Ajker Patrika

‘খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিমসটেক অঞ্চলে কাজ করার সুযোগ রয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত তৃতীয় বিমসটেক কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় অনলাইনে যুক্ত হন কৃষি উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত তৃতীয় বিমসটেক কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় অনলাইনে যুক্ত হন কৃষি উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিমসটেক অঞ্চলে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বিমসটেক কাজ করছে। এ অঞ্চলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।’

আজ বুধবার বিমসটেক সদস্য দেশসমূহের কৃষিবিষয়ক মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আয়োজিত তৃতীয় বিমসটেক কৃষিবিষয়ক মন্ত্রীপর্যায়ের সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। নেপালের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রামনাথ অধিকারীর সভাপতিত্বে সভায় সদস্য দেশসমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি, পশু ও মৎস্যসম্পদ কেবল অর্থনৈতিক খাতই নয়, বরং এগুলো এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা, জীবনধারণ ও গ্রামীণ উন্নয়নের মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। কৃষি এ অঞ্চলের কোটি কোটি জনগণের উন্নতিতে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু এ খাত জলবায়ু পরিবর্তন, অসম বণ্টন, বাণিজ্য ঘাটতিসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে উপদেষ্টা পারস্পরিক সমন্বয়, টেকসই সহযোগিতা ও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বঙ্গোপসাগরকে বিমসটেক অঞ্চলের মৎস্যসম্পদের অন্যতম উৎস হিসেবে বর্ণনা করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, এ অঞ্চল কোটি লোকের বেঁচে থাকা, অর্থনীতি ও প্রোটিন চাহিদার জোগান দেয়। বাংলাদেশসহ সদস্য দেশসমূহ মৎস্য উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে। দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন এ অঞ্চলের মৎস্য উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব রাখছে। এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উপদেষ্টা সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত