Ajker Patrika

আকাশভ্রমণে নতুন চমক

মইনুল হাসান, ফ্রান্স
আকাশভ্রমণে নতুন চমক

একমাত্র বিমানই মানুষকে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুব দ্রুত পৌঁছে দিতে পারে। কিছু মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে ছুটে বেড়ান। ব্যস্তবাগীশ জীবনে বিমানভ্রমণ অনেকটাই রুটিন হয়ে পড়ে। আবার দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণে আনন্দ থাকে না, বিরক্তি ও ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে।

অথচ অনেকে মোটেই তাড়াহুড়ো কিংবা চাপ নিতে পছন্দ করেন না। অল্প দূরত্বের পথটুকু বেশ আয়েশ করে, নিরুদ্বেগে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। নিম্ন আকাশ থেকে জনপদ, পাহাড়-নদী ইত্যাদি দেখাও একরকম আনন্দ। সেই আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চান না তাঁরা।

সেদিকে খেয়াল রেখেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক এয়ার শিপ বা বেলুন জাহাজ পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে এগিয়ে আছে স্পেনের আঞ্চলিক এয়ারলাইন এয়ার নস্ট্রাম। এই প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ নির্মাতা হাইব্রিড এয়ার ভেহিক্যালস থেকে প্রতিটি ১০০ আসনের ১০টি এয়ার শিপ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এয়ার নস্ট্রাম ২০২৬ সাল থেকে স্বল্প দূরত্বের যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। শুধু স্পেন নয়, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এয়ার শিপ পরিষেবার উদ্যোগ নিয়েছে জোরেশোরে। অচিরেই আকাশে ভেসে বেড়াবে নানা রঙের দৃষ্টিনন্দন নকশার সব বেলুন জাহাজ।

বেলুন জাহাজ হচ্ছে বিশাল এক বেলুন, যা ইচ্ছামতো চালানো যায়। লম্বায় প্রায় ৭৫ মিটার বা ২৫০ ফুট—একটি আস্ত এয়ারবাস ৩৮০-এর সমান। উচ্চতায় প্রায় ১৭ মিটার বা ৫৫ ফুট, অর্থাৎ একটি পাঁচতলা বাড়ির উচ্চতার সমান। প্রস্থে ২০ মিটার বা ৬৫ ফুট, যা চার লেনের সড়কের প্রস্থ। বেশ পুরু ও ভীষণ শক্ত আবরণে এই দানবাকৃতির বিশাল বেলুন পূর্ণ করা হয় বাতাসের চেয়ে হালকা গ্যাস হিলিয়াম দিয়ে। আর সামনে এগিয়ে নিতে ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ-চালিত প্রপেলার। এর পেটের নিচে সংযুক্ত করা হয়েছে যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল অত্যাধুনিক কেবিন। বেলুন জাহাজ কম করে ৩ হাজার মিটার বা ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় নিম্ন আকাশে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বা ৬০ মাইল গতিতে চলতে সক্ষম।

যাত্রীদের কেবিনের অভ্যন্তরীণ দৃশ্যফরাসি প্রকৌশলী হেনরি গিফার্ড ১৮৫২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নিজের নকশা করা এয়ার শিপ প্রথম প্যারিসের আকাশে উড়িয়েছিলেন। তাকে বাষ্পীয় মোটরচালিত প্রপেলার দিয়ে চালিয়ে ২৭ কিলোমিটার বা ১৭ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। আর ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সালে জার্মান বাণিজ্যিক বিমান পরিবহন সংস্থা ‘ডেলাগ’ প্রথম নিয়মিত এয়ার শিপ পরিষেবা চালু করেছিল। এই প্রতিষ্ঠান ওই সময় প্রায় ১ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করেছিল।

নিরাপদ, আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব, খরচ সাশ্রয়ী, শব্দহীন এই বেলুন জাহাজের জন্য বিমানবন্দরের প্রয়োজন হয় না। নদী, হ্রদ, অর্থাৎ পানিতে বা খোলা মাঠে অনায়াসে অবতরণ এবং উড্ডয়ন করতে পারে এগুলো। এমন সব সুবিধা বিবেচনায় বিভিন্ন বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার শিপ পরিষেবার উদ্যোগ নিয়েছে। অচিরেই স্বল্প দূরত্বে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনে নতুন করে চমক দেবে এয়ার শিপ বা বেলুন জাহাজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাতে একা ঘোরাফেরায় নিরাপদ দেশগুলোর নাম জেনে নিন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সিঙ্গাপুরের ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। ছবি: পেক্সেলস
সিঙ্গাপুরের ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। ছবি: পেক্সেলস

রাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাতে একা হাঁটতে বের হওয়া বা ঘোরাফেরা করা নিরাপদ। মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত কিংবা নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম।

১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা এ সমীক্ষাটি বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা আস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। কিছু দেশ লিঙ্গনির্বিশেষে নিরাপত্তার প্রায় সর্বজনীন আস্থা বজায় রেখেছে। আর কিছু দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের চিত্র রয়েছে। অন্ধকার হওয়ার পর যে দেশের বাসিন্দারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করে, তেমন শীর্ষ ৩০টি দেশের নাম রয়েছে এ তালিকায়।

সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশগুলো

এ তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সিঙ্গাপুর। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। অপরাধের কম হার, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা এর কারণ। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে তাজিকিস্তান। দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ রাতে একা চলাফেরা করার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত বোধ করেন। সীমিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়েও এ দেশের বাসিন্দারা পুলিশি ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ।

এর পরই রয়েছে ওমান ও চীন। এ দুটি দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শান্তি ও আতিথেয়তার জন্য খ্যাত ওমানের খ্যাতি রাতের রাস্তায়ও প্রসারিত। ধারাবাহিক পুলিশিং ও কম অপরাধপ্রবণতা দেশটির নাগরিকদের রাতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মনোভাবের অন্যতম কারণ। এদিকে চীনে অনেক বাসিন্দা, বিশেষ করে প্রধান শহর ও পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে রাতে একা ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করার কথা জানান। দেশটিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশিং ও নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এরপরই রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শহুরে নিরাপত্তা ও গণ-অবকাঠামোতে চলমান বিনিয়োগের পাশাপাশি সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

গ্লোবাল সেফটি রিপোর্টের তালিকায় চীন আছে দুই নম্বরে। ছবি: পেক্সেলস
গ্লোবাল সেফটি রিপোর্টের তালিকায় চীন আছে দুই নম্বরে। ছবি: পেক্সেলস

তালিকায় এরপর একসঙ্গে রয়েছে কুয়েত, নরওয়ে ও হংকং—এই তিনটি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলের ৯১ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে নিরাপদ বোধ করেন। এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য পরিবহন ও শক্তিশালী নাগরিক শৃঙ্খলা, অন্ধকার নামার পরও এসব দেশ ও অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। কুয়েতের নাগরিকদের নিরাপত্তার এই উচ্চ অনুভূতি এসেছে মূলত সামাজিক সংহতি ও দৃশ্যমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কারণে। নরওয়ের সামাজিক আস্থা এবং কম অপরাধের হার দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ করে তুলেছে। চমৎকারভাবে সজ্জিত আলোকিত রাস্তা ও সামাজিক সতর্কতা নরওয়েজিয়ানদের সূর্যাস্তের পরও অবাধে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করে।

তালিকায় এরপর রয়েছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দুটি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করেন। বাহরাইনের আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক আস্থা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহুরে পরিবেশের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএইর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আস্থা বজায় রেখে এখানকার বাসিন্দা ও পর্যটক উভয়ই রাতে নিরাপদ বোধ করেন।

সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ। ছবি: পেক্সেলস
সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ। ছবি: পেক্সেলস

নব্বই শতাংশের নিচে যে দেশগুলো

কসোভো ও ডেনমার্কের ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের রাতের রাস্তায় নিরাপদ মনে করেন। কসোভোর দ্রুত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান সামাজিক সংহতি নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। উন্নত অবকাঠামো এবং সামাজিক কর্মসূচি নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। ডেনমার্ক অধিবাসীদের সমতা ও নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানের ওপর জোর দেয়। এ দুটি কারণে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডের ভিত্তি। দেশটির শহরগুলোতে চমৎকার আলো এবং পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি রাতের পথচারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।

ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা রাতের রাস্তায় নিরাপদ। ভিয়েতনামের শহুরে এলাকাগুলো, বিশেষ করে সক্রিয় রাতের অর্থনীতি এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা টহলের কারণে নিরাপদ। সুইজারল্যান্ডের কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সুশৃঙ্খল শহরগুলো স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর সংরক্ষিত অবকাঠামো রাতের নিরাপত্তার প্রতি শক্তিশালী জন-আস্থা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। বিশ্বে সর্বনিম্ন অপরাধপ্রবণতার হার যেসব দেশে, সেগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। কম অপরাধপ্রবণতা ও সরকারের প্রতি উচ্চ জন-আস্থা রাতে একা হাঁটা দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। বাসিন্দারা কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী কল্যাণমূলক ব্যবস্থার কৃতিত্ব দেয় তাদের নিরাপত্তার অনুভূতির জন্য।

তাইওয়ান, মন্টেনেগ্রো ও এল সালভাদরের ৮৭ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা বাইরে নিরাপদ বোধ করেন। একসময় অপরাধের উচ্চ হারের জন্য কুখ্যাত ছিল এল সালভাদর। তবে সেখানে বড় আকারের নিরাপত্তা সংস্কারের কারণে জননিরাপত্তায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অন্যদিকে তাইওয়ানে কম অপরাধপ্রবণতা, কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী নাগরিক সুবিধা এশিয়ায় নিরাপত্তার ধারণার সর্বোচ্চ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি এ ধারা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়ও বিদ্যমান।

মন্টেনেগ্রোর শান্ত জীবনযাত্রা এবং সম্প্রদায়কেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিরাপত্তার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। উজবেকিস্তানের ৮৬ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তাকে নিরাপদ মনে করেন। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দেশটিতে জন-আস্থা বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা অন্ধকার নামার পর শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরায় নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করার কথা জানান। এরপরই রয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির ৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার ৮৪ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন।

ইন্দোনেশিয়া ও এস্তোনিয়ার ৮৩ শতাংশ মানুষ রাতে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন। মিসর, জর্জিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ৮২ শতাংশ এবং স্পেন ও সুইডেনের ৮১ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন।

নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: রাস্তায় কুকুরের মারামারি থামাতে যাবেন না, হ্যাঁ-না বলার আগে কয়েন টস করুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩১
আজকের রাশিফল: রাস্তায় কুকুরের মারামারি থামাতে যাবেন না, হ্যাঁ-না বলার আগে কয়েন টস করুন

মেষ

আজ সকালে আপনি এক্কেবারে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোবেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছে মনে পড়বে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি (সেটা মানিব্যাগ হোক বা হেডফোন) ফেলেই এসেছেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু আপনার বস গোপনে ভাববেন, ‘এ সবকিছুতে এত তাড়াহুড়া করে কেন?’ আপনার তেজি মনোভাব আজ প্রেমের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা করতে পারে—হুট করে কাউকে প্রেম নিবেদন না করে, আগে দেখে নিন তিনি ফোন ধরেছেন কি না। রাস্তায় যদি দেখেন দুটি কুকুর মারামারি করছে, প্লিজ ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যাবেন না। সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

বৃষ

আজ আপনার ভোজনরসিক মন চরম বিদ্রোহ করবে। সারা দিন শুধু ভালো-মন্দ খাওয়ার প্ল্যানিং চলবে। ডায়েট চার্ট আজ মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। সন্ধ্যায় যখন ডাল-ভাত খাওয়ার কথা, তখন আপনি বিরিয়ানি খুঁজবেন। আর্থিক দিক দিয়ে দিনটি ভালো, তবে খরচ হবে কেবল জিবের তৃপ্তি মেটানোর জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার হাতের রান্না (বা অন্তত অর্ডার করা খাবার) খেয়ে মুগ্ধ হবে। আজ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা মিষ্টিটা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। পারলে দুটোই খেয়ে ফেলুন, গ্রহ শান্ত হবে।

মিথুন

আপনার দ্বৈত সত্তা আজ এমনভাবে সক্রিয় থাকবে যে নিজেই বুঝতে পারবেন না আপনি কী চান। একবার মনে হবে পাহাড়ে যাবেন, পরক্ষণেই মনে হবে সমুদ্র। অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেখার আগে আপনি অন্তত পাঁচবার খসড়া পরিবর্তন করবেন। প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় একবার প্রেমিকের মতো মিষ্টি হবেন, আবার পরমুহূর্তেই দার্শনিকের মতো গভীর জ্ঞান দেবেন। সঙ্গী কিন্তু আপনার এই ‘ডাবল রোল’ দেখে চরম মজা পাবেন। আজ কোনো শপথ বা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ, যা বলবেন, ৫ মিনিট পর নিজেই ভুলে যাবেন।

কর্কট

আজ আপনার সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। রাস্তার ধারের পুরোনো চায়ের দোকানের দিকে তাকালেও শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে পারে। অফিসে কেউ সামান্য মিষ্টি কথা বললেই মনে করবেন তিনি আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো মানুষ। দিনের শেষে বাড়িতে মা-বাবা বা প্রিয়জনের কাছে আবদার করার জন্য মন আনচান করবে। তবে অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই আবেগ ঝেড়ে ফেলুন, নতুবা কেঁদে বালিশ ভেজাতে হতে পারে। টিভির সিরিয়াল দেখে আজ বেশি কাঁদবেন না। নক্ষত্র বলছে, ওটা কালকের এপিসোডেই মিটে যাবে।

সিংহ

আজ আত্মবিশ্বাস এত তুঙ্গে থাকবে যে আপনি ট্রাফিক পুলিশকে গিয়ে ট্রাফিক আইন শেখাতে পারেন। অফিসে আজ এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনার জন্যই সূর্য ওঠে। সবাই আপনার প্রশংসা করুক বা না করুক, আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজেই বাহবা দেবেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আপনার এই ‘রাজকীয়’ মেজাজ একটু কমিয়ে কথা বলার অনুরোধ করতে পারে। পাবলিক প্লেসে জোরে জোরে নিজের নাম ধরে ডাকবেন না। নক্ষত্র বলছে, তাতে লোক হাসবে আর আপনার অহমে আঘাত লাগবে।

কন্যা

আজ প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভুল খুঁজবেন। নিজের লেখা মেসেজেও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে পাবেন। অফিসের ডেস্কের সামান্য ধুলা বা রান্নাঘরের মসলার কৌটার সামান্য হেরফের মেজাজ খারাপের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আজ পাড়ার সবচেয়ে ভালো ফুচকাওয়ালাকেও সন্দেহের চোখে দেখবেন। সন্ধ্যায় দুশ্চিন্তা কমিয়ে একটু রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন, নতুবা রাতে ঘুম হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর পারফেক্ট ছবি দেখে কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন না যে ব্যাকগ্রাউন্ডে ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে কি না। প্লিজ!

তুলা

আজ গ্রহ-নক্ষত্ররা আপনাকে এক চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে: ‘আমিষ না নিরামিষ?’ অথবা, ‘নীল শার্ট না কালো?’ এই সামান্য দ্বিধা নিয়েই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, আপনি দুটো বিপরীতমুখী মতামত দেবেন এবং শেষ পর্যন্ত বলবেন, ‘তোমার যেটা ভালো মনে হয়, করো।’ প্রেমের ক্ষেত্রে আজ রোমান্স থাকলেও ডেটে গিয়ে কী অর্ডার করবেন, এই চিন্তাতেই সন্ধ্যা শেষ। কাউকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার আগে একটা কয়েন টস করে নিন। অন্তত সিদ্ধান্তটা আপনার ঘাড়ে পড়বে না।

বৃশ্চিক

আজ আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ওভারটাইম করবে। চারপাশে যা ঘটবে, তার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন। অফিসের সহকর্মী কেন এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চে গেল? আপনার দুধওয়ালার মুখটা এত হাসি হাসি কেন? এর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? প্রেমের ক্ষেত্রে আজ তীব্র আকর্ষণ কাজ করবে, কিন্তু সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত সন্দেহ (যেমন ‘কার সঙ্গে এতক্ষণ চ্যাট করছিলে?’) ঝামেলা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার চা ঠান্ডা হওয়ার পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নেই।

ধনু

আজ মন দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াবে। অফিসে বসেও হয়তো প্ল্যান করবেন, কীভাবে হেঁটে এভারেস্ট জয় করা যায়। স্বভাবসুলভ উৎসাহে এমন সব বিষয়ে জ্ঞান দেবেন, যা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কেউ সমস্যা নিয়ে এলে তাঁকে জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো এমন কিছু টিপস দেবেন, যা তিনি জীবনেও মানবেন না। তবে আর্থিক ঝুঁকি আজ আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। ট্রেনে টিকিট কাটার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি এমন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন না, যার নাম মানচিত্রে নেই!

মকর

আজ নিজেকে এমনভাবে কাজে ব্যস্ত রাখবেন যে বন্ধুবান্ধব ভাববে আপনি হয়তো বিলিয়ন ডলারের কোনো চুক্তি করছেন। কাজের প্রতি আপনার নিষ্ঠা আজ নজির সৃষ্টি করবে, কিন্তু প্লিজ লাঞ্চ ব্রেকটা স্কিপ করবেন না। পরিবার আপনার কাছ থেকে একটু মনোযোগ চাইবে। মনে রাখবেন, শুধু কাজ করলেই হবে না, মাঝেমধ্যে দু-চারটা কৌতুকও শোনাতে হয়! প্রেমের জীবনে একটু অবসর নিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন, না হলে তিনি আপনার ল্যাপটপের ওপর রাগ করতে পারেন। রাতের খাবারের মেনুটাও যদি প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের মতো করে তৈরি করেন, তবে বাড়িতে অশান্তি নিশ্চিত।

কুম্ভ

আজ মাথায় অদ্ভুত সব আইডিয়া আসবে, যা হয় ব্ৰিলিয়ান্ট হবে, নয়তো হাস্যকর। আপনি হয়তো ভাববেন, কীভাবে চা না খেয়েও চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়। বন্ধুদের আড্ডায় আজ এমন কিছু বলবেন, যা কেউ বুঝবে না, কিন্তু সবাই ভদ্রতার খাতিরে হাসবে। সামাজিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, আপনার সঙ্গে কথা বলাটা একটু থ্রিলার সিনেমার মতো—কেউ জানে না এরপর কী হতে চলেছে। আজ ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আপনি মানবজাতির উন্নতির জন্য রান্নাঘরের সবজি কাটার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।

মীন

সারা দিন আজ দিবাস্বপ্নে মগ্ন থাকবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভুলে যাবেন যে আপনি কাল রাতে কী নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অফিসের মিটিংয়ে আপনার মন হয়তো কোনো মেঘে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে। সৃজনশীল কাজের জন্য দিনটি চমৎকার, তবে বাস্তব জীবনের বিল মেটানোর কথা ভুলে যাবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গী আজ আপনাকে বাস্তবের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারে—হয়তো চায়ের কাপ হাতে ধরিয়ে দিয়েই! আজ রাতে যদি ঘুমিয়ে দেখেন লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, প্লিজ সকালে উঠে সেই টাকা খুঁজতে যাবেন না। কারণটা খুব সহজ, সেটা শুধু স্বপ্ন ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শরীরের ব্যথা কমাতে নেহা ধুপিয়া পানীয় পান করেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
নেহা ধুপিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
নেহা ধুপিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রাকৃতিক উপায়ে যদি শরীরের প্রদাহ কমানো যায়, তাহলে ওষুধপত্র সেবনের প্রয়োজন পড়ে না। বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমানোর জন্য ২১ দিনের ঘরোয়া পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। তাতে তিনি উপকার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানির পরামর্শে তৈরি এই বিশেষ ঘরোয়া পানীয় তিনি প্রতিদিন পান করেছেন। শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমিয়ে সুস্থতা ফিরে পেতেই এই পানীয় পান করেন তিনি। নেহা তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন। একটি ভিডিওতে তিনি এই পানীয় পানে নিজের শরীরের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

নেহার ভাষ্য, ‘২১ দিন এই পানীয় পানে আমি বুঝেছি, শরীর সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও জরুরি।’ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ, আদা, কালো গোলমরিচ ও কালিজিরা দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ পানীয় নেহা ধুপিয়া পান করেছেন।

এই পানীয় তৈরির রেসিপিও জানা গেছে। পানীয়টি যেভাবে তৈরি করা যাবে:

শরীর সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও জরুরি বলে মনে করেন নেহা ধুপিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শরীর সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও জরুরি বলে মনে করেন নেহা ধুপিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কাঁচা হলুদ ১ টুকরা, কাঁচা আদা ৫ থেকে ৭টি, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ ও কালিজিরা ১ চা-চামচ নিয়ে সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ হালকা গরম পানিতে একটি কিউব দিয়ে ১ চা-চামচ এমসিটি তেল যোগ করে পান করুন। এখানে এমসিটি তেল সম্পর্কে একটু বলে রাখা ভালো। মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস বা এমসিটি তেল মূলত একধরনের ফ্যাট, যা নারকেল বা পাম তেল থেকে তৈরি হয়। এটি দ্রুত হজম হয় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এই তেল ওজন কমাতে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

তবে এই তেল ঘরে না থাকলে ঘি, নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যায়।

ব্যথানাশক এই পানীয়ের উপকারিতা

এই পাঁচটি উপকরণের প্রতিটিতে রয়েছে অনন্য পুষ্টিগুণ, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হলুদ ও আদায় থাকা কারকিউমিন এবং জিঞ্জেরল নামে শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে। কালো গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন কারকিউমিনের শোষণ বাড়ায়। কালিজিরা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এমসিটি অয়েল, ঘি, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে। নিয়মিত তিন সপ্তাহ এই পানীয় পান করলে প্রদাহ কমে, হজমশক্তি বাড়ে এবং সারা দিন শরীর থাকে তরতাজা। ২১ দিন এই পানীয় পান করে নেহা ধুপিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অন্ত্রের স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল দেখাচ্ছে এবং শরীরের প্রদাহ বা ব্যথা কমে গেছে। এ ছাড়া পেট ফাঁপার সমস্যাও অনেকটাই সেরেছে।

তবে সতর্কবার্তাও রয়েছে। রিচা গঙ্গানির এই পানীয় পানের চ্যালেঞ্জ শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায়, যেমন পিত্তথলির সমস্যা, রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাওয়া বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে হলুদ ও আদা কতটুকু পরিমাণে খাওয়া যাবে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়া আবশ্যক। নয়তো উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তিন সপ্তাহের মধ্যেও কেউ যদি শরীরে প্রদাহ কিছুটা কমে যাওয়া বা হালকা স্বস্তি অনুভব করেন, সেটি ইতিবাচক লক্ষণ। তবে বিপাকীয় বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সময় লাগে এবং এর জন্য জীবনযাপনে ধারাবাহিক পরিবর্তন জরুরি।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এশিয়ার সেরা ফাইন ডাইনিংয়ে ভিয়েতনামের পাঁচ রেস্তোরাঁ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০০
ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামের খাবার পাওয়া যায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দ্য রিদমস্ রেস্তোরাঁয়। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামের খাবার পাওয়া যায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দ্য রিদমস্ রেস্তোরাঁয়। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

ভিয়েতনামের রন্ধনশৈলী এখন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পাচ্ছে। সম্প্রতি ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ট্রিপ অ্যাডভাইজর তাদের পাঠক পর্যালোচনার ভিত্তিতে এশিয়া মহাদেশের ২৫টি সেরা ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে ভিয়েতনামের পাঁচটি নামকরা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হ্যানয় থেকে তিনটি, হো চি মিন সিটি থেকে একটি এবং অন্যটি হই আন থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

২০২৪-এর ১ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১২ মাস সময়কালে ট্রিপ অ্যাডভাইজরে পোস্ট করা পর্যটকদের পর্যালোচনা ও রেটিংয়ের গুণমান এবং পরিমাণ বিবেচনায় নেওয়া হয় এ জরিপের জন্য। এর ভিত্তিতে এ বছরের ট্রাভেলার্স চয়েস বেস্ট অব দ্য বেস্ট রেস্তোরাঁ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। ট্রিপ অ্যাডভাইজরের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টেন ডাল্টন বলেন, ‘অখ্যাত স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে অনন্য গন্তব্য পর্যন্ত ট্রিপ অ্যাডভাইজরের এই কমিউনিটি পর্যটকদের এমন রেস্তোরাঁর খোঁজ দেয়, যা প্রিয় স্মৃতি বা ‘জীবনে একবারে’র অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।’

রাজধানী থেকে তিন তারকার ঝলক

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় থেকে তিনটি ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। শহরটি যে খাদ্য-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ, এ তালিকা তাই প্রমাণ করে। রেস্তোরাঁগুলো হলো:

এশীয় উপকরণ ব্যবহার করে ইউরোপীয় কৌশলে রান্না খাবার মেলে নভেম্বর রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্কাই বারে। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
এশীয় উপকরণ ব্যবহার করে ইউরোপীয় কৌশলে রান্না খাবার মেলে নভেম্বর রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্কাই বারে। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

দ্য রিদমস রেস্টুরেন্ট: শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত লা সিনফোনিয়া দেল রে হোটেল অ্যান্ড স্পার সপ্তম তলায় অবস্থিত এ রেস্তোরাঁটি তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের বিশেষত্ব হলো, মেনুতে উপস্থিত ঐতিহ্যবাহী ভিয়েতনামের খাবার। উত্তর-পশ্চিম ভিয়েতনামের স্টাইলে তৈরি রোস্টেড চিকেন, স্প্রিং রোলস ও আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করা কলার রোলস।

নভেম্বর রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড স্কাই বার: হ্যানয়ের বা দিন ওয়ার্ডের লে জার্দিন হোটেল হাউত কাউচারের ভেতরে অবস্থিত এ রেস্তোরাঁটি তালিকায় দশম স্থান অর্জন করেছে। এখানে এশীয় উপকরণ ব্যবহার করে ইউরোপীয় কৌশলে তৈরি খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রতিটি খাবারকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মতো করে তুলে ধরে খুয়ে রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
প্রতিটি খাবারকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মতো করে তুলে ধরে খুয়ে রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

খুয়ে রেস্টুরেন্ট: লে জার্দিন হোটেল হাউত কাউচারের ১২তম তলায় অবস্থিত খুয়ে রেস্তোরাঁটি পেয়েছে দ্বাদশ স্থান। ট্রিপ অ্যাডভাইজর লিখেছে, ‘খুয়ে রেস্তোরাঁর উন্নত সজ্জা ও সতর্কতার সঙ্গে তৈরি মেনুর কারণে প্রতিটি খাবারকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়।’ এটিই তার প্রধান আকর্ষণ।

ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ

ঐতিহ্যবাহী শহর হই আন এবং আধুনিক হো চি মিন সিটিও বিশ্বমানের ফাইন ডাইনিংয়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।

দ্য সউল রেস্টুরেন্ট: হোয়াই নদের তীরে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি শান্ত বাগানের মধ্যে অবস্থিত এ রেস্তোরাঁটি তালিকায় সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। এখানে বসলে হই আনের ব্যস্ততা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করা যায়। ভিয়েতনাম ও পাশ্চাত্য খাবারের মিশ্রণে একটি বিশেষ মেনু পাওয়া যায় এখানে, যা হালকা ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে চার কোর্সের ভোজ পর্যন্ত বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে।

হোয়াই নদের তীরে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি শান্ত বাগানে দ্য সউল রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর
হোয়াই নদের তীরে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটি শান্ত বাগানে দ্য সউল রেস্টুরেন্ট। ছবি: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

লাই রেস্টুরেন্ট: নাম কি খোই নিয়া স্ট্রিটে সেডোনা স্যুইটসের ২৮তম তলায় অবস্থিত লাই রেস্তোরাঁ জায়গা পেয়েছে এ তালিকার ২৫ নম্বরে। রেস্তোরাঁর ইন্টেরিয়র সাজানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চীনা সজ্জায়। এর সঙ্গে জায়গা পেয়েছে আধুনিক চিত্রকর্ম ও ফুল। এ রেস্তোরাঁর জানালা ছড়িয়ে আছে মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত। এ জানালা দিয়ে শহরের বিস্তৃত দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানকার মেনু ক্ল্যাসিক ক্যান্টনিজ খাবারের সঙ্গে সমসাময়িক উপাদান ও দক্ষিণ এশীয় স্বাদের একটি ফিউশন নিয়ে তৈরি। তাদের বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে পিকিং ডাক ও ডিম সাম।

সূত্র: ট্রিপ অ্যাডভাইজর

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত