Ajker Patrika

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শিবির নেতা, ছাত্রলীগ সন্দেহে মারধর করল ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ৪৭
মব সৃষ্টি করার অভিযোগে একজনকে  আটকে রাখেন শিবির নেতারা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল গালিব
মব সৃষ্টি করার অভিযোগে একজনকে আটকে রাখেন শিবির নেতারা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল গালিব

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন। তবে এ সময় তাঁকে ছাত্রলীগ সন্দেহে মারধর করেছেন ছাত্রদলের কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় তাঁদের। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমঝোতায় বিষয়টি সমাধানে আসে।

শিবির নেতা মো. মামুন বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ঘিরে যে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া হয়েছে, সেটির ভেতরে অনেকেই যাচ্ছিলেন। আমিও যেতে চাইলাম। তখন পুলিশ বাধা দেয় আমাকে। আমি বলেছিলাম, সবাই যেতে পারলে আমি পারব না কেন? তখন কয়েকজন লোক এসে আমাকে প্রশ্ন করল, আমি কেন যেতে চাই। এরপর তারা আমাকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমি তাদের বলি, আমি ঢাকা কলেজ শিবিরের দায়িত্বশীল নেতা। এটি শুনে তারা বলে, ‘তো কী হয়েছে।’ পাশেই পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। আমি তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি, কিন্তু পুলিশ তাদের আটকায়নি।’

মো. মামুন আরও বলেন, ‘আমাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন হামলাকারীরা আমার মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।’

ঘটনাস্থলে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ বলেন, ‘তিনি (মো. মামুন) আমাদের এইচআরডি সম্পাদক (প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক)। উনি উনার পরিচয় দেওয়ার পরও হামলা চলমান থাকে। আমাদের সঙ্গে ধামন্ডি ছাত্রদলের সদস্যসচিব জনি ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে তাঁরা ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন এবং ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে বলে তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মহিউদ্দিন সরকার জনি বলেন, ‘উনি যদি শুরুতেই উনার পরিচয় নিশ্চিত করতেন, তাহলে এ ঘটনা ঘটত না। উনি প্রথমে একটু উগ্র আচরণ করেছেন। এ কারণে উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন তাঁকে মারধর করে। পরে আমরা তাঁর পরিচয় জানতে পেরে ছাড়িয়ে নিই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসপি-ওসির বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ আটকের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমলি আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলায় নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলি আদালতে ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুহিন (২৩) নামের এক ব্যক্তি। তারেকুজ্জামান পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি-ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও ভুক্তভোগী এসআই মনিরুজ্জামানের বোনের সাবেক স্বামীর মামাতো ভাই।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান তখন গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মনিরুজ্জামানের আত্মীয় আসামি তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক পূর্বশক্রতার জেরে ফেসবুকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ছবি প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি এসআই মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে নেন। মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্রই গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেন। পরে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ যাচাই-বাছাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে আটক রাখেন। এ সময় বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয় মনিরুজ্জামানকে। একপর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মনিরুজ্জামানকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর তালুকদার বলেন, ‘সদর থানার এসআই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন তারেকুজ্জামান তুহিন নামের এক আত্মীয়ের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ান। গাইবান্ধা এসপি অফিসে এসে তুহিন বিষয়টি জানালে মনিরুজ্জামানের মোবাইল ও ল্যাপটপটি চেক করা হয়। পরে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। মামলা করার বিষয়টি শুনেছি।’

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলার সরকারি ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বাবার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পবায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক বাবা। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি পবা থানায় রেকর্ড হয়।

মামলার বাদী আমির হোসেন সরকারের (৭০) বাড়ি পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায়। মামলায় ছেলে বোরহান উদ্দিন (৪৫) এবং পুত্রবধূ আয়েশা বেগম আশাকে (৩৬) আসামি করেছেন তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমির হোসেন সরকার ছেলে বোরহান উদ্দিনের নামে বাড়িসহ ছয় শতক জমি কিনেছিলেন। ২০০০ সালে বোরহান সৌদি আরবে চলে যান। বিদেশে থাকা অবস্থায় বোরহান জমিটি তাঁর বাবাকে আমমোক্তার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) নিযুক্ত করেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা সংসার করছেন বোরহান। এখন মা-বাবাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে নতুন করে বাড়ি করার চেষ্টা করছেন।

আমির হোসেন খানের অভিযোগ, ছেলে তাঁর দেখভাল করেন না। কোনো টাকাপয়সাও দেন না। সম্প্রতি রাজশাহীর পবা থানার আমলি আদালতে গিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী মামলার আবেদন করেন আমির হোসেন। ৫ অক্টোবর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান সরকার অভিযোগটি সাত দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ এ মামলা রেকর্ড হয়।

আমির হোসেন সরকার বলেন, ‘সহায়-সম্বল বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। বাড়িটাও কিনেছিলাম ছেলের নামে। সে সৌদি আরবে ২৫ বছর থেকে অনেক টাকাপয়সা রোজগার করেছে। এই বয়সে নানা অসুস্থতা আর অভাব-অনটনে জীবন যাপন করলেও ছেলে খোঁজ নেয়নি। ছেলের বউ আমাদের কোনো টাকাপয়সা দিতে দেয় না। ছেলে দেশে ফিরে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে নতুন করে বাড়ি করার পরিকল্পনা করে। এ বাড়িতে আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকি। সে আমাদের বের করে এখানে বাড়ি করতে চায়। এতে রাজি না হলে সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা আমাদের উদ্ধার করে।’

অভিযোগের বিষয়ে বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিদেশ কাজ করেছি ২৫ বছর। আশপাশে ইনকোয়ারি করলে আসল বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আমার ভাইবোন—সবার পেছনে খাটতে খাটতে শেষ। দেশে আসার পরে আমি দেড় বছর ধরে বেকার। ভরণপোষণ দেব কোথা থেকে?’ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আরও দুইটা ভাই আছে। সব দায়দায়িত্ব কি আমার একার, না অন্যদেরও আছে?’

পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। আমার জানামতে, পবা থানায় এ ধরনের মামলা এবারই প্রথম হলো। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহমখদুম জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০১৩ সালে সরকার “পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন” প্রণয়ন করে। এই আইনে প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কোনো সন্তান এই দায়িত্ব পালন না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে। অনেক বৃদ্ধ পিতা-মাতা পারিবারিক চাপে পড়ে নীরবে কষ্ট সহ্য করেন। মামলা করতে সাহস পান না। এই মামলা হয়তো অন্যদেরও সচেতন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের নেছারাবাদের সেই বিতর্কিত ইউপি সদস্য মো. সোহাগ মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি মারামারির মামলায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বলদিয়া ইউনিয়নের রাজবাড়ী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ মৃধা বলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সোহাগ মৃধা বলেছিলেন, ‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী থেকে আমি কাজ করে যাচ্ছি।’

আগের সংবাদ:

সোহাগ মৃধাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, একটি মারামারির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা একসময় বিএনপি পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। পরে আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশংসামূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর আওয়ামী লীগ পরিচয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি আবার বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নতুন করে আলোচনা আসেন।

সোহাগের চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘সোহাগ মৃধা খুবই খারাপ মানুষ। সম্পত্তির ওয়ারিশ বঞ্চিত করতে আমাকে ও তার ছোট ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। এমনকি মামলা থেকে রেহাই পেতে ৫০ হাজার টাকা দিলেও নিস্তার পাইনি।’

ওসি বলেন, সোহাগ মৃধার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মারামারির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচির অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত
বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচির অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ছয় দিন ধরে ভাতিজার (২০) বাড়িতে অবস্থান করছেন এক চাচি (২৫)। উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই ভাতিজা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। তিনি ওই নারীর সাবেক স্বামীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভাতিজার বাড়ির উঠানে এলাকাবাসীর ভিড়। গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে ভাতিজার পরিবারের লোকজন বাড়ির গেট বন্ধ করে দেন। তবে তাঁরা জানান, ওই চাচি এখনো বাড়ির ভেতরে আছেন।

ছাপরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. আনছার আলী বলেন, ‘মেয়েটি জানিয়েছে, ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক দুই-তিন বছর ধরে। গত শনিবার থেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ভাতিজা পালিয়ে গেছেন। ঘটনার তিন দিনের মাথায় মেয়েটির স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন।’

ছাপরহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, ‘বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। কেউ আমাকে বলেননি।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত