
বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এঁদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
ডেবরা ডোলানের বয়স যখন ২১, তখন প্রথম একাকী কোথাও ভ্রমণ করেন। আর সেবারই প্রথম নিজেকে একটা পোস্টকার্ড পাঠান সালটা ছিল ১৯৭৯, আর মধ্য কানাডায় থাকা ডেবরা প্রথমবারের মতো কানাডার শহর ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
‘সেবারই প্রথমবারের মতো এমন পাহাড় আর সাগর দেখার সৌভাগ্য হয় আমার।’ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেন ডেবরা। ভ্যাঙ্কুবারের অসাধারণ সব দৃশ্য ও কাছের আকাশছোঁয়া সব পর্বত দেখে যে উল্লাস অনুভব করেছেন, সেটাকে বন্দী করার ইচ্ছা হলো ডেবরার। যদিও দিনপঞ্জি লেখার অভ্যাস তাঁর, তার পরও ভ্রমণের উত্তেজনা আর আশপাশের সবকিছু ঘুরে দেখতে গিয়ে সময় বের করা মুশকিল হয়ে গেল। এদিকে সঙ্গে ক্যামেরাও আনেননি। ‘কাজেই যখনই হুইস্টলার, ভ্যাঙ্কুবার দ্বীপ কিংবা ভ্যাঙ্কুবারের অন্য জায়গায় গেলাম, ঠিক করলাম, কেবল একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে দেব নিজের ঠিকানায়।’
সত্যি সত্যি তা-ই করলেন তিনি। প্রতিটি কার্ডের পেছনে ডোলান এক-দুই অনুচ্ছেদে নিজের অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা লিখে দিলেন সংক্ষেপে। তারপর কেবল একটি হার্ট চিহ্ন দিয়ে সাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন নিজের ঠিকানায়।
দিন দশেক বাদে বাড়িতে ফিরে একগাদা পোস্টকার্ড হাতে পেলেন, যার সবগুলো নিজেই পাঠিয়েছিলেন। ‘এমন এক আনন্দ পেয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ কর্ডগুলো হাতে পাওয়ার অনুভূতি এভাবেই বর্ণনা করেন ডোলান।
ডেবরা ডোলান বুঝতে পারলেন কোনো একটি জায়গা বা মুহূর্তের টাইম ক্যাপসুল হিসেবে কাজ করে পোস্টকার্ড। অর্থাৎ ওই সময়টাকে এর মাধ্যমে বন্দী করে ফেলতে পারছেন তিনি।
বলা চলে, ভ্যাঙ্কুবারের এই ভ্রমণ ডোলানের ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলল। বাচ্চা থাকার সময় এবং বালিকা বা কিশোরী বয়সে পরিবারের সঙ্গে কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করা পর্যন্তই ছিল তাঁর ভ্রমণের দৌড়।
‘কিন্তু ভ্যাঙ্কুবারে আসার পর বুঝতে পারলাম ভ্রমণ করা সত্যি সহজ। তেমনি একাকী ভ্রমণ করাটাও মোটেই কঠিন নয়। এতে কোনোও অস্বস্তি লাগে না আমার।’ বলেন ডোলান।
বলা চলে এটা তাঁর জীবনের চলার পথকে পুরোপুরি বদলে দিল। পেশাগত জীবনে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার বদলে পৃথিবী ঘুরে দেখাটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এরপর হিচ-হাইকিং করে কানাডা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখান থেকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া। তারপর গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে লাগলেন।
এখানে বলে রাখা ভালো, হিচ-হাইকিং হলো ভ্রমণের এমন এক দুঃসাহসিক কেতা, যাতে মোটামুটি খরচ ছাড়াই দিনের পর দিন রোমাঞ্চকর ভ্রমণে থাকতে পারবেন আপনি। ধরুন কোথাও যাওয়ার পথে অন্য কারও গাড়ি কিংবা ট্রাক যা-ই পেলেন, তাতে লিফট নিয়ে বেশ কতকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন।
‘টানা তিন বছর ভ্রমণের ওপরেই থাকলাম।’ স্মরণ করেন ডোলান। গত শতকের আশির দশকের এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে টুকে রাখলেন ডেবরা। তবে নিজের নতুন শখ অর্থাৎ নিজেকে পোস্টকার্ড পাঠানোর অভ্যাসও বজায় রাখলেন।
পোস্টকার্ডগুলো নিজের মা-বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। কখনো কখনো পাঠাতেন খামে পুরে, যেন নিজের কিছু চিন্তা-ভাবনা আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মা-বাবার কৌতূহলী দৃষ্টির আড়ালে রাখতে পারেন।
প্রথম সেই ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণের পর পেরিয়ে গেছে ৪০ বছরের বেশি সময়। এখনো ডোলানের ভ্রমণের নেশা আছে আগের মতোই। তেমনি এখনো একজন তুখোড় পোস্টকার্ড লেখক তিনি। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভ্রমণে গিয়ে শত শত পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন নিজেকে। আশ্চর্যজনক হলেও এগুলোর সবই পৌঁছেছে। এমনকি কোনো কোনোটি এক বছর পরেও পৌঁছেছে। আর ডোলান এগুলো আগলে রেখেছেন ভ্রমণে ভরপুর এক জীবনের স্মৃতি হিসেবে।
‘এটা শুধু যে আমাকে তখন কোথায় ছিলাম তা মনে করিয়ে দেয় তা নয়, স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন কেমন ছিলাম আমি।’ বলেন ডোলান, ‘একাকী সব ভ্রমণ, মুক্তভাবে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিগুলো ফিরে আসে। আমার মনে হয় এটাই পোস্টকার্ডগুলোর সার্থকতা।’
ডোলানের বয়স এখন ৬৪, থাকেন ভ্যাঙ্কুবারে। সেই শহরে যেটা প্রথম তাঁর মনে ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করেছিল। প্রশাসনে চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সব সময়ই পরের রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় করেন তিনি।
এমনিতে ডোলানের পোস্টকার্ডগুলো ঘরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলো ভ্রমণের গতি দুটি কারণে কিছুটা কমে আসে তাঁর। প্রথমত একটি দুর্ঘটনায়, তারপর করোনা মহামারির কারণে। এ সময়ই নিজের পোস্টকার্ডগুলো একত্র করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
‘কাজেই এগুলোকে ডায়েরি থেকে বের করলাম, ড্রয়ার থেকে বের করলাম। মোট কথা, নানা জায়গা থেকে একত্র করলাম।’ বলেন ডোলান।
কোনো কোনো পোস্টকার্ডের বয়স এখন ৪০ বছরের বেশি। এগুলো রং চটে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোনো কোনোটিতে এমন সব ভাবনা, অনুভূতির বর্ণনা আছে, যেগুলো তখন ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এত দিনে প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। বেশির ভাগ কার্ডে কোনো না কোনো জায়গার ছবি আছে, তবে কিছু আবার কারও আঁকা কিংবা বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্মের নকল।
পোস্টকার্ডে লেখা কিংবা এগুলো হাতে পাওয়াটা যেমন উপভোগ করেন, তেমনি এগুলো বাছাই করার বিষয়টিও সব সময় আনন্দ দেয় ডোলানকে। তিনি জানান, ভাবনা-চিন্তা করেই পোস্টকার্ড বাছাই করেন সব সময়।
‘আমস্টারডামের রাইখস মিউজিয়ামের কথা যদি বিবেচনা করি। নিজের পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা বন্ধুকে নিশ্চয় গোটা আমস্টারডাম শহরের একটি পোস্টকার্ড পাঠাতে চাইবেন। তবে এটা যদি নিজেকে পাঠান, নিশ্চয় এখানে যে চিত্রকর্ম কিংবা ছবিটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বা যেটাকে সবচেয়ে সময় দিয়েছেন, তার প্রতিকৃতিসহ কোনো পোস্টকার্ড পাঠাবেন।’
ডোলান সাধারণত কোনো দোকান কিংবা জাদুঘরের গিফট শপ থেকে পোস্টকার্ড পাঠাতে চান। তবে যেখান থেকেই কেনেন না কেন, একটা বিষয় খুব গুরুত্ব দেন, সেটা হলো বাস্তবের চেয়ে কোনো জায়গার কাল্পনিক একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা।’ আর এ কারণে কখনো কখনো হাতে আঁকা কার্ডকে গুরুত্ব দেন।
‘একজন শিল্পী আপনাকে ভিন্ন একটা দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, হতে পারে সেটা বিমূর্ত কিংবা কেবল তাঁর আবেগ প্রকাশ পেয়েছে এর মাধ্যমে।’ বলেন তিনি।
কখনো কখনো ডেবরা আগে থেকেই ভেবে নেন তাঁর পোস্টকার্ডে কী থাকবে। তখন ভ্রমণের জায়গাটিতে খুঁজতে থাকেন যেমনটা ভেবেছেন সেরকম একটি পোস্টকার্ড না পাওয়া পর্যন্ত।
‘আমার মনে পড়ে, যখন ভিয়েনায় ছিলাম, তখন ছিল বড়দিন। এমন একটি পোস্টকার্ড খুঁজে বের করেছিলাম, যেটায় বরফ আর অপেরা হাউসের বাইরে জ্বলছিল লণ্ঠন।’
অন্য সময় যখন নির্দিষ্ট কোনো ছবি মনে অবয়ব পায় না তখন বিভিন্ন পোস্টকার্ডের দোকানে খুঁজতে থাকেন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির এক ভ্রমণের কথা স্মরণ করেন। চমৎকার এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানকার, চাকচিক্যময় বাথরুমে লেখার একটি ডেস্ক, কলাম আর স্মারক পোস্টকার্ড ছিল গ্রাহকদের জন্য। মুহূর্তটা ছিল একেবারে তাঁর মনের মতো।
‘আমি অনুমান করলাম এটি আমার জন্য লেখা একটি আমন্ত্রণ।’ স্মরণ করেন ডেবরা।
সব সময়ই ভ্রমণের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর পোস্টকার্ড পাঠান ডোলান। ডাকঘর খুঁজে বের করা, ডাকটিকিট কেনা আর একটি মেইলবক্স খুঁজে বের করা গোটা প্রক্রিয়াটির একেকটি অংশ।
কখনো কখনো একটু ব্যতিক্রমও ঘটে। ২০০৮ সালে স্পেনের ক্যামিনো দে সান্তিয়াগোর রাস্তা ধরে হেঁটে চলার সময় ডোলান এমন একটা কাজ করলেন, পোস্টকার্ডের বদলে চিঠিকে বেছে নিলেন। চলার পথে পোস্টকার্ড কেনা একটু ঝামেলা হবে ভেবে। এয়ার মেইল কাগজ কিনলেন, আর কিনলেন খাম আর ডাকটিকিট। তারপর স্থানীয় একটি ডাকঘরের খোঁজে বের হলেন।
‘সবগুলোই পৌঁছেছে, একেবারে ধারাবাহিকতা মেনে নয়, তবে সবগুলোই পৌঁছেছে।’ বলেন ডোলান।
তাঁর গত কয়েক দশকের পোস্টকার্ডগুলোর দিকে তাকিয়ে ডোলান আবিষ্কার করেছেন, কীভাবে তাঁর হাতের লেখা বদলে গেছে। কীভাবে ভাষার ব্যবহারও বদলেছে, তেমনি বদলেছে ভ্রমণের অভ্যাসও। কম বয়সে ব্যাকপেকিংয়ের দিকে ঝোঁক থাকলেও এখন প্রায়ই কিছুটা আয়েশি ভ্রমণ বেছে নিচ্ছেন।
তেমনি আগে ডেবি নামে পরিচিতি পেলেও এখন ডেবরা নামে পরিচিত তিনি। তবে সবকিছু কিন্তু বদলায় না।
‘আমি সব সময় আমার পোস্টকার্ডের লেখা শেষ করি একটি হার্ট দিয়ে।’ বলেন তিনি, ‘জানি না, এটা শুধু নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, নাকি ওই ভ্রমণ আর সেই সব মুহূর্তর প্রতি ভালোবাসা থেকে।’
কোনো কোনো পোস্টকার্ড আবার দুঃখজনক কিংবা পীড়াদায়ক কোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। হয়তো কোথাও ভ্রমণে গিয়ে যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানকার অন্য কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝগড়ার স্মৃতি।
নিজের সব ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও কখনো কখনো নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে তাঁকে, কখনো দুঃখী হয়েছেন, কখনো আবার চলার পথে ক্লান্তি অনুভব করেছেন। এসব অনুভূতিরও জায়গা হয়েছে কোনো কোনো পোস্টকার্ডে।
ডোলান ভ্রমণের সময় ক্যামেরা বহন না করার নীতি মেনে চলেন। ভ্যাঙ্কুবারে যখন স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করলেন, তখনো কোথাও বেড়াতে গেলে সেটা রেখে যেতেন বাড়িতে।
তবে তাঁর জীবনসঙ্গী যিনি এখন প্রায়ই ভ্রমণে ডেবরার সঙ্গে থাকেন, নিজের পেছনের পকেটে একটা মোবাইল ফোন রাখেন। কখনো কখনো ঘুরে বেড়ানোর সময় দু-একটা ছবি তোলা হলেও যে কোনো ভ্রমণে পোস্টকার্ডই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের স্মারক।
‘জীবনের ওই সব স্মরণীয় মুহূর্ত কেবলই আপনার। আমরা হয়তো ঘুরে বেড়ানোর সময় একই জিনিস দেখি। আমরা হয়তো একই কাজ করি। রোমে গেলে আপনি কলোসিয়াম দেখবেনই। তবে আমাদের ওই দিন বা মুহূর্তের অভিজ্ঞতাগুলো একেবারেই আলাদা।’ বলেন ডোলান, ‘আমি মনে করি, এই জিনিসটাই ধারণ করে পোস্টকার্ড। তাঁরা হয়তো এই ছবির ১০ হাজার পোস্টকার্ড বেচেছে। তবে এগুলোর পেছনে আমরা যাঁরা লিখেছি তাঁদের কাছে, পৃথিবীর যেখানেই যাক না কেন, কার্ডগুলোর আলাদা পরিচয় আছে।’

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এঁদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
ডেবরা ডোলানের বয়স যখন ২১, তখন প্রথম একাকী কোথাও ভ্রমণ করেন। আর সেবারই প্রথম নিজেকে একটা পোস্টকার্ড পাঠান সালটা ছিল ১৯৭৯, আর মধ্য কানাডায় থাকা ডেবরা প্রথমবারের মতো কানাডার শহর ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
‘সেবারই প্রথমবারের মতো এমন পাহাড় আর সাগর দেখার সৌভাগ্য হয় আমার।’ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেন ডেবরা। ভ্যাঙ্কুবারের অসাধারণ সব দৃশ্য ও কাছের আকাশছোঁয়া সব পর্বত দেখে যে উল্লাস অনুভব করেছেন, সেটাকে বন্দী করার ইচ্ছা হলো ডেবরার। যদিও দিনপঞ্জি লেখার অভ্যাস তাঁর, তার পরও ভ্রমণের উত্তেজনা আর আশপাশের সবকিছু ঘুরে দেখতে গিয়ে সময় বের করা মুশকিল হয়ে গেল। এদিকে সঙ্গে ক্যামেরাও আনেননি। ‘কাজেই যখনই হুইস্টলার, ভ্যাঙ্কুবার দ্বীপ কিংবা ভ্যাঙ্কুবারের অন্য জায়গায় গেলাম, ঠিক করলাম, কেবল একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে দেব নিজের ঠিকানায়।’
সত্যি সত্যি তা-ই করলেন তিনি। প্রতিটি কার্ডের পেছনে ডোলান এক-দুই অনুচ্ছেদে নিজের অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা লিখে দিলেন সংক্ষেপে। তারপর কেবল একটি হার্ট চিহ্ন দিয়ে সাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন নিজের ঠিকানায়।
দিন দশেক বাদে বাড়িতে ফিরে একগাদা পোস্টকার্ড হাতে পেলেন, যার সবগুলো নিজেই পাঠিয়েছিলেন। ‘এমন এক আনন্দ পেয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ কর্ডগুলো হাতে পাওয়ার অনুভূতি এভাবেই বর্ণনা করেন ডোলান।
ডেবরা ডোলান বুঝতে পারলেন কোনো একটি জায়গা বা মুহূর্তের টাইম ক্যাপসুল হিসেবে কাজ করে পোস্টকার্ড। অর্থাৎ ওই সময়টাকে এর মাধ্যমে বন্দী করে ফেলতে পারছেন তিনি।
বলা চলে, ভ্যাঙ্কুবারের এই ভ্রমণ ডোলানের ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলল। বাচ্চা থাকার সময় এবং বালিকা বা কিশোরী বয়সে পরিবারের সঙ্গে কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করা পর্যন্তই ছিল তাঁর ভ্রমণের দৌড়।
‘কিন্তু ভ্যাঙ্কুবারে আসার পর বুঝতে পারলাম ভ্রমণ করা সত্যি সহজ। তেমনি একাকী ভ্রমণ করাটাও মোটেই কঠিন নয়। এতে কোনোও অস্বস্তি লাগে না আমার।’ বলেন ডোলান।
বলা চলে এটা তাঁর জীবনের চলার পথকে পুরোপুরি বদলে দিল। পেশাগত জীবনে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার বদলে পৃথিবী ঘুরে দেখাটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এরপর হিচ-হাইকিং করে কানাডা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখান থেকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া। তারপর গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে লাগলেন।
এখানে বলে রাখা ভালো, হিচ-হাইকিং হলো ভ্রমণের এমন এক দুঃসাহসিক কেতা, যাতে মোটামুটি খরচ ছাড়াই দিনের পর দিন রোমাঞ্চকর ভ্রমণে থাকতে পারবেন আপনি। ধরুন কোথাও যাওয়ার পথে অন্য কারও গাড়ি কিংবা ট্রাক যা-ই পেলেন, তাতে লিফট নিয়ে বেশ কতকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন।
‘টানা তিন বছর ভ্রমণের ওপরেই থাকলাম।’ স্মরণ করেন ডোলান। গত শতকের আশির দশকের এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে টুকে রাখলেন ডেবরা। তবে নিজের নতুন শখ অর্থাৎ নিজেকে পোস্টকার্ড পাঠানোর অভ্যাসও বজায় রাখলেন।
পোস্টকার্ডগুলো নিজের মা-বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। কখনো কখনো পাঠাতেন খামে পুরে, যেন নিজের কিছু চিন্তা-ভাবনা আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মা-বাবার কৌতূহলী দৃষ্টির আড়ালে রাখতে পারেন।
প্রথম সেই ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণের পর পেরিয়ে গেছে ৪০ বছরের বেশি সময়। এখনো ডোলানের ভ্রমণের নেশা আছে আগের মতোই। তেমনি এখনো একজন তুখোড় পোস্টকার্ড লেখক তিনি। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভ্রমণে গিয়ে শত শত পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন নিজেকে। আশ্চর্যজনক হলেও এগুলোর সবই পৌঁছেছে। এমনকি কোনো কোনোটি এক বছর পরেও পৌঁছেছে। আর ডোলান এগুলো আগলে রেখেছেন ভ্রমণে ভরপুর এক জীবনের স্মৃতি হিসেবে।
‘এটা শুধু যে আমাকে তখন কোথায় ছিলাম তা মনে করিয়ে দেয় তা নয়, স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন কেমন ছিলাম আমি।’ বলেন ডোলান, ‘একাকী সব ভ্রমণ, মুক্তভাবে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিগুলো ফিরে আসে। আমার মনে হয় এটাই পোস্টকার্ডগুলোর সার্থকতা।’
ডোলানের বয়স এখন ৬৪, থাকেন ভ্যাঙ্কুবারে। সেই শহরে যেটা প্রথম তাঁর মনে ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করেছিল। প্রশাসনে চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সব সময়ই পরের রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় করেন তিনি।
এমনিতে ডোলানের পোস্টকার্ডগুলো ঘরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলো ভ্রমণের গতি দুটি কারণে কিছুটা কমে আসে তাঁর। প্রথমত একটি দুর্ঘটনায়, তারপর করোনা মহামারির কারণে। এ সময়ই নিজের পোস্টকার্ডগুলো একত্র করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
‘কাজেই এগুলোকে ডায়েরি থেকে বের করলাম, ড্রয়ার থেকে বের করলাম। মোট কথা, নানা জায়গা থেকে একত্র করলাম।’ বলেন ডোলান।
কোনো কোনো পোস্টকার্ডের বয়স এখন ৪০ বছরের বেশি। এগুলো রং চটে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোনো কোনোটিতে এমন সব ভাবনা, অনুভূতির বর্ণনা আছে, যেগুলো তখন ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এত দিনে প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। বেশির ভাগ কার্ডে কোনো না কোনো জায়গার ছবি আছে, তবে কিছু আবার কারও আঁকা কিংবা বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্মের নকল।
পোস্টকার্ডে লেখা কিংবা এগুলো হাতে পাওয়াটা যেমন উপভোগ করেন, তেমনি এগুলো বাছাই করার বিষয়টিও সব সময় আনন্দ দেয় ডোলানকে। তিনি জানান, ভাবনা-চিন্তা করেই পোস্টকার্ড বাছাই করেন সব সময়।
‘আমস্টারডামের রাইখস মিউজিয়ামের কথা যদি বিবেচনা করি। নিজের পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা বন্ধুকে নিশ্চয় গোটা আমস্টারডাম শহরের একটি পোস্টকার্ড পাঠাতে চাইবেন। তবে এটা যদি নিজেকে পাঠান, নিশ্চয় এখানে যে চিত্রকর্ম কিংবা ছবিটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বা যেটাকে সবচেয়ে সময় দিয়েছেন, তার প্রতিকৃতিসহ কোনো পোস্টকার্ড পাঠাবেন।’
ডোলান সাধারণত কোনো দোকান কিংবা জাদুঘরের গিফট শপ থেকে পোস্টকার্ড পাঠাতে চান। তবে যেখান থেকেই কেনেন না কেন, একটা বিষয় খুব গুরুত্ব দেন, সেটা হলো বাস্তবের চেয়ে কোনো জায়গার কাল্পনিক একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা।’ আর এ কারণে কখনো কখনো হাতে আঁকা কার্ডকে গুরুত্ব দেন।
‘একজন শিল্পী আপনাকে ভিন্ন একটা দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, হতে পারে সেটা বিমূর্ত কিংবা কেবল তাঁর আবেগ প্রকাশ পেয়েছে এর মাধ্যমে।’ বলেন তিনি।
কখনো কখনো ডেবরা আগে থেকেই ভেবে নেন তাঁর পোস্টকার্ডে কী থাকবে। তখন ভ্রমণের জায়গাটিতে খুঁজতে থাকেন যেমনটা ভেবেছেন সেরকম একটি পোস্টকার্ড না পাওয়া পর্যন্ত।
‘আমার মনে পড়ে, যখন ভিয়েনায় ছিলাম, তখন ছিল বড়দিন। এমন একটি পোস্টকার্ড খুঁজে বের করেছিলাম, যেটায় বরফ আর অপেরা হাউসের বাইরে জ্বলছিল লণ্ঠন।’
অন্য সময় যখন নির্দিষ্ট কোনো ছবি মনে অবয়ব পায় না তখন বিভিন্ন পোস্টকার্ডের দোকানে খুঁজতে থাকেন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির এক ভ্রমণের কথা স্মরণ করেন। চমৎকার এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানকার, চাকচিক্যময় বাথরুমে লেখার একটি ডেস্ক, কলাম আর স্মারক পোস্টকার্ড ছিল গ্রাহকদের জন্য। মুহূর্তটা ছিল একেবারে তাঁর মনের মতো।
‘আমি অনুমান করলাম এটি আমার জন্য লেখা একটি আমন্ত্রণ।’ স্মরণ করেন ডেবরা।
সব সময়ই ভ্রমণের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর পোস্টকার্ড পাঠান ডোলান। ডাকঘর খুঁজে বের করা, ডাকটিকিট কেনা আর একটি মেইলবক্স খুঁজে বের করা গোটা প্রক্রিয়াটির একেকটি অংশ।
কখনো কখনো একটু ব্যতিক্রমও ঘটে। ২০০৮ সালে স্পেনের ক্যামিনো দে সান্তিয়াগোর রাস্তা ধরে হেঁটে চলার সময় ডোলান এমন একটা কাজ করলেন, পোস্টকার্ডের বদলে চিঠিকে বেছে নিলেন। চলার পথে পোস্টকার্ড কেনা একটু ঝামেলা হবে ভেবে। এয়ার মেইল কাগজ কিনলেন, আর কিনলেন খাম আর ডাকটিকিট। তারপর স্থানীয় একটি ডাকঘরের খোঁজে বের হলেন।
‘সবগুলোই পৌঁছেছে, একেবারে ধারাবাহিকতা মেনে নয়, তবে সবগুলোই পৌঁছেছে।’ বলেন ডোলান।
তাঁর গত কয়েক দশকের পোস্টকার্ডগুলোর দিকে তাকিয়ে ডোলান আবিষ্কার করেছেন, কীভাবে তাঁর হাতের লেখা বদলে গেছে। কীভাবে ভাষার ব্যবহারও বদলেছে, তেমনি বদলেছে ভ্রমণের অভ্যাসও। কম বয়সে ব্যাকপেকিংয়ের দিকে ঝোঁক থাকলেও এখন প্রায়ই কিছুটা আয়েশি ভ্রমণ বেছে নিচ্ছেন।
তেমনি আগে ডেবি নামে পরিচিতি পেলেও এখন ডেবরা নামে পরিচিত তিনি। তবে সবকিছু কিন্তু বদলায় না।
‘আমি সব সময় আমার পোস্টকার্ডের লেখা শেষ করি একটি হার্ট দিয়ে।’ বলেন তিনি, ‘জানি না, এটা শুধু নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, নাকি ওই ভ্রমণ আর সেই সব মুহূর্তর প্রতি ভালোবাসা থেকে।’
কোনো কোনো পোস্টকার্ড আবার দুঃখজনক কিংবা পীড়াদায়ক কোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। হয়তো কোথাও ভ্রমণে গিয়ে যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানকার অন্য কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝগড়ার স্মৃতি।
নিজের সব ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও কখনো কখনো নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে তাঁকে, কখনো দুঃখী হয়েছেন, কখনো আবার চলার পথে ক্লান্তি অনুভব করেছেন। এসব অনুভূতিরও জায়গা হয়েছে কোনো কোনো পোস্টকার্ডে।
ডোলান ভ্রমণের সময় ক্যামেরা বহন না করার নীতি মেনে চলেন। ভ্যাঙ্কুবারে যখন স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করলেন, তখনো কোথাও বেড়াতে গেলে সেটা রেখে যেতেন বাড়িতে।
তবে তাঁর জীবনসঙ্গী যিনি এখন প্রায়ই ভ্রমণে ডেবরার সঙ্গে থাকেন, নিজের পেছনের পকেটে একটা মোবাইল ফোন রাখেন। কখনো কখনো ঘুরে বেড়ানোর সময় দু-একটা ছবি তোলা হলেও যে কোনো ভ্রমণে পোস্টকার্ডই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের স্মারক।
‘জীবনের ওই সব স্মরণীয় মুহূর্ত কেবলই আপনার। আমরা হয়তো ঘুরে বেড়ানোর সময় একই জিনিস দেখি। আমরা হয়তো একই কাজ করি। রোমে গেলে আপনি কলোসিয়াম দেখবেনই। তবে আমাদের ওই দিন বা মুহূর্তের অভিজ্ঞতাগুলো একেবারেই আলাদা।’ বলেন ডোলান, ‘আমি মনে করি, এই জিনিসটাই ধারণ করে পোস্টকার্ড। তাঁরা হয়তো এই ছবির ১০ হাজার পোস্টকার্ড বেচেছে। তবে এগুলোর পেছনে আমরা যাঁরা লিখেছি তাঁদের কাছে, পৃথিবীর যেখানেই যাক না কেন, কার্ডগুলোর আলাদা পরিচয় আছে।’

আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১৩ মিনিট আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৫ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না। তবে আপনার আত্মবিশ্বাস দেখে সবাই মুগ্ধ হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গী আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দেখে একটু ভয় পেতে পারে। বেশি উত্তেজিত হবেন না, নইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার দৌড় শুরু করে দেবেন! আজ ভুল করে ফ্রিজ খুলে লাইট নেভানোর জন্য সুইচ খুঁজতে পারেন!
বৃষ
দিনের শুরুতেই মন চাইবে, হয় কোথাও আরাম করে বসে শুধু ভালো ভালো খাবার খাওয়া যাক, নয়তো বালিশে মুখ গুঁজে ডুব দেওয়া যাক। যদি আজ অফিসের জরুরি মিটিংয়ের বদলে দুপুরবেলা পছন্দের রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি অর্ডার দেন, তবে সেটা সম্পূর্ণই গ্রহের দোষ। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা বিশাল দামি চকলেট কিনবেন, যেটা খেতে গিয়ে আবার ডায়েটের কথা মনে পড়বে। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক ডিনারে না গিয়ে বাড়িতে সিনেমা দেখতে বসুন। অন্যের প্লেট থেকে কিছু চুরি করতে যাবেন না, ধরা পড়ার চান্স ৯৯ শতাংশ।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুই সত্তা আজ রিংয়ে নেমেছে বক্সিং লড়তে। এক মন বলছে, ‘আজ একটা বড় কাজ শেষ করি,’ আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে এই নতুন মিমটা দেখতেই হবে।’ আজ একাই দশজনের কাজ করতে পারবেন, কিন্তু ভুলবশত এক জায়গায় বলার কথা আরেক জায়গায় বলে দেবেন। ফলে, পরিচিতরা আজ একটু কনফিউজড থাকতে পারে। আজ এমন সব নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কোনো গোপন ডিটেকটিভ এজেন্সির জন্য কাজ করেন। চাবি বা মোবাইল—দুটোই আজ হারিয়ে ফেলার প্রবল যোগ।
কর্কট
আজ মন খুবই স্পর্শকাতর, মানে, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’, আপনি সম্ভবত কাঁদতে শুরু করবেন। বাড়িতে থাকার জন্য আজ মন আঁকুপাঁকু করবে। আজ রান্নাঘরে রেসিপি নিয়ে নতুন কোনো পরীক্ষা করার প্রবল যোগ, যার পরিণতি হয়তো খুব একটা সুখকর হবে না। সন্ধ্যায় আপনার ‘ড্রামা কুইন/কিং’ মুড অন হবে। ছোট একটি ঘটনাকেও মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডির মতো করে প্রেজেন্ট করবেন। পরিবারকে আজ একটু বেশি ভালোবাসা দিন, কিন্তু সেটার জন্য অতিরিক্ত কোনো পেমেন্ট করবেন না যেন! তরল পদার্থ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, নইলে আবেগ সামলাতে পারবেন না।
সিংহ
আজ মনে হবে, আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং বিশ্ববাসী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আজ কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবেন—তাতে দোষ নেই। অফিসে আজ এমন একটি প্রজেক্টে হাত দেবেন যা দেখে সবাই বলবে, ‘এত সাহস!’ তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার এই ইচ্ছা আজ আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় মধ্যমণি হবেন, যদিও মাঝে মাঝে আপনার গল্পে একটু অতিরিক্ত রং চড়াতে হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে দিনের জরুরি কাজগুলো মিস হতে পারে।
কন্যা
আজ ভেতরকার ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠবে। মনে হবে, পৃথিবীর সব ভুলত্রুটি, এলোমেলো জিনিসপত্র আজকেই ঠিক করে ফেলতে হবে। সঙ্গী যদি আজ আপনার ঘরে একটা সামান্য জিনিসও এদিক-ওদিক করে, তবে সেটা নিয়ে আপনার সঙ্গে মহাযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ একাই সবার ভুল ধরবেন এবং তাদের কাজগুলোকেও নিখুঁত করে দেবেন। আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে, তাই অযথা কারও খুঁত বের করতে যাবেন না। কারও টেক্সট মেসেজের বানান ভুল দেখে আজ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মুরাদ টাকলাকেও নস্যি মনে হবে!
তুলা
আজ দিনের শুরুতেই দুটি অপশনের মধ্যে কোনটা ভালো, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন। এটা কফি না চা? লাল জামা না নীল? এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিনের অর্ধেকটা কেটে যেতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ বিচারপতি হিসেবে কাজ করবেন—দুজনের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে শেষে নিজেই ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই আজ সব বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকুন, এমনকি যদি দু’জন বন্ধুর মধ্যে চিপসের ভাগ নিয়ে বিবাদ হয়, তবুও। সন্ধ্যায় একটা দারুণ পার্টির দাওয়াত আসতে পারে। কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত আজ সন্ধ্যার আগে নেবেন না, নইলে অনুশোচনায় ভুগতে হতে পারে।
বৃশ্চিক
আজ সারা দিন এমন একটি রহস্যময় হাসি নিয়ে ঘুরবেন যে সবাই ভাববে, আপনি নিশ্চয়ই কোনো গোপন ধনসম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন। আপনার তীব্র নজরদারি আজ আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে, তবে মাঝে মাঝে মনে হবে যে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গভীরতা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হবে। আজ পুরোনো কোনো শক্রর সঙ্গে দেখা হতে পারে। তাকে দেখে হাসবেন না, শুধু একটি রহস্যময় হাসি দিন। পুরোনো প্রেমিকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল আজ চেক করতে যাবেন না, নইলে সারা রাত ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
ধনু
আজ মনে হবে, আপনি বিশ্বের সব থেকে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবার জন্য কিছু উপদেশ দিতে মুখিয়ে থাকবেন। কিন্তু কাউকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, কারণ আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো পৃথিবী গ্রহ ত্যাগ করার কথা ভাববে। কাজের ক্ষেত্রে আজ নতুন অ্যাডভেঞ্চার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছাতে ভুলে যেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, আপনার অতিরিক্ত স্বাধীনতা চাওয়ার মনোভাব দেখে সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আপনি কি সত্যিই আছেন, না অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে মন চলে গেছে?’ আজ নিজের ডায়েরিতে কিছু লেখার আগে দু’বার চেক করুন, নইলে কাল সকালে নিজেই বুঝতে পারবেন না, কী লিখেছিলেন।
মকর
আজ আপনার কাছে মজার বিষয়ই হলো সময় নষ্ট করা। আজ অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করবেন, ‘আর মাত্র ১২ ঘণ্টা! আর মাত্র ১২ ঘণ্টা কাজ করলেই আমি আজকের টার্গেট পূরণ করতে পারব।’ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আজ দারুণ সুযোগ আসবে, কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে গিয়ে হাত কাঁপবে। সন্ধ্যায় যদি কেউ পার্টিতে যেতে ডাকে, তবে সম্ভবত বলবেন, ‘আমি এখন ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যানিং করছি।’ অতিরিক্ত গম্ভীর থাকবেন না। মাঝে মাঝে হাসতে শিখুন, এটা বিনা পয়সার বিনোদন।
কুম্ভ
আজ মানবজাতির উন্নতি নিয়ে ভাববেন, কিন্তু তার আগে নিজের ঘরটা পরিষ্কার করতে ভুলে যাবেন। মাথায় আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া আসবে যা শুনলে মনে হবে, এগুলো সায়েন্স ফিকশন সিনেমা থেকে চুরি করা। বন্ধু মহলে আজ কদর বাড়বে, কারণ আপনার যুক্তিবাদী ও ব্যতিক্রমী কথাগুলো সবাইকে চমকে দেবে। আজ যদি পোষা প্রাণী কথা বলতে পারত, তবে সে সম্ভবত আপনাকে জিজ্ঞেস করত, ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ বিদ্যুতের বিল বা পানির কলের দিকে নজর দিন। পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানের আগে নিজের সমস্যা মেটান।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াবেন। স্বপ্নে হয়তো দারুণ কোনো কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে কফি কাপটা ভুল করে জুতা রাখার জায়গায় রেখে দিয়েছেন। দিনের বেলায় আপনার কল্পনা আজ এতটাই জোরালো হবে যে, মনে হবে পাশে বসা সহকর্মীটি হয়তো আসলে একটি জলহস্তী। সন্ধ্যায় আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে, তাই আজ নতুন কিছু আঁকতে বা লিখতে বসুন। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক কথোপকথন হবে, তবে শেষে ভুলে যেতে পারেন, কেন কথা শুরু করেছিলেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করার আগে অন্তত তিনবার চেক করুন, নইলে সই করে হয়তো চাঁদের জমি কিনে ফেলবেন।

মেষ
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না। তবে আপনার আত্মবিশ্বাস দেখে সবাই মুগ্ধ হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গী আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দেখে একটু ভয় পেতে পারে। বেশি উত্তেজিত হবেন না, নইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আবার দৌড় শুরু করে দেবেন! আজ ভুল করে ফ্রিজ খুলে লাইট নেভানোর জন্য সুইচ খুঁজতে পারেন!
বৃষ
দিনের শুরুতেই মন চাইবে, হয় কোথাও আরাম করে বসে শুধু ভালো ভালো খাবার খাওয়া যাক, নয়তো বালিশে মুখ গুঁজে ডুব দেওয়া যাক। যদি আজ অফিসের জরুরি মিটিংয়ের বদলে দুপুরবেলা পছন্দের রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি অর্ডার দেন, তবে সেটা সম্পূর্ণই গ্রহের দোষ। অর্থভাগ্য আজ বেশ ভালো, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে হয়তো একটা বিশাল দামি চকলেট কিনবেন, যেটা খেতে গিয়ে আবার ডায়েটের কথা মনে পড়বে। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক ডিনারে না গিয়ে বাড়িতে সিনেমা দেখতে বসুন। অন্যের প্লেট থেকে কিছু চুরি করতে যাবেন না, ধরা পড়ার চান্স ৯৯ শতাংশ।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুই সত্তা আজ রিংয়ে নেমেছে বক্সিং লড়তে। এক মন বলছে, ‘আজ একটা বড় কাজ শেষ করি,’ আরেক মন বলছে, ‘ফেসবুকে এই নতুন মিমটা দেখতেই হবে।’ আজ একাই দশজনের কাজ করতে পারবেন, কিন্তু ভুলবশত এক জায়গায় বলার কথা আরেক জায়গায় বলে দেবেন। ফলে, পরিচিতরা আজ একটু কনফিউজড থাকতে পারে। আজ এমন সব নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবেন যে সহকর্মীরা ভাববে আপনি কোনো গোপন ডিটেকটিভ এজেন্সির জন্য কাজ করেন। চাবি বা মোবাইল—দুটোই আজ হারিয়ে ফেলার প্রবল যোগ।
কর্কট
আজ মন খুবই স্পর্শকাতর, মানে, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’, আপনি সম্ভবত কাঁদতে শুরু করবেন। বাড়িতে থাকার জন্য আজ মন আঁকুপাঁকু করবে। আজ রান্নাঘরে রেসিপি নিয়ে নতুন কোনো পরীক্ষা করার প্রবল যোগ, যার পরিণতি হয়তো খুব একটা সুখকর হবে না। সন্ধ্যায় আপনার ‘ড্রামা কুইন/কিং’ মুড অন হবে। ছোট একটি ঘটনাকেও মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডির মতো করে প্রেজেন্ট করবেন। পরিবারকে আজ একটু বেশি ভালোবাসা দিন, কিন্তু সেটার জন্য অতিরিক্ত কোনো পেমেন্ট করবেন না যেন! তরল পদার্থ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, নইলে আবেগ সামলাতে পারবেন না।
সিংহ
আজ মনে হবে, আপনি একজন সেলিব্রিটি এবং বিশ্ববাসী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আজ কেউ প্রশংসা না করে, তবে আপনি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবেন—তাতে দোষ নেই। অফিসে আজ এমন একটি প্রজেক্টে হাত দেবেন যা দেখে সবাই বলবে, ‘এত সাহস!’ তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার এই ইচ্ছা আজ আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় মধ্যমণি হবেন, যদিও মাঝে মাঝে আপনার গল্পে একটু অতিরিক্ত রং চড়াতে হতে পারে। আয়নার সামনে অতিরিক্ত সময় কাটালে দিনের জরুরি কাজগুলো মিস হতে পারে।
কন্যা
আজ ভেতরকার ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠবে। মনে হবে, পৃথিবীর সব ভুলত্রুটি, এলোমেলো জিনিসপত্র আজকেই ঠিক করে ফেলতে হবে। সঙ্গী যদি আজ আপনার ঘরে একটা সামান্য জিনিসও এদিক-ওদিক করে, তবে সেটা নিয়ে আপনার সঙ্গে মহাযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ একাই সবার ভুল ধরবেন এবং তাদের কাজগুলোকেও নিখুঁত করে দেবেন। আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে, তাই অযথা কারও খুঁত বের করতে যাবেন না। কারও টেক্সট মেসেজের বানান ভুল দেখে আজ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মুরাদ টাকলাকেও নস্যি মনে হবে!
তুলা
আজ দিনের শুরুতেই দুটি অপশনের মধ্যে কোনটা ভালো, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন। এটা কফি না চা? লাল জামা না নীল? এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে দিনের অর্ধেকটা কেটে যেতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ বিচারপতি হিসেবে কাজ করবেন—দুজনের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে শেষে নিজেই ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই আজ সব বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকুন, এমনকি যদি দু’জন বন্ধুর মধ্যে চিপসের ভাগ নিয়ে বিবাদ হয়, তবুও। সন্ধ্যায় একটা দারুণ পার্টির দাওয়াত আসতে পারে। কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত আজ সন্ধ্যার আগে নেবেন না, নইলে অনুশোচনায় ভুগতে হতে পারে।
বৃশ্চিক
আজ সারা দিন এমন একটি রহস্যময় হাসি নিয়ে ঘুরবেন যে সবাই ভাববে, আপনি নিশ্চয়ই কোনো গোপন ধনসম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন। আপনার তীব্র নজরদারি আজ আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে, তবে মাঝে মাঝে মনে হবে যে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মক্ষেত্রে কাজের গভীরতা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হবে। আজ পুরোনো কোনো শক্রর সঙ্গে দেখা হতে পারে। তাকে দেখে হাসবেন না, শুধু একটি রহস্যময় হাসি দিন। পুরোনো প্রেমিকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল আজ চেক করতে যাবেন না, নইলে সারা রাত ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
ধনু
আজ মনে হবে, আপনি বিশ্বের সব থেকে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবার জন্য কিছু উপদেশ দিতে মুখিয়ে থাকবেন। কিন্তু কাউকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, কারণ আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো পৃথিবী গ্রহ ত্যাগ করার কথা ভাববে। কাজের ক্ষেত্রে আজ নতুন অ্যাডভেঞ্চার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছাতে ভুলে যেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, আপনার অতিরিক্ত স্বাধীনতা চাওয়ার মনোভাব দেখে সঙ্গী জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘আপনি কি সত্যিই আছেন, না অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে মন চলে গেছে?’ আজ নিজের ডায়েরিতে কিছু লেখার আগে দু’বার চেক করুন, নইলে কাল সকালে নিজেই বুঝতে পারবেন না, কী লিখেছিলেন।
মকর
আজ আপনার কাছে মজার বিষয়ই হলো সময় নষ্ট করা। আজ অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজেই নিজেকে মোটিভেট করবেন, ‘আর মাত্র ১২ ঘণ্টা! আর মাত্র ১২ ঘণ্টা কাজ করলেই আমি আজকের টার্গেট পূরণ করতে পারব।’ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আজ দারুণ সুযোগ আসবে, কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে গিয়ে হাত কাঁপবে। সন্ধ্যায় যদি কেউ পার্টিতে যেতে ডাকে, তবে সম্ভবত বলবেন, ‘আমি এখন ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যানিং করছি।’ অতিরিক্ত গম্ভীর থাকবেন না। মাঝে মাঝে হাসতে শিখুন, এটা বিনা পয়সার বিনোদন।
কুম্ভ
আজ মানবজাতির উন্নতি নিয়ে ভাববেন, কিন্তু তার আগে নিজের ঘরটা পরিষ্কার করতে ভুলে যাবেন। মাথায় আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া আসবে যা শুনলে মনে হবে, এগুলো সায়েন্স ফিকশন সিনেমা থেকে চুরি করা। বন্ধু মহলে আজ কদর বাড়বে, কারণ আপনার যুক্তিবাদী ও ব্যতিক্রমী কথাগুলো সবাইকে চমকে দেবে। আজ যদি পোষা প্রাণী কথা বলতে পারত, তবে সে সম্ভবত আপনাকে জিজ্ঞেস করত, ‘আপনি কি ঠিক আছেন?’ বিদ্যুতের বিল বা পানির কলের দিকে নজর দিন। পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানের আগে নিজের সমস্যা মেটান।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াবেন। স্বপ্নে হয়তো দারুণ কোনো কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে কফি কাপটা ভুল করে জুতা রাখার জায়গায় রেখে দিয়েছেন। দিনের বেলায় আপনার কল্পনা আজ এতটাই জোরালো হবে যে, মনে হবে পাশে বসা সহকর্মীটি হয়তো আসলে একটি জলহস্তী। সন্ধ্যায় আপনার সৃজনশীলতা বাড়বে, তাই আজ নতুন কিছু আঁকতে বা লিখতে বসুন। প্রেমিকার/প্রেমিকের সঙ্গে আজ রোমান্টিক কথোপকথন হবে, তবে শেষে ভুলে যেতে পারেন, কেন কথা শুরু করেছিলেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সই করার আগে অন্তত তিনবার চেক করুন, নইলে সই করে হয়তো চাঁদের জমি কিনে ফেলবেন।

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৫ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি প্রশংসিত। চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হাড়কে মজবুত করতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ সচারচর দেখা যায় এমন রোগগুলো মোকাবিলায় এর উপকারিতা অনেক বেশি। এ ছাড়া চিয়া বীজ বিভিন্নভাবে নানান রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। জেলের মতো ঘনত্ব তৈরি করার জন্য এটি তরলের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া পুডিং তৈরি করা যেতে পারে।
পুষ্টি উপাদান
চিয়া বীজ ‘সালভিয়া হিসপানিকা এল’ নামক উদ্ভিদ থেকে আসা ছোট কালো বা সাদা বীজ। ধারণা করা হয়, এটি মধ্য আমেরিকার স্থানীয় একটি উদ্ভিদ। মাত্র ১ আউন্স বা ২৮ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে রয়েছে:
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
ক্যালরি ১৩৮
প্রোটিন ৪.৭ গ্রাম
ফ্যাট ৮.৭ গ্রাম
আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩) ৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১১.৯ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ) ৯.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়াম দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ
আয়রন দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ
ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ
জিংক দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ
ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
চিয়া বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চিয়া বীজের সংবেদনশীল ফ্যাটকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস নামক ক্ষতিকর অণুগুলোকে নিরপেক্ষ করে মানুষের স্বাস্থ্যের উপকার করে। ফ্রি র্যাডিক্যালস কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং বার্ধক্য ও ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। চিয়া বীজে থাকা কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কুয়ারসেটিন ও কেমফেরল; যা হৃদ্যন্ত্র ও যকৃতের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়ক
চিয়া বীজে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং প্রোটিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১০ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, ফাইবার গ্রহণ স্থূলতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া চিয়া বীজের প্রোটিন ক্ষুধা ও খাদ্যের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নাশতার সময় দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে তা পেট ভরা থাকার অনুভূতি বাড়ায় এবং অল্প সময়ে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদিও চিয়া বীজ একা ওজন কমাতে সাহায্য না-ও করতে পারে, তবে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের একটি সহায়ক অংশ হতে পারে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
চিয়া বীজে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। চিয়া বীজে মূলত এই ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে মোট এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমার সঙ্গে যুক্ত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ সম্পূরক হিসেবে সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ধারণ করে
চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পুষ্টি উপাদানগুলো গ্রহণ করা হাড়ের শক্তি বা ঘনত্বের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া চিয়া বীজের এএলএ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে আপনার হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
রক্তের শর্করা কমাতে পারে
চিয়া বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে; সম্ভবত এর ফাইবার উপাদান এবং অন্যান্য উপকারী যৌগের কারণে। প্রাণীদের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে, যা খাবারের পরে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। মানুষের ওপর চালানো কিছু পুরোনো গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া বীজযুক্ত রুটি খেলে সাধারণ রুটির তুলনায় খাবারের পরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির হার কমায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এটি প্রশংসিত। চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হাড়কে মজবুত করতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ সচারচর দেখা যায় এমন রোগগুলো মোকাবিলায় এর উপকারিতা অনেক বেশি। এ ছাড়া চিয়া বীজ বিভিন্নভাবে নানান রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। জেলের মতো ঘনত্ব তৈরি করার জন্য এটি তরলের সঙ্গে মিশিয়ে চিয়া পুডিং তৈরি করা যেতে পারে।
পুষ্টি উপাদান
চিয়া বীজ ‘সালভিয়া হিসপানিকা এল’ নামক উদ্ভিদ থেকে আসা ছোট কালো বা সাদা বীজ। ধারণা করা হয়, এটি মধ্য আমেরিকার স্থানীয় একটি উদ্ভিদ। মাত্র ১ আউন্স বা ২৮ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজে রয়েছে:
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
ক্যালরি ১৩৮
প্রোটিন ৪.৭ গ্রাম
ফ্যাট ৮.৭ গ্রাম
আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩) ৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১১.৯ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ) ৯.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়াম দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ
আয়রন দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ম্যাগনেশিয়াম দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ
ফসফরাস দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ
জিংক দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ
ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
চিয়া বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চিয়া বীজের সংবেদনশীল ফ্যাটকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস নামক ক্ষতিকর অণুগুলোকে নিরপেক্ষ করে মানুষের স্বাস্থ্যের উপকার করে। ফ্রি র্যাডিক্যালস কোষের ক্ষতি করতে পারে এবং বার্ধক্য ও ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। চিয়া বীজে থাকা কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কুয়ারসেটিন ও কেমফেরল; যা হৃদ্যন্ত্র ও যকৃতের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়ক
চিয়া বীজে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং প্রোটিন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১০ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, ফাইবার গ্রহণ স্থূলতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া চিয়া বীজের প্রোটিন ক্ষুধা ও খাদ্যের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নাশতার সময় দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে তা পেট ভরা থাকার অনুভূতি বাড়ায় এবং অল্প সময়ে খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদিও চিয়া বীজ একা ওজন কমাতে সাহায্য না-ও করতে পারে, তবে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের একটি সহায়ক অংশ হতে পারে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
চিয়া বীজে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। চিয়া বীজে মূলত এই ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে মোট এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমার সঙ্গে যুক্ত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ সম্পূরক হিসেবে সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপযুক্ত মানুষের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
হাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ধারণ করে
চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই পুষ্টি উপাদানগুলো গ্রহণ করা হাড়ের শক্তি বা ঘনত্বের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া চিয়া বীজের এএলএ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে আপনার হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
রক্তের শর্করা কমাতে পারে
চিয়া বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে; সম্ভবত এর ফাইবার উপাদান এবং অন্যান্য উপকারী যৌগের কারণে। প্রাণীদের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, চিয়া বীজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে, যা খাবারের পরে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। মানুষের ওপর চালানো কিছু পুরোনো গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া বীজযুক্ত রুটি খেলে সাধারণ রুটির তুলনায় খাবারের পরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির হার কমায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১৩ মিনিট আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৫ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি শুধু নিরামিষভোজীদের উৎসব নয়, বরং এক সবুজ পৃথিবীর দিকে ছোট্ট পদক্ষেপ। ভেগান দিবস পালিত হয় মূলত দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সর্ব-সবুজ খাদ্য গ্রহণের প্রথা উদ্যাপন করার জন্য।
ভেজিটেরিয়ানরা উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেগানরা প্রাণিজ উৎস থেকে কিছুই গ্রহণ করেন না। যাঁরা ভেগান জীবন যাপন করেন, তাঁরা মূলত প্রাণিজ কোনো পণ্য ব্যবহার করেন না। তাঁরা দুধ, পনির, মাখন, এমনকি মধুও খান না। তাঁরা যেমনভাবে কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, ঠিক একইভাবে প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ থেকে তৈরি কোনো জিনিসও তাঁরা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। অর্থাৎ ভেগানরা ভেজিটেরিয়ানদের চেয়ে আরও অনেক বেশি কট্টর। খাদ্যতালিকায় মাংস না থাকাটা নতুন কিছু নয়। আজ থেকে আড়াই হাজারের বেশি বছর আগে প্রাচীন ভারতে এই চর্চা ছিল। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও এমন প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, ভেগান হলে স্বাস্থ্যের কিছু উপকার সত্যিই হয়। যাঁরা ভেগান, বা ভেগান হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা পাঠিয়েছেন দারুণ কয়েকটি রেসিপি ও ছবি।

সিলেটিরা খেতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কচি চা-পাতার ভর্তা
উপকরণ
কচি চা-পাতা কুচি এক কাপ, আলু সেদ্ধ চারটা, কাঁচা মরিচ কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, চানাচুর আধা কাপ।
প্রণালি
আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে নিন। এবার চায়ের পাতা ধুয়ে মিহি কুচি করে কেটে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রসুন কুচি একসঙ্গে ভালো করে চটকে নিন। তারপর চায়ের পাতা কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিন। শেষে আলু সেদ্ধ মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবারও মাখিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কচি চা-পাতার ভর্তা। গরম-গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ভর্তা।
শহুরে ভেগানরা চেখে দেখুন বেগুনের কোর্মা
উপকরণ
বেগুন ৫০০ গ্রাম, টমেটো দুটি, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা এক চা চামচ করে, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, হিং এক চিমটি।
প্রণালি
বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ও হিং দিন। পরে সব বাটা মসলা দিয়ে দই দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে চিনি দিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা টমেটো ও বেগুন দিন। মাখো মাখো হলে নামানোর আগে ঘি ও জয়ত্রী গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুনের কোর্মা।

ব্যাচেলররা খেতে পারেন বিটের সবজি
উপকরণ
বিট ২০০ গ্রাম, আলু দুটি, গাজর একটি, ফুলকপি একটি, ব্রকোলি একটি, বরবটি এক কাপ, টমেটো এক কাপ, কাঁচা মরিচ ছয়-সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদ সামান্য, শুকনা মরিচ দু-তিনটি, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে চার-পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। সব সবজি আর আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পাঁচফোড়ন, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে এলে চিনি দিন। এবার লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল বিটের বাহারি সবজি।

প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি শুধু নিরামিষভোজীদের উৎসব নয়, বরং এক সবুজ পৃথিবীর দিকে ছোট্ট পদক্ষেপ। ভেগান দিবস পালিত হয় মূলত দুগ্ধজাত বা প্রাণীজ পণ্য বাদ দিয়ে সর্ব-সবুজ খাদ্য গ্রহণের প্রথা উদ্যাপন করার জন্য।
ভেজিটেরিয়ানরা উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধ, ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ আমিষও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেগানরা প্রাণিজ উৎস থেকে কিছুই গ্রহণ করেন না। যাঁরা ভেগান জীবন যাপন করেন, তাঁরা মূলত প্রাণিজ কোনো পণ্য ব্যবহার করেন না। তাঁরা দুধ, পনির, মাখন, এমনকি মধুও খান না। তাঁরা যেমনভাবে কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার গ্রহণ করেন না, ঠিক একইভাবে প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ থেকে তৈরি কোনো জিনিসও তাঁরা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। অর্থাৎ ভেগানরা ভেজিটেরিয়ানদের চেয়ে আরও অনেক বেশি কট্টর। খাদ্যতালিকায় মাংস না থাকাটা নতুন কিছু নয়। আজ থেকে আড়াই হাজারের বেশি বছর আগে প্রাচীন ভারতে এই চর্চা ছিল। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় এলাকাতেও এমন প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। গবেষণাগুলো থেকে জানা যায়, ভেগান হলে স্বাস্থ্যের কিছু উপকার সত্যিই হয়। যাঁরা ভেগান, বা ভেগান হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা পাঠিয়েছেন দারুণ কয়েকটি রেসিপি ও ছবি।

সিলেটিরা খেতে পারেন ভিন্ন স্বাদের কচি চা-পাতার ভর্তা
উপকরণ
কচি চা-পাতা কুচি এক কাপ, আলু সেদ্ধ চারটা, কাঁচা মরিচ কুচি দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি এক টেবিল চামচ, সরিষার তেল দুই টেবিল চামচ, চানাচুর আধা কাপ।
প্রণালি
আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে নিন। এবার চায়ের পাতা ধুয়ে মিহি কুচি করে কেটে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রসুন কুচি একসঙ্গে ভালো করে চটকে নিন। তারপর চায়ের পাতা কুচি দিয়ে আবারও চটকে নিন। শেষে আলু সেদ্ধ মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে আবারও মাখিয়ে আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কচি চা-পাতার ভর্তা। গরম-গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ভর্তা।
শহুরে ভেগানরা চেখে দেখুন বেগুনের কোর্মা
উপকরণ
বেগুন ৫০০ গ্রাম, টমেটো দুটি, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুটি, টকদই দুই টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, হলুদ, কাঁচা মরিচ বাটা এক চা চামচ করে, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, হিং এক চিমটি।
প্রণালি
বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে এলাচ ও দারুচিনি, তেজপাতা ও হিং দিন। পরে সব বাটা মসলা দিয়ে দই দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে চিনি দিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে ভাজা টমেটো ও বেগুন দিন। মাখো মাখো হলে নামানোর আগে ঘি ও জয়ত্রী গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বেগুনের কোর্মা।

ব্যাচেলররা খেতে পারেন বিটের সবজি
উপকরণ
বিট ২০০ গ্রাম, আলু দুটি, গাজর একটি, ফুলকপি একটি, ব্রকোলি একটি, বরবটি এক কাপ, টমেটো এক কাপ, কাঁচা মরিচ ছয়-সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদ সামান্য, শুকনা মরিচ দু-তিনটি, পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল চার টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি
সব সবজি কেটে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে চার-পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। সব সবজি আর আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো, কাঁচা মরিচ, পাঁচফোড়ন, গরম মসলা দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে এলে চিনি দিন। এবার লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল বিটের বাহারি সবজি।

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১৩ মিনিট আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
১ ঘণ্টা আগে
বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর কার্যকারিতা ভিন্ন। জেনে নিন কোনটি আসলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নরম ও মসৃণ চুলের জন্য দুধ
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। ফলে এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চুলে দুধ ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। ফলে রুক্ষতা কমে গিয়ে চুল হয় নরম ও মসৃণ।
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ময়লা ও জমাট বাঁধা খুশকি দূর করে। যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে শুধু দুধ নয়; সঙ্গে মধু, কলা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো যে দুধ আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখাতে কার্যকর হলেও, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। এটি মাথার ত্বকের উপরিভাগে বেশি কাজ করে। কিন্তু চুল ঘন করা বা চুল গজানোর মতো ব্যাপারগুলোয় এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

টক দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে
টক দই প্রোবায়োটিকসে পরিপূর্ণ। এর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়া মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও জিংক রয়েছে, যা চুল বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
টক দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। টক দই ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে বলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বড় হয়। টক দইয়ের সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া, মেথি অথবা নারকেল তেলের মতো উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া টক দই চুল নরম ও চকচকে করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল যতই সিল্কি হোক, ঘনত্ব না থাকলে আসল সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়। টক দই দিয়ে তৈরি করা যায় এমন অনেক হেয়ার প্যাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে ঘন হয়। ডিম আর টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম আর টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে এক মগ পানিতে খানিকটা পাতিলেবুর রস আর আধা কাপ গোলাপজল মিশিয়ে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলে ডিমের আঁশটে গন্ধ থাকবে না। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনটি বেশি ভালো: দুধ না টক দই?
যদি দ্রুত নরম ও চকচকে চুল পেতে চান, তাহলে দুধ বেছে নিন। কিন্তু গোড়া মজবুত ও লম্বা চুল পেতে আগ্রহী হলে টক দই বেছে নিতে হবে। এটি শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তবে দুধ ও টক দই উভয়ই তাদের নিজস্ব উপায়ে চুলের যত্নে কাজ করে। এমনকি এই দুটি উপকরণ একসঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। এক চামচ মধু বা নারকেল তেলের সঙ্গে দুধ ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলে দুধ যেভাবে ব্যবহার করবেন
আধা কাপ দুধ গরম করুন। একটি তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে এটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোঁকড়ানো চুলের নমনীয়তার জন্য সপ্তাহে একবার দুধ এভাবে ব্যবহার করুন।
চুলে টক দই যেভাবে ব্যবহার করবেন
৩ টেবিল চামচ দই ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও পুরো চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মজবুত ও চকচকে চুলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এটি।
চুলের যত্নে দুধ ও টক দই দুটোই উপকারী। কিন্তু টক দই ব্যবহারে কিছুটা উপকার বেশি পাওয়া যায়। চুল দ্রুত বড় করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা দুধের পরিবর্তে এখন থেকে টক দই ব্যবহার করুন।

বাঙালির ফ্রিজে দুধ ও দই দুটোই থাকে। খাওয়া ছাড়াও এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের যত্নে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিতর্ক রয়ে গেছে; চুলের বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভালো—দুধ নাকি দই? অনেকের মতে, দুটোই তো ভালো; বাদ দেব কোনটি? বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, চুলের জন্য এই দুটো ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির বেলায় দুটোর কার্যকারিতা ভিন্ন। জেনে নিন কোনটি আসলে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নরম ও মসৃণ চুলের জন্য দুধ
দুধ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ। ফলে এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চুলে দুধ ব্যবহার করলে তা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। ফলে রুক্ষতা কমে গিয়ে চুল হয় নরম ও মসৃণ।
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, ময়লা ও জমাট বাঁধা খুশকি দূর করে। যাঁদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুধ ভালো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে শুধু দুধ নয়; সঙ্গে মধু, কলা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে সুপার ময়েশ্চারাইজিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো যে দুধ আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখাতে কার্যকর হলেও, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। এটি মাথার ত্বকের উপরিভাগে বেশি কাজ করে। কিন্তু চুল ঘন করা বা চুল গজানোর মতো ব্যাপারগুলোয় এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।

টক দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত চুল বৃদ্ধি করে
টক দই প্রোবায়োটিকসে পরিপূর্ণ। এর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়া মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও জিংক রয়েছে, যা চুল বড় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
টক দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। টক দই ফলিকলগুলো শক্তিশালী করে বলে নতুন চুল গজায় এবং চুল দ্রুত বড় হয়। টক দইয়ের সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া, মেথি অথবা নারকেল তেলের মতো উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া টক দই চুল নরম ও চকচকে করে তোলে। এটি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চুল যতই সিল্কি হোক, ঘনত্ব না থাকলে আসল সৌন্দর্য অধরাই থেকে যায়। টক দই দিয়ে তৈরি করা যায় এমন অনেক হেয়ার প্যাক রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে ঘন হয়। ডিম আর টক দই চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দুটি উপাদান। শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে ডিম আর টক দইয়ের মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে এক মগ পানিতে খানিকটা পাতিলেবুর রস আর আধা কাপ গোলাপজল মিশিয়ে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলে ডিমের আঁশটে গন্ধ থাকবে না। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনটি বেশি ভালো: দুধ না টক দই?
যদি দ্রুত নরম ও চকচকে চুল পেতে চান, তাহলে দুধ বেছে নিন। কিন্তু গোড়া মজবুত ও লম্বা চুল পেতে আগ্রহী হলে টক দই বেছে নিতে হবে। এটি শুধু মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
তবে দুধ ও টক দই উভয়ই তাদের নিজস্ব উপায়ে চুলের যত্নে কাজ করে। এমনকি এই দুটি উপকরণ একসঙ্গেও ব্যবহার করা যায়। এক চামচ মধু বা নারকেল তেলের সঙ্গে দুধ ও টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

চুলে দুধ যেভাবে ব্যবহার করবেন
আধা কাপ দুধ গরম করুন। একটি তুলার বল বা স্প্রে বোতল ব্যবহার করে এটি আপনার মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোঁকড়ানো চুলের নমনীয়তার জন্য সপ্তাহে একবার দুধ এভাবে ব্যবহার করুন।
চুলে টক দই যেভাবে ব্যবহার করবেন
৩ টেবিল চামচ দই ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বক ও পুরো চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মজবুত ও চকচকে চুলের জন্য সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন এটি।
চুলের যত্নে দুধ ও টক দই দুটোই উপকারী। কিন্তু টক দই ব্যবহারে কিছুটা উপকার বেশি পাওয়া যায়। চুল দ্রুত বড় করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা দুধের পরিবর্তে এখন থেকে টক দই ব্যবহার করুন।

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
আজ সকালে উঠেই মনে করবেন, আপনি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সব কাজ ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের জায়গায় বসকে এমন কিছু বুদ্ধি দেবেন যা শুনে তিনি প্রথমে চমকে যাবেন, তারপর ভাববেন—‘এটা কি সত্যিই কাজ করবে?’ উত্তর: হয়তো করবে না।
১৩ মিনিট আগে
একটা কথা প্রচলিত আছে, ছোট মরিচের ঝাল বেশি। অর্থাৎ আকার যেমনই হোক, তার ওপর এর গুণাগুণ কিংবা স্বাদ নির্ভর করে না। তেমনই চিয়া বীজ ছোট হলেও এটি পুষ্টিতে ভরপুর। প্রাচীন অ্যাজটেক এবং মায়া সভ্যতার খাদ্যতালিকায় এটি ছিল প্রধান খাবার।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর ১ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ভেগান দিবস। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের ভেগান সোসাইটির সভাপতি লুইস ওয়ালিস এদিনটি শুরু করেন ভেগান আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে প্রাণিজ খাদ্যের বিকল্প সম্পর্কে অবগত করা এবং পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরা। আজ এদিনটি
১৫ ঘণ্টা আগে