তানিম আহমেদ, ঢাকা
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশনও গঠন করেছে। তবে সব কমিশন এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়নি।
কমিশনগুলোর ইতিমধ্যে দেওয়া সুপারিশ নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, কমিশনগুলোর সুপারিশে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সরকারের ইতিবাচক নানা উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না যৌক্তিক-অযৌক্তিক আন্দোলন ও নানামুখী অসহযোগিতার কারণে।
সংস্কারের উদ্যোগে সমঝোতায় আসতে সবাই চেষ্টা করবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংস্কার যদি না হয় তাহলে গণক্ষোভ ও গণরোষের জায়গাগুলো জীবিত থেকে যাবে। নির্বাচনের পরে দায়িত্ব নিলেও স্বস্তির জায়গাটা নাও থাকতে পারে। সমাজের বেশির মানুষ বলছে সংস্কার জরুরি। আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো গণ-অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগের কথা বিবেচনা করে সংস্কারে সম্মত হবে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। অন্তর্বর্তী সরকার জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি জানাচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের। নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু করে কমিশনগুলো। এগুলো ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদনের বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে। একই সঙ্গে কমিশনগুলোর প্রধানেরা রাষ্ট্র সংস্কারে আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি বা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার কী করতে পারে সে বিষয়ে সর্বসম্মত সুপারিশমালা দেবেন।
ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সূত্র বলেছে, ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারির পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে এবং কতটুকু পরে করা যাবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে হবে নাকি আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে হবে।
কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে সংস্কারের যে বিষয়গুলো এসেছে, তার সঙ্গে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানুষ কিন্তু এগুলো চায়। মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা সরকারের বড় সফলতা। এখন সংস্কারের বাস্তবায়ন পুরোটা সরকারের হাতে নেই। অধ্যাদেশ আকারে করা গেলেও তা টিকে থাকবে নির্বাচিত সংসদের অনুমোদনের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বারবার বলছে, সেটা বাস্তব অর্থে গত ছয় মাসে দেখা যায়নি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন। তিনি বলেন, কয়েকটি কমিশন প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেগুলোর অসংগতি নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি এবং তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারে কমিশন করলেও শিক্ষা নিয়ে কমিশন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষা নিয়ে বলতে গেলে কিছুই হয়নি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে একটা বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে প্রশাসনে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারে পদোন্নতির ক্ষেত্রে করা সুপারিশগুলো কোনো ক্যাডার মানবে না বলে মনে করেন সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল সার্ভিস, পুলিশ সার্ভিস এবং জুডিশিয়ারি সার্ভিস যদি স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে প্রথমে ঠিক করতে হবে আমরা এগুলো স্বাধীন চাই কি না। আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ওইটুকু করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট।’
বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ এবং উপজেলা পর্যায়ে আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আইন করা যায় না। এই সুপারিশের সুযোগ নেই।
সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের ভালো কাজ করার সদিচ্ছা আছে। কিন্তু তারা গোছাতে পারেনি। একই সঙ্গে নানা ধরনের দাবিদাওয়ায় তারা জর্জরিত। এ দুটি কারণে তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ সেভাবে পারেনি। মানুষের মধ্যে হতাশা আছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের প্রায় সব থানা হয়ে যায় পুলিশশূন্য। অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা বলেন, ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পর কর্মক্ষমতা কমে গেছে। সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ছয় মাসে পুলিশের তেমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশনও গঠন করেছে। তবে সব কমিশন এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়নি।
কমিশনগুলোর ইতিমধ্যে দেওয়া সুপারিশ নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, কমিশনগুলোর সুপারিশে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সরকারের ইতিবাচক নানা উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না যৌক্তিক-অযৌক্তিক আন্দোলন ও নানামুখী অসহযোগিতার কারণে।
সংস্কারের উদ্যোগে সমঝোতায় আসতে সবাই চেষ্টা করবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংস্কার যদি না হয় তাহলে গণক্ষোভ ও গণরোষের জায়গাগুলো জীবিত থেকে যাবে। নির্বাচনের পরে দায়িত্ব নিলেও স্বস্তির জায়গাটা নাও থাকতে পারে। সমাজের বেশির মানুষ বলছে সংস্কার জরুরি। আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো গণ-অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগের কথা বিবেচনা করে সংস্কারে সম্মত হবে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। অন্তর্বর্তী সরকার জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংস্কারে জোর দিলেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি জানাচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের। নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু করে কমিশনগুলো। এগুলো ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদনের বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে। একই সঙ্গে কমিশনগুলোর প্রধানেরা রাষ্ট্র সংস্কারে আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি বা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার কী করতে পারে সে বিষয়ে সর্বসম্মত সুপারিশমালা দেবেন।
ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সূত্র বলেছে, ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারির পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে এবং কতটুকু পরে করা যাবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে হবে নাকি আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে হবে।
কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে সংস্কারের যে বিষয়গুলো এসেছে, তার সঙ্গে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানুষ কিন্তু এগুলো চায়। মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা সরকারের বড় সফলতা। এখন সংস্কারের বাস্তবায়ন পুরোটা সরকারের হাতে নেই। অধ্যাদেশ আকারে করা গেলেও তা টিকে থাকবে নির্বাচিত সংসদের অনুমোদনের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বারবার বলছে, সেটা বাস্তব অর্থে গত ছয় মাসে দেখা যায়নি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন। তিনি বলেন, কয়েকটি কমিশন প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেগুলোর অসংগতি নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি এবং তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারে কমিশন করলেও শিক্ষা নিয়ে কমিশন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষা নিয়ে বলতে গেলে কিছুই হয়নি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে একটা বিরাট শূন্যতা বিরাজ করছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে প্রশাসনে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারে পদোন্নতির ক্ষেত্রে করা সুপারিশগুলো কোনো ক্যাডার মানবে না বলে মনে করেন সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল সার্ভিস, পুলিশ সার্ভিস এবং জুডিশিয়ারি সার্ভিস যদি স্বাধীনভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে প্রথমে ঠিক করতে হবে আমরা এগুলো স্বাধীন চাই কি না। আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ওইটুকু করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট।’
বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ এবং উপজেলা পর্যায়ে আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আইন করা যায় না। এই সুপারিশের সুযোগ নেই।
সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের ভালো কাজ করার সদিচ্ছা আছে। কিন্তু তারা গোছাতে পারেনি। একই সঙ্গে নানা ধরনের দাবিদাওয়ায় তারা জর্জরিত। এ দুটি কারণে তারা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ সেভাবে পারেনি। মানুষের মধ্যে হতাশা আছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের প্রায় সব থানা হয়ে যায় পুলিশশূন্য। অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা বলেন, ঐতিহাসিক পরিবর্তনের পর কর্মক্ষমতা কমে গেছে। সেগুলোকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ছয় মাসে পুলিশের তেমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।
অমর একুশে বইমেলার পরিসর এবার অনেকখানি বেড়েছে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে ৬৬টি বেশি। সব মিলিয়ে ৭০৮। এর মধ্যে এক শর বেশি প্রকাশনী এবারই মেলায় প্রথম এসেছে। বই বিক্রির চেয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছানোই তাদের অনেকের এবারের মেলায় অংশগ্রহণের প্রধান কারণ। বিক্রিটা যেন উপরি পাওনা।
৩ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেশত্রুদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘থামুন! শান্ত হোন। সরকারকে কাজ করতে দিন। বিচার ও সংস্কার হবেই। আমি জানি এ উত্তপ্ত মৌসুমে কেউ থামতে বলবে না আপনাদের। কিন্তু, আপনারা
৪ ঘণ্টা আগেভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
৫ ঘণ্টা আগে