রজত কান্তি রায়, ঢাকা
মেঘবালিকারা ছুটছে। পরির মতোই ছুটছে। এখন তাদের ছোটার দিন। চরাচর ছাপিয়ে চোখ ভিজিয়ে অভিমান দেখানোর দিন। পরি বলে কথা!
ভালোবাসার নাকি ফিফটি শেডস থাকে। মানে, ৫০টি স্তর। আবার এসব স্তর নাকি ‘ডিপেন্ড অন মুড’। অর্থাৎ ভালোবাসার এই অর্ধশত স্তর নির্ভর করে মুডের ওপর। অভিমানের সঙ্গে মেশানো থাকে কষ্ট। সেই কষ্টের শেড কতগুলো, সেই হিসাব এখনো কেউ করেছে বলে মনে হয় না। তবে কষ্টের রং বলে খ্যাত নীলের যে অনেক স্তর থাকে, শেড থাকে, তা আমরা জানি। চোখ থেকে চোখে নীল রঙের এই বদল সত্যিই প্রকৃতির এক অনন্য বিষয়। এ পর্যন্ত নীল রঙের জনপ্রিয় স্তর বা শেড পাওয়া গেছে প্রায় ২৫টি। আরও থাকতে পারে। এত নীলের কটিই-বা আমরা ব্যবহার করি! ঠিক যেমন অনেক কষ্টের কথা আমাদের মনেই থাকে না।
‘সুখী মানুষের জামা’ না থাকলেও নীলের বাহার আছে বেশ। সেই বাহারি নীলকে পোশাক বানিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যায় যখন-তখন। বর্ষায় শাড়ি হিসেবে, টি-শার্ট হিসেবে, জিনস হিসেবে, থ্রি-পিস হিসেবে। অনেক কিছু হিসেবেই নীলকে জড়িয়ে নেওয়া চলে শরীরে, এই বর্ষায়। কিন্তু বর্ষা মানেই কেন কষ্টের কথা উঠবে? কেন নীলের কথা উঠবে? এই যে দিগন্তবিস্তৃত মেঘ আকাশের বুকে দিয়ে গেছে কালো পোঁচ, তারই কষ্ট কি? হয়তোবা।
আসুন, নীল বিষয়ে একটা ক্লাস করে ফেলি।
স্কাই ব্লু বা আকাশের মতো হালকা নীল। এটি আমরা সবাই চিনি। এই ‘সবাই চিনি’ পর্বের অন্য নীলগুলো হলো নেভি ব্লু বা গাঢ় নীল, যেটি সামুদ্রিক ইউনিফর্মে ব্যবহৃত হয়, একটি হলো রয়্যাল ব্লু বা উজ্জ্বল নীল। এরপর আছে বেবি ব্লু বা ফ্যাকাশে, নরম নীল, আছে টিল—নীল ও সবুজের মিশ্রণে যার জন্ম। আছে স্যাফায়ার ব্লু বা রত্নের মতো চকচকে নীল, পাউডার ব্লু বা হালকা ধূসর-নীল, ইন্ডিগো বা গভীর নীল-বেগুনি, আইস ব্লু বা বরফের মতো ঠান্ডা নীল। ভাবছেন, রং আবার বরফের মতো হয় কীভাবে? অ্যান্টার্কটিকায় এ ধরনের নীল বরফের পাহাড় আছে। সে জন্যই এর নাম সম্ভবত আইস ব্লু। আর আছে স্লেট ব্লু বা ধূসর মিশ্রিত নীল রং। এই ১০টি হলো প্রধান। এর পরে আছে আরও ১০টি নীল। নাম বলি কয়েকটির। যেমন একটির নাম সেরুলিয়ান বা আকাশি-নীল, একটি কোবাল্ট ব্লু বা তীব্র, উজ্জ্বল নীল। একটি আছে আলট্রামেরিন বা গাঢ় সামুদ্রিক নীল। এ পর্বে আছে ডেনিম ব্লু, মিডনাইট ব্লু, মেরিন ব্লু, স্টিল ব্লু ইত্যাদি। আর একেবারে কম পরিচিত ৫টি নীল রং হলো, ইজিয়ান ব্লু, ইলেকট্রিক ব্লু, মাজোরেল ব্লু, ইয়েলম ব্লু ও ফথালো ব্লু।
এই যে নীলের এত বৈচিত্র্য, এত সমৃদ্ধ জগৎ; কোনো দিন কি ভেবে দেখেছি? ঝুম বর্ষায় যখন একাকী ঘরে, বৃষ্টির অযুত-নিযুত ফোঁটা যখন ঝাপসা করে দেয় দৃষ্টিসীমানা, যখন তীব্র বর্ষায় ‘এখনই নামবে বুঝি শ্রাবণের ধারা’ শুনতে ভালো লাগে, খুঁজে দেখুন তো কোন নীল পর্দা ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
মনের একেক অবস্থার জন্য একেক নীল আছে বলে মনে করেন অনেকে। আছে তার দোসর রং। এগুলোর যে মানিকজোড় তৈরি হয়, তা নাকি মানুষের মনের কথাই বলে। মনের বিশেষ অবস্থায় নাকি নীলের সঙ্গে লাল বা সাদা পরতে ভালো লাগবে। আবার সেই একই মানুষেরই নাকি ভালো লাগবে নীলের বিভিন্ন শেড পরতে, বিশেষ বিশেষ মানসিক অবস্থায়।
দুনিয়াকে বুঝতে যাওয়া বোকামি। তেমনি বুঝতে যাওয়া বোকামি, বর্ষা কেন আমাদের নীল রঙের দিকে আকৃষ্ট করে। কোনো কারণ হয়তো নেই। আবার তার গূঢ় কোনো কারণ থাকতেও পারে, যা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। এত কিছু না ভেবে, নীলের যে শেড পরতে আপনার ভালো লাগে এবং সেই শেডের সঙ্গে সাদা-লাল ইত্যাদি যে রঙের পোশাক পরতে ভালো লাগে, পরে ফেলুন। এগুলোর কার্যকারণ নিয়ে পণ্ডিতেরা মাথা ঘামাক।
বর্ষার দ্বিতীয় দিবসে নীল শুভেচ্ছা।
মেঘবালিকারা ছুটছে। পরির মতোই ছুটছে। এখন তাদের ছোটার দিন। চরাচর ছাপিয়ে চোখ ভিজিয়ে অভিমান দেখানোর দিন। পরি বলে কথা!
ভালোবাসার নাকি ফিফটি শেডস থাকে। মানে, ৫০টি স্তর। আবার এসব স্তর নাকি ‘ডিপেন্ড অন মুড’। অর্থাৎ ভালোবাসার এই অর্ধশত স্তর নির্ভর করে মুডের ওপর। অভিমানের সঙ্গে মেশানো থাকে কষ্ট। সেই কষ্টের শেড কতগুলো, সেই হিসাব এখনো কেউ করেছে বলে মনে হয় না। তবে কষ্টের রং বলে খ্যাত নীলের যে অনেক স্তর থাকে, শেড থাকে, তা আমরা জানি। চোখ থেকে চোখে নীল রঙের এই বদল সত্যিই প্রকৃতির এক অনন্য বিষয়। এ পর্যন্ত নীল রঙের জনপ্রিয় স্তর বা শেড পাওয়া গেছে প্রায় ২৫টি। আরও থাকতে পারে। এত নীলের কটিই-বা আমরা ব্যবহার করি! ঠিক যেমন অনেক কষ্টের কথা আমাদের মনেই থাকে না।
‘সুখী মানুষের জামা’ না থাকলেও নীলের বাহার আছে বেশ। সেই বাহারি নীলকে পোশাক বানিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যায় যখন-তখন। বর্ষায় শাড়ি হিসেবে, টি-শার্ট হিসেবে, জিনস হিসেবে, থ্রি-পিস হিসেবে। অনেক কিছু হিসেবেই নীলকে জড়িয়ে নেওয়া চলে শরীরে, এই বর্ষায়। কিন্তু বর্ষা মানেই কেন কষ্টের কথা উঠবে? কেন নীলের কথা উঠবে? এই যে দিগন্তবিস্তৃত মেঘ আকাশের বুকে দিয়ে গেছে কালো পোঁচ, তারই কষ্ট কি? হয়তোবা।
আসুন, নীল বিষয়ে একটা ক্লাস করে ফেলি।
স্কাই ব্লু বা আকাশের মতো হালকা নীল। এটি আমরা সবাই চিনি। এই ‘সবাই চিনি’ পর্বের অন্য নীলগুলো হলো নেভি ব্লু বা গাঢ় নীল, যেটি সামুদ্রিক ইউনিফর্মে ব্যবহৃত হয়, একটি হলো রয়্যাল ব্লু বা উজ্জ্বল নীল। এরপর আছে বেবি ব্লু বা ফ্যাকাশে, নরম নীল, আছে টিল—নীল ও সবুজের মিশ্রণে যার জন্ম। আছে স্যাফায়ার ব্লু বা রত্নের মতো চকচকে নীল, পাউডার ব্লু বা হালকা ধূসর-নীল, ইন্ডিগো বা গভীর নীল-বেগুনি, আইস ব্লু বা বরফের মতো ঠান্ডা নীল। ভাবছেন, রং আবার বরফের মতো হয় কীভাবে? অ্যান্টার্কটিকায় এ ধরনের নীল বরফের পাহাড় আছে। সে জন্যই এর নাম সম্ভবত আইস ব্লু। আর আছে স্লেট ব্লু বা ধূসর মিশ্রিত নীল রং। এই ১০টি হলো প্রধান। এর পরে আছে আরও ১০টি নীল। নাম বলি কয়েকটির। যেমন একটির নাম সেরুলিয়ান বা আকাশি-নীল, একটি কোবাল্ট ব্লু বা তীব্র, উজ্জ্বল নীল। একটি আছে আলট্রামেরিন বা গাঢ় সামুদ্রিক নীল। এ পর্বে আছে ডেনিম ব্লু, মিডনাইট ব্লু, মেরিন ব্লু, স্টিল ব্লু ইত্যাদি। আর একেবারে কম পরিচিত ৫টি নীল রং হলো, ইজিয়ান ব্লু, ইলেকট্রিক ব্লু, মাজোরেল ব্লু, ইয়েলম ব্লু ও ফথালো ব্লু।
এই যে নীলের এত বৈচিত্র্য, এত সমৃদ্ধ জগৎ; কোনো দিন কি ভেবে দেখেছি? ঝুম বর্ষায় যখন একাকী ঘরে, বৃষ্টির অযুত-নিযুত ফোঁটা যখন ঝাপসা করে দেয় দৃষ্টিসীমানা, যখন তীব্র বর্ষায় ‘এখনই নামবে বুঝি শ্রাবণের ধারা’ শুনতে ভালো লাগে, খুঁজে দেখুন তো কোন নীল পর্দা ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
মনের একেক অবস্থার জন্য একেক নীল আছে বলে মনে করেন অনেকে। আছে তার দোসর রং। এগুলোর যে মানিকজোড় তৈরি হয়, তা নাকি মানুষের মনের কথাই বলে। মনের বিশেষ অবস্থায় নাকি নীলের সঙ্গে লাল বা সাদা পরতে ভালো লাগবে। আবার সেই একই মানুষেরই নাকি ভালো লাগবে নীলের বিভিন্ন শেড পরতে, বিশেষ বিশেষ মানসিক অবস্থায়।
দুনিয়াকে বুঝতে যাওয়া বোকামি। তেমনি বুঝতে যাওয়া বোকামি, বর্ষা কেন আমাদের নীল রঙের দিকে আকৃষ্ট করে। কোনো কারণ হয়তো নেই। আবার তার গূঢ় কোনো কারণ থাকতেও পারে, যা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। এত কিছু না ভেবে, নীলের যে শেড পরতে আপনার ভালো লাগে এবং সেই শেডের সঙ্গে সাদা-লাল ইত্যাদি যে রঙের পোশাক পরতে ভালো লাগে, পরে ফেলুন। এগুলোর কার্যকারণ নিয়ে পণ্ডিতেরা মাথা ঘামাক।
বর্ষার দ্বিতীয় দিবসে নীল শুভেচ্ছা।
বিকেলে হুট করেই বন্ধুরা দল বেঁধে এসেছে? আবদার, ঘন দুধ দিয়ে কড়া লিকারের চা খাবে। কিন্তু শুধু চায়ে কি আর আড্ডা জমে? হালকা স্ন্যাকস তো থাকা চাই। সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচাবে এমন স্ন্যাকসের কথা ভাবছেন? আপনাদের জন্য সহজ ও সুস্বাদু দুটি স্ন্যাকসের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে এমন কিছু বিশেষ স্ট্রিট বা রাস্তা রয়েছে, যেগুলো কেবল কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং সংস্কৃতি, বাণিজ্য আর সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেই সব স্ট্রিটে মানুষের সঙ্গে তাদের ইতিহাসও যেন ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় পরিপূর্ণ থাকে সেসব।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশন খাতে পেশাদার দক্ষতা উন্নয়নে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম কপিশপের উদ্যোগে দেশের প্রথম নিবেদিত বিজ্ঞাপন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুল’ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রথম কোর্স ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কপিরাইটিং’-এর ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিমানের ঝাঁকুনির সাধারণ অনুভূতি অস্বস্তিকর বা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু এতে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিমানগুলো বাতাস, বজ্রপাত, তীব্র ঠান্ডাসহ বিভিন্ন আপাতদৃষ্টে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সহ্য করার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।...
১৪ ঘণ্টা আগে