের কাজের পরিধি ও বিষয় নিয়ে কাউন্সেলিং করা এবং নিয়মিত তাঁদের নৈতিকতার শিক্ষাদান করা। যেকোনো প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের কাজ এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি।
অল্প কয়েকজনের কারণে গোটা বিমান সংস্থাকে যে সম্মানহানির গ্লানিতে পড়তে হয়, সে কথা বলা বাহুল্য। নৈতিকতার শিক্ষা এ ক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে। বলে
রাখা দরকার, বিমানবন্দরে নানা প্রলোভন ছড়িয়ে রয়েছে, তা থেকে নিজেকে সংবরণ করা প্রয়োজন।
আরও একটি কথা বলা দরকার, পাচারকারীরা যদি প্রভাবশালী কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তবে তাঁকে শাস্তির মুখোমুখি করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অবশ্য প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও পাচারকারী রেহাই পাননি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক তাঁর, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এই পথে পা না বাড়ায়।
আজকের পত্রিকায় ১৩ আগস্ট একটি সংবাদ পড়ে এবং এ বিষয়ে টিভি চ্যানেলের সংবাদ দেখে মর্মাহত হয়েছিলাম। এভাবে কেউ কোনো দেশের একটি প্রাকৃতিক সম্পদের বিনাশ ঘটাতে পারে? আজকের পত্রিকায় ‘সাদাপাথরের সৌন্দর্য হারানোর কান্না’ শিরোনামের সে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় পাথর
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন শতাধিক। প্রতিবছর এখানে হাজারো গবেষণা হয়, যার বড় অংশের উদ্দেশ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ। নিঃসন্দেহে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকের মর্যাদা এবং বৈশ্বিক পরিচিতি বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ঢাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে জাপানি বিনিয়োগ পরামর্শক তাকাও হিরোসে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট ভাষ্য, তাঁরা দ্রুত মুনাফার খোঁজে থাকা আগ্রাসী বিনিয়োগকারী, খামখেয়ালিও।
১৪ ঘণ্টা আগে২২শে শ্রাবণ (৬ আগস্ট) ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ওই দিন বাংলা একাডেমি ও ছায়ানট কর্তৃক রবীন্দ্রনাথ স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠানের খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
১ দিন আগে